এই নিবন্ধে আমরা ষষ্ঠ শ্রেণির নবম অধ্যায় ” হাট ” কবিতার প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে জানবো। Class 06 Bangla Chapter 10 Question Answer
Class 6 Bangla Chapter 10 Question Answer ষষ্ঠ শ্রেনীর বাংলা অধ্যায় ‘ হাট ‘ প্রশ্ন উত্তর
Table of Contents
১.১ কোন্ সাহিত্যিক গোষ্ঠীর সঙ্গে যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল ?
উত্তর: কল্লোল সাহিত্যিক গোষ্ঠীর সঙ্গে যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল।
১.২ তাঁর রচিত দুটি কাব্যগ্রন্থের নাম লেখো।
উত্তর: তাঁর রচিত দুটি কাব্যগ্রন্থের নাম ‘অনুপূর্বা’ এবং ‘মরুমায়া’।
২. নীচের বাক্যগুলি থেকে এমন শব্দ খুঁজে বের করো যায় প্রতিশব্দ কবিতার মধ্যে আছে। কবিতার সেই শব্দটি পাশে লেখো।
২.১. আঁধার-সাঁঝে বনের মাঝে উল্লাসে প্রাণ ঢেলেছে।’
উত্তর: সাঁঝে-সন্ধ্যায়।
২.২. আলো, আমার আলো, ওগো আলো ভুবন-ভরা।’
উত্তর: আলো-আলোক।
২.৩. ‘তুমি আমার সকালবেলার সুর।’
উত্তর: সকালবেলা-প্রভাত।
২.৪. ‘আমার রাত পোহালো শারদ-প্রাতে।’
উত্তর: রাত-নিশা।
২.৫. দিনেরবেলা বাঁশী তোমার বাজিয়েছিল।’
উত্তর: দিনেরবেলা – দিবস।
৩. সমোচ্চারিত বা প্রায়-সমোচ্চারিত ভিন্নার্থক শব্দযুগলের অর্থপার্থক্য দেখাও :
উত্তর: দীপ—প্রদীপ, দ্বীপ—জল বেষ্টিত স্থলভাগ।
দর—দাম, দড়-পারদর্শী।
শাখ—শাখাপ্রশাখা, শাঁখ শঙ্খ।
বাধা-নিষেধ, বাঁধা বন্ধন।
নিত্য—রোজ, নৃত্য—নাচ ।
8. নীচের শব্দগুলি গদ্যে ব্যবহার করলে কেমন হবে লেখো : সহিয়া, সেথা, সহি, সবে, তবে, মুদিল
উত্তর: সহিয়া—সহ্য করে।
সেথা — সেখানে।
সহি—সহ্য করি।
সবে—সকলে।
তবে —তাহলে।
মুদিল— বন্ধ করল।
৫. নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর লেখো :
৫.১ কতগুলি গ্রামের পরে সাধারণত একটি হাট চোখে পড়ে?
উত্তর: দশ-বারোটা গ্রামের পরে সাধারণত একটি হাট চোখে পড়ে।
৫.২ হাটে সন্ধ্যাপ্রদীপ জ্বলে না কেন?
উত্তর: হাটে সন্ধ্যাবেলায় সেখানে কেউ থাকে না বলে সন্ধ্যাপ্রদীপ জ্বলে না।
৫.৩ কার ডাকে রাত্রি নেমে আসে ?
উত্তর: একক কাকের ডাকে রাত্রি নামে।
৫.৪ ওপারের লোক কেন এ পারেতে আসে ?
উত্তর: ওপারের লোক পসরা সাজিয়ে এপারে বিক্রি করতে আসে।
৫.৫ ‘হিসাব নাহিরে—এলো আর গেলো কত ক্রেতা বিক্রেতা।’—কোনো হিসাব নেই কেন ?
উত্তর: হাটে অসংখ্য মানুষ নিজেদের প্রয়োজনে কেনাবেচার জন্য আসে। প্রতিদিনের এই চেনা-অচেনা মানুষের হিসাব রাখা সম্ভব নয়। তাই কোনো হিসাব নেই।
৬. কবিতায় বর্ণিত হার্টের চেহারাটি কেমন লেখো : হাট বসার আগে, হাট চলাকালীন, হাট ভাঙার পর
উত্তর:
হাট বসার আগে : হাট বসার আগে হাটের স্থানটি জনশূন্য, ঝাঁট পড়ে না, ফাঁকা এবং অপরিচ্ছন্ন ভাবে পড়ে থাকে।
হাট চলাকালীন: হাটে অনেক মানুষের আনাগোনা দেখা যায়। ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে দেখা যায় কেনা বেচা ও দর কষাকষি। কানাকড়ি নিয়ে চলে টানাটানি। হাট চলাকালীন বহু মানুষের ভিড়ে হাটের পরিবেশ কোলাহলমুখর হয়ে ওঠে।
হাট ভাঙার পর: কেউ গাঁটে কড়ি বেঁধে নিয়ে যায়। কেউ বা খালি হাতে ফিরে যায়। সন্ধ্যায় নেমে আসে হাটের বুকে নিস্তব্ধতা, জনশূন্যতা আর কালো অন্ধকার।
৭. নীচের প্রশ্নগুলির নিজের ভাষায় উত্তর লেখো :
৭.১ হাটের স্থান ছাড়িয়ে দূরের গ্রামের ছবি কীভাবে কবিতায় ফুটে উঠেছে?
উত্তর: হাট কবিতায় দেখা যায় দশ-বারোখানি গ্রামের মাঝখানে একটি হাট। সেই গ্রামের লোকজন হাট থেকে প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনে যে যার ঘরে ফিরে যায়। সন্ধ্যাবেলায় গ্রামগুলিতে প্রত্যেক ঘরে ঘরে সন্ধ্যাপ্রদীপ জ্বলে ওঠে। দূরে অবস্থিত হলেও অন্ধকারে ঢাকা নির্জন এক হাট সেই গ্রামের পার্শ্ববর্তী নদীর বাতাসের দীর্ঘনিশ্বাস শুনতে পায়। গ্রামের মানুষজন তখন নিজ নিজ কাজে ব্যস্ত থাকলেও হাট একাকী পড়ে থাকে চেনা-অচেনা মানুষের অপেক্ষায়।
৭.২ প্রকৃতির ছবি কীরূপ অসীম মমতায় কবিতায় আঁকা হয়েছে—তা আলোচনা করো।
উত্তর: কবি কল্পনা করেছেন, বকের পাখায় সূর্যাস্তের শেষ আলো ঢাকা পড়ে যায়। ধীরে ধীরে সন্ধ্যা নেমে আসে। দূরের গ্রামগুলিতে সন্ধ্যাপ্রদীপ জ্বলে ওঠে। কিন্তু হাট পড়ে থাকে অন্ধকারে। সেখানে দলছুট কোনো ক্লান্ত কাকের ডাকে সন্ধ্যা নেমে আসে। হাটের জীর্ণ দোচালা ঘুমিয়ে পড়ে। বাঁশের ফাঁকে হাওয়া ঢুকে বাঁশির মতো বাজতে থাকে। উদাস আকাশ, মুক্ত বাতাস খেলা করে। নদীর বাতাস যেন পাকুড় গাছের শাখায় প্রশ্বাস ছাড়ে। অথচ দিনের বেলায় হাটের এই মুক্ত প্রাঙ্গনে মানুষের আনাগোনার শেষ নেই। তখন কত কোলাহল, হিসাব-নিকাশ, লাভ-ক্ষতি। এই নাটক চিরন্তন।
৭.৩ ‘বাজে বায়ু আসি বিদ্রুপ-বাঁশি’—কবির এমন মনে হওয়ার কারণ কী বলে তোমার মনে হয় ?
উত্তর: সন্ধ্যা হলে হাট ভেঙ্গে যায়। সকলে যে যার ঘরে ফেরে। হাট নির্জনে একা বিরাজ করে। হাটের দোচালার বাঁশ পুরোনো হয়ে গিয়ে জীর্ণ হয়ে যায়, তখন তাদের মধ্যে ফাঁক সৃষ্টি হয়। এই ফাঁক দিয়ে হাওয়া চলাচল করে। ফলে কবির মনে হয় যেন বাতাসে বিদ্রূপের বাঁশি বাজে। সেই বাঁশি হাটকে মনে করিয়ে দেয় তার একাকীত্বের কথা, নির্জনতার কথা। দিনের বেলা কত কোলাহল অথচ রাত্রে অন্ধকার ও গভীর নির্জনতা। কবি কল্পনা করছেন হাটের নির্জনতাকে প্রকৃতি বিদ্রুপ করছে তার একাকীত্বের জন্য।
৭.৪ উদার আকাশে মুক্ত বাতাসে চিরকাল একই খেলা।’— কোন্ প্রসঙ্গে কবি আলোচ্য পঙক্তিটি লিখেছেন তিনি এখানে কোন্ ‘খেলা’-র কথা বলেছেন? ‘চিরকাল’ চলে বলতে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন?
উত্তর:
পঙক্তিটি কবি যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত, ‘হাট’ কবিতা নেওয়া হয়েছে।
এখানে ‘খেলা’ বলতে একদিকে যেমন হাটের প্রতিবার বসা আর ভাঙার কথা বলেছেন, তেমনি তারই মধ্য দিয়ে কবি আসা-যাওয়া অর্থাৎ জন্ম ও মৃত্যুর কথা বুঝিয়েছেন।
হাটের মতোই পৃথিবীর বুকে মানুষ আসে আর যায়। সৃষ্টির শুরু থেকে আজ পর্যন্ত আমাদের জীবনে আসা-যাওয়া অর্থাৎ জন্মমৃত্যুর খেলা চলছে। অর্থাৎ এই চলমানতা চিরন্তন বা সনাতন। তাই কবি একথা বলেছেন। একজন মানুষ তার জীবন কাটিয়ে চলে যায় তার বদলে আরেকজন শিশু জন্মগ্রহণ করে। একেই ‘চিরকালের খেলা’ বলেছেন কবি।
৭.৫ তোমার দেখা কোনো হাটের/বাজারের অভিজ্ঞতা জানিয়ে দূরে থাকে এমন কোনো বন্ধুর কাছে একটি চিঠি লেখো।
উত্তর: নিজে করো।
৭.৬ তোমার দেখা একটি হাট বা বাজারের ছবি তুমি এঁকে দেখাও ৷
উত্তর: নিজে করো।
৭.৭ এখন হাট’ ও ‘বাজার’-এর মধ্যে কোনো তফাত খুঁজে পাও? এ বিষয়ে তোমার মতামত জানিয়ে পাঁচটি বাক্য লেখো।উত্তর: হ্যাঁ। হাট রোজ বসে না, বাজার রোজ বসে। হাট নির্দিষ্ট একদিন বা দুদিন বসে, কিন্তু বাজার প্রতিদিন নির্দিষ্ট স্থানে বসে। হাটে খাদ্যদ্রব্য ছাড়াও আরও নানা জিনিস বিক্রি হয়, কিন্তু বাজারে প্রধানত খাবারের জন্য কাঁচামাল পাওয়া যায়। হাট নানা ধরনের হয়, যেমন পাখিপশুর হাট, কিন্তু বাজারে এধরনের কোনো বিক্রিবাটা হয় না। হাটের ব্যাপ্তি বড়ো, কিন্তু বাজারের ব্যাপ্তি বড়ো নয় ৷