Kolingo Deshe Jhor Bristi – কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কবিতা – মুকুন্দ চক্রবর্তী | কবিতার কিছু প্রশ্নের উত্তর সমূহ | নবম শ্রেণি – কবিতার প্রশ্ন উত্তর | Kolingo Deshe Jhor Bristi
Table of Contents
Kolingo Deshe Jhor Bristi Short Question Answer
কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কবিতাটি কার লেখা?
উ: কবি মুকুন্দ চক্রবর্তী
চারিদিকে অন্ধকার করে আসলো কেন?
উ: চারিদিকে মেঘের আগমনে হঠাৎ করেই অন্ধকার করে আসলো।
সঘনে চিকুর কথাটির অর্থ কি?
উ: ঘনঘন বজ্রপাতকে সঘনে চিকুর বলা হয়।
প্রজাদের মন বিষাদে পরিপূর্ণ হল কেন?
উ: চারিদিকে প্রাকৃতিক অবস্থা দেখে প্রলয় আসবে এই কথা ভেবেই প্রজাদের মন বিষাদে পরিপূর্ণ হয়েছিল।
প্রলয়ের কবলে পড়ে কারা ভবন ছাড়লো?
উ: প্রলয়ের কবলে পড়ে প্রজারা ভয়ে ভবন ছাড়লো।
করি-কর কথাটির অর্থ কি?
উ: করি-কর কথাটির অর্থ হাতির শুঁড়।
মহী কথাটির অর্থ কি?
উ: মহী কথার অর্থ পৃথিবী।
কতদিন ধরে এই ঝড় বৃষ্টি চলেছিল?
উ: টানা সাত দিন ধরে এই ঝড় বৃষ্টি নিরন্তর চলেছিল।
দেবী চণ্ডীর আদেশে হনুমান কি করেছিল?
উ: দেবী চণ্ডীর আদেশে হনুমান মোট অট্টালিকা ভেঙে খানখান করেছিল।
অম্বিকা মঙ্গল কার সৃষ্টি?
উ: অম্বিকা মঙ্গল শ্রী কবি কঙ্কন এর সৃষ্টি।
Short type question:
1.) কেউ নিজের অঙ্গ না দেখতে পাওয়ার কারণ কি?
উ: দেবী চণ্ডীর লীলায় চারিদিকে মহাপ্রলয়ের সৃষ্টি হলে মেঘের কারণে চারিদিক অন্ধকারে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। সেই অন্ধকার এতটাই প্রবল যে নিজের অঙ্গ পর্যন্ত দেখতে পাওয়া যায় না।
2.) প্রজাদের মন বিষাদে পরিপূর্ণ হয়ে উঠলো কেন?
উ: চারিদিকের প্রতিকূল প্রাকৃতিক পরিবেশ আর প্রলয়ের ভয়ংকর রূপ দেখে প্রজাদের মন বিপদের অনুশোচনায় বিষাদে পরিপূর্ণ হয়ে উঠল।
3.) জৈমিনি কে? সকলের তাকে স্মরণ করার কারণ কি?
উ: জৈমিনি হলেন বৈদিক পুরাণের একজন প্রাচীন ঋষি। সকলের বিশ্বাস এনার আদেশে বজ্রপাত স্তব্ধ হয় তাই সকলে তাকে স্মরণ করতে থাকে।
4.) কেন কেউ কারোর কথা শুনতে পায় না?
উ: প্রবল ভয়ংকর বৃষ্টিপাত আর মেঘের গর্জনে চারিদিক মুখরিত। সম্বর্ত ,আবর্ত, পুষ্কর ও দ্রোন এই চার প্রকার মেঘের গর্জনের এতই তীব্রতা যে কেউ কারোর কথা শুনতে পায় না।
5.) চন্ডির আদেশ পেয়ে কারা কি করেছিল?
উ: চণ্ডীর আদেশ পেয়ে বীর হনুমান মঠ অট্টালিকা ভেঙে খানখান করে দিয়েছিল আর কলিঙ্গের নদ নদীগুলি প্রবল বেগে বয়ে চলেছিল।
Kolingo Deshe Jhor Bristi MCQ Answer
1.)গর্ত ছেড়ে কে বেরিয়ে এসেছিল ইঁদুর/ সাপ/ কেঁচো/ নেউল
উ:সাপ।
2.) ঘন ঘন শুনি তিন/ দুই /চারি মেঘের গর্জন
উ: চারি
3.) “নিরবধি সাতদিন /চারদিন /পাঁচ দিন/ আট দিন বৃষ্টি নিরন্তর”
উ: সাত দিন।
4.) চন্ডী/ কালী/ শিব /দুর্গার আদেশ পান বীর হনুমান।
উ: চণ্ডীর।
5.) সোঙরে কথার অর্থ-ভুলে যাওয়া/ মনে থাকা /স্মরণ করা।
উ: স্মরণ করা।
6.) ঝড় বৃষ্টির প্রলয় আকার নিয়েছিল কলিঙ্গে /গুজরাট নগরীতে।
উ: কলিঙ্গে
7.) ঈশানে /উত্তরে/পশ্চিমে/ উড়িল মেঘ সঘনে চিকুর।
উ: ঈশানে
8.) উত্তর /দক্ষিণ /পূর্ব /পশ্চিম পবনে মেঘ ডাকে দুর দুর।
উ: উত্তরপবনে
9.) বিপাকে পড়ে প্রজারা অট্টালিকা/ রাজপ্রাসাদ /মন্দির /ভবন ছেড়ে পালালো।
উ: ভবন
10.) অম্বিকা মঙ্গলের রচয়িতা হলেন জয়দেব/ কানহপাদ/ শ্রী কবি কঙ্কন।
উ: শ্রী কবি কঙ্কন।
Kolingo Deshe Jhor Bristi Short Question Answer
1. ” কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি” কবিতাটিতে মেঘের যে রূপ বিস্তার বিবরণ রয়েছে তা বর্ণনা কর।
উ: দেবী চন্ডীর লীলায় গুজরাট নগরে প্রজা বসবাস করানোর নিমিত্ত কলিঙ্গ দেশে ঝড় বৃষ্টির সূত্রপাত শুরু হয়। কবিতায় আমরা খুব সুন্দর ভাবে সেই প্রাকৃতিক তাণ্ডব লীলার চিত্ররূপ দেখতে পাই। এখানে মেঘের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চারিদিকের ঘন অন্ধকার মেঘের বাতাবরণ নিজেকে চিনতে ব্যাঘাত ঘটায়। ঈশান কোণে মেঘের সমাগম সেখানে ঘন ঘন বজ্রপাত। উত্তর দিকের আকাশে মেঘের গম্ভীর আওয়াজ ঘন ঘন পাওয়া যাচ্ছে। পৌরাণিক মতে সম্বর্ত আবর্ত পুষ্কর এবং দ্রোনের আগমনে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। যত্রতত্র মেঘের কুঞ্জ উড়ে চলেছে। মেঘের এরূপ অবস্থায় চারিদিকে প্রলয়ের আকার ধারণ করেছে। কবি খুব সুন্দর ভাবে নিজের লেখনীর সাহায্যে প্রাকৃতিক পরিবেশের সাথে মেঘের যে বৈচিত্রময় রুপ তুলে ধরেছেন তা পাঠক হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে।
2. কলিঙ্গদেশে হঠাৎ ঝড়-বৃষ্টির সমাগমে সাধারণ প্রজারা কিভাবে অসুবিধায় পড়েছিলেন তা নিজের ভাষায় লেখ।
উ: কলিঙ্গদেশে যে প্রাকৃতিক দুর্যোগ তার সম্পূর্ণ পূর্ব নির্ধারিত হলেও প্রজাদের কাছে তা অজ্ঞাত ছিল। দেবী চণ্ডীর লীলায় সমগ্র কলিঙ্গ দেশে প্রবল প্রলয় শুরু হয়। হঠাৎ করে অনভিপ্রেত এরূপ প্রাকৃতিক দুর্যোগে সকলেই বিপদে পড়েছিল। চারিদিকে ঘনঘন বাজ পড়তে থাকে মেঘের বর্ষণে চারিদিকে জলমগ্ন হয়ে পড়ে দ্রবল ঝড়ের সমাগম ঘটে, সবুজ শস্য ক্ষেত্র ধুলাময় হয়ে ওঠে। কেউ কারোর কথা শুনতে পায় না সকলেই ভয় পেয়ে জৈমিনিকে স্মরণ করতে থাকে। চারিদিকে শুধু ধ্বংসের তাণ্ডব। প্রবল বজ্রের শব্দে কেউ কারোর কথা শুনতে পায় না। সমগ্র পরিবেশ এতটাই অন্ধকার যে দেখে বোঝা যায় না রাত না দিন। প্রায় সাত দিন চলেছিল এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ। চারিদিক জলমগ্ন হওয়ার ফলে গর্ত থেকে সাপেরা বাইরে বেরিয়ে এসেছিল সমগ্র শস্য পচে গিয়েছিল ।চারিদিকে বড় বড় ঢেউয়ের পর্বতের আঘাতে সমগ্র বসতি ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল।