এই নিবন্ধে আমরা পঞ্চম শ্রেণির বাংলার একাদশ অধ্যায় অর্থাৎ “ঝড়” কবিতার প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে জানবো। Class 05 Bangla Chapter 11 Question Answer
Class 5 Bangla Chapter 11 Question Answer | পঞ্চম শ্রেনীর বাংলা অধ্যায় ১১ ‘ ঝড়’ প্রশ্ন উত্তর
Table of Contents
১. ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো :
১.১ পশ্চিমবঙ্গে কালবৈশাখী যে ঋতুতে হয় – (গ্রীষ্ম / বর্ষা/ শরৎ/ শীত)।
উত্তর: পশ্চিমবঙ্গে কালবৈশাখী যে ঋতুতে হয় – গ্রীষ্ম।
১.২ দিনের যে সময়ে কালবৈশাখী ঝড় আসে (সকাল/ দুপুর/বিকেল/ রাত)।
উত্তর: দিনের যে সময়ে কালবৈশাখী ঝড় আসে বিকেল।
১.৩ যখন ঝড় ওঠে, তখন আকাশ থাকে (কালো/ লাল/ নীল / সাদা)।
উত্তর: যখন ঝড় ওঠে, তখন আকাশ থাকে কালো৷
১.৪ গ্রীষ্মের একটি ফুল হল (গাঁদা/ গন্ধরাজ/চাঁপা/ পদ্ম)।
উত্তর: উত্তর: গ্রীষ্মের একটি ফুল হল চাঁপা।
২. ‘ক’স্তম্ভের সঙ্গে ‘খ’স্তম্ভ মিলিয়ে লেখো :
উত্তর:
ক | খ |
মাঝি | নাইয়া |
ঝড় | প্রবল হাওয়া |
সাগর | সমুদ্র |
চাঁপা | চম্পক |
এলোমেলো | অগোছালো |
৩. ‘চেয়ে’ ও ‘ভারী’ শব্দদুটিকে দুটি আলাদা আলাদা অর্থে বাক্যে ব্যবহার করো:
উত্তর:
চেয়ে – তাকিয়ে, থেকে
তাকিয়ে অর্থে – সে আমার দিকে অনেকক্ষণ চেয়ে আছে।
থেকে অর্থে – মাতিন আমার চেয়ে অনেক বড়।
ভারী – ওজনবিশিষ্ট, অনেক
ওজনবিশিষ্ট অর্থে – মাতিন আমার থেকে অনেক ভারী।
অনেক অর্থে – সে দেখতে ভারী সুন্দর।
৪. বিশেষ্য ও বিশেষণ আলাদা করে লেখো :
এলোমেলো বাতাস, চাঁপার বন, কালো জল, কালির দোয়াত, কোমল ঠোঁট ।
উত্তর:
বিশেষ্য | বিশেষণ |
বাতাস | এলোমেলো |
বন | চাঁপা |
জল | কালো |
ঠোঁট | কোমল |
দোয়াত | কালি |
৫. ক্রিয়ার নীচে দাগ দাও :
৫.১ কোথা থেকে বাতাস এল।
উত্তর: কোথা থেকে বাতাস এল।
৫.২ আসলো মাঝি তাড়াতাড়ি।
উত্তর: আসলো মাঝি তাড়াতাড়ি।
৫.৩ আমি তোমার মেঝের উপর ঢালি।
উত্তর: আমি তোমার মেঝের উপর ঢালি।
৫.৪ পালিয়ে গেল অনেক দূরে।
উত্তর: পালিয়ে গেল অনেক দূরে।
৫.৫ চেয়ে দেখি আকাশখানা এক্কেবারে কালো।
উত্তর: চেয়ে দেখি আকাশখানা এক্কেবারে কালো।
৬. কোনটি বেমানান, তার নীচে দাগ দাও :
৬.১ হাটবার, মাঠের ধার, দুপুরবেলা, ঝড়, কালি ।
উত্তর : হাটবার, মাঠের ধার, দুপুরবেলা, ঝড়, কালি ।
৬.২ কালো আকাশ, বকুলতলা, চাঁপার বন, কালো জল, হাটবার ।
উত্তর : কালো আকাশ, বকুলতলা, চাঁপার বন, কালো জল, হাটবার ।
৬.৩. ছেলে, কালির দোয়াত, মেঝে, ফেলে দেওয়া কালি, মাঠের ধার ।
উত্তর : ছেলে, কালির দোয়াত, মেঝে, ফেলে দেওয়া কালি, মাঠের ধার ।
৬.৪ আকাশ, বিদ্যুৎ, ঝড়, সাত সমুদ্র, কালির দোয়াত ।
উত্তর : আকাশ, বিদ্যুৎ, ঝড়, সাত সমুদ্র, কালির দোয়াত ।
৬.৫ বাতাস, মাঝি, ঝড়, জল, ঘর
উত্তর : বাতাস, মাঝি, ঝড়, জল, ঘর ।
৭. ‘অন্ধকার’ শব্দটির মতো ‘ন্ধ’ এর প্রয়োগ আছে, এমন পাঁচটি শব্দ তৈরি করো :
উত্তর: ‘অন্ধকার’ শব্দটির মতো ‘ন্ধ’ এর প্রয়োগ আছে, এমন পাঁচটি শব্দ – বন্ধ, গন্ধ, সিন্ধু, সন্ধান, প্ৰবন্ধ ৷
৮. এলোমেলো বর্ণগুলিকে সাজিয়ে শব্দ তৈরি করো :
উত্তর:
লো লো এ মে – এলোমেলো
না কা আ শ খা – আকাশখানা
ড়া ড়ি তা তা – তাড়াতাড়ি
কে ক্কে বা এ – এক্কেবারে
লা কু ত ব ল – বকুলতলা
৯. শূন্যস্থান পূরণ করো :
উত্তর:
৯.১ আকাশখানা এক্কেবারে কালো ৷
৯.২ আসলো মাঝি তাড়াতাড়ি ।
৯.৩ আমার যেন লাগল ভারী ভালো ।
৯.৪ হাসল কোমল ঠোঁট মেলে ।
৯.৫ কালির দোয়াত কেমন করে হঠাৎ দিল ফেলে ।
১০. বাক্য রচনা করো:
হাট, ভালো, সময়, পাড়ি, ভীষণ |
১০. নম্বর প্রশ্নের উত্তর তোমরা নিজেরা লেখো।
১১. বিপরীতার্থক শব্দ লেখো :
এলোমেলো-গোছানো
তাড়াতাড়ি-দেরি
কোমল-কঠোর
নিভিয়ে-জ্বেলে
দূরে-কাছে
১২. প্রদত্ত সূত্র অনুসারে একাত গল্প তোর করো :
তুমি একা – বিরাট মাঠ – আকাশে ঘন মেঘ – গাছের পাতা নড়ছে না – ঝড় এল – প্রবল বৃষ্টি – কোথাও আশ্রয় নিলে – ঝড় থামলে রাতে বাড়ি ফিরলে ।
১২. নম্বর প্রশ্নের উত্তরে একটি গল্প তৈরী করে তোমরা নিজেরা লেখো।
১৩. ‘কোমল’ ও ‘কমল’ শব্দযুগলের অর্থপার্থক্য বাক্য রচনা করে বুঝিয়ে দাও ।
উত্তর:
কোমল – নরম
কমল – পদ্ম
১৩. নম্বর প্রশ্নের উত্তরে বাক্য রচনা তোমরা নিজেরা লেখো।
১৪. কোনটি কোন শ্রেণির বাক্য লেখো :
১৪.১ ওই এসেছে ঝড় !
উত্তর: বিস্ময়বোধক বাক্য ।
১৪.২ ঝড় কারে মা কয় ?
উত্তর: প্রশ্নবোধক বাক্য ।
১৪.৩ কেমন জানি করল আমার মন !
উত্তর : বিস্ময়বোধক বাক্য ।
১৪.৪ চেয়ে দেখি – আকাশখানা এক্কেবারে কালো ৷
উত্তর : বর্ণনামূলক বাক্য ।
১৪.৫ পালিয়ে গেল অনেক দূরে – সাত সাগরের পার ।
উত্তর : বর্ণনামূলক বাক্য ।
১৫.১ মৈত্রেয়ী দেবীর লেখা দুটি বইয়ের নাম লেখো ।
উত্তর : মৈত্রেয়ী দেবীর লেখা দুটি বইয়ের নাম হল ‘মংপুতে রবীন্দ্রনাথ’, ‘স্বগের কাছাকাছি’ ।
১৫.২ তিনি কত সালে ‘পদ্মশ্ৰী’ উপাধি পান ?
উত্তর: তিনি ১৯৭৭ সালে ‘পদ্মশ্রী’ উপাধি পান ।
১৬. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
১৬.১ কবিতায় শিশুর দল ছুটে চলে যেতে চেয়েছিল কেন ?
উত্তর : কবি মৈত্রেয়ী দেবীর লেখা ‘ঝড়’ কবিতায় শিশুর দল দুপুরবেলা যখন মাঠের ধারে খেলছিল সেই সময় হঠাৎ করে কোথা থেকে বাতাস এল । অন্ধকারে সমস্ত দিক কীভাবে যেন ঢেকে গেল । তাই দেখে শিশুর দল ভয়ে ছুটে যেতে চেয়েছিল ।
১৬.২ দুপুরবেলা চারিদিক অন্ধকার হয়ে গেল কেন ?
উত্তর : কবি মৈত্রেয়ী দেবীর লেখা ‘ঝড়’ কবিতায় দুপুরবেলা হঠাৎ করে কোথা থেকে এলোমেলো বাতাস বয়ে ঝড় এল । তাই দুপুরবেলা চারিদিক অন্ধকার হয়ে গেল ।
১৬.৩ ‘পালিয়ে গেল অনেক দূরে’ – কে পালিয়ে গেল? পালিয়ে সে কোথায় গেল?
উত্তর : কবি মৈত্রেয়ী দেবীর লেখা ‘ঝড়’ কবিতায় ঝড় পালিয়ে গেল ।পালিয়ে সে সাত সাগরের পারে গেল ।
১৬.৪ ঝড়ের সঙ্গে শিশুর মনে কীসের তুলনা কবিতায় ধরা পড়েছে ?
উত্তর : কবি মৈত্রেয়ী দেবীর লেখা ‘ঝড়’ কবিতায় ঝড়ের সঙ্গে শিশুর মনে দোয়াতের কালির তুলনা কবিতায় ধরা পড়েছে। শিশুটির মনে হয়েছিল সে যেমন করে দোয়াত থেকে কালি মেঝের উপর ঢেলে দেয়, তেমনই কোনো ছেলে যেন আকাশের উপর দোয়াতের কালি ঢেলে দিয়েছে।
১৬.৫ ‘ঝড়’-এর বর্ণনা দিতে ‘মেঘ করে আসা’ আর ‘বিদ্যুৎ চমকানো’র কথা কবিতায় কোন কোন পঙক্তিতে ফুটে উঠেছে?
উত্তর : ‘ঝড়’-এর বর্ণনা দিতে ‘মেঘ করে আসা’ কবিতায় দ্বিতীয় পঙক্তিতে আর ‘বিদ্যুৎ চমকানো’র কথা কবিতায় শেষ পঙক্তিতে ফুটে উঠেছে ।
১৬.৬ ঝড়ের সময় নদী বা সমুদ্রে থাকলে কী ধরনের বিপদ ঘটতে পারে বলে তোমার মনে হয় ?
উত্তর : ঝড়ের সময় নদী বা সমুদ্রে থাকলে নানান বিপদ ঘটতে পারে । ঝড়ের সময় নদী বা সমুদ্রে প্রবল ঢেউ ওঠে। তাই সেই সময় নদী বা সমুদ্রে থাকলে ঢেউয়ের দোলায় জলযান উল্টে গিয়ে ডুবে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে বলে আমার মনে হয় ।
১৬.৭ সাতটি সাগরের নাম তোমার শিক্ষকের থেকে জেনে খাতায় লেখো ।
উত্তর : সাতটি সাগরের নাম হল – আর্টিক মহাসাগর, উত্তর আটলান্টিক মহাসাগর, দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগর, ভারত মহাসাগর, উত্তর প্রশান্ত মহাসাগর, দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগর, দক্ষিণ (বা অ্যান্টার্কটিক) মহাসাগর ।