Class 8 Bangla Chapter 01 Question Answer | অষ্টম শ্রেণী বাংলা অধ্যায় ০১ প্রশ্নোউত্তর
এই নিবন্ধে আমরাঅষ্টম শ্রেণী বাংলা অধ্যায় 01 এর বোঝাপড়া -এর প্রশ্নের উত্তর জানতে পারবো।
Table of Contents
Class 8 Bangla Chapter 01 Question Answer | অষ্টম শ্রেণী বাংলা অধ্যায় ০১ প্রশ্নউত্তর
১. এক-কথায় উত্তর লেখ
১.১ জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি থেকে প্রকাশিত কোন পত্রিকায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিয়মিত লিখতেন?
উত্তরঃ- ‘ভারতী’ ও ‘বালক’ পত্রিকা
১.২ ভারতের কোন প্রতিবেশী দেশের তার লেখা গান জাতীয় সংগীত হিসেবে পাওয়া যায়?
উত্তরঃ- বাংলাদেশ ।
২. নিচের প্রশ্ন গুলির কয়েকটি বাক্যে উত্তর দাও।
২.১ ‘সেইটে সবার চেয়ে শ্রেয়’ – কোনটি সবার চেয়ে শ্রেয়?
উত্তরঃ- জীবন আপন গতিতে বহমান আর কোভিদ ভাষায় প্রতিনিয়ত জীবনের টানাপোড়ন আর ঝামেলা রয়েছে। আপন গতিতে প্রবাহিত জীবনের গতির সাথে নিজেকে করতে পারলে তার থেকে শ্রেষ্ঠ কাজ আর কিছু হতে পারে না। সকল সমস্যার থেকে সমাধান পাওয়া যায় জীবন সুন্দর হয়ে ওঠে।
২.২ ‘ঘটনা সামান্য খুবই’-কোন ঘটনার কথা বলা হয়েছে?
উত্তরঃ- অভিজ্ঞতাময় এ জীবনের পরতে পরতে রয়েছে অভিজ্ঞতার কাঁচা-মিঠে রূপ।কখনো খুব মসৃণ ভাবে জীবনের গতি এগিয়ে চলে কখনো অমসৃণ । জীবন যেখানে খুব সহজ বলে বোধ হয় সেখানেই রয়েছে চরম জটিলতা। অপ্রত্যাশিতভাবে বিপদের ঝঞ্ঝা। সেই ঝঞ্ঝা গুলিকে সামান্য ঘটনা ভেবে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন কবি ।
২.৩ ‘কেমন করে হাত বাড়ালে /সুখ পাওয়া যায় অনেকখানি’-উদ্ধৃতিটির তাৎপর্য নিরূপণ করো।
উত্তরঃ- উপরিউক্ত উদ্ধৃতিটি সংগ্রহ করা হয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা বোঝাপড়া কবিতার অংশ থেকে।
জীবনে চলার পথে সুখ-দুঃখ সহোদর স্বরূপ। ভালো-মন্দ একে অপরের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ভালো-মন্দ নিয়েই জীবন সংগ্রামী সকল ঘটে যাওয়া ঘটনা আমাদের বোধগম্য হয় না। কিছু দুঃখের মধ্যে সুখের খোঁজ মেলে। আবার যে সেই সুখের সন্ধানে সিদ্ধ হয়, জীবন তাকে নবরূপে বাধা দেয় ।
সকল দুঃখ কে আপন করে নিয়ে তার থেকে সুখের হদিস বের করার কৌশল রপ্ত হলে জীবন দুঃখময় হয়ে ওঠে না। সুখের নাগাল ও পাওয়া যায় ।
২.৪ ‘মরণ এলে হঠাৎ দেখি/মরার চেয়ে বাঁচাই ভালো।’- ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ- উপরিউক্ত অংশটি সংগৃহীত হয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বোঝাপড়া কবিতার অংশ থেকে।
মানব জন্ম বহু সাধনার ফল। সমাজের শ্রেষ্ঠ জীব মানুষ । প্রতিকূল অপ্রত্যাশিত সকল ঘটনার সম্মুখীন হয়ে মানুষ মাঝে মাঝে দিশেহারা হয়ে পড়ে । তার কাছে তখন মরণটাই সকল সমস্যার সমাধানের এক এবং একমাত্র উত্তর হয়ে দাঁড়ায় । মৃত্যুর জন্য মানুষ তখন আকুল প্রার্থনা জানায় । কিন্তু মৃত্যু যখন সত্যিই তার দ্বারে থাকে তখন সে বাঁচার জন্য প্রার্থনা জানাই। তাই মৃত্যুই সব সময় সঠিক সিদ্ধান্ত হতে পারেনা। জীবনে চলতে গেলে বহু প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হবে। সমস্যা বুঝতে হবে। বাধা-বিপত্তি পদদলিত করে এগিয়ে যেতে হবে এক নতুন ভোরের সন্ধানে ।
২.৫ ‘তাহারে বাদ দিয়েও দেখি / বিশ্বভুবন মস্ত ভাগর’-উদ্ধৃতিটি মধ্য দিয়ে জীবনের কোন সত্য প্রকাশ পেয়েছে?
উত্তরঃ- উপরিউক্ত লাইনটি সংগৃহীত হয়েছে রবি ঠাকুরের লেখা বোঝাপড়া কবিতার অংশ থেকে। মায়াময় পৃথিবীতে সকলে আমরা মায়ার বাঁধনে আবদ্ধ ।বস্তু অথবা মানব একে অপরের প্রতি অসীম আকর্ষনে বাধা। এক এক সময় মনে হয় ওই নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা বস্তু ব্যতীত নিজেদের অস্তিত্ব অচল, তার বিরহে আমরা ব্যথিত হই বিচলিত হই কিন্তু কালের চক্রে অতি আকাঙ্ক্ষিত ব্যাক্তি বা বস্তু আমাদের কাছে অপ্রয়োজনীয় বোধ হতে থাকে। তাদের সাথে আমাদের দূরত্ব সৃষ্টি হতে হতে একসময় তা হারিয়ে যায়। তাদের ছাড়াও আমরা বাঁচতে শিখি।
২.৬ কিভাবে মনের সঙ্গে বোঝাপড়া করতে হবে ?
উত্তরঃ- কবি খুব সহজ সরলভাবে তার কবিতার মধ্যে দিয়ে মনের সঙ্গে বোঝাপড়া করতে বলেছেন, জীবনে চলার পথে অসংখ্য বাধা বিপত্তি থাকা সত্বেও দৃঢ়ভাবে সংযত থেকে সকল বাধা-বিপত্তির সম্মুখীন হতে বলেছেন । ভয় পেয়ে নয় বরং চরম সাহস আর ওপার শক্তির সঞ্চার করে সকল বাধাকে জয় করে এগিয়ে যেতে বলেছেন। নানা টানাপোড়নে নিজেকে জটিল না করে বরং সহজভাবে সত্যকে গ্রহণ করা যেন প্রধান লক্ষ্য হয় সে দিকে মনোনিবেশ করতে হবে।
২.৭ ‘দোহায় তবে এ কর্ম টা/ যতশীঘ্র পারো সারো’-কবি কোন কার্যের কথা বলেছেন ? সেই কার্যটি শীঘ্র সারতে হবে কেন?
উত্তরঃ- এখানে কবি আমাদের জীবন সম্বন্ধে যে পাঠ দিয়েছেন তা অসাধারণ। জীবন পথে নানান বাধা-বিপত্তির সম্মুখীন হতে হয় । তাই বলে অনুশোচনার পাহাড় গড়ে তুলে সেখানের পরিবেশকে আরো বিভ্রান্ত করে না তোলাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। বরং যে ভুল হয়েছে জীবনে আর দ্বিতীয়বার না করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। কৃতকার্যের অনুসূচনা না করে বরং ভুল শুধরে নেওয়া টাই বুদ্ধিমানের কাজ। আর সেই কার্যের কথাই বলেছেন ।
২.৮ কখন আঁধার ঘরে প্রদীপ জ্বালানো সম্ভব ?
উত্তরঃ- জীবনে যখন অন্ধকারের পাহাড় নেমে আসে সমস্ত পথ বন্ধ হয়ে যায়, জীবনের সকল আশা ভরসা গুলো স্তম্ভিত হয়। দিকবিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়ে মানুষ ,কিন্তু মানুষ যখন সকল বাধা বিপত্তিকে উপেক্ষা করে নতুন উদ্যম আর সাহসিকতার সাথে নতুন ভাবে বাঁচার মন্ত্রে দীক্ষিত হয় ।তখন তার আঁধার ঘরে প্রদীপ জ্বালানো সম্ভব হয় ।
২.৯ ‘ভুলে যা ভাই কাহার সঙ্গে/ কতটুকুন তফাৎ হলো ‘ – এই উদ্ধৃতিটির মধ্যে জীবনের চলার ক্ষেত্রে কোন পথের ঠিকানা মেলে?
উত্তরঃ- উপরিউক্ত উদ্ধৃতিটির মধ্য দিয়ে জীবনে চলার পথে এক ব্যাপক প্রসারিত রূপের পরিচয় আমরা পাই । জীবনের যত চাওয়া পাওয়া রয়েছে তা সকলের সমান নয় কেউ বহু পায় কেউবা পায়না। কেউ বা পেয়েও হেলায় নষ্ট করে । তাই আমাদের পরশ্রীকাতর না হয় জীবনের এই পাবা না পাওয়ার গল্পকে দূরে সরাতে হবে, এই তফাৎ কি ভুলে গিয়ে একান্ত মনোভাব নিয়ে এগিয়ে চলতে হবে ।
২.১০ ‘অনেক ঝঞ্জা কাটিয়ে বুঝি/এলে সুখের কদরেতে’ – ‘ ঝঞ্ঝা’ কাটিয়ে আসা’ বলতে কী বোঝো?
উত্তরঃ- জীবনযুদ্ধে উত্তীর্ণ হতে গেলে বহু কণ্টকময় পথ পার হতে হয়। জীবনে ভয়ঙ্কর চড়াই-উৎরাই পার করে গন্তব্যে পৌঁছতে হয়। আর এই কণ্টকময় পথ যারা অনায়াসে পাড়ি দিতে পারে তারা জীবন যুদ্ধে জয় লাভ করে। আর এই বিপদে পরিপূর্ণ প্রতিকূলতার ঝড়কে ঝঞ্জা বলা হয়েছে।
৩. নিচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখ।
৩.১ ‘ভালো মন্দ যাহাই আসুক/ সত্যরে লও সহজে ‘ – তুমি কি কবির সঙ্গে একমত ? জীবনে চলার পথে নানা বাধা কে তুমি কিভাবে অতিক্রম করতে চাও?
উত্তরঃ- উপরিউক্ত উক্তিটি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা বোঝাপড়া কবিতা থেকে সংগৃহীত হয়েছে।
হ্যাঁ অবশ্যই আমি কবির সঙ্গে একমত। মানব সমাজের শ্রেষ্ঠ জীব, আর শ্রেষ্ঠত্ব তার জৈবনিক ক্রিয়া কলাপ এর মধ্যে বিস্তীর্ণভাবে লক্ষ্য করি। জীবন পথে সে চলতে থাকে নানান প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলেছে সে, পাওয়া না পাওয়ার অনেক কষ্ট। ভালো-মন্দের টানাপোড়নের সে এক ছত্তমাফিক চলতে থাকে, জীবনের দুঃখ গুলির মধ্যে থেকে সুখের খোঁজ করাটাই জীবনের আসল উদ্দেশ্য। নিজেকে সকল প্রতিকূল পরিবেশের সাথে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা অর্জন করতে হবে। পরশ্রীকারতা নয় বরং নিজ চেষ্টায় প্রতিষ্ঠা করতে হবে এক চরম দৃষ্টান্ত, এভাবেই নানান বাধা-বিপত্তিকে অতিক্রম করে এগিয়ে চলতে হবে জীবন পথে।
৩.২ ‘মনেরে আজ কহবে/ ভালো-মন্দ যাহাই আসুক/ সত্যরে লও সহজে’- কবির মতো তুমি কি কখনো মনের সঙ্গে কথা বলো?
উত্তরঃ- হ্যাঁ । আমি অনেক সময় মনের সঙ্গে কথা বলি।
৩.৩ ‘তেমন করে হাত বাড়ালে/ সুখ পাওয়া যায় অনেকখানি।’- তেমন করে কথাটির অর্থ বুঝিয়ে দাও । এখানে কবি কি ধরনের সুখের ইঙ্গিত করেছেন লেখ।
উত্তরঃ- উপরিউক্ত কবিতার অংশটিতে কবি ‘কেমন করে’ কথাটির ব্যাপক এবং বিস্তারিত অর্থে ব্যবহার করেছেন। এই কথাটির অর্থ হল হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে চাওয়া জীবনে চলার পথে সুখ-দুঃখ পরিব্যাপ্ত তাই বলে শুধুমাত্র যন্ত্রণার আর কষ্টের পরিসীমায় নিজেকে আবদ্ধ রাখলে চলবে না। হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে ভালো থাকার প্রবল ইচ্ছা রাখতেই হবে।
এখানে কবি কোন বস্তুর জগতের সুখের কথা বলেননি , এই সুখ হল অপার্থিব।
৪. নিচের শব্দ গুলির দল বিশ্লেষণ করে মুক্ত দল ও রুদ্ধ দল চিহ্নিত করো।
দল বিশ্লেষণ:
বোঝাপড়া = বো (মু) – ঝা (মু) – প (মু) – ড়া (মু)
কতকটা = ক (মু) – তক (রূ) – টা (মু)
সত্যেরে = সত (রূ) – তে (মু) – রে (মু)
বিশ্বভুবন = বিশ (রূ) – শ (মু) – ভু (মু) – বন (রূ)
অশ্রুসাগর = অশ (রূ) – রু (মু) – সা (মু) – গর (রূ)
৫. নিচের প্রতিটি শব্দের তিনটি করে সমার্থক শব্দ লেখ
সমার্থক শব্দ লেখ :
মন – মনন, হৃদয়, চিত্ত
জখম – আঘাত, আহত, ক্ষত
ঝঞ্ঝা – তুফান, ঝড়, ঝটিকা
ঝগড়া – দ্বন্দ্ব,কলহ, বিবাদ
সামান্য – অল্প, কিছু, কিঞ্চিৎ
আকাশ – নভঃ, অম্বর, গগন
শঙ্কা – ভয়, আশঙ্কা, ভীত
৬. নিচের প্রতিটি শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ দিয়ে শব্দজোড় তৈরি করে বাক্য রচনা করো
আঁধার
আলো-আঁধার – শীতের ভোরে গ্রামাঞ্চলে আলো-আঁধারের মেলা দেখার মত।
সত্য
সত্য-মিথ্যা – সত্য মিথ্যা যাচাই করে সবকিছু গ্রহণ করতে হয়।
দোষ
দোষগুণ – মানুষ মাত্রেই দোষ গুণ থাকবে।
আকাশ
আকাশ-পাতাল — অকারণে আকাশ-পাতাল ভাবা উচিত নয়।
সুখ
সুখ-দুঃখ – জীবনে চলার পথে সুখ-দুঃখ ওতপ্রোতভাবে জড়িত।