এই নিবন্ধে আমরা ষষ্ঠ শ্রেণির সপ্তদশ অধ্যায় “বাঘ ” কবিতার প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে জানবো। Class 06 Bangla Chapte 17 Question Answer
Class 6 Bangla Chapter 17 Question Answer ষষ্ঠ শ্রেনীর বাংলা অধ্যায় ১৭’ বাঘ’ প্রশ্ন উত্তর
Table of Contents
১.১ নবনীতা দেবসেনের প্রথম প্রকাশিত বইয়ের নাম কী ?
উত্তর: নবনীতা দেবসেনের প্রথম প্রকাশিত বইয়ের নাম ‘প্রথম প্রত্যয়’।
১.২ তাঁর লেখা একটি ভ্রমণকাহিনির নাম লেখো।
উত্তর: নবনীতা দেবসেনের লেখা একটি ভ্রমণকাহিনী ‘আমি আনুপম’।
২. নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর দাও :
২.১ পাখিরালয়ের বাসায় কী পাওয়া যেত না ?
উত্তর: পাখিরালয়ের বাসায় ছাগল, হরিণ, ভেড়া পাওয়া যেত না।
২.২ ছোট্ট বাঘ তার খিদে মেটানোর জন্য প্রথমে কী ধরতে গিয়েছিল ?
উত্তর: ছোট্ট বাঘ তার খিদে মেটানোর জন্য প্রথমে পাখি ধরতে গিয়েছিল।
২.৩ ছোট্টো বাঘের বাবা-মা বাসা বদলে কোথায় গিয়েছিল ?
উত্তর: ছোট্টো বাঘের বাবা-মা বাসা বদলে সজনেখোলা চলে গিয়েছিল।
২.৪ সুন্দরবনের বাঘ কি নামে পরিচিত?
উত্তর: সুন্দরবনের বাঘ রয়েল বেঙ্গল টাইগার নামে পরিচিত।
৩. নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :
৩.১ ‘ভদ্র বাঘে হেথায় বাঁধে ডেরা’— বাঘছানার এমন মনে হয়েছিল কেন ?
উত্তর: বাঘ মাংসাশী প্রাণী। পশুশিকার করে মাংস খাওয়াই তাদের প্রধান কাজ। তাদের পাখিরালয়ের বাসায় ছাগল, হরিণ, ভেড়া প্রভৃতি পাওয়া যেত না। তার ফলে বাঘকে না খেয়ে কাটাতে হত। তাই বাঘ ছানার এমন মনে হয়েছিল।
৩.২ ছোট্ট বাঘ পাখির ছানা ধরতে পারেনি কেন ?
উত্তর: পাখিদের ডানা থাকার জন্য উড়তে পারে। এই বাঘের বাচ্চা লাফিয়ে উঠে পাখির ছানা ধরতে গেলে তারা কিচিরমিচির আওয়াজ করে ডানা মেলে উড়ে যায়। এর ফলে ছোট্ট বাঘ পাখির ছানা ধরতে পারেনি।
৩.৩ বাঘের ছানা গর্তে থাবা দিয়েই কেঁদে উঠেছিল কেন?
উত্তর: বাঘের ছানা গর্তে থাবা দিয়ে কেঁদে উঠেছিল। কারণ, গর্তের ভেতর কাঁকড়াদের আস্তানা ছিল। বাঘের ছানা কাকড়া ধরার জন্য গর্তের মধ্যে থাবা ঢুকিয়ে দিলে কাঁকড়া তার লাল রঙের দাঁড়া দিয়ে ছোট্টো বাঘের থাবা কামড়ে ধরেছিল।
৩.৪ বাঘছানাকে বাবা কীভাবে কাঁকড়ার হাত থেকে রক্ষা করল?
উত্তর: বাঘের ছানা যখন কাকড়ার গর্তে নিজের ছোটো থাবা বাড়িয়ে কাঁকড়া ধরতে গেল, তখন কাঁকড়ার লাল দাঁড়ার আক্রমণে ছোট্টো বাঘ কেঁদে ফেলল। তার কান্না শুনে ছোট্টো বাঘের বাবা দৌড়ে নদীর ঘাটে এল। নিজের গোবদা নখের থাবা বাড়িয়ে কাঁকড়ার দাঁড়া ভেঙে দিল। এভাবেই ছোট্টো বাঘকে তার বাবা কাঁকড়ার হাত থেকে রক্ষা করল।
৩.৫ বাঘ জননী লজ্জা পেয়েছিল কেন?
উত্তর: বাঘের ছানা কাঁকড়া ধরতে ব্যর্থ হয়। শেষে প্রচন্ড খিদে নিয়ে কাদায় মেনিমৎস্য ধরতে যায়। তখন বাঘের ছানার মা দারুণ লজ্জা পেয়ে যায়। সে বাঘ ছানাকে বলে যে, সে আসলে বাঘের ছানা সে ভোঁদড় নয় যে কাদায় মেনিমৎস্য খুঁজে বেড়াবে। কাদায় মাছ ধরাটা বাঘের পক্ষে লজ্জাজনক।
৪. উদাহরণ দেখে নীচের ছকটি সম্পূর্ণ করো :
উত্তর: ব্যাঘ্র—বাঘ, মৎস্য— মাছ। বৎস্য— বাছা।
৫. সন্ধি করো : পাখিরালয়, কান্না
উত্তর: পাখির + আলয় = পাখিরালয়
কাঁদ + না = কান্না
৬. সমোচ্চারিত ভিন্নার্থক শব্দগুলির অর্থ লেখো : বন – বোন, পাড়ে – পারে, বাড়ি – বারি।
উত্তর: বন – জঙ্গল, অরণ্য।
বোন – সহোদরা, ভগিনী।
পাড়ে – নদীর ধারে।
পারে – সম্ভব।
বাড়ি – ঘর, গৃহ।
বারি – জল
৭. নীচের শব্দগুলির কোন্টি বিশেষ্য ও কোন্টি বিশেষণ খুঁজে বার করে আলাদা দুটি স্তম্ভে লেখো। এরপর বিশেষ্যগুলির বিশেষণের রূপ এবং বিশেষণগুলির বিশেষ্যের রূপ লেখো : মন, শরীর, সব্বোনেশে, ভদ্র, এক, পেট, রাগ।
উত্তর:
বিশেষ্য বিশেষণ
মন মানসিক
শরীর শারীরিক
সব্বোনেশে সব্বনাশ
ভদ্র ভদ্রতা
এক ঐক্য
পেট পেটুক
রাগ রাগী
৮. নিম্নরেখ পদগুলির বিভক্তি অংশ আলাদা করে দেখাও :
৮.১ ভদ্র বাঘে হেথায় বাঁধে ডেরা।
উত্তর: বাঘ + এ = বাঘে ‘এ’ বিভক্তি।
৮.২ পাখির সঙ্গে পেরে উঠবে নাকি?
উত্তর: পাখি + র = পাখির ‘র’ বিভক্তি।
৮.৩ ছোট্টো বাঘের মস্ত হলুদ বাবা।
উত্তর: বাঘ + এর = বাঘের ‘এর’ বিভক্তি।
৯. নীচের বাক্যগুলির উদ্দেশ্য ও বিধেয় অংশ ভাগ করে দেখাও :
৯.১ তার মনে মনে জমেছে কেবল রাগ।
উত্তর: উদ্দেশ্য— তার
বিধেয়— মনে মনে জমেছে কেবল রাগ।
৯.২ বাঘছানা কি ধরতে পারে পাখি ?
উত্তর: উদ্দেশ্য— বাঘছানা
বিধেয়— কি ধরতে পারে পাখি ?
৯.৩ লালঠেঙো সব কাঁকড়া বেড়ায় হেঁটে।
উত্তর: উদ্দেশ্য— লালঠেঙো সব কাঁকড়া
বিধেয়— বেড়ায় হেঁটে।
১০. নিজের ভাষায় উত্তর দাও :
১০.১ কবিতাটিতে দেখলাম কাঁকড়ার দাঁড়া থাকে, তোমার দেখা আর যে প্রাণীর দাঁড়া আছে তার সম্পর্কে দু-একটি বাক্য লেখো।
উত্তর: কাঁকড়া ছাড়া আর যেসব প্রাণীর দাঁড়া থাকে তাদের মধ্যে অন্যতম হল কাঁকড়াবিছা। এরা হুল ফুটিয়ে শত্রুর দেহে বিষ ঢেলে তাকে নিস্তেজ বা হত্যা করতে পারে। এরা একসঙ্গে যেমন অনেক খাবার খেতে পারে, তেমনি না খেয়ে দীর্ঘদিন থাকতে পারে। এদের বিষ থেকে ওষুধ তৈরি হয়।
১০.২ ছোট্ট বাঘ ও তার বাবা-মা পাখিরালয়ে খাবারের অভাব থাকায় সজনেখালি চলে গিয়েছিল। সারা পৃথিবীতেই আজ মানুষ বন কেটে ফেলায়, নির্বিচারে প্রাণীদের মেরে ফেলায় শুধু বাঘ নয় সমস্ত প্রাণীদেরই খাবারের অভাব তৈরি হচ্ছে। কীভাবে এগুলো বন্ধ করে সমস্ত প্রাণীদের ভালোভাবে বাঁচিয়ে রাখা যায়, এ সম্পর্কে তোমার মতামত জানিয়ে একটি অনুচ্ছেদ লেখো।
উত্তর: আজ গোটা পৃথিবী জুড়ে বন্যপ্রাণীদের থাকার জায়গার খুব অভাব। বন্যপ্রাণীরা আজ তাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। মানুষ জঙ্গল কেটে সাফ করে ফেলছে। জনবসতি বাড়ছে কিন্তু বন্যপ্রাণীদের সংখ্যা কমছে। কারণ বন্যপ্রাণীরা না পাচ্ছে উপযুক্ত খাবার না পাচ্ছে উপযুক্ত বাসস্থান। ফলে বন্যপ্রাণীর দল পৃথিবীর বুক থেকে ধীরে ধীরে নিশ্চিহ্ন হয়ে পড়ছে। আগে যত সংখ্যায় বন্যপ্রাণী ছিলো এখন আর তা নেই। বাঘ ছাড়াও বহু প্রাণী এখন ‘বিরল প্রজাতি’র হয়ে গেছে। তাছাড়া নির্বিচারে পশুহত্যার ফলেও আজ বহু প্রাণীরই পৃথিবীতে কোনো অস্তিত্ব নেই। পৃথিবীর মানুষের কাছে এদের কোনো চিহ্ন নেই। এর ফলে ‘ইকোলজিক্যাল ব্যালান্স’ নষ্ট হচ্ছে। অবিলম্বে গাছ কাটা বন্ধ, পশু হত্যা বন্ধ করা দরকার। বেশি সংখ্যায় অভয়ারণ্য গড়ে তুলতে হবে, চোরাশিকারীদের হাত থেকে পশুপাখিদের রক্ষা করতে হবে। এই বিষয়ে সরকারি আইনবিধিকে যথেষ্ট কঠোর হতে হবে। মানুষের মধ্যে সচেতনতা জাগাতে হবে। আইনভঙ্গকারীদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। তবেই প্রাণীদের বাঁচিয়ে রাখা যাবে।