এই নিবন্ধে আমরা সপ্তম শ্রেণির দশম অধ্যায় “খোকনের প্রথম ছবি (বনফুল)”
গল্পের প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে জানবো। Class 07 Bangla Chapter 10 Question Answer
Class 7 Bangla Chapter 10 Question Answer সপ্তম শ্রেনীর বাংলা অধ্যায় ১০ “খোকনের প্রথম ছবি (বনফুল)” প্রশ্ন উত্তর
Table of Contents
১. গল্প থেকে একইরকম অর্থযুক্ত আর-একটি করে শব্দ খুঁজে নিয়ে লেখোঃ
শিল্পী, নগর, ঐরাবত, উজ্জ্বলতা, অনুকরণ।
উত্তরঃ
- শিল্পী সমার্থক শব্দ → চিত্রকর,
- নগর সমার্থক শব্দ → শহর,
- ঐরাবত সমার্থক শব্দ → হাতি,
- উজ্জ্বলতা সমার্থক শব্দ → দীপ্তি,
- অনুকরণ সমার্থক শব্দ → নকল।
২. বিশেষ্য থেকে বিশেষণে রূপান্তরিত করো :
প্রকৃতি, গাছ, কল্পনা, ফুল, দীপ্তি।
উত্তরঃ
- প্রকৃতি এর বিশেষণ → প্রাকৃতিক,
- গাছ এর বিশেষণ → গেছো,
- কল্পনা এর বিশেষণ → কাল্পনিক,
- ফুল এর বিশেষণ → ফুলেল,
- দীপ্তি এর বিশেষণ → দীপ্ত।
৩. কারকবিভক্তি নির্ণয় করো :
৩.১. প্রকৃতি থেকে ছবি আঁকো।
উত্তরঃ কর্মকারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি।
৩.২. তোমার ছবি কই?
উত্তরঃ নিমিত্তকারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি।
৩.৩. একদিন তিনি খোকনদের বাড়িতে এলেন।
উত্তরঃ ‘অধিকরণ’ কারকে শূন্য বিভক্তি।
৩.৪. ড্রইং খাতার একটা পাতা কালো রঙে ভরে গেল।
উত্তরঃ কর্মকারকে ‘এ’ বিভক্তি ৷
৪. নীচের প্রশ্নগুলির নিজের ভাষায় উত্তর দাও :
৪.১. ‘ড্রইং শিখতে লাগল খোকন’—খোকন কোথায় ড্রইং শিখত? আর প্রথম দিকে কী কী আঁকত?
উত্তরঃ খোকন তার স্কুলে ড্রইং শিখত।
প্রথম দিকে খোকন টেবিল, চেয়ার, টুল,কলশি, কাপ আঁকত।
৪.২. ‘একদিন তো মেঘের ছবি আঁকতে গিয়ে বেকুব হয়ে গেল খোকন’ –‘বেকুব’ শব্দটির অর্থ কী? মেঘের ছবি আঁকতে গিয়ে খোকন বেকুব হয়ে গিয়েছিল কেন?
উত্তরঃ ‘বেকুব’ শব্দটির অর্থ বোকা।
- একদিন সে দেখল আকাশে একটা মেঘ হাতির মতো। ঠিক যেন একটি হাতি পেছনের দু-পায়ে ভর করে শুঁড় তুলে আছে। খোকন তাড়াতাড়ি তার ড্রইং খাতায় ছবিটা আঁকতে লাগল। আঁকা শেষ হবার পর সে মিলিয়ে দেখতে গেল ঠিক হয়েছে কি না, গিয়ে দেখে হাতি নেই, প্রকাণ্ড একটা কুমির শুয়ে আছে। মেঘের হাতি কুমির হয়ে গেছে। এতে খোকন একেবারে বেকুব হয়ে গেল।
৪.৩. ‘এগুলো সব নকল করা ছবি।’—কে কাকে এই কথা বলেছেন? ‘নকল করা ছবি’ বলতে তিনি কী বুঝিয়েছেন?
উত্তরঃ খোকনের বাবার একজন বন্ধু বিখ্যাত চিত্রকর ছিলেন। তিনি এই কথাগুলো খোকনকে বলেছেন।
- নকল করা ছবি অর্থাৎ খোকন যা-কিছু এঁকেছে সবকিছু কাউকে দেখে তার অনুকরণ করেছে বা কারোর প্রতিচ্ছবি এঁকেছে। তাই তিনি ছবিগুলিকে নকল করা ছবি বলেছেন।
৫. নীচের প্রতিটি বাক্যকে দুটি বাক্যে ভেঙে লেখো :
৫.১. সে যখন খুব ছোটো কাগজের উপর রঙিন পেনসিল দিয়ে হিজিবিজি কাটত।
উত্তরঃ সে খুব ছোটো ছিল। সে তখন কাগজের উপর রঙিন পেনসিল দিয়ে হিজিবিজি কাটত।
৫.২. পুলের ছবিটা দেখেও খুব প্রশংসা করলেন মাস্টারমশাই।
উত্তরঃ পুলের ছবিটা দেখলেন। তারপর খুব প্রশংসা করলেন মাস্টারমশাই।
৫.৩. সূর্যের যে ছবিটা এঁকেছে সেটা তো সূর্যের মতো নয়।
উত্তরঃ সূর্যের ছবিটা এঁকেছে। কিন্তু সেটা তো সূর্যের মতো নয়।
৫.৪. একদিন তো মেঘের ছবি আঁকতে গিয়ে বেকুব হয়ে গেল খোকন।
উত্তরঃ একদিন খোকন মেঘের ছবি আঁকল। কিন্তু আঁকতে গিয়ে সে বেকুব হয়ে গেল।
৫.৫. খোকন একদিন নিজের ঘরে চোখ বুজে বসে রইল।
উত্তরঃ খোকন বসে রইল। সে সেইদিন নিজের ঘরে চোখ বুজে বসে রইল।
৬. নীচের আলাদা আলাদা বাক্যগুলি জুড়ে একটি বাক্য তৈরি করো :
৬.১. খোকন বড়ো হয়েছে। ক্লাস টেন-এ পড়ে।
উত্তরঃ বড়ো হয়ে খোকন ক্লাস টেন-এ পড়ছে ।
৬.২. খোকনের বাবার একজন বন্ধু বিখ্যাত চিত্রকর। তিনি লখনউ শহরে থাকেন।
উত্তরঃ খোকনের বাবার একজন বন্ধু লখনউ শহরে থাকেন যিনি বিখ্যাত চিত্রকর।
৬.৩. নিজের আঁকা ছবি? তা কী করে আঁকব ?
উত্তরঃ নিজের আঁকা ছবি কী করে আঁকব?
৬.৪. চোখ বুজে বসে কল্পনা করো। কল্পনায় যা দেখবে সেটাই এঁকে ফেলো।
উত্তরঃ চোখ বুজে কল্পনায় যা দেখবে সেটাই এঁকে ফেলো।
৬.৫. তারপর হঠাৎ দেখতে পেল ওই কালোর ভেতরেই একটা মুখ রয়েছে, চোখও আছে।
উত্তরঃ তারপর হঠাৎ দেখতে পেল কালোর ভেতরেই একটা মুখ, তার চোখও আছে।
৭. গল্পে রয়েছে এমন দশটি ইংরেজি শব্দ খুঁজে নিয়ে লেখো।
উত্তরঃ (১) টুল , (২) কাপ, (৩) বুক , (৪) চেয়ার , (৫) টেবিল, (৬)ড্রইং , (৭) পেনসিল, (৮) স্কুল , (৯) পুল, (১০) টেন
৮. খোকন জিজ্ঞেস করলে—প্রকৃতি থেকে? প্রশ্ন পরিহার করো।
উত্তরঃ খোকন জানতে চাইল সেটা প্রকৃতি থেকে কি না।
৯. লক্ষ্ণৌ শহরটি কোথায়? সেখানকার একটি বিখ্যাত স্থাপত্যের নাম করো।
উত্তরঃ লক্ষ্ণৌ শহরটি উত্তরপ্রদেশ রাজ্যে অবস্থিত।
- সেখানকার একটি বিখ্যাত স্থাপত্য হলো ভুলভুলাইয়া।
১০. খোকনের ‘ড্রইংয়ের মাস্টারমশাই’ কীভাবে খোকনকে প্রকৃতি দেখতে শিখিয়েছিলেন?
উত্তরঃ খোকনের ড্রইংয়ের মাস্টারমশাই খোকনকে চারপাশের দৃশ্য থেকে ছবি আঁকতে শিখিয়েছিলেন। , তার বাড়ির ছাদের পুল ইত্যাদি থেকে অর্থাৎ চারপাশের প্রকৃতি থেকে তিনি ছবি আঁকতে শিখিয়েছিলেন।
১১. প্রকৃতির দৃশ্যের যে বদল অহরহ হয় তা খোকন কীভাবে বুঝল?
উত্তরঃ একদিন খোকন দেখল আকাশে একটা মেঘ হাতির মতো দেখতে। ঠিক যেন একটি হাতি পেছনের দু-পায়ে ভর করে তুলে আছে। খোকন তাড়াতাড়ি তার ড্রইং খাতায় ছবিটা আঁকতে লাগল। আঁকা শেষ হবার পর মিলিয়ে দেখতে গেল ঠিক য়ছে কি না, গিয়ে দেখে, হাতি নেই প্রকাণ্ড একটা কুমির শুয়ে আছে। হাতি কুমির হয়ে গেছে। এই দেখে খোকন বুঝল তির দৃশ্যের অহরহ বদল হয়।
১২. ‘খোকন অবাক হয়ে গেল’; আর
‘অবাক হয়ে চেয়ে রইল খোকন’
—এই দুই ক্ষেত্রে খোকনের ‘অবাক’ হওয়ার কারণ বিশ্লেষণ করো।
উত্তরঃ খোকন প্রকৃতির যা-কিছু দেখত তাই দিয়ে ছবি আঁকত। কিন্তু তার নিজের আঁকা কোনো ছবি ছিল না। তাই তার বাবার বন্ধু যিনি ছিলেন একজন বিখ্যাত চিত্রকর, তিনি যখন জিজ্ঞাসা করলেন খোকনের নিজের আঁকা ছবি কোথায় তখন অবাক হয়ে গেল।
- খোকনের বাবার বন্ধু তাকে যখন নিজের কল্পনা করা ছবি আঁকতে বললেন সে তখন নিজের ঘরে বসে কল্পনা করে কার ছাড়া কিছু দেখতে পেল না। সে তখন ঐ অন্ধকারেই ছবি আঁকবে ঠিক করল। আঁকতে গিয়ে খোকনের খাতার একটা পাতা কালো রঙে ভরে গেল। সেই কালোর ভেতরে সে একটা মুখ ও চোখ দেখতে পেল। তাই দেখে খোকন অবাক হয়ে চেয়ে রইল।
১৩. ‘চিত্রকর চলে গেলেন’—এই চিত্রকরের পরিচয় দাও। চলে যাওয়ার আগে তিনি খোকনকে কী বলে গেলেন?
উত্তরঃ এই চিত্রকর হলেন খোকনের বাবার বন্ধু। তিনি লক্ষ্ণৌতে থাকেন।
- তিনি চলে যাওয়ার আগে খোকনকে নিজের কল্পনা থেকে যা মনে আসবে তাই তিনি আঁকতে বলে গেলেন।
১৪. ‘এই অন্ধকারেরই ছবি আঁকবে’—কখন খোকন এমন সিদ্ধান্ত নিল? অন্ধকারের সেই ছবির দিকে তাকিয়ে খোকন কী দেখতে পেল?
উত্তরঃখোকনের বাবার বন্ধু বিখ্যাত চিত্রকর যখন খোকনের ভুল ভেঙে দিয়ে তাকে বুঝিয়ে দিয়ে গেলেন যে, খোকন এখন পর্যন্ত যা এঁকেছে সবই কোনো না কোনো নকল বা প্রতিচ্ছবি। তাই তিনি খোকনকে বুদ্ধি দিয়ে গেলেন যে তার কল্পনা থেকে যা আসবে তাই আঁকবে। সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে সে অন্ধকারের ছবি আঁকবে।
- ছবি আঁকার পর অন্ধকারের সেই ছবির ছবি দিকে তাকিয়ে খোকন দেখল সেই কালোর ভেতর একটা মুখ ও চোখ হাঁসি সেই চোখে।আঁকতে কোনো কৃত্রিমতা নেই।
১৫. গল্পে ‘ খোকনের প্রথম ছবি ‘ হিসেবে তুমি কোন ছবিটিকে স্বীকৃতি দেবে এবং কেন তা বুঝিয়ে লেখো।
উত্তরঃ নিজের আঁকা অন্ধকারের ছবি , যেখানে ধরা পড়েছে একটি মুখ , চোখ এবং অদ্ভুত হাসি । ওই ছবিটিকে প্রথম ছবি হিসেবে আমি স্বীকৃতি দেব তার কারণ , ওই ছবি খোকনের নিজের কল্পনা ও অনুভূতি মিশিয়ে করা । তার আগে আঁকা যাবতীয় ছবি হল নকল করা ছবি । সেখানে নিজের ভাবনা – চিন্তা ছিল না । তাই ওই ছবিটিকেই আমি প্রথম ছবি হিসেবে স্বীকৃতি দিতে চাই ।
১৬. পাঁচজন সাহিত্যিকের নাম এবং তাদের ছদ্মনাম পাশাপাশি লেখো। সাহিত্যিকেরা কেন ছদ্মনাম ব্যবহার করেন তা শিক্ষক/শিক্ষিকার থেকে জেনে নাও।
উত্তরঃ
সাহিত্যিকের নাম ছদ্মনাম
(ক) বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়→ কমলাকান্ত।
(খ) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়→ অনিলাদেবী।
(গ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর→ ভানুসিংহ।
(ঘ) সমরেশ বসু→ কালকূট।
(ঙ) সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়→ নীললোহিত।
প্রথমদিকে ছদ্মনাম ব্যবহার এর রীতি রেওয়াজ থাকলেও পরবর্তীকালে বিভিন্ন কারণে ছদ্মনাম ব্যবহৃত হতে থাকে —
● ছদ্মনাম ব্যবহারের প্রধান উদ্দেশ্য কোনো ব্যক্তির প্রকৃত পরিচয় গোপন রাখা।
● রাজনৈতিক এবং রাষ্ট্রের রোষের থেকে আত্মরক্ষা, ধর্মীয় কারণে ছদ্মনাম ব্যবহার করা।
১৭. তুমি যদি বড়ো হয়ে সাহিত্যিক হও , কোন্ ছদ্মনাম তুমি ব্যবহার করবে এবং কেন— তা লেখো ।
উত্তরঃ প্রত্যেকে নিজের নিজের ভাবনা থেকে লেখো ।
১৮. খোকনের ড্রইংয়ের মাস্টারমশাই আর তার বাবার এক বন্ধু যে যে ভাবে তাকে ছবি আঁকতে অনুপ্রাণিত করেছিলেন , তা লেখো । কোন্ রীতিটিকে তোমার পছন্দ হল এবং কেন তা যুক্তিসহ লেখো ।
উত্তরঃ খোকনের ড্রইং মাস্টারমশাই প্রকৃতির ছবি দেখে খোকনকে আঁকতে বলতেন । কিন্তু খোকনের বাবার এক বন্ধু নিজের কল্পনা দিয়ে ছবি আঁকতে বললেন ।
- এই দুটি রীতির মধ্যে আমার পছন্দ দ্বিতীয় রীতিটি । তার কারণ হল এই দ্বিতীয় রীতিতে প্রকৃতি থেকে নকলের কোনো ব্যাপার নেই । নিজের মনের মধ্যে কল্পনা ও অনুভূতি দিয়ে ছবিটি আঁকলে সেটা নিজের সৃষ্টি হয় ।