এই নিবন্ধে আমরা ষষ্ঠ শ্রেণির অষ্টম অধ্যায় ” চিঠি ” কবিতার প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে জানবো। Class 06 Bangla Chapter 8 Question Answer
Class 6 Bangla Chapter 08 Question Answer ষষ্ঠ শ্রেনীর বাংলা অধ্যায় ০৮ ‘ চিঠি ‘ প্রশ্ন উত্তর
Table of Contents
.১ কবি জসীমউদ্দিনকে বাংলা কাব্য জগতে কোন্ অভিধায় অভিহিত করা হয়েছে?
উত্তর: কবি জসীমউদ্দিনকে বাংলা কাব্য জগতে ‘পল্লিকবি’ অভিধায় অভিহিত করা হয়েছে।
১.২ তাঁর লেখা দুটি কবিতার বইয়ের নাম লেখো।
উত্তর: কবি জসীমউদ্দিনের লেখা দুটি কবিতার বইয়ের নাম— “বালুচর” (১৯৩০), “ধানখেত” (১৯৩৩)।
২. নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :
২.১ কবি কার কার থেকে চিঠি পেয়েছেন ?
উত্তর: কবি লালমোরগ, চখাচখি, গাঙশালিক, বাবুই পাখি, কোড়াকুড়ী ও খোকা ভাই এর কাছ থেকে চিঠি পেয়েছেন।
২.২ লাল মোরগের পাঠানো চিঠিটি কেমন ?
উত্তর: লালমোরগের পাঠানো চিঠিটি ভোর জাগানোর সুরে ভরা এবং শিশু ঊষার রঙিন হাসির রং করা।
২.৩ চখাচখি কেমন চিঠি পাঠিয়েছে?
উত্তর: চখাচখি বালুচরের ঝিকিমিকিতে বর্ষার ঢেউ এর কত কিছু লেখা চিঠি পাঠিয়েছে।
২.8 গাশালিক তার চিঠিতে কী বলেছে?
উত্তর: গাঙশালিক তার চিঠিতে কবিকে ‘গাঙের পাড়ের মোড়ল’ হবার কথা লিখেছে।
২.৫ বাবুই পাখির বাসার থেকে আসা চিঠিটি কেমন?
উত্তর: ধানের পাতায় তালের পাতায় বুনট-করা নক্শা আঁকা চিঠি পাঠিয়েছে বাবুই পাখি।
২.৬ কোড়াকুড়ীর পাঠানো চিঠিটির বর্ণনা দাও।
উত্তর: বর্ষাকালের ফসলের ক্ষেত, জলধারায় সবুজ পাতার নাচানাচি, গুরু গুরু মেঘের ডাক যা কান্নার মতো শোনাচ্ছে, উদাস বাতাসের কথা কোড়াকুড়ির পাঠানো চিঠিতে আছে।
২.৭ কার চিঠি পাওয়ায় কবির মনে হয়েছে নিখিল বিশ্ব তাঁকে চিঠি পাঠিয়েছে?
উত্তর: ছোটো ভাই-এর পাঠানো চিঠিকে কবির মনে হয়েছে নিখিলবিশ্ব তাঁকে চিঠি পাঠিয়েছে।
২.৮ এই কবিতায় কোন্ ঋতুর প্রসঙ্গ রয়েছে?
উত্তর: এই কবিতায় প্রধানত বর্ষা ঋতুর প্রসঙ্গ আছে। আবার ছোটো ভাইয়ের চিঠির প্রসঙ্গে শীতঋতুর কথা এসেছে।
২.৯ কবিতায় অন্য ঋতুর পটভূমি সত্ত্বেও খোকাভাই-এর চিঠির লেখনখানি শীতের ভোরের রোদের মতো মিঠে মনে হওয়ার তাৎপর্য বুঝিয়ে দাও।
উত্তর: কবিতায় বর্ষা ঋতুর পটভূমি থাকা সত্ত্বেও কবির কাছে তাঁর খোকাভাইয়ের চিঠিটি শীতের ভোরের রোদের মতো’ মনে হয়েছে। কেননা শীতের ভোরের রোদ যেমন নরম কিন্তু আরামদায়ক, তেমনি কবির ছোটোভাইয়ের চিঠিখানিও তাঁর কাছে ভালোবাসার উয় পরশ নিয়ে এসেছে।
২.১০ ‘খুশির নূপুর ঝুমুর ঝামুর বাজছে আমার নিরালাতে’—পঙক্তিটির অর্থ বুঝিয়ে দাও।
উত্তর: কবি নানা জনের কাছ থেকে নানা চিঠি পেয়েছেন। সেসব চিঠি প্রকৃতির নানা খবরে সমৃদ্ধ। কবির মনে আনন্দের নূপুর বাজছে। যে নূপুরের আওয়াজে কবির মনে খুশির বান ডেকেছে।
৩. কবিতা থেকে এমন তিনটি শব্দ খুঁজে বের করো যা কোনও ধ্বনির অনুকরণে তৈরি। একটি উদাহরণ দেওয়া হলো। যেমন—কল কল ।
উত্তর: ১.ঝুমুর-ঝামুর, ২. কিচিরমিচির, ৩. গুরুগুরু।
8. শব্দ ঝুড়ি থেকে ঠিক শব্দ নিয়ে শূন্যস্থানে বসাও।
উত্তর : রঙ্গিন > রঙিন।
গঙ্গা > গাঙ।
স্রোতে > সোঁতে।
ক্রন্দন > কাঁদন ।
৫. ‘ঢেউ-এ ঢেউ-এ’ এখানে ‘ঢেউ-এ’শব্দটি পরপর দু’বার ব্যবহার হওয়ায় অর্থ দাঁড়িয়েছে অজস্র ঢেউ-এ’। অর্থাৎ একই শব্দ পরপর দু’বার ব্যবহারে বহু বচনের ভাব তৈরি হয়েছে। এই কবিতাটি থেকে আরও তিনটি অংশ উদ্ধৃত করো যেখানে এমন ঘটেছে।
উত্তর: ১. খুশির নূপুর ঝুমুর-ঝুমুর, ২. পাখিরা সব ঝাঁকে ঝাঁকে, ৩. মেঘের কাঁদন গুরুগুরু।
৬. ‘গাঙের পাড়ের মোড়ল’—শব্দবন্ধটিতে পরপর দু’বার ‘-এর’ সম্বন্ধ বিভক্তিটি এসেছে। কবিতা থেকে এমন আরও শব্দবন্ধ খুঁজে বের করো যেখানে পরপর দু’বার ‘র’ বা ‘এর’ বিভক্তি প্রয়োগে সম্বন্ধ পদ তৈরি হয়েছে
উত্তর: ১. পাখির বাসার থেকে, ২. কোড়াকুড়ীর বর্ষাকালের ফসল-ক্ষেতে, ৩. শীতের ভোরের রোদের মতো।
৭. ‘কর্তা-কর্ম-ক্রিয়া’—পদক্রম অনুসারে নীচের বাক্যগুলিকে আবার লেখো :
৭.১ লিখে গেছে গাঙশালিকে গাঙের পাড়ের মোড়ল হ’তে।
উত্তর: গাঙশালিকে গাঙের পাড়ের মোড়ল হ’তে লিখে গেছে।
৭.২ ইহার সাথে পেলুম আজি খোকা ভাই-এর একটি চিঠি।
উত্তর: (আমি) একটি চিঠি পেলুম।
৭.৩ সবুজ পাতার আসরগুলি নাচছে জল-ধারায় মেতে।
উত্তর: সবুজ পাতার আসরগুলি জল-ধারায় মেতে নাচছে।
৭.৪ উদাস বাতাস আছড়ে বলে কে যেন বা চাইছে কাকে।
উত্তর: উদাস বাতাস কে যেন বা চাইছে কাকে আছড়ে বলে।
৭.৫ শীতের ভোরের রোদের মতো লেখনখানি লাগছে মিঠি।
উত্তর: লেখনখানি মিঠি লাগছে।
৮. নীচের বাক্যগুলিকে ভেঙে দুটি বাক্যে পরিণত করো :
৮.১ চিঠি পেলুম লাল মোরগের ভোর-জাগানোর সুরভরা।
উত্তর: ১) লাল মোরগের চিঠি পেলুম। ২) মোরগের চিঠিখানি ভোর-জাগানোর সুরভরা।
৮.২ সবুজ পাতার আসরগুলি নাচছে জল-ধারায় মেতে।
উত্তর: ১) সবুজ পাতার আসরগুলি নাচছে। ২) আসরগুলি জল-ধারায় মেতে নাচছে।
৮.৩ শীতের ভোরের রোদের মতো লেখনখানি লাগছে মিঠি।
উত্তর: ১) লেখনখানি শীতের ভোরের রোদের মতো। ২) লেখনখানি লাগছে মিঠি।
৮.৪ আকাশ জুড়ে মেঘের কাঁদন গুরু গুরু দেয়ার ডাকে।
উত্তর: ১) আকাশ জুড়ে মেঘের কাঁদন। ২) গুরুগুরু দেয়ার ডাকে মেঘের কাঁদন।
৮.৫ লিখে গেছে গাঙশালিকে গাঙের পাড়ের মোড়ল হ’তে।
উত্তর: ১) লিখে গেছে গাঙশালিকে। ২) লিখে গেছে গাঙের পাড়ের মোড়ল হ’তে।
৯. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
৯.১ কবি প্রকৃতির কোন্ কোন্ প্রতিনিধির কাছ থেকে কেমন সমস্ত চিঠি পেয়েছিলেন, বিশদে লেখো।
উত্তর: কবি লাল মোরগ, চখাচখি, বাবুই পাখি ও কোড়াকুড়ীর কাছ থেকে চিঠি পেয়েছিলেন। লাল মোরগের চিঠিতে ভরা ছিল ভোরবেলার ঘুমভাঙানোর সুর। চিঠিখানি শিশু ঊষার রঙিন হাসিতে রঙিন হয়ে আছে। চখাচখির চিঠিতে রয়েছে বর্ষার ঢেউয়ের ছাপ লেগে থাকা ঝকঝকে বালুচরের খবর। সেখানে গাঙশালিক আবার কবিকে গাঙের পাড়ের মোড়ল হতে লিখে গেছে, জলের স্রোতে ঢেউয়ের কলকলানির শব্দ তাতে মিশে রয়েছে ।
বাবুই পাখি তার বাসা থেকে ধান আর তালের পাতার বুনুনিতে নকশা করা চিঠি পাঠিয়েছে কবিকে। কোড়াকুড়ী কবিকে যে চিঠি পাঠিয়েছে, তাতে রয়েছে বর্ষাকালের জলে-ডোবা ফসলের খেতে সবুজ পাতাগুলির নাচানাচি করার খবর | আকাশজুড়ে বাদল দিনের মেঘের গুরুগুরু গর্জন আর পাগলা বাতাসের আছড়ে পড়ার শব্দও মিশে থাকে সেই চিঠিতে।
৯.২ খোকা ভাই-এর চিঠিটির প্রসঙ্গে কবি যে সমস্ত উপমা ও তুলনাবাচক শব্দ ব্যবহার করেছেন তাদের ব্যবহারের সার্থকতা বুঝিয়ে দাও।
উত্তর: খোকাভাইয়ের চিঠিটিকে কবি শীতের ভোরের রোদ, দূর আকাশের সুনীল পাতা এবং খুশির নূপুরের সঙ্গে তুলনা করেছেন। শীতের সকালের জমাট ঠান্ডার মধ্যে সদ্য ওঠা নরম রোদের উত্তাপের স্পর্শ যেমন মিষ্টি, তেমনই আরামদায়ক। কবির কাছেও তাঁর প্রিয় খোকাভাইয়ের চিঠিটি একইরকম মিষ্টি আমেজ বয়ে নিয়ে এসেছে। তিনি বলেছেন দূর আকাশের গাঢ় নীল রঙের পাতা থেকে ঝাঁক ঝাঁক পাখি যেন ছড়া মুখস্থ করে মেঘেদের পাড়ায় মেঘেদের পড়ায়। ঠিক সেই পড়ার হরফগুলিই যেন তাঁর খোকাভাইয়ের হাতের অক্ষরে ফুটে উঠেছে। তাঁর একাকীত্ব, নির্জনতা সব কেটে গিয়ে যেন খুশির নূপুর রুমঝুমিয়ে বাজতে থাকে ।
৯.৩ তোমার প্রিয় বন্ধুকে তোমার জীবনের সবচেয়ে আনন্দের ঘটনাটি জানিয়ে একটি চিঠি লেখো।
উত্তর: নিজে কর ।