এই নিবন্ধে আমরা সপ্তম শ্রেণির সপ্তদশ অধ্যায় “কাজী নজরুলের গান (রামকুমার চট্টোপাধ্যায়)” প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে জানবো। Class 07 Bangla Chapter 17 Question Answer
Class 7 Bangla Chapter 17 Question Answer সপ্তম শ্রেনীর বাংলা অধ্যায় ১৭ “কাজী নজরুলের গান (রামকুমার চট্টোপাধ্যায়) ” প্রশ্ন উত্তর
Table of Contents
১. কাজী নজরুল ইসলাম ব্যতীত কোন্ মনীষীর নাম পাঠ্যাংশে খুঁজে পেলে ?
উত্তরঃ কাজী নজরুল ইসলাম ব্যতীত নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোসের নাম পাঠ্যাংশে খুঁজে পেলাম ।
২. ‘এই ছিল তখনকার কোনো স্বদেশি মিটিং-এর রীতি’– কোন রীতির কথা এখানে বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ রামকুমার চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘কাজী নজরুলের গান’ নামক পাঠ্যাংশ থেকে জানতে পারি তখনকার কোনো স্বদেশি মিটিং-এ নেতাজি সুভাষচন্দ্রের বক্তৃতার আগে নজরুলের গান গাওয়ার রীতি ছিল। এখানে এই রীতির কথাই বলা হয়েছে।
৩. পাঠ্যাংশে কার, কেমন দেহসৌষ্ঠবের পরিচয় ধরা পড়েছে ?
উত্তরঃ পাঠ্যাংশে নেতাজি সুভাষচন্দ্রের দেহসৌষ্ঠবের পরিচয় ধরা পড়েছে।পাঠ্যাংশ থেকে জানতে পারি নেতাজি ছিলেন দেবদূতের মতো, গৌরবর্ণ, উন্নত ললাট ও অতীব সুপুরুষ।
৪. টীকা লেখো :
কাজী নজরুল ইসলাম, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, স্বদেশি যুগ
উত্তরঃ
- কাজী নজরুল ইসলাম : ১৮৯৯ খ্রি. ২৫মে বর্ধমানের চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা ফকির আহমেদ ও মাতা জাহেদা খাতুন। শৈশবেই পিতৃবিয়োগ ঘটায় দারিদ্র্যের সঙ্গে কঠোর সংগ্রাম করতে হয় তাঁকে। তাঁর প্রথম প্রকাশিত কবিতা ‘মুক্তি’। উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থগুলি হল—‘ছায়ানট’, ‘অগ্নিবীণা’, বিষের বাঁশি, ‘ফণিমনসা’, ‘সর্বহারা’ প্রভৃতি। একাধারে তিনি ছিলেন গীতিকার, সুরকার ও গায়ক। সকলের কাছে তিনি “বিদ্রোহী কবি’ নামে পরিচিত। তাঁর বিদ্রোহ মানব বিদ্বেষ, অন্যায় ও অসাম্যের বিরুদ্ধে। নজরুল ছিলেন দেশকালাতীত মানবপ্রেমে আবদ্ধ। ১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট বর্তমান বাংলাদেশের ঢাকা শহরে তাঁর মৃত্যু হয়।
- নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু : সুভাষচন্দ্র ছিলেন ভারতের মুক্তির অগ্রদূত, ছিলেন স্বাধীনতার জ্বলন্ত মশাল। ১৮৯৭ সালের ২৩ জানুয়ারি ওড়িশার কটক শহরে তাঁর জন্ম হয়। পিতা জানকীনাথ বসু, মাতা প্রভাবতী দেবী। দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের সহযোদ্ধা রূপে তিনি মুক্তি সংগ্রামে অবতীর্ণ হন। এরপর দেশের জন্য নানা সময় তিনি কারাবরণ করেন। গঠন করেন আজাদ হিন্দ ফৌজ’। তাঁর বিখ্যাত উক্তি– তোমরা আমায় রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব’। তাঁর মৃত্যু আজও অজানা, স্বদেশবাসীর কাছে আজও তিনি মরণজয়ী বীর।
- স্বদেশি যুগ : বিশ শতকের সূচনায় উগ্র সাম্রাজ্যবাদী বড়োলাট লর্ড কার্জন ভারতে ব্রিটিশ শাসন সুরক্ষিত করার উদ্দেশ্যে কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। এগুলির মধ্যে সবচেয়ে বিতর্কিত হল বঙ্গভঙ্গের সিদ্ধান্ত। ১৯০৫ সালে ২০ জুলাই লর্ড কার্জন বঙ্গভঙ্গের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। এই সময় স্বাধীনতা সংগ্রামীরা সংগ্রামের অস্ত্র হিসাবে বয়কট নীতি গ্রহণ করেন। বিদেশি দ্রব্য বর্জন করে তারা ব্রিটিশ সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চান। এছাড়া স্বদেশি শিল্পের বিকাশের জন্যও বিদেশি দ্রব্য বর্জনের প্রয়োজন ছিল। বিদেশি পণ্যসম্ভার বিশেষত সুতিবস্ত্র বর্জন এই আন্দোলনের মুখ্য বিষয় ছিল। পরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও বয়কট করা হয়। এই আন্দোলন ‘স্বদেশি আন্দোলন’ নামে পরিচিত। আর এই যুগই স্বদেশি যুগ। এই সময় কবিতা, গান, নাট্যসাহিত্য স্বদেশি ভাবধারার দ্বারা উদবেলিত হয়েছিল।
৫. কাজী নজরুল ইসলামের গান শুনে লেখকের মনে কোন্ অনুভূতির সৃষ্টি হল ? তখন তিনি কী করলেন ?
উত্তরঃ কাজী নজরুল ইসলামের গান শুনে লেখকের অল্প বয়সের রক্ত টগবগ করে ফুটতে আরম্ভ করে। লেখক তখন স্কুলে না গিয়ে রাস্তা দিয়ে ছুটে বাড়ি চলে আসেন এবং উত্তেজনা কমানোর জন্যে নিজের প্রিয়সঙ্গী তবলাকে টেনে নেন। ডুবে যান তবলার বোলে।
৬. শিক্ষকের সাহায্য নিয়ে নীচের বিষয়গুলির মধ্যে কাজী নজরুলের লেখা কোন্ কোন্ গান খুঁজে পেলে লেখো।
স্বদেশপ্রেম বিষয়ক; প্রকৃতি বিষয়ক; হাসির গান / ছড়ার গান; প্রেমের গান; ধর্মীয় অনুষঙ্গের গান
উত্তরঃ
- স্বদেশপ্রেম বিষয়ক → কারার ঐ লৌহকপাট / নমঃ নমঃ নমো বাংলাদেশ মম।
- প্রকৃতি বিষয়ক → তৃষিত আকাশ কাঁপে রে।
- হাসির গান / ছড়ার গান → মোমের পুতুল মমির দেশে, রুমঝুম্ ঝুমঝুম্ খেজুর পাতায়।
- প্রেমের গান → বলেছিলে ভুলিবে না মোরে। ভুলে গেলে হায় কেমন করে।
- ধর্মীয় অনুষঙ্গের গান → আমার কালোমেয়ের পায়ের তলায় দেখে যা আলোর নাচন।