Class 6

Class 6 Bangla Chapter 02 Question Answer ষষ্ঠ শ্রেনীর বাংলা অধ্যায় ০২ ‘ সেনাপতি শঙ্কর ‘ প্রশ্ন উত্তর

এই নিবন্ধে আমরা ষষ্ঠ শ্রেণির দ্বিতীয় অদধ্যায় “সেনাপতি শঙ্কর” কবিতার প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে জানবো। Class 06 Bangla Chapter 02 Question Answer

Class 6 Bangla Chapter 02 Question Answer ষষ্ঠ শ্রেনীর বাংলা অধ্যায় ০২ ‘ সেনাপতি শঙ্কর ‘ প্রশ্ন উত্তর

১.১ শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা দুটি বইয়ের নাম লেখো।

উত্তর : শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা দুটি বইয়ের নাম— ‘সেনাপতি শংকর’ এবং ‘কুবেরের বিষয় আশয়’।

১.২ তিনি কোন্ বইয়ের জন্য সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার পেয়েছিলেন ?

উত্তর : তিনি ‘শাহাজাদা দারাশুকো’ উপন্যাসের জন্য সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার পেয়েছিলেন।

২. নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর দাও :

২.১ আকন্দবাড়ির স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা কোন্ কোন্ জায়গা থেকে পড়তে আসে ?

উত্তর : আকন্দবাড়ির স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা ভেটুরিয়া, সাঁইবাড়ি, ঘোলপুকুর আর আকন্দবাড়ি থেকে পড়তে আসে।

২.২ স্কুলের জানলা থেকে কী কী দেখা যায় ?

উত্তর : স্কুলের জানলা দিয়ে আকাশের মেঘ দেখা যায়, দেখা যায় পাখি উড়ছে।

২.৩ শংকর কীসের স্বপ্ন দেখে?

উত্তর : শংকর স্বপ্ন দেখে শঙ্খচিলের মতো ঘোলপুকুরে গাব গাছের উঁচু ডাল থেকে ঝাঁপ দিচ্ছে বড়ো দিঘিতে। সোজা জলে না পড়ে সে ভাসছে শঙ্খচিলের মতোই। ডানার বদলে দুহাতে বাতাস কেটে।

২.৪ শংকরের স্বপ্নে বাতাসের রং কী ?

উত্তর : শংকরের স্বপ্নে বাতাসের রং নীলচে।

২.৫ এমু ছাড়া উড়তে পারে না শুধু দৌড়তে পারে এমন একটি পাখির নাম লেখো।

উত্তর : এমু ছাড়া উড়তে পারে না শুধু দৌড়তে পারে এমন একটি পাখির নাম উটপাখি ।

৩. গল্প থেকে একই অর্থযুক্ত শব্দ খুঁজে নিয়ে লেখো :

বিদ্যালয়, অনিল, জগৎ, একাগ্রচিত্ত, পাখা, রোপণ করা।

উত্তর : বিদ্যালয়—স্কুল। অনিল—বাতাস। জগৎ—পৃথিবী। একাগ্রচিত্ত—একমনা। পাখা—ডানা। রোপণ করা—রোয়া। 

৪. বিপরীতার্থক শব্দ লিখে তা দিয়ে বাক্য রচনা করো :

ভিজে, রাত, বাইরে, গাঢ়, বিশ্বাস।

উত্তর : 

ভিজে—শুকনো : বাতাসে শুকনো পাতা ঝরে পড়ার শব্দ শোনা যাচ্ছে।

রাত—দিন : শীতকালে দিন ছোটো হয়।

বাইরে—ভিতরে : ঘরের ভিতরে এখন গোপন মিটিং চলছে।

গাঢ়—হাল্কা : হাল্কা আলোয় লোকটিকে ঠিকমতো চেনা গেল না। 

বিশ্বাস—অবিশ্বাস : সৎ মানুষকে অবিশ্বাস করা উচিৎ নয়।

৫. সন্ধি বিচ্ছেদ করো : 

বঙ্গোপসাগর, তন্ময়, সাবধান, ত্রিশেক, পঞ্চানন।

উত্তর : 

বঙ্গোপসাগর = বঙ্গ + উপসাগর। 

তন্ময় = ত‍ + ময়। 

সাবধান = স + অবধান। 

ত্রিশেক = ত্রিশ + এক। 

পঞ্চানন = পঞ্চ + আনন ।

৬. নীচের শব্দগুলির কোনটি বিশেষ্য এবং কোন্‌টি বিশেষণ তা খুঁজে নিয়ে আলাদা দুটি স্তম্ভে সাজাও। এরপর বিশেষ্যগুলির বিশেষণের রূপ এবং বিশেষণগুলির বিশেষ্যের রূপ লেখো :

প্রকৃতি, ব্যথা, মাটি, বিশ্বাস, জল, মাঠ, শব্দ।

উত্তর :

বিশেষ্য             বিশেষণ
প্রকৃতি         প্রাকৃতিক
ব্যথা             ব্যথিত
মাটি           মেটে
বিশ্বাস           বিশ্বাসী, বিশ্বস্ত
মাঠ           মেঠো
শব্দ             শাব্দিক
জল           জলীয়

৭. সমোচ্চারিত বা প্রায়-সমোচ্চারিত ভিন্নার্থক শব্দগুলির অর্থ লিখে বাক্যে প্রয়োগ করো :

উত্তর :

ভাষা — (যার দ্বারা কথা বলা হয়) : বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা।

ভাসা — (ভেসে থাকা) : একটানা দশ মিনিট জলে ভাসা আমার পক্ষে অসম্ভব নয়।

পড়ে — (পড়াশোনা করে) : কবিতা ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে।

পরে — (পরিধান করে) : সে জামাপ্যান্ট পরে স্কুলে এসেছে।

শংকর — (শিব) : শংকর বেল পাতাতে তুষ্ট হন। 

সংকর — (মিশ্র) : পুতুলটি সংকর ধাতুতে তৈরি।

মাথা — (মস্তক) : মাথা উঁচু করে চলা উচিৎ। 

মাতা — (মা) : মাতা সকলের কাছে প্রিয়।

বাঁশ — (বংশ) : বাঁশ আমাদের নানা কাজে লাগে।

বাস — (বসবাস) : আমরা বহু বছর ধরে কলকাতায় বাস করছি।

৮. গল্পে বেশ কিছু পাখি ও গাছের নাম আছে। এই পাখি ও গাছের নামের তালিকা তৈরি করে এগুলি সম্পর্কে তথ্য জানিয়ে নামের পাশে পাশে লেখো। প্রয়োজনে শিক্ষক-শিক্ষিকার সাহায্য নাও। এগুলি ছাড়াও তোমার জানা আরও কিছু পাখি আর গাছের নাম, তাদের বৈশিষ্ট্য লিখে নীচের ছকটি পূরণ করো।

উত্তর :

পাখির নাম আকার রঙ ঠোঁট লেজ পা ঝুটি

তিতির মাঝারি বাদামি ছোটো ছোটো ছোটো নেই

পানকৌড়ি মাঝারি কালো সরু, লম্বা মাঝারি সরু আছে

কাক মাঝারি কালো শক্ত, বড়ো মাঝারি মাঝারি নেই

মাছরাঙা মাঝারি নীল, হলুদ শক্ত, লম্বা মাঝারি ছোটো নেই

হাঁড়িচাচা ছোটো বাদামি, ধূসর লম্বা লম্বা ছোটো নেই

গাছের নাম আকার কী জাতীয় পাতাগুলো কেমন ফুল ফল কোথায় দেখেছ

সবেদা মোটামুটি বড় বৃক্ষ লম্বা, সরু সাদা গোলাকার বাগানে

নারকেল বেশ লম্বা বৃক্ষ সরু খুব লম্বা সাদা বড়ো বাগানে

আম বড়ো, ডালযুক্ত বৃক্ষ লম্বা, সরু খুব ছোটো লম্বাটে বাগানে

৯. নীচে কতগুলি উপসর্গ দেওয়া হল। গল্প থেকে উপযুক্ত শব্দ খুঁজে নিয়ে এই উপসর্গগুলি যুক্ত করে কয়েকটি নতুন শব্দ তৈরি করো।

উত্তর :

উপসর্গ         শব্দ                         নতুন শব্দ
বি       জ্ঞানবিজ্ঞান
প্রগাঢ় প্রগাঢ়
নিখাদনিখাদ
সু স্বপ্নসুস্বপ্ন
গা আগা

১০. নীচের বাক্যগুলি থেকে সংখ্যাবাচক শব্দ খুঁজে বের করো :

১০.১ পাঁচ-সাত মাইলের ভেতর বঙ্গোপসাগর।

উত্তর : পাঁচ-সাত ।

১০. জনা ত্রিশেক ছেলেমেয়ে বসে।

উত্তর : জনা ত্রিশেক।

১০.৩ সেদিকে তাকিয়ে একটি ছেলে আনমনা হয়ে পড়েছিল।

উত্তর : একটি।

১০.৪ এক-একদিন রাতে স্বপ্নের ভেতর সেও অমন ভেসে পড়ে।

উত্তর : এক-একদিন।

১১. নীচের বাক্যগুলি থেকে অনুসর্গ খুঁজে বার করো। প্রতিটি বাক্যের ভিতর যেসব শব্দ আছে তাদের সঙ্গে কী কী বিভক্তি যুক্ত হয়েছে দেখাও।

১১.১ এখানে বাতাসের ভেতর সবসময় ভিজে জলের ঝাপটা থাকে।

উত্তর : এখানে—এ বভক্তি, বাতাসের-এর বিভক্তি, ভেতর—অনুসর্গ, সবসময়-শূন্য বিভক্তি, ভিজে—শূন্য বিভক্তি, জলের-এর বিভক্তি, ঝাপটা–শূন্য বিভক্তি, থাকে–শূন্য বিভক্তি।

১১.২ মাটির মেঝে।

উত্তর : মাটির–র বিভক্তি, মেঝে-শূন্য বিভক্তি।

১১.৩ সেই জানালা দিয়ে মেঘ দেখা যায় আকাশের।

উত্তর : সেই—শূন্য বিভক্তি, জানালা – শূন্য বিভক্তি, দিয়ে—অনুসর্গ, মেঘ–শূন্য বিভক্তি, দেখা-শূন্য বিভক্তি, যায়—শূন্য বিভক্তি, আকাশের—এর বিভক্তি।

১১.৪ স্বপ্নের ভেতর সে খাট থেকে পড়েও যায়।

উত্তর : স্বপ্নের—এর বিভক্তি, ভেতর-অনুসর্গ, সে–শূন্য বিভক্তি, খাট–শূন্য বিভক্তি, থেকে—অনুসর্গ, পড়েও–অনুসর্গ, যায়—শূন্য বিভক্তি।

১১.৫ সে তার স্বপ্নের কথা আর কাউকে কখনও বলবে না।

উত্তর : সে—এ বভক্তি, তার–র বিভক্তি, স্বপ্নের—এর বিভক্তি, কথা-শূন্য বিভক্তি, আর–র বিভক্তি, কাউকে—এ বভক্তি, কখনও–অনুসর্গ, যায়—শূন্য বিভক্তি।

১২. নীচের বাক্যগুলি থেকে উদ্দেশ্য ও বিধেয় অংশ খুঁজে নিয়ে লেখো।

১২.১ আকন্দবাড়ি স্কুলের ক্লাস ফাইভে বিভীষণ দাশ এমু পাখির কথা বলেছিলেন।

১২.২ স্কুলের সামনে ধানক্ষেতে রোয়া ধান সবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।

১২.৩ গাঢ় ছাই রঙের বিরাট এক পাখি।

১২.৪ তন্ময় হয়ে শুনছিল শংকর।

১২.৫ এই খোলামেলা পৃথিবীই সবচেয়ে বড়ো বই।

উত্তর :

উদ্দেশ্যবিধেয়
১২.১ আকন্দবাড়ি স্কুলের ক্লাস ফাইভে বিভীষণ দাশ এমু পাখির কথা বলেছিলেন।
১২.২ স্কুলের সামনে ধানক্ষেতে রোয়া ধান সবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।
১২.৩ বিরাট এক পাখি গাঢ় ছাই রঙের।
১২.৪ শংকর তন্ময় হয়ে শুনছিল।
১২.৫ এই খোলামেলা পৃথিবীই সবচেয়ে বড়ো বই।

১৩. ‘কথা’, ‘চোখ’ –এই শব্দগুলির প্রত্যেকটিকে দুটি আলাদা অর্থে ব্যবহার করে বাক্য লেখো।

উত্তর : 

কথা—

ক) তোমার কথা খুব মিষ্টি। (গলার স্বর অর্থে)

খ) কথা দিলাম তোমার উপকার করব। (প্রতিশ্রুতি অর্থে)।

চোখ—

ক) সে চোখে কম দেখে। (নয়ন অর্থে)

খ) বাচ্চাটাকে চোখে চোখে রেখো। (নজরে রাখা অর্থে)

১৪. নীচের বাক্যগুলির মধ্যে কোনটি সরল, কোনটি জটিল ও কোটি যৌগিক বাক্য তা খুঁজে নিয়ে লেখো।

১৪.১ জানলায় কোনো শিক নেই।

উত্তর : সরল বাক্য ।

১৪.২ জেগে থাকতে দেখা আর স্বপ্নে দেখা জিনিস আজকাল শংকরের গুলিয়ে যাচ্ছে।

উত্তর : যৌগিক বাক্য।

১৪.৩ পাখি দেখার জন্য যখন মাঠে বা বাগানে ঘুরবে তখন খুব সাবধানে পা টিপে টিপে চলবে। 

উত্তর : জটিল বাক্য ।

১৪.৪ বিভীষণ মাসসাই যে তাকে এমন একটা কথা বলবেন তা ভাবতে পারেনি শংকর।

উত্তর : জটিল বাক্য।

১৫. নীচের শব্দগুলি দিয়ে বাক্য তৈরি করে একটি অনুচ্ছেদের রূপ দাও : 

গুঁড়ো, প্রকৃতি, জানলা, ডানা, ছায়া, শব্দ, স্বপ্ন, খোলামেলা।

উত্তর : বাইরে হাওয়ায় বৃষ্টির গুঁড়ো উড়ে বেড়াচ্ছে। জানলা দিয়ে একমনে তাকিয়ে দেখছে ঝিমলি। প্রকৃতি যেন রোজ নতুন সাজে এসে হাজির হয়। গাছে বসা সবুজ টিয়ার ডানায় মুক্তোর মতো বিন্দু বিন্দু জল। গাছের নীচে ছায়া আজ আর নেই। চারদিকে পাখির কিচিরমিচির শব্দ শোনা যাচ্ছে। যেন এক অজানা স্বপ্নের দেশ। প্রকৃতির এমন খোলামেলা দৃশ্য সত্যিই বিরল।

১৬. নীচের প্রশ্নগুলির নিজের ভাষায উত্তর লেখো :

১৬.১ ‘পাগলা বাতাসে তার ঢেউয়ের গুঁড়ো সবসময়ে উড়ে আসছে’—এখানে বাতাসকে ‘পাগলা’ বলা হলো কেন?

উত্তর :লেখক শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা ‘সেনাপতি শংকর’ গল্প থেকে উপরিউক্ত অংশটি নেওয়া হয়েছে।

এখানে বাতাসকে পাগলা বলা হয়েছে কারণ হলো দিগবিহীন অবস্থা যে জায়গার কথা এখানে বলা হয়েছে তার পাঁচ-সাত মাইলের ভিতরে বঙ্গোপসাগর রয়েছে। আর বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী এলাকায় প্রচুর উত্তাল বাতাস বইতে থাকে তাই এই বাতাসকে পাগলা বাতাস বলা হয়েছে।

১৬.২ ‘বিভীষণ দাশ এমু পাখির কথা বলেছিলেন।’—গল্পের ‘বিভীষণ দাশ’-এর পরিচয় দাও। এমু পাখি ছাড়া গল্পে আর কোন্ পাখির প্রসঙ্গ এসেছে?

উত্তর : লেখক শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা ‘সেনাপতি শংকর’ গল্প থেকে উপরিউক্ত অংশটি নেওয়া হয়েছে।

বিভীষণ দাস আকন্দবাড়ী স্কুলের একজন শিক্ষক। তার বই পড়ানোর রীতি লক্ষ্য করলে বোঝা যায় তিনি একজন আদর্শ শিক্ষক। পড়ানোর সময় অমনোযোগী হওয়া তিনি মোটেও পছন্দ করেন না। তিনি যাচাই করে নিতে চান ক্লাসে প্রত্যেকে তার কথা মনোযোগ সহকারে শুনছে কিনা। ছাত্রের কথা তিনি মনোযোগ দিয়ে শোনেন তথাকথিত গতানুগতিক পুস্তকের শিক্ষায় তিনি বিশ্বাসী ন।ন তার মতে এই সমগ্র বিশ্বভুবন একটি বইয়ের মত আমাদের প্রত্যেকের কিছু না শেখা উচিত। 

গল্পে এমু পাখি ছাড়া বাজপাখি, শঙ্খচিল, তিতির, পানকৌড়ি, হাঁড়িচাচা, মাছরাঙা, ডৌখোল ইত্যাদি পাখির প্রসঙ্গ আছে।

১৬.৩ “শংকর বুঝল, কোথাও একটা বড়ো ভুল হয়ে যাচ্ছে।”—কে এই শংকর ? তার স্বভাবের প্রকৃতি কেমন ? তার যে কোথাও একটা বড়ো ভুল হয়ে যাচ্ছে—এটা সে কীভাবে বুঝতে পারল ?

উত্তর : শংকর আকন্দপুর গ্রামের ক্লাস ফাইভ এর একজন ছাত্র। শঙ্করের প্রকৃতি অন্যান্য ছেলেদের থেকে আলাদা ছিল। ক্লাস চলাকালীন যখন প্রত্যেকে ছাত্র স্যারের ভয়ে মন দিয়ে পড়া শুনছে তখন নির্দ্বিধারে সে কল্পনার রাজ্যে বিচরণ করেছে। সে প্রকৃতি বড় ভালোবাসে। পাখিদের গতিপ্রকৃতি লক্ষ্য করতো সে, সে জানত বহু পাখির রং ,স্বভাব, নাম, প্রকৃতি।

সবেদা গাছের ডালে সে এমু পাখি দেখেছে এ কথা বলতে যখন মাস্টারমশাই ধাউর সুরে যখন কথা বলছিল তখন সে বুঝতে পেরেছিল তার কোথাও একটা বড় ভুল হয়েছে। 

১৬.৪ এমু পাখির যে বর্ণনা শংকর দিয়েছিল তার সঙ্গে পাখিটির মিল বা অমিল কী লেখো।

উত্তর :

১৬.৫ ‘এটা কি পঞ্চানন অপেরা পেয়েছো?’—’অপেরা’ বলতে কী বোঝ? এখানে অপেরার প্রসঙ্গ এল কেন? 

উত্তর: ‘অপেরা’ বলতে যাত্রাপালা বা থিয়েটার বা নাটক করেন তাদের দলকে ৷ এক কথায় অভিনয় করার সাথে যুক্ত এমন কিছুকে। 

বিভীষণ দাসের শঙ্করের কথাগুলি শুনে কিছুক্ষণের জন্য মনে হয়েছিল শংকর বোধহয় বানিয়ে বানিয়ে কল্পনার ওপর ভিত্তি করে ইচ্ছেমত বুলি আওড়াচ্ছে। ঠিক যেন অভিনয় করার মত। ঠিক তখনই ওই অপেরার প্রসঙ্গ এসেছে।

১৬.৬ ‘বলো, বলতেই হবে’—কাকে একথা বলা হলো? উদ্দিষ্টকে কোন্ কথা বলতে হবে বলে দাবি জানানো হয়েছে?

উত্তর :  ‘বলো, বলতেই হবে’— কথাটি মাস্টারমশাই বিভীষণ দাস ছাত্র শংকর সম্পর্কে বলেছেন। শংকর  দাবি করে যে সে খেলিপুকুরে এমু পাখি দেখেছে কিন্তু বিভীষণ দাস জানেন যে এমু পাখিদের বাসস্থান আন্দিত পর্বতমালাতে। তাই সে কি কিভাবে এমু পাখি দেখা পেল সে বিষয়ে মাস্টারমশাই দাবী করছেন বলার জন্য।

১৬.৭ গল্প অনুসরণে আকন্দবাড়ি স্কুলে প্রকৃতিবিজ্ঞান ক্লাসে উদ্ভুত পরিস্থিতি নিজের ভাষায় লেখো।

উত্তর :  আকন্দবাড়ি স্কুলে প্রকৃতিবিজ্ঞানের ক্লাসে শংকরের এমু পাখি দেখা নিয়ে এক বিশেষ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। শিক্ষক বিভীষণ দাশ যখন ক্লাসে পড়াচ্ছিলেন তখন শংকর জানালার ফাঁক দিয়ে আনমনা হয়ে আকাশের দিকে তাকিয়েছিল। শিক্ষকের প্রশ্নে জানায় যে, সে এমু পাখি দেখেছে। তার কল্পনায় দেখা এমু পাখির বাস্তবে কোনো মিল নেই। স্বপ্নে দেখা এমু পাখির কথা শুনে শিক্ষকের গলায় ঠাট্টার সুর ও সমস্ত ক্লাসের ছাত্রছাত্রীদের হাসি তাকে একটু ঘাবড়ে দেয়। শংকর অপ্রস্তুত অবস্থায় পড়েও সামলে নেওয়ার চেষ্টা করে। তবে, তার প্রকৃতি প্রেমের জন্য শিক্ষক তার প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে পড়েন। তাকে এই পৃথিবীর পাখি, গাছপালা, মেঘ, আলো চোখ খোলা রেখে দেখার জন্য উৎসাহিত করেন। তার বুকটা গর্বে ফুলে উঠে; আর সে-ই যুদ্ধ জয়ের সৈনাপতি।

১৬.৮ ‘স্বপ্নে সে অনেক কিছু জানতে পেরেছে।’—কার স্বপ্ন দেখার কথা বলা হয়েছে? স্বপ্ন দেখে সে কী জেনেছে?

উত্তর : আকন্দপুর গ্রামের ক্লাস ফাইভ এর একজন ছাত্র শঙ্করের স্বপ্ন দেখার কথা বলা হয়েছে। 

স্বপ্নে সে অনেক কিছু জানতে পেরেছে সে জেনেছে স্বপ্নে বাতাসের রং নীলকে, ঘোর-দর বাড়ি খয়েরী রংয়ের। স্বপ্নে ধাক্কা খেলে কোন ব্যথাই লাগে না। জলের নিচে পোতা বাঁশে গা ঘেসে গেলেও টের পাওয়া যায় না। 

১৬.৯ ‘পাখি দেখার জন্য যখন মাঠে বা বাগানে ঘুরবে’—তখন কীভাবে চলতে হবে?

উত্তর : পাখি দেখার জন্য মাঠে বা বাগানে ঘোরার সময় পা টিপে টিপে খুব সাবধানে চলতে হবে। জামা কাপড়ের রং শুকনো পাতার রং বা জলপাই রং-এর হলে ভালো হয়। এতে এই রং গাছের পাতার সাথে মিশে থাকে। বেগুনি রংয়ের জামা পড়লেও ভালো বেগুনির রং পাখিরা ভালো দেখতে পায় না। 

১৬.১০ “তাদের কথা বলতে পারো ?”—এই প্রশ্নের সূত্র ধরে বক্তা-শ্রোতার কথোপকথনের অংশটুকু নিজের ভাষায় লেখো।

উত্তর : মাস্টারমশাইয়ের পাখি দেখার প্রশ্নের উত্তরে শংকর মাছরাঙা পাখির কথা বলে। এছাড়া, হাঁড়িচাচা, পানকৌড়ি, তিতির পাখির কথাও বলে। মাস্টারমশাই সে কথা শুনে শংকরকে চোখ খোলা রেখে পৃথিবীর পাখি, গাছপালা, মেঘ, আলো সব দেখে নিতে বললেন। তাতে শংকরের বুক গর্বে ফুলে উঠল। মাস্টারমশাই আরও বললেন খোলামেলা পৃথিবীই সবচেয়ে বড়ো বই ও তাকে চোখ ভরে দেখাই সবচেয়ে বড়ো পড়াশুনো।

Class 6 Bangla Chapter 02 Question Answer ষষ্ঠ শ্রেনীর বাংলা অধ্যায় ০২ ‘ সেনাপতি শঙ্কর ‘ প্রশ্ন উত্তর

Shares:

Related Posts

class-6-bangla-chapter-16-question-answer
Class 6

Class 6 Bangla Chapter 16 Question Answer ষষ্ঠ শ্রেনীর বাংলা অধ্যায় ১৬’ এক ভূতুড়ে কান্ড’ প্রশ্ন উত্তর

এই নিবন্ধে আমরা ষষ্ঠ শ্রেণির ষষ্ঠদশ অধ্যায় " এক ভূতুড়ে কান্ড" কবিতার প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে জানবো। Class 06 Bangla Chapte 16 Question Answer Class 6 Bangla Chapter 16 Question Answer
class-6-bangla-chapter-23-question-answer
Class 6

Class 06 Bangla Chapter 23 Question Answer ষষ্ঠ শ্রেনীর বাংলা অধ্যায় ২৩ ‘কিশোর বিজ্ঞানী’ প্রশ্ন উত্তর

এই নিবন্ধে আমরা ষষ্ঠ শ্রেণির তেইশ অধ্যায় "কিশোর বিজ্ঞানী" কবিতার প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে জানবো। Class 06 Bangla Chapter 23 Question Answer Class 06 Bangla Chapter 23 Question Answer ষষ্ঠ শ্রেনীর
class-06-bangla-chapter-24-question-answer
Class 6

Class 06 Bangla Chapter 24 Question Answer ষষ্ঠ শ্রেনীর বাংলা অধ্যায় ২৪ ‘ননীদা নট আউট’ প্রশ্ন উত্তর

Class 06 Bangla Chapter 24 Question Answer ষষ্ঠ শ্রেনীর বাংলা অধ্যায় ২৪ 'ননীদা নট আউট' প্রশ্ন উত্তর এই নিবন্ধে আমরা ষষ্ঠ শ্রেণির অধ্যায় চব্বিশ "ননীদা নট আউট" কবিতার প্রশ্নের উত্তর
class-6-bangla-chapter-07-question-answer
Class 6

Class 6 Bangla Chapter 07 Question Answer ষষ্ঠ শ্রেনীর বাংলা অধ্যায় ০৭ ‘ কুমোরে পোকার বাসাবাড়ি’ প্রশ্ন উত্তর

এই নিবন্ধে আমরা ষষ্ঠ শ্রেণির সপ্তম অধ্যায় "কুমোরে পোকার বাসাবাড়ি" কবিতার প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে জানবো। Class 06 Bangla Chapter 7 Question Answer Class 6 Bangla Chapter 07 Question Answer ষষ্ঠ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *