এই নিবন্ধে আমরা পঞ্চম শ্রেণির অষ্টদশ অধ্যায় অর্থাৎ “মিষ্টি” কবিতার প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে জানবো। Class 05 Bangla Chapter 18 Question Answer
Class 5 Bangla Chapter 18 Question Answer | পঞ্চম শ্রেনীর বাংলা অধ্যায় ১৮ ‘ মিষ্টি’ প্রশ্ন উত্তর
Table of Contents
১। নিজের ভাষায় লেখোঃ
১.১ কোন্ ঋতুতে সাধারণত আকাশে ঝড় ওঠে না, মেঘ ডাকে না?
উত্তরঃ শরৎকালে সাধারণত আকাশে ঝড় ওঠে না, মেঘ ডাকে না।
১.২ কোন্ ঋতুতে সাধারণত পথঘাট পিছল হয়ে পড়ে?
উত্তরঃ বর্ষাকালে সাধারণত পথঘাট পিছল হয়ে পড়ে।
১.৩ কোন্ পথে সহজেই গড়িয়ে পড়া যায়?
উত্তরঃ চড়াই-উৎরাইহীন মসৃণ ঢালু পথে সহজেই গড়িয়ে পড়া যায়।
১.৪ চড়াই-উৎরাই রাস্তা কোথায় দেখা যায়?
উত্তরঃ চড়াই-উৎরাই রাস্তা পার্বত্য অঞ্চলে দেখা যায়।
১.৫ ‘রাস্তা’ শব্দটি অন্য কোন্ নামের কবিতায় আছে?
উত্তরঃ রাস্তা পথ নামে কবিতায় আছে।
১.৬ আখের প্রসঙ্গ রয়েছে, তোমার পাঠ্যসূচির এমন অন্য একটি রচনার নাম লেখো।
উত্তরঃ আখের প্রসঙ্গ রয়েছে আমার পাঠ্যসূচির এমন অন্য একটি রচনা হল – ‘বোকা কুমিরের কথা’।
২. নীচের এই শব্দগুলো মূল কোন্ কোন্ শব্দ থেকে এসেছে: আখ, রোদ্দুর
উত্তরঃ
আখ: আখ শব্দের উৎপত্তি “ইক্ষু” থেকে।
রোদ্দুর: রোদ্দুর শব্দটি রৌদ্র থেকে এসেছে ।
৩. ‘চড়াই’ ও ‘পড়ে’- এই দুটি শব্দের দুটি করে অর্থ লেখো, বাক্যে ব্যবহার করো।
উত্তরঃ
চড়াই: চড়াই (পরিবহণ অর্থে) – আমি শিশুটিকে রোজ রিক্সায় চড়াই।
পড়ে: পড়ে (পড়ছে) – সকাল-বিকাল ছেলেটা পড়ে।
৪। তোমার স্কুলে যাওয়ার, খেলতে যাওয়ার, আর বন্ধুর বাড়ি যাওয়ার রাস্তাগুলো কেমন, তিনটে রাস্তা নিয়ে আলাদা আলাদা দুটি করে বাক্য লেখো। এ প্রসঙ্গে কোন্ রাস্তাটি তোমার কেন ভালো লাগে, তার পক্ষে দুটি যুক্তি দাও।
উত্তরঃ
(ক) আমার স্কুলে যাওয়ার রাস্তাটা খানাখন্দে ভরা, রাস্তাটায় প্রায় সারাবছর জল জমে থাকে, যাতায়াত করতে অসুবিধা।
(খ) আমার খেলতে যাওয়ার রাস্তা মোটামুটি ভালো। রাস্তাটা পিচঢালা।
(গ) আমার বন্ধুর বাড়ি যাওয়ার রাস্তাটা গাছে ভর্তি। সারাবছর ছায়ায় ঢাকা থাকে।
বন্ধুর বাড়ির রাস্তাটা আমার ভালো লাগে। কারণ –
(অ) সমস্ত রাস্তাটাই প্রায় গাছে ঢাকা থাকায় ছায়া থাকে। রোদ উঠলেও যাতায়াতে কোনো কষ্ট হয় না।
(আ) যাতায়াতের সময় রাস্তায় ধাপের গাছগুলির ঠান্ডা হাওয়া, পাতা, ফুল ঝরে পড়া দেখতে আমার খুব ভালো লাগে।
৫। কষ্টের বিনিময়ে পাওয়া যে সুখ তাই প্রকৃত সুখ। কবিতায় এই কথাটি কীভাবে প্রকাশ পেয়েছে লেখো।
উত্তরঃ আমরা চাই মসৃণ জীবন, যেখানে কোনোরকম কষ্ট থাকবে না। প্রাকৃতিক, জীবন চলার পথে বাধা থাকলে আমরা ভয় পাই। অতিরিক্ত রোদ, ঝড়, বৃষ্টি, রাস্তায় চড়াই-উৎরাই সবই আমাদের কষ্ট দেয়। জীবনে চলার পথে হোঁচট খাওয়া, দুঃখ পাওয়া আমরা মেনে নিতে পারি না। কিন্তু এগুলোই তো আমাদের জীবনকে বৈচিত্র্যময় করে তোলে, দৈনন্দিন একঘেয়েমি থেকে মুক্তি দেয়। অন্ধকার না থাকলে আমরা আলোর সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারি না, ঠিক তেমনি সুখ-দুঃখ, রোদবৃষ্টি, সবই একে অপরের পরিপূরক। কষ্টের বিনিময়েই জীবনে আনন্দ উপভোগ করতে হয়। যদি আমাদের জীবনে কষ্ট না থাকে, কোনো ওঠা-পড়া না থাকে, জীবনে যদি শুধু সুখই থাকে তাহলে সুখের উপভোগ তেমনভাবে আমরা করতে পারি না। শুধুমাত্র সুখের উপস্থিতি আমাদের জীবনকে একঘেয়ে করে তোলে। কষ্টের বিনিময়ে পাওয়া সুখই প্রকৃত সুখ। তাই এই প্রসঙ্গেই কবিতায় কবি আখের কথা উল্লেখ করেছেন। কষ্ট করে চিবিয়ে আখ থেকে রস বের করে খেতে হয় বলেই আখের রস সব থেকে মিষ্টি লাগে।
৬.১ ছোটোদের প্রিয় চরিত্র ঘনাদা কার সৃষ্টি?
উত্তরঃ ছোটোদের প্রিয় চরিত্র ঘনাদা প্রেমেন্দ্র মিত্রের সৃষ্টি।
৬.২ প্রেমেন্দ্র মিত্র কোন্ সাহিত্য পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন?
উত্তরঃ প্রেমেন্দ্র মিত্র কল্লোল পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
৬.৩ তাঁর লেখা দুটি বিয়ের নাম লেখো।
উত্তরঃ তাঁর লেখা দুটি বইয়ের নাম হল – সাগর থেকে ফেরা, হরিণ চিতা চিল।
৮.১ নীচের কোন্ ছবিতে কোন্ ঋতুর আকাশ কেমন, তা ছবি দেখে নিজের ভাষায় বাক্সের মধ্যে লেখোঃ
উত্তরঃ
(১) এটা শরৎকালের আকাশ। নীল আকাশের কোলে পেঁজা তুলোর মতো সাদা সাদা মেঘ ভেসে বেড়াচ্ছে। মিষ্টি সোনালি রোদের আভায় চারিদিক ভরে গেছে। সাদা সাদা কাশ ফুল ফুটেছে।
(২) এটা বর্ষাকালের আকাশ। ঘন কালো মেঘে আকাশ ভরে গেছে। কালো মেঘ থেকে অঝোরে বৃষ্টি হচ্ছে। ব্যাং তার ছাতার তলায় বসে ডাকছে।
৮.২ এইরকম অন্য কোনো ঋতুর আকাশ সম্পর্কে লেখো।
উত্তরঃ শীতকালে আকাশ পরিষ্কার ঝকঝকে থাকে। সোনলি রোদে প্রকৃতি ভরে থাকে।