এই নিবন্ধে আমরা পঞ্চম শ্রেণির বাংলার অষ্টম অধ্যায় অর্থাৎ “পাহাড়িয়া বর্ষার সুরে” গল্পের প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে জানবো। Class 06 Bangla Chapter 09 Question Answer |
Class 5 Bangla Chapter 9 Question Answer | পঞ্চম শ্রেনীর বাংলা অধ্যায় ০৯ ‘ পাহাড়িয়া বর্ষার সুরে ‘ প্রশ্ন উত্তর
Table of Contents
১. নিজের ভাষায় লেখো :
১.১. পশ্চিমবঙ্গের যে -কোনো একটি পাহাড়ের নাম লেখো।
উত্তরঃ অযোধ্যা পাহাড়।
১.২. পাহাড়ের কথা বললেই কোন ছবি তোমার চোখের সামনে ভেসে ওঠে ?
উত্তরঃ পাহাড়ের কথা বললেই অযোধ্যা পাহাড়ের কথা মনে পড়ে।
বড়ো বড়ো পাথর থরে থরে সাজানো, রুক্ষ্ম সূক্ষ্ম এলাকা, গাবেয়ে সরু রাস্তা।
১.৩. বর্ষার মাছ ধরা নিয়ে তোমার অভিজ্ঞতার কথা কিংবা মাছ ধরা নিয়ে তোমার পড়া একটি গল্প লেখো।
উত্তরঃ বছরে বর্ষার শুরুতে গ্রামের মধ্যে দিয়ে যে নদী বয়ে গেছে তা জলে ভরপুর হয়ে ওঠে এবং তাতে প্রচুর মাছেরও দেখা মেলে, গ্রামের বাচ্ছা থেকে বুড়ো সকলেই কেউ জাল ফেলে কেউ ছিপ দিয়ে মাছ ধরছে।
১.৪. বর্ষার প্রকৃতির রূপ কেমন হয় ? তোমার পাঠ্যবইতে বর্ষা নিয়ে আর কোন কোন লেখা রয়েছে ?
উত্তরঃ বর্ষার সময় আকাশ কালো মেঘে ঢাকা থাকে, মাঝে মাঝে প্রচন্ড বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি হয়, গরমের দাবদাহ থেকে মুক্তি পেয়ে বৃষ্টির জল পেয়ে গাছপালা যে স্বস্তি পায়, চারিদিক ভিজে থাকলেও প্রকৃতি যেন নবরূপে সেজে ওঠে।
পাঠ্যবইতে ‘বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর’ কবিতাটি বর্ষা নিয়ে লেখা।
২. বাক্য মেলাও :
ক | খ | ||||
চল মাছ ধরি গিয়ে | নতুন বছরের নতুন জলে | ||||
মাছরাঙা বার বার | ছোঁ মেরেও পায়নি মাছ | ||||
কুরুয়া পাখি | উড়ে উড়ে কাঁদছে | ||||
বকেরা | উড়ছে সার বেঁধে | ||||
ছাপিয়ে গিয়েছে | নদীর কূল |
৩. প্রদত্ত সূত্র অনুসারে গানটি থেকে গল্প তৈরি করো।
উত্তরঃ
নতুন বছরের নতুন জলে আনন্দ করে সবাই মিলে মাছ ধরতে যাই চলো। বর্ষার এই সুন্দর প্রকৃতিতে মাঠ ঘাট জলে থই থই করছে।
মাঠঘাট, কত পাখি, যেমন মাছরাঙা, বক, কুরুয়া পাখি দেখা যাচ্ছে।
তারা কেউ উড়ছে, কেউ মাছ ধরছে। একদিকে মাছ না পাওয়া গেলে অন্য দিকে চল, মাছের খোঁজ পাবো।
৪. নিজে কর
৫. নিজে কর
৬. নিজে কর
7. নিজে কর
৮. কথায় বলে, ‘মাছে-ভাতে বাঙালি’। সেই বাঙালির পরিচয় গানটিতে কীভাবে ফুটে উঠেছে ?
উত্তরঃ বাঙালিদের প্রিয় খাদ্য হল মাছ -ভাত। বাঙালি যেখানেই থাকে সেখানেই খাদ্য তালিকায় মাছ ভাত থাকে। বাঙালিরা মাছ ধরতে খুব ভালোবাসে। পাঠ্য বইতে যে উক্তো গল্পটি রয়েছে সেখানে রাভা গোষ্ঠীর লোকেরা নতুন বছরের নতুন জলে মাছ ধরতে যাচ্ছে। তাই মাছ প্রিয় বাঙালির পরিচয় অল্প হলেও এইগানে ফুটে উঠেছে।
৮.১. বৃষ্টি কীভাবে প্রকৃতিকে বাঁচায় ?
উত্তরঃ বৃষ্টি জল দিয়ে প্রকৃতিকে বাঁচায়। বৃষ্টির জল পেয়ে গাছপালা বেঁচে থাকে, চাষীরা চাষবাস করে। এই গাছপালা খেয়ে তৃণভোজী প্রাণীরা বেঁচে থাকে এবং তৃণভোজীদের খেয়ে মাংসাশী প্রাণীরা বেঁচে থাকে। এই বৃষ্টি না হলে প্রকৃতি ধ্বংস হয়ে যাবে।
৮.২. খরা বলতে কী বোঝায় ?
উত্তরঃ দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ার ফলে জলের অভাবে গাছপালা শুকিয়ে যায়। গাছপালা না থাকার ফলে পশুপাখি, মানুষজন মারা যেতে থাকে। এই অবস্থাকে খরা বলে।
৮.৩. অনাবৃষ্টির ফলে মানুষ, পশু-পাখি, গাছপালার অবস্থা কেমন হয়েছিল ?
উত্তরঃ অনাবৃষ্টির ফলে মানুষ, পশু-পাখি, গাছপালা সবই প্রায় ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল।
৮.৪. ভগবানের প্রাসাদে পৌঁছে ব্যাঙ কী দেখল ?
উত্তরঃ ভগবানের প্রাসাদে পৌঁছে ব্যাঙ দেখল সবাই নানান ভোজ ও আনন্দ -উৎসবে ব্যস্ত। ভগবান তাদের স্ত্রী ও মন্ত্রীদের নিয়ে মহানন্দে রয়েছে।
৮.৫. প্রাসাদের দৃশ্য দেখে ব্যাঙ রাগে উত্তেজিত হয়ে পড়ল কেন ?
উত্তরঃ প্রাসাদের দৃশ্য দেখে ব্যাঙ রাগে উত্তেজিত হয়ে পড়েছিল কারণ – ব্যাঙ দেখল প্রাসাদে দেবতারা তাদের স্ত্রী ও মন্ত্রীদের নিয়ে ভোজ ও আনন্দ উৎসবে ব্যস্ত। কোনো দিকে হুঁশ নেই, এবং বুঝতে পারল কেন রাজ্যে এত অভাব, এত কষ্ট।
৮.৬. ভগবান ও তার রক্ষীরা মৌমাছি, বাঘ, মোরগের হাতে কীভাবে নাকাল হলো ?
উত্তরঃ ভগবান ও তার রক্ষীরা মৌমাছিদের আটকাতে গেলে রক্ষীদের মুখে হুল ফোটাতে লাগল, বাঘ খেয়ে নেবে বলে ভয় দেখাতে লাগল, এইসব গোলমালের মধ্যে মোরগও তার ডানা ঝাপটে ভয় দেখাতে লাগল।
৮.৭. শিক্ষক / শিক্ষিকার সাহায্যে ‘বৃষ্টি’ নিয়ে প্রচলিত দুটি ছড়া ও দুটি গল্প সংগ্রহ করো।
উত্তরঃ
ছড়া –
1. আয় বৃষ্টি ঝেপে
ধান দেব মেপে
ধানের ভিতর পোকা
জামাই বাবু বোকা
2. বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর
নদে এল বান
শিব ঠাকুরের বিয়ে হলো
তিন কন্যে দান।
দুটি গল্প – বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা ‘পথের পাঁচালি’ , ‘তাল নবমী’।