এই নিবন্ধে আমরা সপ্তম শ্রেণির চতুর্দশ অধ্যায় “নোট বই(সুকুমার রায়)” কবিতার প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে জানবো। Class 07 Bangla Chapter 14 Question Answer
Class 7 Bangla Chapter 14 Question Answer সপ্তম শ্রেনীর বাংলা অধ্যায় ১৪ “নোট বই(সুকুমার রায়)” প্রশ্ন উত্তর
Table of Contents
১. একটি বাক্যে উত্তর দাওঃ
১.১. নোট বই কী ধরনের লেখাতে ভরা ?
উত্তরঃ নোট বই ‘কিলবিল’ লেখাতে ভরা।
১.২. বক্তা কী করে নিজে নিজে নোট বইটি লিখলেন ?
উত্তরঃ বক্তা অর্থাৎ বাচ্চা ছেলেটি যেখানে যা যা ভালো ভালো কথা শোনে সেগুলি সে নোট বইতে চটপট লিখে রাখে।
২. চটপট, চটচট, ছটফট, কটকট – এই শব্দগুলি কী ধরনের শব্দ ? চটপট ও ছটফট এই দুটি শব্দ দিয়ে দুটি বাক্য লেখো।
উত্তরঃ চটপট, চটচট, ছটফট, কটকট – এই শব্দগুলি হল ধনাত্মক শব্দ। এরকম আরো কিছু শব্দদৈত্ব হল- ঝপঝপ, শনশন, কটকট ইত্যাদি।
চটপট→ চটপট তৈরি হয়ে অফিস যেতে হবে।
চটপট→ চটপট করে অফিসের কাজগুলো সেরে ফেলতে হবে।
ছটফট→ খিদের জ্বালায় ছেলেটি ছটফট করছিল।
ছটফট→ পাখিটি খাঁচার বাইরে বেরোনোর জন্য ছটফট করছিল করছে।
৩. নীচের বিশেষ্যগুলির আগে উপযুক্ত বিশেষণ বসাওঃ
________ লন্ঠন, ________ লঙ্কা, ________ আঠা।
উত্তরঃ ছোটো লন্ঠন, ঝাল লঙ্কা, চটচটে আঠা।
৪. একই অর্থযুক্ত আরেকটি শব্দ কবিতা থেকে খুঁজে নিয়ে লেখোঃ
পা, উত্তর, অস্থিরতার ভাব, তীক্ষ্ণতা
উত্তরঃ
- পা→ ঠ্যাং
- উত্তর→ জবাব
- অস্থিরতার ভাব→ ছটফট
- তীক্ষ্ণতা→ ঝাঁজ
৫. শূন্যস্থান পুরণ করো :
বিশেষ্য বিশেষণ
আঠা ________
উত্তরঃ আঠালো
________ মানসিক
উত্তরঃ মানস
৬. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো।
৬.১. “ ভালো কথা শুনি যেই চটপট লিখি তাই”— বক্তা কোন কোন ভালো কথা নোট বইয়ে লিখে রেখেছিলেন ?
উত্তরঃ বক্তা অর্থাৎ বাচ্চা ছেলেটি তার নোট বইয়ে নানা ধরনের প্রশ্ন ও তার উত্তর লিখেছিল। যেমন- ফড়িঙের কটা ঠ্যাং, আরশোলা কী কী খায়, আঙ্গুলে আঠা লাগলে চটচট করে কেনো, কাতুকুতু দিলে গোরু কেন ছটফট করে ইত্যাদি।
৬.২. “কাল থেকে মনে মোর লেগে আছে খটকা”– কাল থেকে কী খটকা লেগে আছে ? এই খটকা কীভাবে দূর হবে ?
উত্তরঃ ছেলেটির মনে সন্দেহ জেগেছিল যে ঝোলাগুড় কিসে দেওয়া হয়। সে জানতে ইচ্ছুক ছিল যে সাবান না পটকা কিসে ঝোলাগুড় ব্যবহার করা হয়।
- এই প্রশ্নের উত্তর সে মেজদাকে খুঁচিয়ে অর্থাৎ বিরক্ত করে জেনে নেবে তাহলেই তার মনের খটকা দূর হবে।
৬.৩. ‘বলবে কী, তোমরাও নোট বই পড়োনি!’– নোটবই পড়লে আর কী কী জানা যাবে ?
উত্তরঃ নোটবই পড়া থাকলে অনেক অদ্ভুত ধরনের প্রশ্নের উত্তর জানা যাবে। যেমন- আমাদের পেটে কেনো যন্ত্রণা হয়, জোয়ানের আরকে এত ঝাঁজ কেনো, তেজপাতায় কীসের তেজ আছে, লঙ্কা ঝাল কেনো, নাক ডাকে কেনো, অরণি কে ইত্যাদি।
৭. নির্দেশ অনুসারে নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ
৭.১. ভালো কথা শুনলে কবিতার লোকটি কী করে ?
উত্তরঃ ভালো কোন কথা শুনলে লোকটি সঙ্গে সঙ্গে তার নোট বইতে লিখে রাখে।
৭.২. তার শোনা কয়েকটি ভালো কথার নমুনা কবিতা থেকে খুঁজে নিয়ে লেখো।
উত্তরঃ ছেলেটির শোনা কয়েকটি ভালো কথার কয়েকটি নমুনা হল- ফড়িঙের কটা ঠ্যাং, আরশোলা কী কী খায়, আঙুলে আঠা লাগলে চটচট করে কেনো, কাতুকুতু দিলে গোরু কেন ছটফট করে ইত্যাদি।
৭.৩. কিলবিল, ছটফট, কটকট, টনটন এগুলো কী ধরনের শব্দ ?
উত্তরঃ কিলবিল, ছটফট, কটকট, টনটন এগুলো ধনাত্মক শব্দ।
৭.৪. ‘মাথাঘামানো’ এই বিশিষ্টার্থক শব্দবন্ধের অর্থ কী ?
উত্তরঃ ‘মাথাঘামানো’ এই বিশিষ্টার্থক শব্দবন্ধের অর্থ হল বুদ্ধি খাটিয়ে চিন্তাভাবনা করা।
৭.৫. ভালো কোন প্রশ্ন মনে এলে বক্তা কার সাহায্য নিয়ে সেগুলির উত্তর জেনে নেয় ?
উত্তরঃ ভালো কোন প্রশ্ন মনে এলে বক্তা মেজদার সাহায্য নিয়ে সেগুলির উত্তর জেনে নেয়।
৭.৬. মানুষের কাছে নোটবই থাকাকে কী তুমি জরুরি বলে মনে করো ?
উত্তরঃ প্রত্যেকটি মানুষের অবশ্যই নোটবই থাকা উচিত। কারণ তাতে মানুষ তার প্রয়োজনীয় ও জরুরি কথা লিখে রাখে। নানা অজানা তথ্য তাতে লিখে রাখলে জ্ঞানের ভান্ডার বাড়বে।
৭.৭. তুমি যদি নোট বই কাছে রাখ তাতে কী ধরণের তথ্য লিখে রাখবে ?
উত্তরঃ আমি যদি নোটবই কাছে রাখি তাহলে তাতে আমি আমার প্রয়োজনীয় কথা লিখে রাখব।
৭.৮. ‘জোয়ান’ শব্দটিকে দুটি অর্থে ব্যবহার করে আলাদা বাক্য লেখো।
উত্তরঃ জোয়ান ( হজমের মশলা)→ ভারী খাবারের পর জোয়ান খেয়ে নিলে হজমের সুবিধা হয়।
জোয়ান ( যুবক)→জোয়ান বয়সই পরিশ্রম করার সঠিক সময়।
৭.৯. ‘আগাগোড়া’ এমন বিপরীতার্থক শব্দের সমাবেশে তৈরী পাঁচটি শব্দ লেখো।
উত্তরঃ
- ভালমন্দ→ পৃথিবীতে ভালো মন্দ সব রকমের মানুষ বসবাস করে।
- দিনরাত→ লোকটি দিনরাত পরিশ্রম করছে।
- লাভক্ষতি→ ব্যবসাতে লাভক্ষতি থাকবেই।
- আয়ব্যয়→ আমার মেসো আয়ব্যয়ের কোনো হিসেব রাখে না।
- ছোটবড়ো→ ছোটবড় সবারই পড়াশোনা করা উচিত।
৭.১০. কবিতাতে কোন্ কোন্ পতঙ্গের উল্লেখ আছে ?
উত্তরঃ কবিতাতে দুটি পতঙ্গের উল্লেখ আছে– ফড়িং ও আরশোলা।
৭.১১. কবিতায় উত্থাপিত কোন্ কোন্ প্রশ্নের উত্তর তুমি জান ?
উত্তরঃ কবি সুকুমার রায় রচিত নোট বই কবিতায় উত্থাপিত অনেক প্রশ্নের উত্তর আমার জানা আছে। যেমন ফড়িঙের ছটা পা, আরশোলা নোংরা বাসি খাবার খায়, কাতুকুতু দিলে গোরু অস্বস্তি বোধ করে তাই সে ছটফট করে, যুদ্ধের সময় দামামা বা ঢাক বাজানো হয়।
৭.১২. কোন্ প্রশ্নগুলি পড়ে কবিতাটিকে তোমার কবির খেয়ালি মনের কল্পনা বলে মনে হয়েছে ?
উত্তরঃ কবিতাটিতে অনেক প্রশ্ন খেয়ালি মনের কল্পনা বলে মনে হয়েছে। যেমন- গোরুকে কাতুকুতু দিলে গোরু কেনো ছটফট করে, ঝোলাগুড় সাবানে দেয় না পটকায় দেয়, তেজপাতায় তেজ কেনো, লঙ্কায় ঝাল কেনো, ফোড়া কেন টনটন করে ইত্যাদি।
৮. নীচের শব্দগুলির গদ্যরুপ লেখো :
তায়, মোর, তেজপাতে
উত্তরঃ
- তায়→ তাতে
- মোর→ আমার
- তেজপাতে→ তেজপাতায়
৯. বিশেষ্যগুলিকে বিশেষণে আর বিশেষণগুলিকে বিশেষ্যে লেখো :
মন, চটচট, জবাব, পেট
উত্তরঃ
বিশেষ্য | বিশেষণ |
মন | মানসিক |
চটচট | চটচটে |
জবাব | জবাবি |
পেট | পেটুক |
১০. নীচের সর্বনামগুলিকে বাক্যে ব্যবহার করো।
আমি, মোর, কে, কার, কাকে, তোমরা, নিজে
উত্তরঃ
- আমি→ আমি রোজ বাজারে যাই।
- মোর→ মোর প্রানে গান জেগেছে এই ঘন বর্ষার সন্ধ্যায়।
- কে→ কে এসেছে সুমি দের বাড়ি?
- কার→ কার ছদ্মনাম বনফুল?
- কাকে→ পলি ও নিসুর মধ্যে তুমি কাকে বেশি পছন্দ করো?
- তোমরা→ তোমার আমার সাথে সাথে আসো।
- নিজে→ নিজের কাজ নিজে করাই ভালো।
১১. নীচের বাক্যগুলির উদ্দেশ্য ও বিধেয় দুই অংশ সম্প্রসারন করে লেখো।
১১.১. ওরে রামা ছুটে আয় নিয়ে আয় লন্ঠন।
উত্তরঃ ওরে বোকা রামা তাড়াতাড়ি ছুটে আয় নিয়ে আয় কাচের লন্ঠন।
১১.২. এই দেখো ভরা সব কিলবিল লেখাতে।
উত্তরঃ এই দেখো খাতাটা ভরা সব ছবি আর কিলবিল লেখাতে।
১১.৩. জবাবটা জেনে নেবো মেজদাকে খুঁচিয়ে।
উত্তরঃ কঠিন জবাবটা জেনে নেবো বুদ্ধিমান মেজদাকে খুঁচিয়ে।
১১.৪. ঝাল কেন লঙ্কায় ?
উত্তরঃ এত ঝাল কেন লাল লঙ্কায় ?
১১.৫. বলবে কী, তোমরাও নোটবই পড়োনি।
উত্তরঃ ঘরে গিয়ে বলবে কী তোমরাও ভালো ভালো নোটবই পড়োনি।
১২. কারক-বিভক্তি নির্ণয় করো।
১২.১. কাল থেকে মনে মোর লেগে গেছে খটকা।
উত্তরঃ অধিকরণ কারকে ‘থেকে’ অনুসর্গ
১২.২. ওরে রামা ছুটে আয়।
উত্তরঃ সম্বোধন পদে ‘শূন্য’ বিভক্তি।
১২.৩. পেট কেন কামড়ায় বলো দেখি পারো কে ?
উত্তরঃ কতৃকারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি।
১২.৪. নিজে নিজে আগাগোড়া লিখে গেছি আমি এ।
উত্তরঃ কতৃকারকে ‘শূন্য’ বিভিক্তি
১২.৫. এই বেলা প্রশ্নটা লিখে রাখি গুছিয়ে।
উত্তরঃ অধিকরণ কারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি