এই নিবন্ধে আমরা ষষ্ঠ শ্রেণির পঞ্চদশ অধ্যায় ” আশীর্বাদ” কবিতার প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে জানবো। Class 06 Bangla Chapter 15 Question Answer
Class 6 Bangla Chapter 15 Question Answer ষষ্ঠ শ্রেনীর বাংলা অধ্যায় ১৪’ আশীর্বাদ’ প্রশ্ন উত্তর
Table of Contents
১.১ দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদারকে সবচেয়ে বেশি কী আকর্ষণ করত ?
উত্তর: দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদারকে সবচেয়ে বেশী আকর্ষণ করত রূপকথা, উপকথা ও লোককথার গল্প।
১.২ তিনি শিশুসাহিত্যের কোন্ পুরস্কারে পুরস্কৃত হয়েছিলেন ?
উত্তর: তিনি বঙ্গীয় শিশু সাহিত্য পরিষদ থেকে ভুবনেশ্বরী পদকে পুরস্কৃত হয়েছিলেন।
২. নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর দাও :
২.১ বন্যায় প্রকৃতির রূপ কেমন হয় ?
উত্তর: বন্যা হলে প্রকৃতির চারিদিকে জল থই থই করে।
২.২ পিঁপড়ে কোথায় আশ্রয় নিয়েছিল ?
উত্তর: বন্যার সময় পিঁপড়ে একটি ঘাসের পাতার নীচে নিজেকে বাঁচাতে আশ্রয় নিয়েছিল।
২.৩ বৃষ্টির সময়ে গাছের পাতা কাঁপছিল কেন ?
উত্তর: বৃষ্টির প্রবল ঝাপটায় গাছের পাতারা নিজেদের সামলাতে না পেরে কাঁপছিল।
২.৪ পিঁপড়ে নিজেকে বাঁচাবার জন্য কী করল ?
উত্তর: পিঁপড়ে নিজেকে বাঁচাবার জন্য গাছের পাতার শিরাকে জোরে কামড়ে ধরল।
২.৫ পিঁপড়ে কখন “বাপ! বাঁচলেম” বলে উঠল ?
উত্তর: বৃষ্টি একটু ধরলে গাছের পাতাটা সোজা হয়ে দাঁড়ালে পিঁপড়ে পাতার কামড় ছেড়ে দিয়ে নিশ্বাস ছেড়ে “বাপ বাঁচলেম” বলেছিল।
২.৬ জল কেমন শব্দে হেসে উঠেছিল ?
উত্তর: খলখল শব্দ করে জল হেসে উঠেছিল।
২.৭ ‘বুক ভেঙে নিশ্বাস পড়ল পিঁপড়ের।’—কেন এমন হলো ?
উত্তর: চারদিক জলমগ্ন হওয়ায় পিঁপড়ের নিজের অবস্থার কথা ভেবে বুক ভেঙে নিশ্বাস পড়ল।
২.৮ ‘শরতের আশীর্বাদ তোমাদেরও উপরে ঝরুক।’—কে এমনটি কামনা করেছিল ?
উত্তর: এই কামনা করেছিল ঘাসের পাতা।
৩. নীচের বাক্যগুলি থেকে সমাপিকা ও অসমাপিকা ক্রিয়া চিহ্নিত করে লেখো :
৩.১ বর্ষা খুব নেমেছে।
উত্তর: নেমেছে—সমাপিকা ক্রিয়া।
৩.২ ভাই, জোরে আঁকড়ে ধরো।
উত্তর: ধরো—সমাপিকা ক্রিয়া।
৩.৩ এক ঢোক জল খেয়ে পিঁপড়ে আর কিছু বলতে পারলে না।
উত্তর: পারলে না—সমাপিকা ক্রিয়া,
খেয়ে, বলতে—অসমাপিকা ক্রিয়া।
৩.৪ বৃষ্টির ফোঁটার ঘায়ে পাতাটা বোধহয় এলিয়ে পড়বে জলে।
উত্তর: পড়বে—সমাপিকা ক্রিয়া,
ঘায়ে— অসমাপিকা ক্রিয়া।
৩.৫ শিউরে পাতা বললে— ‘ভাই, তেমন কথা বোলো না।’
উত্তর: বোলো না—সমাপিকা ক্রিয়া,
বললে – অসমাপিকা ক্রিয়া।
৪. সকর্মক ও অকর্মক ক্রিয়া চিহ্নিত করো :
৪.১ সারা দিন রাত খাটি।
উত্তর: অকর্মক – খাটি।
৪.২ আমরা যাই, আসি, দেখি।
উত্তর: অকর্মক – দেখি।
৪.৩ ঘাসের পাতাটা সোজা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
উত্তর: সকর্মক – দাঁড়িয়েছে।
৪.৪ এ জল কী করে পার হব?
উত্তর: সকর্মক – পার হব।
৪.৫ পৃথিবী তোমার হবে।
উত্তর: সকর্মক – হবে।
৫. সন্ধি বিচ্ছেদ করো : নিশ্বাস, বৃষ্টি, নিশ্চয়, আশীর্বাদ।
উত্তর: নিশ্বাস = নিঃ + শ্বাস।
বৃষ্টি = বৃষ্ + তি।
নিশ্চয় = নিঃ + চয়।
আশীর্বাদ = আশীঃ + বাদ।
৬. নীচের শব্দগুলি থেকে উপসর্গ পৃথক করো এবং তা দিয়ে দুটি নতুন শব্দ তৈরি করো : বিদেশ, দুর্ভাগ্য, অনাবৃষ্টি, সুদিন, নির্ভয়।
উত্তর: বিদেশ = বি + দেশ, বি + ভুঁই = বিভুঁই, বি + শ্রাম = বিশ্রাম।
দুর্ভাগ্য = দুর্ + ভাগ্য, দুর্ + ভোগ = দুর্ভোগ, দুর্ + দিন = দুর্দিন।
অনাবৃষ্টি = অনা + বৃষ্টি, অনা + হার = অনাহার, অনা + দর = অনাদর।
সুদিন = সু + দিন, সু + খবর = সুখবর, সু+ বিচার = সুবিচার।
নির্ভয় = নি + ভয়, নি + খুঁত = নিখুঁত, নি + ঠুর = নিষ্ঠুর।
৭. নিচের বিশেষ্য শব্দগুলিকে বিশেষণে রূপান্তরিত করে লেখো : আশ্রয়, শরীর, শরৎ, মুখ, ফুল।
উত্তর:
বিশেষ্য বিশেষণ
আশ্রয় আশ্রিত
শরীর শারীরিক
শরৎ শারদীয়
মুখ মৌখিক
ফুল ফুলেল
৮. চোখ শব্দটিকে দুটি আলাদা অর্থে ব্যবহার করে পৃথক বাক্যরচনা করো :
উত্তর: চোখ(দর্শনের ইন্দ্রিয়)— চোখ না থাকলে পৃথিবী অন্ধকার।
চোখ (নজর) পাগল লোকটাকে চোখে চোখে রাখ, যাতে পালাতে না পারে।
৯. নীচের বাক্যগুলির উদ্দেশ্য ও বিধেয় অংশ ভাগ করে দেখাও :
৯.১ আমরা সাঁতার জানি।
উত্তর: আমরা – উদ্দেশ্য।
সাঁতার জানি – বিধেয়।
৯.২ বর্ষাতেও পিঁপড়ের মুখ শুকিয়ে গেল।
উত্তর: পিঁপড়ের – উদ্দেশ্য।
মুখ বর্ষাতেও শুকিয়ে গেল – বিধেয়।
৯.৩ শেষে আবার সেই গর্তেই ঢুকি গিয়ে।
উত্তর: আমি – উদ্দেশ্য।
শেষে আবার সেই গর্তেই ঢুকি গিয়ে – বিধেয়।
৯.৪ খল্ খল্ করে হেসে উঠল জল।
উত্তর: জল – উদ্দেশ্য।
খল্ খল্ করে হেসে উঠল – বিধেয়।
৯.৫ পৃথিবী সবারই হোক।
উত্তর: পৃথিবী – উদ্দেশ্য।
সবারই হোক – বিধেয়।
১০ নির্দেশ অনুসারে উত্তর দাও :
১০.১ আমরা সাঁতার জানি। আমরা হাঁটতে জানি। (‘এবং’ দিয়ে বাক্য দুটিকে যুক্ত করো)
উত্তর: আমরা সাঁতার জানি এবং হাঁটতেও জানি।
১০.২ তোমরা পৃথিবীর উপরে হাসো, ফুলটুল ফুটাও। (দুটো বাক্যে ভেঙে লেখো)
উত্তর: তোমরা পৃথিবীর উপরে হাস। তোমরা ফুলটুলও ফোটায়।
১০.৩ বর্ষা খুব নেমেছে। নীচেও ডেকেছে বান। (‘যখন-তখন’ দিয়ে বাক্য দুটিকে যুক্ত করো)
উত্তর: যখন বর্ষা খুব নেমেছে তখন নীচেও ডেরেছে বান।
১০.৪ আমরা নড়তেও পারি নে। কোনোরকমে শুঁড়-টুড় বাড়াই। (‘কিন্তু’ অব্যয়টি দিয়ে বাক্য দুটিকে যুক্ত করো)
উত্তর: আমরা নড়তে পারিনে কিন্তু কোনোরকমে শুঁড়-টুড় বাড়াই।
১০.৫ এক ঢোক জল খেল এবং পিঁপড়ে কিছু বলতে পারলে না। (‘এবং অব্যয়টি তুলে দিয়ে বাক্যদুটিকে একটি বাক্যে লেখো)
উত্তর: এক ঢোক জল খেয়ে পিঁপড়ে কিছু বলতে পারল না।
১১. নীচের প্রশ্নগুলির কয়েকটি বাক্যে উত্তর দাও :
১১.১ পাঠ্যাংশে কোন্ কোন্ ঋতুর প্রসঙ্গ রয়েছে? প্রতিক্ষেত্রে একটি করে উদাহরণ পাঠ থেকে খুঁজে নিয়ে লেখো।
উত্তর: পাঠ্যাংশে গ্রীষ্ম, বর্ষা এবং শরৎ ঋতুর কথা আছে।
গ্রীষ্ম: রোদ্দুরে পুড়ে বন্ধুর দল ধুলো হয়ে আছে।
বর্ষা: বর্ষায় বৃষ্টি এলো.ঝমঝম করে, পিঁপড়ে তাড়াতাড়ি আবার কামড়ে ধরলো পাতা।
শরৎ: আশীর্বাদ করি, শরতের আশীর্বাদ তোমাদের উপরে ঝরুক।
১১.২ পাতা গাছের কী প্রয়োজনে লাগে ?
উত্তর: পাতাই গাছের জীবন। পাতার ক্লোরোফিল কণা সূর্যরশ্মির সাহায্যে খাদ্য তৈরি করে।
১১.৩ পিঁপড়ের বাসস্থান সম্পর্কে অনধিক তিনটি বাক্য লেখো।
উত্তর: পিঁপড়ের বাসা তার গর্ত। পিঁপড়ে মাটির নিচে বাসা তৈরি করে সেখানে খাদ্য সঞ্চয় করে। আবার বেশি বৃষ্টি হবার সম্ভাবনা থাকলে তারা উঁচু স্থানে বাসা বাঁধে।
১১.৪ বৃষ্টি পাতাকে কোন্ পরিচয়ে পরিচায়িত করেছে?
উত্তর: বৃষ্টি পাতাকে তার বন্ধুর পরিচয়ে, জীবজগতকে আশ্রয় দেবার পরিচয়ে পরিচিত করেছে।
১১.৫ সবার কথা শুনে পিঁপড়ে কী ভাবল ?
উত্তর: সবার কথা শোনার পর পিঁপড়ের মনে হল পৃথিবী আবার তার হবে এবং পৃথিবী কেবলমাত্র তার একার নয় সে সকলেরই অশ্রয়স্থল।
১১.৬ প্রকৃতির বুকে শরতের আশীর্বাদ কীভাবে ঝরে পড়ে ?
উত্তর: ঋতুচক্রের আবর্তনে স্বাভাবিক নিয়মে বর্ষার পর আসে শরৎ। শরতে বর্ষার ঘাস কাশবন হয়ে হাসি ছড়ায়। তাই শরতের আগমন বর্ষার বিদায়বার্তা ঘোষণা করবে। সূর্য আবার হাসবে এবং প্রকৃতিতে আর বৃষ্টির উপদ্রব থাকবে না।
১২. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো।
১২.১ বৃষ্টির সময় তোমার চারপাশের প্রকৃতি কেমন রূপ নেয় সে সম্পর্কে কয়েকটি বাক্য লেখো।
উত্তর: বর্ষা ঋতু হল বৃষ্টির কাল। বর্ষার বারিধারায় পুষ্ট হয়ে আমাদের চারিদিকের প্রকৃতি সবুজ বর্ণ ধারণ করে। গ্রীষ্মকালের প্রখর দাবদাহে গাছ মৃতপ্রায় হয়ে গিয়েছিল, তারা নতুন করে আবার প্রাণ ফিরে পায়। বর্ষা প্রকৃতি যৌবনাবতী হয়ে ওঠে। তারা নতুন প্রাণে হাওয়ার দোলা দেয় এবং সে আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে ওঠে।
১২.২ পিঁপড়ে গাছের পাতায় আশ্রয় নিয়েছিল কেন?
উত্তর: বর্ষা নেমেছে, নীচেও বান ডেকেছে। জলে চারিদিক থইথই করছে। এই পরিস্থিতিতে প্রাণ বাঁচানোর জন্য পিঁপড়ে গাছের পাতায় আশ্রয় নিয়েছে।
১২.৩ পাতা কেন পিঁপড়েকে তার শরীর কামড়ে ধরতে বলেছিল?
উত্তর: বৃষ্টির আঘাতে পাতাটি কাঁপছিল, মনে হচ্ছিল বোধ হয় এলিয়ে পড়বে। ছোট্ট পিঁপড়ে ভেসে যাবে অসীম জলে, তাই পাতা পিঁপড়েকে বলেছিল জোরে তার শরীর কামড়ে ধরতে।
১২.৪ পাতা কী বলে পিঁপড়েকে প্রবোধ দিতে চেয়েছিল ? ‘কাজে আসে না কোনোটাই’— এখানে তার কোন কাজে না আসার কথা বলা হয়েছে ?
উত্তর: পিঁপড়ে সাঁতার জানে, হাঁটতে জানে আবার প্রয়োজনে দৌড়াতেও পারে সুতরাং তার ভয়ের কোনো কারণ নেই বলে পাতা পিঁপড়েকে প্রবোধ দিতে চেয়েছিল।
কিন্তু প্রয়োজনের সময় পিঁপড়ের হাঁটা, সাঁতার জানা এমনকি দৌড়ানোও কোনো কাজে আসে না। বর্ষা ঋতুতে পিঁপড়ে জলে পড়ে গেলে সে হাবুডুবু খায় এমনকি তার মৃত্যু হওয়াও অসম্ভব নয়। তাই পিঁপড়ের জানা তিন বিদ্যা হাঁটা, সাঁতার জানা এবং দৌড়ানো সবসময় কাজে আসে না।
১২.৫ ‘’তাই আজ বেঁচে গেলাম’— বক্তার ‘আজ’ বেঁচে যাওয়ার কারণ কী ?
উত্তর: বর্ষায় চারিদিক জলে থইথই করছে। কোথায়ও এতোটুকু ডাঙ্গা নেই। পিঁপড়ে একটা গাছের পাতায় আশ্রয় নিয়েছে। তাই পিঁপড়ে এ যাত্রায় বেঁচে গেছে।
১২.৬ পিঁপড়ে আর পাতা কীভাবে নিজেদের কষ্টের কথা গল্পে বলেছে তা একটি অনুচ্ছেদে লেখো।
উত্তর: বর্ষায় ঘোরতর বৃষ্টি নেমেছে। চারিদিকে জল থইথই করছে। এই অবস্থায় ঘাসের পাতা, পিঁপড়ে দুজনেই খুব কষ্টে পড়েছে। পিঁপড়ে অনেক কষ্টে আশ্রয় নিয়েছে একটি ঘাসের পাতার উপর, প্রচন্ড বৃষ্টির আঘাতে পাতা টলমল করলে সে জোরে কামড়ে ধরে। শরীরটা ডুবে ডুবে যাচ্ছে। আবার কোনোক্রমে প্রাণ বাঁচছে। রোদ্দুরে তাদের পুড়ে মরতে হয়, বর্ষায ডুবে মরতে হয়। তার বুক ভেঙে নিশ্বাস বের হয়ে আসে। পৃথিবীর বুকে যে জল জমেছে, তা কি কোনোদিন শুকাবে?
ঘাসের পাতারও দুঃখ কম নয়, চারিদিক জল থইথই করছে। গাছপালা সব জলে ডুবুডুবু। বৃষ্টির আঘাতে গাছের পাতা আহত হচ্ছে। বৃষ্টি থামলে সে নিজেকে একটু সোজা করে নিচ্ছে। পিঁপড়ের মতো সে হতাশাবাদী নয়। তার আশা বৃষ্টি সরে যাবে, আবার ডাঙা জেগে উঠবে।
১২.৭ পিঁপড়ের সঙ্গে গাছের কথাবার্তা নিয়ে সংলাপ তৈরি করো। শ্রেণিকক্ষে অভিনয়ের আয়োজন করো।
উত্তর: পিঁপড়ে – এতো বৃষ্টি চারিদিক জলে থইথই করছে। খাল বিল ডুবুডুবু এখন প্রাণ বাঁচানো দায়।
পাতা – ভয় পেয়ো না, কিছুই হবে না, জোর বৃষ্টি এসেছে তুমি আমাকে আরো জোরে কামড়ে ধরো। আমার কোনো ব্যথা লাগবে না।
পিঁপড়ে – ভাই পাতা তুমি ছিলে বলে এ
যাত্রায় প্রাণে বেঁচে গেছি। চারিদিকে জল, হাঁটা চলা, খাবার সংগ্রহ করার কোনো উপায় নেই।
পাতা – আরে অতো ভাবছো কেন? বাদল থেমে যাবে, তোমরা তো হাঁটতে চলতে ছুটতে পারো, কতো কি জানো! জিমনাস্টিক্স পর্যন্ত জানো। আর আমি কিছুই পারি না। এক স্থানে দাঁড়িয়ে থাকি, কোনরকমে শুঁড়টুড় বাড়াই।
পিঁপড়ে – হাঁটতে চলতে পেরেই কী লাভ ? কোনো কাজেই তো এলো না। ডাঙায় রোদ্দুরে দিনে পুড়ে মরি, বর্ষায় ভেসে যাওয়ার উপক্রম।
পাতা – দেখো পিঁপড়ে তুমি কতো কাজ কর ও সারাদিন খেটে যাও।
পিঁপড়ে – এতো খেটে কি লাভ? শুধু খেটে যাই, আর খাই, গর্তে চলে যাই। অথচ তোমরা পৃথিবীর উপরে হাস ফুল ফোটাও, আরো কতো কি দান করো, মাটি আমাদের পৃথিবী তোমাদের।
পাতা – এভাবে হতাশ হয়ো না, বর্ষা থেমে যাবে শরৎ আসবে, গাছ, প্রাণী সবাই বাঁচবে।
১২.৮ ‘মাটি সবারই’– পাতার এই কথার মধ্য দিয়ে কোন সত্য ফুটে উঠেছে ?
উত্তর: পাতা মনে করে পৃথিবীর মাটিতে সকলের সমান অধিকার। মাটিতেই আমাদের জন্ম এবং মাটির উপর নির্ভর করেই আমরা জীবনধারণ করে থাকি। মাটি হল প্রকৃতির সার্বজনীন দান। প্রকৃতির সম্পদে সবাই দাবিদার। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে প্রকৃতি সকলকে তার সম্পদ সমভাবে বণ্টন করে দেয়।
১২.৯ মেঘের আড়াল থেকে বৃষ্টি কোন কথা শুনতে পেয়েছিল ? তা শুনে বৃষ্টি পিঁপড়েকে কী বলল ?
উত্তর: মেঘের আড়াল থেকে বৃষ্টি পাতা ও পিঁপড়ের কথোপকথন মনোযোগসহকারে শুনছিল। পিঁপড়ে ভয় পেয়ে বলেছিল এ জল পার হব কী করে ?
উভয়ের কথাবার্তা শোনার পর বৃষ্টি পিঁপড়েকে ঘাসের মতো নির্ভীক হতে বলেছিল।
১২.১০ শরত ঋতুর প্রকৃতি কেমন সে বিষয়ে একটি অনুচ্ছেদ রচনা করো।
উত্তর: শরতকালে নীল আকাশের রঙ আরো আরো গাঢ় হয়ে ধরা দেয়। তার কোলে পেঁজা তুলোর মতো মেঘ যখন ঘুরে বেড়ায়, সেই দৃশ্য অনির্বচনীয়। ইলশে গুঁড়ি বৃষ্টি পড়ে মনে হয় ঝিরঝির করে তুষার পড়ছে। চারিদিক সবুজ গাছপালায় ঢেকে যায়। খাল-বিল-নদী-পুকুর-নালা জলে থৈথৈ করে। তাতে রঙীন শাপলা, শালুক, পদ্ম ফুটে। মৌমাছি, প্রজাপতির গুঞ্জন বেড়ে যায়। বাতাসে পুজোর গন্ধ পরিবেশকে আরো মনোরম করে তোলে।
১২.১১ পাতা, বৃষ্টি, জল, ঘাসের পাতা কে কীভাবে পিঁপড়ের মনে সাহস জুগিয়েছিল—তা আলোচনা করো।
উত্তর: পাতা বলেছিল — আমাকে জোরে কামড়ে ধরো, ভয় পেয়ো না, তোমরা তো সাঁতার জানো, হেঁটে, দৌড়ে চলো। তোমার আবার ভয় কি?
বৃষ্টি বলেছিল — তোমার বড্ড ভয়। তোমার পাতা বন্ধুকে কোনোদিন ভয় পেতে দেখিনি। রোদ্দুরে পুড়ে বন্ধুর দল ধুলো হয়ে যায়। যেই ডাক দি ধুলো ঝেড়ে সারাদেশ সবুজ হয়ে ওঠে।
জল বলেছিল — যে ঘাসকে আমি ডুবিয়ে, কাদায় লুটিয়ে, তলিয়ে দিয়ে ছুটি, শরতে চেয়ে দেখি তারাই কাশবন হয়ে হাসছে।