Class 6

Class 6 Geography Chapter 11 Question Answer ষষ্ঠ শ্রেনীর ভূগোল অধ্যায় ১১ ” মানচিত্র ” প্রশ্ন উত্তর

এই নিবন্ধে আমরা ষষ্ঠ শ্রেণির ভূগোল একাদশ  অধ্যায় মানচিত্র”
প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে জানবো। Class 06 Geography Chapter 11 Question Answer

Class 6 Geography Chapter 11 Question Answer ষষ্ঠ শ্রেনীর ভূগোল অধ্যায় ১১ ” মানচিত্র ” প্রশ্ন উত্তর

১। [ বহু বিকল্পভিত্তিক প্রশ্ন (প্রতিটি প্রশ্নের মান ১) ]

সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করোঃ –
(ক) পৃথিবীর আবর্তনের গতিবেগ সবচেয়ে বেশি –
কর্কটক্রান্তিরেখায় / সুমেরুবৃত্তরেখায় / নিরক্ষরেখায় / কুমেরু বিন্দুতে ।
উত্তর:
নিরক্ষরেখায় ।
(খ) সিঙ্কোনা গাছ জন্মায় পশ্চিমবঙ্গের প্রধানত –
হুগলি / বর্ধমান / পশ্চিম মেদিনীপুর / দার্জিলিং জেলায়।
উত্তর:
দার্জিলিং জেলায়।

২। [ নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন / অতি সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন (প্রতিটি প্রশ্নের মান ১) ]
(i) শূন্যস্থান পূরণ করোঃ –
(ক) ____হলো সৌরজগতের বৃহত্তম গ্রহানু।
উত্তর:
বৃহস্পতি।
(খ) মালাবার উপকূলের উপহ্রদগুলোকে ____ বলে।
উত্তর:
কয়াল।

(ii) স্তম্ভ মেলাওঃ –

বামদিকডানদিক
পৃথিবীর প্রকৃত আকৃতিব্যারোমিটার
বায়ুর চাপ
কার্টোগ্রাফি
মানচিত্র আঙ্কন বিদ্যা
জিওড

উত্তর:

বামদিকডানদিক
পৃথিবীর প্রকৃত আকৃতিজিওড
বায়ুর চাপব্যারোমিটার
মানচিত্র আঙ্কন বিদ্যাকার্টোগ্রাফি

(iii) শুদ্ধ / অশুদ্ধ লেখোঃ –
(ক) চন্দ্র গ্রহনের সময় চাঁদের ওপর পৃথিবীর গোলাকার ছায়া পড়ে।
উত্তর:
শুদ্ধ
(খ) মেঘালয় রাজ্যের চেরাপুঞ্জিতে প্রচুর মাটি ক্ষয় হতে দেখা যায়।
উত্তর:
শুদ্ধ

(iv) এক কথায় উত্তর দাওঃ –
(ক) মহাকাশ থেকে পৃথিবীকে কী রঙের দেখায়?
উত্তর:
মহাকাশ থেকে পৃথিবীকে নীল রঙের দেখায়।
(খ) ভারতের একটি পশ্চিম বাহিনী নদীর নাম লেখো।
উত্তর:
নর্মদা ভারতের একটি পশ্চিম বাহিনী নদীর নাম।

৩। [ সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন (প্রতিটি প্রশ্নের মান ২) ]
নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও (অনধিক দু-তিনটি বাক্য)ঃ –
(ক) নিরক্ষিয়তল বলতে কী বোঝো?
উত্তর:
নিরক্ষিয়তল (Plane of the Equator) বলতে পৃথিবীর নিরক্ষরেখা বরাবর একটি কাল্পনিক তলকে বোঝায়। এটি পৃথিবীর কেন্দ্র দিয়ে এমনভাবে কল্পনা করা হয় যে, এটি পৃথিবীকে উত্তর ও দক্ষিণ গোলার্ধে বিভক্ত করে। এই তলটি পৃথিবীর ঘূর্ণন অক্ষের সাথে লম্বভাবে থাকে এবং নিরক্ষরেখার উপরিভাগ বরাবর পৃথিবীর চারপাশে প্রসারিত থাকে।

নিরক্ষিয়তলকে জ্যোতির্বিজ্ঞানে বিভিন্ন দিক নির্ণয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করা হয়, যেমন দিন-রাতের দৈর্ঘ্য পরিমাপ, সূর্য ও অন্যান্য গ্রহের অবস্থান নির্ণয়।


(খ) ‘কালবৈশাখী’র সময় আবহাওয়ার কীরূপ প রিবর্তন হতে দেখা যায়?
উত্তর:
কালবৈশাখী হলো একটি হঠাৎ প্রবল বজ্রঝড়, যা সাধারণত পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, অসম এবং বাংলাদেশে বসন্ত ও গ্রীষ্মকালে দেখা যায়। এই সময় আবহাওয়ার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়:

(i) হঠাৎ বাতাসের গতি বৃদ্ধি: কালবৈশাখীর সময় বাতাসের গতি হঠাৎ করে বেড়ে যায় এবং প্রবল ঝড়ো হাওয়া বয়ে যায়। এটি কখনও ৬০-১২০ কিমি/ঘণ্টা বেগেও হতে পারে।

(ii) বজ্রপাত ও বিদ্যুৎ চমকানো: প্রবল বজ্রপাত এবং তীব্র বিদ্যুৎ চমকানোর ঘটনা ঘটে, যা আকাশকে আলোকিত করে।

(iii) মেঘাচ্ছন্ন আকাশ ও তীব্র অন্ধকার: কালবৈশাখী শুরু হওয়ার আগে আকাশে কালো মেঘ জমতে থাকে এবং দিনের বেলাতেও হঠাৎ করে অন্ধকার নেমে আসে।
এই ধরনের ঝড় সাধারণত সন্ধ্যা বা বিকেলে শুরু হয় এবং খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আবহাওয়ায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনে।

৪। [ সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যামূলক উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন (প্রতিটি প্রশ্নের মান ৩) ]
নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও (অনধিক পাঁচটি বাক্য)ঃ –
(ক) আপাতভাবে পৃথিবীকে সমতল বলে মনে হয় কেন?
উত্তর:
পৃথিবীকে আপাতভাবে সমতল মনে হওয়ার প্রধান কারণ হলো আমাদের চোখের সীমিত দৃষ্টিশক্তি, যা পৃথিবীর বক্রতা বোঝার ক্ষমতা রাখে না। আমরা দৈনন্দিন জীবনে সমতল ভূমিতে চলাফেরা করি, যেমন রাস্তা বা মাঠ, যা পৃথিবীকে সমতল বলে অনুভূত হয়। এছাড়া, দিগন্তরেখা সরলরেখা হিসেবে দেখা যায়, যা আমাদের মস্তিষ্ককে পৃথিবীকে সমতল ভাবতে বাধ্য করে। পৃথিবীর বিশাল আকারের তুলনায় স্থানীয় বস্তু, যেমন পাহাড় বা নদীর উচ্চতা খুবই ক্ষুদ্র। এ সব কারণ মিলিয়ে আমরা পৃথিবীকে আপাতদৃষ্টিতে সমতল বলে মনে করি।


(খ) ভারতে শীতকাল ও গ্রীষ্মকালের জলবায়ুর বৈশিষ্ট্যের তুলনা করো।
উত্তর:
ভারতে শীতকাল ও গ্রীষ্মকালের জলবায়ুর বৈশিষ্ট্যের মধ্যে প্রধান পার্থক্যগুলো হলো:
তাপমাত্রা:
শীতকাল
: তাপমাত্রা কম থাকে, বিশেষ করে উত্তর ভারতে। পাহাড়ি অঞ্চলে তুষারপাত হয়।
গ্রীষ্মকাল: তাপমাত্রা অনেক বেশি থাকে, এবং উত্তর ভারতে গরম প্রবল হয়, তাপপ্রবাহ দেখা যায়।
বায়ুপ্রবাহ:
শীতকাল
: উত্তরে হিমালয় থেকে শীতল ও শুষ্ক বায়ু প্রবাহিত হয়, যা আবহাওয়া ঠাণ্ডা করে।
গ্রীষ্মকাল: দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে মৌসুমি বায়ু আসে, যা গরম ও আর্দ্র আবহাওয়ার সৃষ্টি করে।
বৃষ্টিপাত:
শীতকাল
: শুষ্ক আবহাওয়া থাকে, বৃষ্টিপাত খুব কম হয়।
গ্রীষ্মকাল: কিছু অঞ্চলে বৃষ্টিপাত হয়, তবে প্রধানত বর্ষার আগে আর্দ্রতা বৃদ্ধি পায়।
দিনের দৈর্ঘ্য:
শীতকাল
: দিনের দৈর্ঘ্য কম থাকে, সূর্য দ্রুত অস্ত যায়।
গ্রীষ্মকাল: দিনের দৈর্ঘ্য বেশি থাকে, সূর্যের আলো দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী হয়।
এভাবে শীত ও গ্রীষ্মকালের মধ্যে তাপমাত্রা, বায়ুপ্রবাহ, বৃষ্টিপাত ও দিনের দৈর্ঘ্যের পার্থক্য দেখা যায়।


(গ) নক্ষত্র ও গ্রহের পার্থক্য করো।
উত্তর:
নক্ষত্র ও গ্রহের মধ্যে মূল পার্থক্যগুলো হলো:
আলো উৎপাদন:
নক্ষত্র
: নক্ষত্র নিজেরা আলো ও তাপ উৎপন্ন করে। এটি মূলত হাইড্রোজেন ও হিলিয়ামের নিউক্লিয়ার ফিউশনের মাধ্যমে শক্তি উৎপাদন করে, যেমন সূর্য।
গ্রহ: গ্রহ নিজেরা আলো উৎপন্ন করে না। তারা নক্ষত্রের আলো প্রতিফলিত করে, যেমন পৃথিবী।
আকার ও গঠন:
নক্ষত্র: নক্ষত্রের আকার সাধারণত বিশাল হয় এবং তারা গ্যাসের বিশাল পিণ্ড দিয়ে তৈরি।
গ্রহ: গ্রহ অপেক্ষাকৃত ছোট হয় এবং কঠিন, তরল বা গ্যাসীয় পদার্থ দিয়ে তৈরি হতে পারে।
কক্ষপথ:
নক্ষত্র: নক্ষত্র কোনো কিছুর চারপাশে ঘোরে না; বরং গ্রহগুলো তাদের চারপাশে কক্ষপথে ঘোরে।
গ্রহ: গ্রহ একটি নক্ষত্রের চারপাশে নির্দিষ্ট কক্ষপথে আবর্তন করে।
উত্তপ্ত অবস্থা:
নক্ষত্র
: নক্ষত্র অত্যন্ত উত্তপ্ত হয়, যার কারণে তারা আলো ও তাপ বিকিরণ করে।
গ্রহ: গ্রহ অপেক্ষাকৃত শীতল থাকে এবং তাপ বিকিরণ করে না।
এইভাবে নক্ষত্র ও গ্রহের মধ্যে তাদের গঠন, আকার, কক্ষপথ এবং আলোর বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী প্রধান পার্থক্য দেখা যায়।


৫। [ ব্যাখ্যামূলক উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন (প্রতিটি প্রশ্নের মান ৫) ]
নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও (অনধিক দশটি বাক্য)ঃ –
(ক) মহাদেশ সঞ্চরণের ধারণা দাও।
উত্তর:
মহাদেশ সঞ্চরণ (Continental Drift) একটি ভূতাত্ত্বিক ধারণা, যা প্রথমে ১৯১২ সালে জার্মান বিজ্ঞানী আলফ্রেড ভেগেনার (Alfred Wegener) প্রস্তাব করেছিলেন। এই ধারণা অনুযায়ী, পৃথিবীর মহাদেশগুলি একসময় এককভাবে একটি বিশাল মহাদেশ ছিল, যাকে “প্যানজিয়া” (Pangaea) বলা হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই বিশাল মহাদেশটি বিভিন্ন অংশে ভাগ হয়ে মহাদেশগুলো ধীরে ধীরে বিভিন্ন দিকে সরে গেছে এবং আজকের পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে পৌঁছেছে।

মহাদেশ সঞ্চরণের প্রধান বৈশিষ্ট্যসমূহ:

(i) মহাদেশগুলোর ধীরে ধীরে সঞ্চরণ: ভেগেনার প্রস্তাব করেছিলেন যে মহাদেশগুলি তরল ম্যান্টেলের উপর ভাসমান অবস্থায় রয়েছে এবং লক্ষ লক্ষ বছরের মধ্যে ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছে।

(ii) ভূপৃষ্ঠের পরিবর্তন: মহাদেশ সঞ্চরণের কারণে ভূপৃষ্ঠের আকার ও বিন্যাস পরিবর্তিত হয়েছে, ফলে নতুন পর্বতমালা, মহাসাগর এবং উপকূলীয় অঞ্চল সৃষ্টি হয়েছে।

(ii) ভৌগোলিক ও ফসিল প্রমাণ: বিভিন্ন মহাদেশের মধ্যে ভৌগোলিক সাদৃশ্য এবং একই ধরনের জীবাশ্ম পাওয়া গেছে, যা প্রমাণ করে যে একসময় এসব মহাদেশ একত্রে ছিল।

(iii) টেকটনিক প্লেট: আধুনিক বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে যে পৃথিবীর ভূত্বক বিভিন্ন প্লেট দিয়ে গঠিত, যা টেকটোনিক প্লেট নামে পরিচিত। এই প্লেটগুলির চলাচলের ফলেই মহাদেশগুলি স্থান পরিবর্তন করে।

মহাদেশ সঞ্চরণের এই ধারণা পরবর্তীতে “প্লেট টেকটনিক্স তত্ত্ব” (Plate Tectonics) দ্বারা পরিপূর্ণভাবে প্রমাণিত হয়, যা মহাদেশের চলাচল এবং পৃথিবীর ভূতাত্ত্বিক গঠন বুঝতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।


(খ) আন্টার্কটিকা মহাদেশ অভিযান করলে তুমি কী ধরনের প্রাকৃতিক পরিবেশের সম্মুখীন হবে?
উত্তর:
আন্টার্কটিকা মহাদেশে অভিযান করলে বেশ কিছু চরম প্রাকৃতিক পরিবেশের সম্মুখীন হতে হবে। এই মহাদেশটি পৃথিবীর সবচেয়ে শীতল, শুষ্ক, এবং বায়ুমণ্ডলীয়ভাবে চ্যালেঞ্জিং অঞ্চলগুলোর একটি। কিছু উল্লেখযোগ্য পরিবেশগত বৈশিষ্ট্য হলো:

(i) প্রচণ্ড শীত: আন্টার্কটিকা পৃথিবীর সবচেয়ে শীতল মহাদেশ, যেখানে তাপমাত্রা শীতকালে −৮০°C বা তারও নিচে নেমে যেতে পারে, আর গ্রীষ্মকালেও এটি সাধারণত −২০°C থেকে −৩০°C এর মধ্যে থাকে।

(ii) বৃহত্তম বরফের স্তর: আন্টার্কটিকার প্রায় ৯৮% এলাকা বরফে আচ্ছাদিত, যা পৃথিবীর মিষ্টি পানির সবচেয়ে বড় উৎস। বরফের স্তর কয়েক কিলোমিটার পুরু হতে পারে, যা বরফের পর্বত ও হিমবাহ সৃষ্টি করে।

(iii) শুষ্ক পরিবেশ: যদিও এটি বরফে ঢাকা, আন্টার্কটিকা অত্যন্ত শুষ্ক মহাদেশ। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মরুভূমি হিসেবেও পরিচিত, কারণ সেখানে বার্ষিক বৃষ্টিপাত খুবই কম, অনেক স্থানে ২০০ মিমি’রও কম।

(iv) প্রবল বাতাস: আন্টার্কটিকায় বাতাসের গতি অত্যন্ত বেশি হতে পারে। ক্যাটাব্যাটিক (Katabatic) বাতাস নামে পরিচিত এ ঝড়ো হাওয়া ৩০০ কিমি/ঘণ্টা বেগে বইতে পারে, যা পরিবেশকে আরও শীতল এবং বিপজ্জনক করে তোলে।

(v) অর্ধ-বার্ষিক দিন ও রাত: আন্টার্কটিকায় গ্রীষ্মকালে ছয় মাস দিন থাকে, যখন সূর্য প্রায় পুরো সময় আকাশে থাকে, আর শীতকালে ছয় মাস রাত থাকে, যখন চারপাশ অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকে।

অত্যন্ত বিরল উদ্ভিদ ও প্রাণীজীবন: এখানকার প্রতিকূল পরিবেশে খুব সীমিত উদ্ভিদ ও প্রাণীজীবন রয়েছে। শুধুমাত্র কিছু মস এবং শৈবাল জন্মে, এবং পেঙ্গুইন, সিল, ও সামুদ্রিক পাখি এই অঞ্চলে অভিযোজিত হয়েছে।
এভাবে, আন্টার্কটিকা অভিযান করলে শীতলতম এবং শুষ্কতম পরিবেশ, প্রচণ্ড বাতাস, দীর্ঘমেয়াদি দিন ও রাত, এবং সীমিত জীববৈচিত্র্যের মতো চ্যালেঞ্জিং প্রাকৃতিক পরিবেশের সম্মুখীন হতে হবে।


(গ) ভারতে কী ধরনের প্রাকৃতিক পরিবেশ ধান উৎপাদনের পক্ষে অনুকূল? ধান উৎপাদিত হয় ভারতের এমন চারটি রাজ্যের নাম করো। (৩ + ২ = ৫)
উত্তর:
ভারতে ধান উৎপাদনের পক্ষে অনুকূল প্রাকৃতিক পরিবেশ:
উষ্ণ ও আর্দ্র জলবায়ু: ধান গরম ও আর্দ্র জলবায়ুতে ভালোভাবে বৃদ্ধি পায়। ধান উৎপাদনের জন্য ২০°C থেকে ৩৫°C তাপমাত্রা প্রয়োজন।

প্রচুর বৃষ্টিপাত: ধান চাষের জন্য বার্ষিক ১০০ থেকে ২০০ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত প্রয়োজন। তবে যেখানে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত কম হয়, সেখানে সেচব্যবস্থার মাধ্যমে পানি সরবরাহ করতে হয়।

উর্বর পলিমাটি: ধান উৎপাদনের জন্য পলিমাটি সবচেয়ে উপযোগী। এটি সেচ ও বৃষ্টির পানিকে ধরে রাখতে সক্ষম এবং এতে জৈব পদার্থের পরিমাণও বেশি থাকে, যা ধান গাছের বৃদ্ধিতে সহায়ক।

নিম্নভূমি ও প্লাবনভূমি: সাধারণত নিচু জমি, যেখানে পানি জমে থাকে, ধান চাষের জন্য আদর্শ, কারণ ধান গাছ কিছুটা পানিতে ডুবে থাকলে ভালো হয়।

সেচের সুবিধা: যেখানে প্রাকৃতিকভাবে পর্যাপ্ত বৃষ্টি নেই, সেখানে সেচব্যবস্থা থাকা জরুরি, যা ধান গাছের জল সরবরাহ নিশ্চিত করে।

ভারতে ধান উৎপাদিত হয় এমন চারটি রাজ্যের নাম:
(i) পশ্চিমবঙ্গ
(ii) উত্তর প্রদেশ
(iii) পাঞ্জাব
(iv) তামিলনাড়ু
এই রাজ্যগুলো ধান উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে, কারণ এদের জলবায়ু ও মাটির ধরন ধান চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী।

৬। ভারতের রেখা মানচিত্রে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো প্রতীক ও চিহ্নসহ বসাও (প্রতিটির মান ১)।
(ক) কর্কটক্রান্তিরেখা (খ) কারাকোরাম পর্বত (গ) গোদাবরী নদী (ঘ) কালো মাটি আঞ্চল (ঙ) পাট উৎপাদক আঞ্চল
উত্তর:

Class 6 Geography Chapter 11 Question Answer ষষ্ঠ শ্রেনীর ভূগোল অধ্যায় ১১ ” মানচিত্র ” প্রশ্ন উত্তর

Shares:

Related Posts

class-6-bangla-chapter-02-question-answer
Class 6

Class 6 Bangla Chapter 02 Question Answer ষষ্ঠ শ্রেনীর বাংলা অধ্যায় ০২ ‘ সেনাপতি শঙ্কর ‘ প্রশ্ন উত্তর

এই নিবন্ধে আমরা ষষ্ঠ শ্রেণির দ্বিতীয় অদধ্যায় "সেনাপতি শঙ্কর" কবিতার প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে জানবো। Class 06 Bangla Chapter 02 Question Answer Class 6 Bangla Chapter 02 Question Answer ষষ্ঠ শ্রেনীর
class-6-bangla-chapter-07-question-answer
Class 6

Class 6 Bangla Chapter 07 Question Answer ষষ্ঠ শ্রেনীর বাংলা অধ্যায় ০৭ ‘ কুমোরে পোকার বাসাবাড়ি’ প্রশ্ন উত্তর

এই নিবন্ধে আমরা ষষ্ঠ শ্রেণির সপ্তম অধ্যায় "কুমোরে পোকার বাসাবাড়ি" কবিতার প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে জানবো। Class 06 Bangla Chapter 7 Question Answer Class 6 Bangla Chapter 07 Question Answer ষষ্ঠ
class-6-bangla-chapter-14-question-answer
Class 6

Class 6 Bangla Chapter 14 Question Answer ষষ্ঠ শ্রেনীর বাংলা অধ্যায় ১৪’ চিত্রগ্রীব ‘ প্রশ্ন উত্তর

এই নিবন্ধে আমরা ষষ্ঠ শ্রেণির চতুর্থদশ অধ্যায় " চিত্রগ্রীব " কবিতার প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে জানবো। Class 06 Bangla Chapter 14 Question Answer Class 6 Bangla Chapter 14 Question Answer ষষ্ঠ
class-6-bangla-chapter-05-question-answer
Class 6

Class 6 Bangla Chapter 05 Question Answer ষষ্ঠ শ্রেনীর বাংলা অধ্যায় ০৫ ‘ পশুপাখির ভাষা ‘ প্রশ্ন উত্তর

এই নিবন্ধে আমরা ষষ্ঠ শ্রেণির পনঞ্চম অধ্যায় "পশুপাখির ভাষা" কবিতার প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে জানবো। Class 06 Bangla Chapter 5 Question Answer Class 6 Bangla Chapter 05 Question Answer ষষ্ঠ শ্রেনীর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *