এই নিবন্ধে আমরা সপ্তম শ্রেণির ঊনবিংশ অধ্যায় “স্মৃতিচিহ্ন (কামিনী রায়)” কবিতার প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে জানবো। Class 07 Bangla Chapter 19 Question Answer
Class 7 Bangla Chapter 19 Question Answer সপ্তম শ্রেনীর বাংলা অধ্যায় ১৯ “স্মৃতিচিহ্ন (কামিনী রায়)” প্রশ্ন উত্তর
Table of Contents
নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :
ক. মহৎ মানুষের জীবন কথা আমরা পাঠ করে থাকি কেন ?
উত্তরঃ মহৎ মানুষের জীবন সবসময় পরবর্তী কালের মানুষদের অনুপ্রেরণা হয়ে ওঠে। জীবনে বাঁচার ক্ষেত্রে সঠিক পথ খুঁজে পেতে সাহায্য করে তাই আমরা মহৎ মানুষের জীবন কথা পাঠ করি।
খ. অত্যাচারী কোন্ কোন্ সাম্রাজ্যলোভী জাতির কথা তুমি ইতিহাস পড়ে জেনেছ ?
উত্তরঃ পোর্তুগিজ, ইংরেজ প্রভৃতি সাম্রাজ্যলোভী জাতির কথা আমি ইতিহাস পড়ে জেনেছি।
গ. অতীত ইতিহাসের ধূসর হয়ে আসা কোন্ স্মারক/সৌধ/মিনার তুমি দেখেছ ?
উত্তরঃ কলকাতায় অবস্থিত শহিদ মিনার এমন একটি মিনার যা ইংরেজরা তৈরি করেছিল।
ঘ. তোমার দৃষ্টিতে কাদের কথা সমাজের চিরকাল মনে রাখা উচিত ?
উত্তরঃ যে সকল মানুষ নিঃস্বার্থ ভাবে মানুষের কল্যাণে, পৃথিবীর কল্যাণে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন, আমার দৃষ্টিতে তাদের কথা সমাজের চিরকাল মনে রাখা উচিত।
ঙ. মানুষ নিজেকে স্মরণীয় করে রাখতে চায় কেন ?
উত্তরঃ যে সকল মানুষ স্বার্থপর এবং আত্মকেন্দ্রিক তারাই নিজেকে স্মরণীয় করে রাখতে চায় কিন্তু যারা প্রকৃত অর্থে সমাজের কল্যাণে কাজ করেন তারা নিজগুণেই স্মরণীয় হয়ে থাকেন।
১. নীচের বিবৃতিগুলির মধ্যে যেগুলি ঠিক তাদের পাশে (√) চিহ্ন আর যেগুলি ভুল তাদের পাশে (x) চিহ্ন দাও :
১.১. ইট-পাথরে গড়া সৌধ কাউকে চিরস্মরণীয় করে রাখে না।
১.২. যাঁরা নিজেদের সৌধ গড়ে কীর্তিকে অমর করে রাখতে চান তারা বরেণ্য।
১.৩. সাধারণ মানুষের মনে যাঁরা স্থান পেয়েছেন, তাঁদের নাম ভেসে যায়।
১.৪. এমন বহু স্হায়-সম্বলহীন, দরিদ্র মানুষ আছেন, মহাকাল যাঁদের স্মৃতি মুছে দিতে পারেনি।
১.৫. ‘মানব হৃদয়-ভূমি’ অধিকার করতে হলে মানুষের জন্য কল্যাণকর কাজ করতে হবে।
উত্তরঃ
১.১. ইট-পাথরে গড়া সৌধ কাউকে চিরস্মরণীয় করে রাখে না। √
১.২. যাঁরা নিজেদের সৌধ গড়ে কীর্তিকে অমর করে রাখতে চান তারা বরেণ্য। x
১.৩. সাধারণ মানুষের মনে যাঁরা স্থান পেয়েছেন, তাঁদের নাম ভেসে যায়। x
১.৪. এমন বহু স্হায়-সম্বলহীন, দরিদ্র মানুষ আছেন, মহাকাল যাঁদের স্মৃতি মুছে দিতে পারেনি। √
১.৫. ‘মানব হৃদয়-ভূমি’ অধিকার করতে হলে মানুষের জন্য কল্যাণকর কাজ করতে হবে।√
২. কবিতা থেকে শব্দ চয়ন করে নীচে প্রদত্ত কবিতাংশের শূন্যস্থান পূরণ করো :
“ওরা ভেবেছিল____আপনার নাম
মনোহর____ বিশাল ____
ইষ্টক___ রচি চিরদিন____
রেখে____!”
উত্তরঃ
“ওরা ভেবেছিল মনে আপনার নাম
মনোহর হর্ম্যরূপে বিশাল অক্ষরে
ইষ্টক প্রস্তরে রচি চিরদিন তরে রেখে যাবে!”
৩. নীচে দেওয়া শব্দগুলির বিপরীতার্থক শব্দ লেখো :
মনোহর,বিশাল,মূঢ়,ব্যর্থ, ভগ্ন,লুপ্ত,অধিকার,শুষ্ক,দৃঢ়,অক্ষুণ্ণ,ধৌত,নিত্য,সমুজ্জ্বল
উত্তরঃ
- মনোহর → কুৎসিত।
- বিশাল → ক্ষুদ্র।
- মূঢ় → চতুর।
- ব্যর্থ → সফল।
- ভগ্ন → অখণ্ড / সম্পূর্ণ ।
- লুপ্ত → পুনরুজ্জীবিত।
- অধিকার → অনধিকার।
- শুষ্ক → জলীয়।
- দৃঢ় → শিথিল।
- অক্ষুণ্ণ → ক্ষুণ্ণ।
- ধৌত → অধৌত।
- নিত্য → অনিত্য।
- সমুজ্জ্বল → মলিন ।
৪. নীচের বিশেষ্যগুলিকে বিশেষণে ও বিশেষণগুলিকে বিশেষ্যে রূপান্তরিত করো :
নাম,মনোহর,প্রস্তর,ব্যর্থ, স্তূপ,রক্ষা,হৃদয়,মূঢ়,ভগ্ন,স্মৃতি, মানব,প্রতিষ্ঠা,দরিদ্র,দৃঢ়
উত্তরঃ
- নাম → নামী।
- মনোহর → মনোহারিত্ব।
- প্রস্তর → প্রস্তরীভূত।
- ব্যর্থ → ব্যর্থতা।
- স্তূপ → স্তূপীকৃত।
- রক্ষা → রক্ষণীয়/রক্ষিত
- হৃদয় → হার্দ্য/হৃদ্য
- মূঢ় → মূঢ়তা।
- ভগ্ন → ভগ্নাংশ।
- স্মৃতি → স্মার্ত।
- মানব → মানবিক।
- প্রতিষ্ঠা → প্রতিষ্ঠিত।
- দরিদ্র → দারিদ্র্য।
- দৃঢ় → দৃঢ়তা।
৫. নীচের শব্দগুলিকে বাক্যে ব্যবহার করো :
অক্ষর,চিরদিন,স্মৃতি,মানব,রক্ষা,অধিকার,সম্বল,প্রতিষ্ঠা
উত্তরঃ
- অক্ষর → অক্ষরজ্ঞানহীন মানুষকে নিরক্ষর বলা হয়।
- চিরদিন → প্রকৃত মানবসেবীরাই চিরদিন স্মরণীয় হয়ে থাকেন।
- স্মৃতি → মেধা ও স্মৃতিশক্তি দুই-ই ভালো ছাত্রদের প্রয়োজন।
- মানব → মানবমন চিরকাল ভ্রমণ পিপাসু।
- রক্ষা → বিশ্ব-উয়ায়নের হাত থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করতে হলে বেশি করে গাছ লাগানো প্রয়োজন।
- অধিকার → অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থান মানুষের মৌলিক অধিকার।
- সম্বল → সহায়-সম্বলহীন মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক কর্তব্য।
- প্রতিষ্ঠা → স্বামী বিবেকানন্দ রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন প্রতিষ্ঠা করেন।
৬. নিচের শব্দগুলির সন্ধি বিচ্ছেদ করো :
মনোহর, বাৰ্থ,প্রস্তর,প্রতিষ্ঠা, মমস্কাম,সিংহাসন,সমুজ্জ্বল
উত্তরঃ
- মনোহর → মনঃ + হয়।
- বাৰ্থ → বি + অর্থ।
- প্রস্তর → প্র: + তর।
- প্রতিষ্ঠা → প্রতি + ইস্থা
- মমস্কাম → মনঃ + কাম।
- সিংহাসন → সিংহ + আসন।
- সমুজ্জ্বল → সম্ + উৎ + জ্বল।
৭. নীচের শব্দগুলির গদ্যরূপ লেখো :
আপনার,রচি,তরে,খসিছে,ভূমে,আছিল,হের
উত্তরঃ
- আপনার → নিজের।
- রচি → রচনা করি।
- তরে → জন্য।
- খসিছে → খসে পড়ছে।
- ভূমে → মাটিতে / ভূমিতে।
- আছিল → ছিল।
- হের → দেখো।
৮. সমার্থক শব্দ লেখো :
মন,হৰ্ম্ম,মুঢ়,দরিদ্র,নদী
উত্তরঃ
- মন → চিত্ত।
- হৰ্ম্ম → সৌধ
- মুঢ় → নির্বোধ।
- দরিদ্র → গরিব।
- নদী → তটিনী।
৯. নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত ও যথাযথ উত্তর দাও :
৯.১. ‘স্মৃতিচিহ্ন’ কবিতাটি কার রচনা ?
উত্তরঃ ‘স্মৃতিচিহ্ন’ কবিতাটি কামিনী রায়ের রচনা।
৯.২. কবিতাটি তাঁর কোন্ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত ?
উত্তরঃ কবিতাটি আলোক সংগীত’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত।
৯.৩. কবিতাটি কী জাতীয় রচনা ?
উত্তরঃ কবিতাটি সমালোচনামূলক রচনা।
৯.৪. কবিতায় কবি কাদের ‘মূঢ়’ ও ‘ব্যর্থ মনস্কাম’ বলেছেন ?
উত্তরঃ কবিতায় কবি ‘মূঢ়’ ও ‘ব্যর্থ মনস্কাম’ বলেছেন, যারা সৌধ নির্মাণ করে চিরস্মরণীয় হতে চেয়েছেন তাদের।
৯.৫. তাদের স্মৃতি কীভাবে লুপ্ত হয়ে যায় ?
উত্তরঃ তাদের স্মৃতি কালের স্রোতে লুপ্ত হয়ে যায়।
৯.৬. কারা মানুষের মনে চিরস্থায়ী আসন লাভ করে ?
উত্তরঃ যারা মানব-হৃদয়ে নিজের আসন প্রতিষ্ঠা করতে পারে তারাই মানুষের মনে চিরস্থায়ী আসন লাভ করে।
৯.৭. ‘কাল’ কে কবিতায় কীসের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে ?
উত্তরঃ ‘কাল’-কে কবিতায় নদীর সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
৯.৮. কবিতায় ‘শুদ্ধ তৃণ’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন ?
উত্তরঃ কবিতায় শুষ্ক তৃণ বলতে কবি হারিয়ে যাওয়া স্মৃতিকে বুঝিয়েছেন।
১০. তিন-চারটি বাক্যে নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
১০.১. ‘ওরা ভেবেছিল মনে…. -কাদের কথা বলা হয়েছে ? তারা কী ভেবেছিল ?
উত্তরঃ ‘ওরা’ বলতে এখানে সেইসব মানুষদের কথা বলতে চাওয়া হয়েছে যারা ঐশ্বর্যের বলে সৌধ বা মিনার রচনা করে নিজেদের চিরস্মরণীয় করে রাখতে চেয়েছেন।
- তারা ভেবেছিলেন ইট-পাথরের হর্ম্য নির্মাণ করলেই বুঝি পৃথিবীতে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকা যায়। ঐশ্বর্য-প্রতিপত্তিকেই তারা সবথেকে বড়ো সম্পদ বলে ভেবেছিলেন।
১০.২. ‘মূঢ় ওরা’—কবিতায় তাদের মূঢ় বলার কারণ কী ?
উত্তরঃ কামিনী রায় রচিত ‘স্মৃতিচিহ্ন’ কবিতায় তাদের ‘মূঢ়’ বলার কারণ তারা ইতিহাসের প্রকৃত সত্য বুঝতে পারেনি। পৃথিবীর ইতিহাসে চিরজীবী হওয়ার জন্য তারা ঐশ্বর্যকে অবলম্বন করতে চেয়েছে। মানব-কল্যাণের মন্ত্র বুঝতে পারেনি।
১০.৩. ‘কেবা রক্ষা করে’—কী রক্ষা করার কথা বলা হয়েছে ? তা রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না কেন ?
উত্তরঃ কামিনী রায় রচিত ‘স্মৃতিচিহ্ন’ কবিতায় এখানে ইট-পাথর নির্মিত স্মৃতি-সৌধ বা মিনার রক্ষা করার কথা বলা হয়েছে।
- অর্থের বিনিময়ে রচিত সেইসকল সৌধ কালজয়ী নয়। এইসকল জড়বস্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নষ্ট হয়ে যায়। তাই সেগুলো রক্ষা করা সম্ভব নয়।
১০.৪. ‘দরিদ্র আছিল তারা’—কাদের কথা বলা হয়েছে ? তাদের রাজত্ব কীভাবে অক্ষুণ্ণ রয়েছে বলে কবি মনে করেন ?
উত্তরঃ কামিনী রায় রচিত ‘স্মৃতিচিহ্ন’ কবিতায় ‘দরিদ্র আছিল তারা’ বলতে প্রকৃত মানব কল্যাণ-কামী মানুষদের কথা বলা হয়েছে।
- তাদের রাজত্ব মানুষের হৃদয়ে অক্ষুণ্ণ রয়েছে বলে কবি মনে করেন। তাদের কাজের মধ্যে দিয়েই তারা মানুষের অন্তরে চিরস্থায়ী আসন লাভ করেছেন। যার কোনো বিনাশ নেই।
১০.৫. কালস্রোতে কাদের নাম ধুয়ে যায় ? সেই স্রোত কাদের স্মৃতি গ্রাস করতে পারে না ?
উত্তরঃ কালস্রোতে আত্ম-পরায়ণ স্বার্থপর মানুষদের নাম ধুয়ে যায়। সেই স্রোত সেইসব কল্যাণকামী মানুষদের নাম গ্রাস করতে পারে না যারা মানব সেবায় নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন।
১০.৬. ‘মানবহৃদয় ভূমি করি অধিকার’— কারা, কীভাবে মানবহৃদয় ভূমি অধিকার করে ?
উত্তরঃ মানব-হৃদয় ভূমি অধিকার করেছেন সমাজের কল্যাণ-কামী মানুষেরা। তারা তাদের কাজের মধ্যে দিয়ে মানুষের হৃদয় অধিকার করেছেন। যে কাজ যুগ যুগ ধরে মানুষের জীবনযাপনে সুফল নিয়ে এসেছে।
১০.৭. কবিতায় কবি কোন্ ‘স্মৃতি’কে কেন অবিনশ্বর ও ‘নিত্য সমুজ্জ্বল’ বলেছেন ?
উত্তরঃ ‘স্মৃতিচিহ্ন’ কবিতায় কবি কামিনী রায় মানুষের অন্তরে থাকা সত্য, সুন্দর ও মঙ্গল বোধের স্মৃতিকে অবিনশ্বর ও নিত্যসমুজ্জ্বল বলেছেন। কারণ হৃদয়ের এই উপাদানগুলি মানুষই জাগরূক করেছে, আবার মানুষই যুগ যুগ ধরে তার সুফল ভোগ করছে।
১০.৮. তোমার দৃষ্টিতে মানুষের স্মরণীয় হয়ে থাকার শ্রেষ্ঠ পন্থাটি কী ?
উত্তরঃ আমার দৃষ্টিতে মানুষের স্মরণীয় হয়ে থাকার শ্রেষ্ঠ পন্থা হল স্মরণীয় হয়ে থাকার লোভ না করে মানব কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করা। প্রতিটি মানুষের মধ্যেই এমন কিছু না কিছু শক্তি থাকে যার বিকাশের মধ্যে দিয়ে এবং প্রয়োগের মধ্যে দিয়ে মানুষ সমাজে কল্যাণকর অবদান রাখতে পারে। প্রতিটি মানুষেরই সেই শক্তিকে চিনে তার যথাযথ নিঃস্বার্থ প্রয়োগের ব্রত নেওয়া উচিত।
১১. স্মরণীয় কয়েকজন বাঙালি মনীষীর চিত্র ও বাণীসম্বলিত একটি চার্ট তৈরি করো।
উত্তরঃ কিছু বিশিষ্ট বাঙালি মনীষীর নাম ও বাণী:
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর: “যেখানে সত্য থাকে সেখানে দ্বিধা থাকে না।”
- সুভাষচন্দ্র বসু: “তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব।”
- বেগম রোকেয়া: “আমাদের সমাজে নারীরা যেন প্রদীপের মতো, সবসময় আড়ালে থাকে।”
- বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়: “বন্দে মাতরম, সুজলাং সুফলাং, মালয়জ শীতলাং।”
১২. তুমি যাঁর জীবনের কথা জেনে অনুপ্রাণিত, এমন একজন মনীষীর জীবনের কোনো বিশেষ ঘটনার কথা বন্ধুকে লিখে জানাও/সে সম্বন্ধে দেওয়াল পত্রিকায় লেখা প্রকাশ করো।
উত্তরঃ আমি বেগম রোকেয়ার জীবনের একটি ঘটনা জানাতে চাই। তিনি নারীদের শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে ১৯১১ সালে কলকাতায় ‘সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল’ প্রতিষ্ঠা করেন। এই উদ্যোগ নারীদের শিক্ষায়নের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক স্থাপন করে।
১৩. কবিতাটি থেকে যে শিক্ষা পেলে, সে বিষয়ে একটি অনুচ্ছেদ রচনা করো।
উত্তরঃ কামিনী রায়ের ‘স্মৃতিচিহ্ন’ কবিতা থেকে আমরা শিখি যে মানুষের প্রকৃত অমরত্ব কোনো ইষ্টক প্রস্তরে নয়, বরং মানুষের হৃদয়ে অবস্থিত। যারা সমাজ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করেন, তাদের নাম চিরস্মরণীয় হয়ে থাকে। কবি আমাদের অনুপ্রাণিত করেন মানবকল্যাণে কাজ করার জন্য এবং সত্যিকারের অমরত্ব অর্জনের জন্য।