এই নিবন্ধে আমরা পঞ্চম শ্রেণির বাংলার দশম অধ্যায় অর্থাৎ “লিমেরিক ” গল্পের প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে জানবো। Class 06 Bangla Chapter 10 Question Answer |
Class 5 Bangla Chapter 10 Question Answer | পঞ্চম শ্রেনীর বাংলা অধ্যায় ১০ ‘ লিমেরিক ‘ প্রশ্ন উত্তর
Table of Contents
সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে বাক্যটি আবার লেখো :
1. পশ্চিমবঙ্গে কালবৈশাখী যে ঋতুতে হয়— (গ্রীষ্ম/বর্ষা/শরৎ/শীত)।
উত্তরঃ পশ্চিমবঙ্গে কালবৈশাখী যে ঋতুতে হয়—গ্রীষ্ম।
2. দিনের যে সময়ে কালবৈশাখী ঝড় আসে (সকাল/দুপুর/বিকেল/রাত)।
উত্তরঃ দিনের যে সময়ে কালবৈশাখী ঝড় আসে—দুপুর।
3.যখন ঝড় ওঠে, তখন আকাশ থাকে (কালো/ লাল/নীল/সাদা)।
উত্তরঃ যখন ঝড় ওঠে, তখন আকাশ থাকে কালো।
4. গ্রীষ্মের একটি ফুল হল (গাঁদা/গন্ধরাজ/ চাঁপা/পদ্ম)।
উত্তরঃ গ্রীষ্মের একটি ফুল হল চাঁপা ।
২। ‘ক’ স্তম্ভের সঙ্গে ‘খ’ স্তম্ভ মিলিয়ে লেখো:
উত্তরঃ
ক | খ | ||||
মাঝি | নাইয়া | ||||
ঝড় | প্রবল হাওয়া | ||||
সাগর | সমুদ্র | ||||
চাঁপা | চম্পক | ||||
এলোমেলো | অগোছালো |
৩. ‘চেয়ে’ ও ‘ভারী’ শব্দদুটিকে দুটি আলাদা আলাদা অর্থে বাক্যে ব্যবহার করো:
উত্তর:
‘চেয়ে’ — (থেকে অর্থে) রামের চেয়ে শ্যাম দু’বছরের বড়ো।
‘চেয়ে’ — (তাকানো অর্থে) আমি অবাক হয়ে চেয়ে রইলাম।
‘ভারী’ — (ভীষণ অর্থে) তার ভারী রাগ হয়েছে।
‘ভারী’ — (ভালো) মেয়েটির কণ্ঠ ভারী সুন্দর।
৪. বিশেষ্য ও বিশেষণ আলাদা করে লেখো:
এলোমেলো বাতাস, চাঁপার বন, কালো জল, কালির দোয়াত, কোমল ঠোঁট।
উত্তর:
বিশেষ্য | বিশেষণ | ||||
বাতাস | এলোমেলো | ||||
বন | চাঁপার | ||||
জল | কালো | ||||
দোয়াত | কালির | ||||
ঠোঁট | কোমল |
৫. ক্রিয়ার নীচে দাগ দাও :
উত্তরঃ
৫.১. কোথা থেকে বাতাস এল।
৫.২. আসলো মাঝি তাড়াতাড়ি।
৫.৩. আমি তোমার মেঝের উপর ঢালি।
৫.৪. পালিয়ে গেল অনেক দূরে।
৫.৫. চেয়ে দেখি আকাশখানা এক্কেবারে কালো।
৬. কোনটি বেমানান শব্দ তার নীচে দাগ দাও:
উত্তরঃ
৬.১ হাটবার, মাঠের ধার, দুপুরবেলা, ঝড়, কালি।
৬.২ কালো আকাশ, বকুলতলা, চাঁপার বন, কালো জল, হাটবার।
৬.৩ ছেলে, কালির দোয়াত, মেঝে, ফেলে দেওয়া কালি, মাঠের ধার।
৬.৪ আকাশ, বিদ্যুৎ, ঝড়, সাতসমুদ্র, কালির দোয়াত।
৬.৫ বাতাস, মাঝি, ঝড়, জল, ঘর।
৭. ‘অন্ধকার’ শব্দটির মতো ‘ন্ধ’ এর প্রয়োগ আছে, এমন পাঁচটি শব্দ তৈরি করো :
উত্তরঃ
1. বন্ধ
2. অন্ধ
3. সন্ধ্যা
4. বন্ধন
5. রন্ধন
৮. এলোমেলো বর্ণগুলিকে সাজিয়ে শব্দ তৈরি করো :
1. লো লো এ মে – এলোমেলো
2. কে ক্কে রা এ- এক্কেবারে
3. না কা আ শ খা – আকাশখানা
4. লা কু ত ব ল -বকুলতলা
5. ড়া ড়ি তা তা – তাড়াতাড়ি
৯. শুন্যস্থান পূরণ করো :
৯.১ আকাশখানা ——————– কালো।
উত্তর: আকাশখানা এক্কেবারে কালো।
৯.২ আসলো মাঝি————————।
উত্তর: আসলো মাঝি তাড়াতাড়ি।
৯.৩ আমার যেন লাগল ———————— ভালো।
উত্তর: আমার যেন লাগল ভারী ভালো।
৯.৪ হাসল—————————– ঠোঁট মেলে।
উত্তর: হাসল কোমল ঠোঁট মেলে।
৯.৫ কালির দোয়াত কেমন করে—————————।
উত্তর: কালির দোয়াত কেমন করে হঠাৎ দিল ফেলে।
১০. বাক্য রচনা করো :
উত্তরঃ
হাট – প্রতি শুক্রবার পদ্মার ধারে হাট বসে।
ভালো – গঙ্গা খুব ভালো মেয়ে।
সময় – সময় একবার চলে গেলে আর ফিরে আসে না।
পাড়ি – নৌসেনারা জাহাজে করে পাড়ি দিয়েছে।
ভীষণ – গ্রীষ্মকালে ভীষণ রোদের তাপ থাকে।
১১. বিপরীতার্থক শব্দ লেখো :
উত্তরঃ
1. এলোমেলো – গোছানো
2. তাড়াতাড়ি – দেরি
3. কোমল – কঠিন
4. জ্বেলে – নিভিয়ে
5. দূরে – কাছে
১২.নিজে কর ।
১৩. ‘কোমল’ ও ‘কমল’ শব্দযুগলের অর্থপার্থক্য বাক্য রচনা করে বুঝিয়ে দাও।
উত্তরঃ
কোমল – নরম -(রহিমের বাবার মনটা ভীষণ কোমল )
কমল -পদ্ম – (গ্রামের বড়ো দীঘিটায় প্রচুর কমল ফুটেছে )
১৪. কোনটি কোন শ্রেণির বাক্য লেখ :
উত্তরঃ
১৪.১. ওই এসেছে ঝড় ! (বিস্ময় বোধক বাক্য )
১৪.২. ঝড় কারে মা কয় ? (প্রশ্নবোধক বাক্য )
১৪.৩. কেমন জানি করল আমার মন ! (বিস্ময়বোধক বাক্য )
১৪.৪. চেয়ে দেখি -আকাশখানা এক্কেবারে কালো। (বিবৃতিমূলক বাক্য )
১৪.৫. পালিয়ে গেল অনেক দূরে -সাত সাগরের পার। (বিবৃতিমূলক বাক্য )
১৬. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
১৬.১. কবিতায় শিশুর দল ছুটে চলে যেতে চেয়েছিল কেন ?
উত্তরঃ মৈত্রেয়ী দেবীর ‘ঝড়’ কবিতায় শিশুর দল যখন খেলা করছিল তখন ঘন মেঘে চারিদিক অন্ধকার হয়ে গিয়েছিল এবং এলোমেলো ভাবে ঝড় উঠেছিল। তাই শিশুর দল ছুটে চলে যেতে চেয়েছিল।
১৬.২. দুপুরবেলা চারিদিক অন্ধকার হয়ে গেল কেন ?
উত্তরঃ দুপুরবেলা চারিদিকে হঠাৎ ঘন কালো মেঘে ছেয়ে গিয়ে প্রবল বেগে ঝড় এসেছিল। তাই দুপুরবেলা চারিদিক অন্ধকার হয়ে গেল।
১৬.৩. ‘পালিয়ে গেল অনেক দূরে’ -কে পালিয়ে গেল ? পালিয়ে সে কোথায় গেল ?
উত্তরঃ মৈত্রেয়ী দেবীর ‘ঝড়’ কবিতায় ঝড় পালিয়ে গেল।
ঝড় অনেক দূরে সাত সাগরের পাড়ে পালিয়ে গেল।
১৬.৪. ঝড়ের সঙ্গে শিশুর মনে কীসের তুলনা কবিতায় ধরা পড়েছে ?
উত্তরঃ মৈত্রেয়ী দেবীর’ ঝড়’ কবিতায় শিশুর মনে দস্যিপনা ভাবের তুলনা ধরা পড়েছে। শিশুটি তার মাকে বলেছে তার যেন মনে হচ্ছে ঝড় একটা দস্যি ছেলে, সে যেমন কালির দোয়াত মেঝেতে ঢেলে দেয় ঠিক দস্যি ছেলে রুপী ঝড়ও যেন আকাশে কালির দোয়াতের মতো কালো মেঘে চারিদিক ছেয়ে ফেলেছে।
১৬.৫. ‘ঝড়’ এর বর্ণনা দিতে ‘মেঘ করে আসা’ আর ‘বিদ্যুৎ চমকানো’ র কথা কবিতায় কোন কোন পঙতিতে ফুটে উঠেছে ?
উত্তরঃ ‘ঝড়’ এর বর্ণনা দিতে কবিতায় ৭নং (অন্ধকারে সমস্ত দিক কেমনে দিল ঢেকে) এবং ১১ নং (চেয়ে দেখি আকাশখানা এক্কেবারে কালো) ‘মেঘ করে আসা’ এবং ২৩ নং (হাসল কোমল ঠোঁটটি মেলে ) এবং ২৪ নং (ভীষণ কেমন আগুন জ্বেলে আকাশ বারে বারে ) বিদ্যুৎ চমকানোর কথা বলা হয়েছে।
১৬.৬. ঝড়ের সময় নদী বা সমুদ্র থাকলে কী ধরণের বিপদ ঘটতে পারে বলে তোমার মনে হয় ?
উত্তরঃ ঝড়ের সময় নদী বা সমুদ্র জল ফুলে ফেঁপে উঠতে পারে। সেই সময় নদীতে নৌকা বা সমুদ্রে জাহাজ থাকলে প্রবল দুলে ওঠে এবং ঢেউএর তোড়ে উল্টে গিয়ে মানুষের প্রাণ হানী ঘটতে পারে।
১৬.৭. সাতটি সাগরের নাম তোমার শিক্ষকের থেকে জেনে নিয়ে খাতায় লেখো।
উত্তরঃ সাতটি সাগরের নাম হল – ১. আরব সাগর ২. বঙ্গোপসাগর ৩. ক্যাস্পিয়ান সাগর ৪. ভূমধ্যসাগর ৫. লোহিত সাগর ৬. সুমেরু সাগর ৭. কুমেরু সাগর