এই নিবন্ধে আমরা পঞ্চম শ্রেণির পঞ্চদশ অধ্যায় অর্থাৎ “বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর” কবিতার প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে জানবো। Class 05 Bangla Chapter 15 Question Answer
Class 5 Bangla Chapter 15 Question Answer | পঞ্চম শ্রেনীর বাংলা অধ্যায় ১৫ ‘ বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর’ প্রশ্ন উত্তর
Table of Contents
১. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
১.১ কোন কোন বাংলা মাসে সাধারণত বৃষ্টি হয় ?
উত্তর : আষাঢ় ও শ্রাবণ মাসে সাধারণত বৃষ্টি হয় ।
১.২ মেঘলা দিনে আকাশ ও তোমার চারপাশের প্রকৃতি কেমন রূপ ধারণ করে ?
উত্তর : মেঘলা দিনে সূর্য প্রায় দেখাই যায় না, আকাশ কালো মেঘে ঢেকে থাকে । বৃষ্টি পড়ার আগে চারপাশের প্রকৃতিতে এক নিস্তব্ধতা নেমে আসে । মাঝে মাঝে মেঘের গর্জন, বিদ্যুতের ঝলকানি দেখা যায় । কখনও ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি, আবার কখনও মুষলধারে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি পড়ে । চারদিকের পরিবেশ ঝাপসা হয়ে আসে । বৃষ্টি পড়ার ঝুপঝাপ শব্দ, গাছের পাতা থেকে জল পড়ার টুপটাপ শব্দ পাওয়া যায় । এই সব কিছু মিলিয়ে মেঘলা দিনে আকাশ ও আমার চারপাশের প্রকৃতি এক মনোরম রূপ ধারণ করে ।
১.৩ বৃষ্টির সঙ্গে জড়িয়ে আছে-তোমার জীবনে মনে রাখার মতো এমন কোনো ঘটনার কথা লেখো ।
উত্তর : নিজে কর ।
১.৪ পুকুরে , টিনের চালে , গাছের পাতায় – বৃষ্টি পড়ার শব্দগুলো কেমন হয় লেখো ।
উত্তর :
পুকুরে বৃষ্টি পড়ার শব্দ – টুপটুপ
টিনের চালে বৃষ্টি পড়ার শব্দ – চড়চড়
গাছের পাতায় বৃষ্টি পড়ার শব্দ – টপটপ
২. ‘ক’ স্তম্ভের সঙ্গে ‘খ’ স্তম্ভ মেলাও :
উত্তর :
ক | খ |
ঝাপসা | অস্পষ্ট |
ছেলেবেলা | শৈশব |
বিছানা | শয্যা |
দুরন্ত | দামাল |
বান | বন্যা |
৩. বেমানান শব্দের তলায় দাগ দাও :
৩.১ সূর্য, মেঘ, বৃষ্টি, আকাশ, বাড়ি ।
উত্তর : সূর্য, মেঘ, বৃষ্টি, আকাশ, বাড়ি ।
৩.২ ডোবে ডোবে, লোভে লোভে, পলে পলে, দেশে দেশে, টাপুর টুপুর ।
উত্তর : ডোবে ডোবে, লোভে লোভে, পলে পলে, দেশে দেশে, টাপুর টুপুর ।
৩.৩ গাছপালা, মেঘ, হাওয়া, বাদল, মানিক ।
উত্তর : গাছপালা, মেঘ, হাওয়া, বাদল, মানিক ।
৩.৪ মা, খোকা, দৌরাত্ম্য, হাসিমুখ, শিবঠাকুর ।
উত্তর : মা, খোকা, দৌরাত্ম্য, হাসিমুখ, শিবঠাকুর ।
৩.৫ মেঘের খেলা, লুকোচুরি, টাপুর টুপুর, নদী, সুয়োরানি ।
উত্তর : মেঘের খেলা, লুকোচুরি, টাপুর টুপুর, নদী, সুয়োরানি ।
৪. বিপরীতার্থক শব্দ কবিতা থেকে বেছে নিয়ে লেখো :
উত্তর :
রাত -দিন
বার্ধক্য -শৈশব / ছেলেবেলা
খরা -বন্যা
পুরোনো- নতুন
শান্ত – চঞ্চল / দুরন্ত
৫. বিশেষ্য ও বিশেষণ খুঁজে নিয়ে লেখো :
একশো মানিক, দুরন্ত ছেলে, বাদলা হাওয়া, গুরুগুরু বুক, ঝাপসা গাছপালা ।
উত্তর :
বিশেষ্য | বিশেষণ |
মানিক | একশো |
ছেলে | দুরন্ত |
হাওয়া | বাদলা |
বুক | গুরুগুরু |
গাছপালা | ঝাপসা |
৬. ক্রিয়ার তলায় দাগ দাও :
৬.১ কাঁসর ঘণ্টা বাজল ঠঙ ঠঙ ।
উত্তর : কাঁসর ঘণ্টা বাজল ঠঙ ঠঙ ।
৬.২ কত খেলা পড়ে মনে ।
উত্তর : কত খেলা পড়ে মনে ।
৬.৩ শুনেছিলেম গান ।
উত্তর : শুনেছিলেম গান ।
৬.৪ বিষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর ।
উত্তর : বিষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর ।
৬.৫ বাইরেতে মেঘ ডেকে ওঠে ।
উত্তর : বাইরেতে মেঘ ডেকে ওঠে ।
৭. ‘সৃষ্টি’-এমন ‘ষ্ট’ রয়েছে-এরকম পাঁচটি শব্দ লেখো :
উত্তর : ‘ষ্ট’ রয়েছে এরকম পাঁচটি শব্দ – বৃষ্টি, মিষ্টি, দৃষ্টি, স্পষ্ট, কষ্ট ।
৮. নীচের শব্দগুলোয় দুটো করে শব্দ লুকিয়ে আছে, আলাদা করে লেখো :
গাছপালা, ছেলেবেলা, হাসিমুখ, লেখাজোকা ।
উত্তর :
গাছপালা – গাছ, পালা
ছেলেবেলা – ছেলে, বেলা
হাসিমুখ – হাসি, মুখ
লেখাজোকা – লেখা, জোকা
৯. সাজিয়ে লেখো :
লে ছে বে লা – ছেলেবেলা
রি কো চু লু – লুকোচুরি
১০. শূন্যস্থান পূরণ করো :
১০.১ আকাশ ঘিরে মেঘ জুটেছে ।
১০.২ বাদলা হাওয়ায় মনে পড়ে ।
১০.৩ মনে পড়ে ঘরটি আলো ।
১০.৪ ঘরেতে দুরন্ত ছেলে ।
১০.৫ বাইরে কেবল জলের শব্দ ।
১১.১ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কত সালে নোবেল পুরস্কার পান ?
উত্তর : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৩ সালে নোবেল পুরস্কার পান ।
১১.২ কোন বইয়ের জন্য তিনি নোবেল পুরস্কার পান ?
উত্তর : “Song Offerings” বইয়ের জন্য তিনি নোবেল পুরস্কার পান ।
১১.৩ ‘বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর’ কবিতাটি তাঁর কোন কবিতার বই থেকে নেওয়া হয়েছে ?
উত্তর : ‘বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর’ কবিতাটি তাঁর ‘শিশু’ কবিতার বই থেকে নেওয়া হয়েছে ।
১২. মাঠে বা নদীতে বৃষ্টি পড়ছে এমন একটি ছবি আঁকো ও রং করো ।
১২. নম্বর প্রশ্নের উত্তর তোমরা নিজেরা করো ।
১৩. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো ।
১৩.১ বৃষ্টির দিনে কবির মনে কোন গান ভেসে আসে ?
উত্তর : বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর’ কবিতায় কবির মনে “বিষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর, নদেয় এল বান” গান ভেসে আসে ।
১৩.২ বৃষ্টিতে নদীর এপার এবং ওপারের যে বর্ণনা কবি দিয়েছেন তা নিজের ভাষায় লেখো ।
উত্তর : বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর’ কবিতায় কবির বর্ণনা অনুযায়ী নদীর এপারে মেঘের মাথায় যেন একশো মানিক জ্বলছে এবং নদীর ওপারে বৃষ্টিতে সব গাছপালা ঝাপসা হয়ে গেছে ।
১৩.৩ ‘সেদিনও কি এমনিতরো / মেঘের ঘটাখানা’ – কোন দিনের কথা বলা হয়েছে ? সেদিনের প্রকৃতির বর্ণনা দাও ।
উত্তর : বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর’ কবিতায় উপরিউক্ত অংশে শিবঠাকুরের বিয়ের দিনের কথা বলা হয়েছে ।
সেদিন আকাশে খুব মেঘ করেছিল আর মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছিল ।
১৩.৪ মেঘের খেলা কবির মনে কোন কোন স্মৃতি বয়ে আনে ?
উত্তর : বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর’ কবিতায় কবির মেঘের খেলা দেখে অনেক কথা মনে পড়ে । কবির মনে পড়ে ঘরের কোণে লুকোচুরি খেলার কথা, ঘর আলো করা মায়ের হাসিমুখের কথা, মেঘের গুরুগুরু করা ডাক । কবির আরও মনে পড়ে সুয়োরানি-দুয়োরানির কথা, অভিমানী কঙ্কাবতীর ব্যাথা, ঘরের কোণে জ্বলা মিটি মিটি আলোর কথা । এছাড়াও কবির মনে পড়ে মায়ের মুখে শোনা মেঘলা দিনের গান “বিষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর, নদেয় এল বান” ।