এই নিবন্ধে আমরা পঞ্চম শ্রেণির বাংলার সপ্তম অধ্যায় অর্থাৎ “ছেলেবেলা ” গল্পের প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে জানবো। Class 05 Bangla Chapter 07 Question Answer |
Class 5 Bangla Chapter 07 Question Answer | পঞ্চম শ্রেনীর বাংলা অধ্যায় ০৭ ‘ ছেলেবেলা ‘ প্রশ্ন উত্তর
Table of Contents
১. ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে বাক্যটি আবার লেখো :
উত্তরঃ
১.১. ‘চিলেকোঠা’ হল ( কাঠের ঘর / তেতলার ঘর / ছাদের উপরে সিঁড়ির ঘর / বসবার ঘর )
১.২. ভারতবর্ষের বিখ্যাত মরুভূমিটি হল ( গোবি / সাহারা / থর )
১.৩. লিভিংস্টন ছিলেন -(ইতালি / জার্মান / ইংল্যান্ড / স্কটল্যান্ড )দেশের মানুষ।
১.৪. জুড়িগাড়ি হল ( ঘোড়ায় টানা / হাতিতে টানা / যন্ত্রচালিত / গরুতে টানা ) গাড়ি।
২. ‘ক’ স্তম্ভের সঙ্গে ‘খ’ স্তম্ভ মিলিয়ে লেখো :
উত্তরঃ
ক | খ | ||||
কেতাব | বই | ||||
মরুভূমি | শুষ্ক জলহীন স্থান | ||||
ওয়েসিস | মরুদ্যান | ||||
সইস | ঘোড়াকে দেখাশোনা করার লোক | ||||
চৌকিদার | পাহারাদার |
৩. কোনটি বেমানান খুঁজে নিয়ে লেখো :
৩.১. পুকুরের পাঁতিহাস, ঘাটে লোকজনের আনাগোনা, অর্ধেক পুকুর জোড়া বট গাছের ছায়া, জুড়িগাড়ির সইস।
উত্তরঃ জুড়িগাড়ির সইস।
৩.২. তেতালা ঘর, সাত সমুদ্দুর, সেকেন্ড ক্লাস, পিলপে গাড়ি।
উত্তরঃ সাত সমুদ্দুর
৩.৩. চুড়িওয়ালা, ফেরিওয়ালা, সইস, বালক সন্ন্যাসী
উত্তরঃ বালক সন্ন্যাসী
৩.৪. পিলপে গাড়ি, জুড়িগাড়ি, রিকশ, গাড়িবারান্দা
উত্তরঃ গাড়িবারান্দা
৩.৫. চিল, রোদ্দুর, দুপুর, লোকবসতি
উত্তরঃলোকবসতি
৪. তোমার পাঠ্যাংশে রয়েছে এমন পাঁচটি ইংরেজি শব্দ খুঁজে নিয়ে লেখো :
উত্তরঃ
1. সেকেন্ড ক্লাস
2. ওয়েসিস
3. রেলিং
4. লিভিংস্টন
5. সোফা
৫. ‘চুড়িওয়ালা’ (চুড়ি + ওয়ালা ), ‘ফেরিওয়ালা’ (ফেরি + ওয়ালা ) এরকম শব্দের শেষে ‘ওয়ালা’ যোগ করে পাঁচটি নতুন শব্দ তৈরি করো।
উত্তরঃ
1. দইওয়ালা
2. কাবুলিওয়ালা
3. রিকসাওয়ালা
4. বাড়িওয়ালা
5. সবজিওয়ালা
৬. শুন্যস্থান পূরণ করো :
উত্তরঃ
৬.১. রাঙা হয়ে আসত রোদ্দুর , চিল ডেকে যেত আকাশে।
৬.২. আমার জীবনে বাইরের খোলা ছাদ ছিল প্রধান ছুটির দেশ।
৬.৩. লুকিয়ে ঢোকার নাবার ঘর তাকে যেন বাংলাদেশের শিশু লিভিংস্টন এইমাত্র খুঁজে বের করল।
৬.৪. এই ছাদে মরুভূমিতে তখন একটা ওয়েসিস দেখা দিয়েছিল।
৬.৫. নীচের দেউড়ির ঘন্টায় বাজল চারটে।
৭. বিশেষ্য ও বিশেষণ আলাদা করে লেখো :
উত্তরঃ
বিশেষ্য বিশেষণ
চুড়ি, মাদুর, গড়ন, বেলোয়ারি, ঝাঁকড়া, বিবাগি দাসি, নীল গরম, ঘোলা
পুকুর, লোকজন
৮. ক্রিয়ার নীচে দাগ দাও :
উত্তরঃ
৮.১. হঠাৎ তাদের হাঁক পৌঁছাত।
৮.২. সেইখানে অত্যন্ত একলা হয়ে বসতুম।
৮.৩. হাত গলিয়ে ঘরের ছিটকিনি দিতুম খুলে।
৮.৪. ধারাজল পড়ত সকল গায়ে।
৮.৫. পুকুর থেকে পাতিহাঁসগুলো উঠে গিয়েছে।
৯. বাক্য রচনা করো :
উত্তরঃ
প্রধান – ভারতবর্ষ একটি কৃষি প্রধান দেশ।
দেশ – আমাদের দেশের নাম ভারতবর্ষ।
বালিশ – ঘুমানোর সময় মাথায় বালিশ নিতে হয়।
মরুভূমি – ভারতবর্ষের বিখ্যাত মরুভূমি হল থর।
ধুলো – মাটির রাস্তায় প্রচুর ধুলো ওড়ে।
১০. ‘গ্রহণ’ শব্দটিকে দুটি আলাদা অর্থে ব্যবহার করে পৃথক বাক্য রচনা করো।
গ্রহণ – ভালো বেসে কেউ কিছু দিলে সেটি গ্রহণ করা উচিত।
গ্রহণ – আমি চন্দ্রগ্রহণ ও সূর্যগ্রহণ দুই -ই দেখেছি।
১১. বিপরীত শব্দ লেখো :
উত্তরঃ
আড়াল – সামনে
চুপ – সবাক
আনন্দ – দুঃখ
গলি – বড়ো রাস্তা
ফিকে – গাঢ়
১২. অর্থ লেখো :
উত্তরঃ
মূর্তি – প্রতিমা
পিলপে গাড়ি – হাতিতে টানা গাড়ি
বিবাগি – সংসারত্যাগী
নাগাল – ধরাছোয়া
দেউড়ি – সদর দরজা
১৩. প্রতিশব্দ লেখো :
উত্তরঃ
পৃথিবী – বসুধা, ধরা
পাহাড় – শৈল, গিরি
আকাশ – নভঃ, গগন
জল – নীর, বারি
গাছ – বৃক্ষ, উদ্ভিদ
১৪. দুটি বাক্যে ভেঙে লেখো :
১৪.১. আমার পিতা যখন বাড়ি থাকতেন তাঁর জায়গা ছিল তেতালার ঘরে।
উত্তরঃ আমার পিতা মাঝে মাঝে বাড়ি থাকতেন।
তখন তাঁর জায়গা ছিল তেতলার ঘর।
১৪.২. আমি লুকিয়ে ছাদে উঠতুম প্রায়ই দুপুর বেলায়।
উত্তরঃআমি লুকিয়ে ছাদে উঠতুম।
প্রায়ই দুপুর বেলায় তা হত।
১৪.৩. হঠাৎ তাদের হাঁক পৌঁছাত, যেখানে বালিশের উপর খোলা চুল এলিয়ে দিয়ে শুয়ে থাকত বাড়ির বউ।
উত্তরঃবালিশের উপর খোলা চুল এলিয়ে দিয়ে শুয়ে থাকত বাড়ির বউ।
হঠাৎ তাদের হাঁক পৌঁছাত।
১৪.৪. বিছানার একখানা চাদর নিয়ে গা মুছে সহজ মানুষ হয়ে বসতুম।
উত্তরঃবিছানায় একখানা চাদর নিয়ে গা মুছতাম।
তারপর সহজ মানুষ হয়ে বসতুম।
১৪.৫. গরম বাতাস হু হু করে ছুটে যাচ্ছে ধুলো উড়িয়ে।
উত্তরঃগরম বাতাস হু হু করে ছুটে যাচ্ছে।
তাতে ধুলো উড়ে যাচ্ছে।
১৬. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
১৬.১. বালক রবীন্দ্রনাথের প্রধান ছুটির দেশ কী ছিল ?
উত্তরঃ বালক রবীন্দ্রনাথের প্রধান ছুটির দেশ ছিল তেতলার খোলা ছাদ।
১৬.২. তাঁর বাড়ির নীচতলায় বারান্দায় বসে রেলিঙের ফাঁক দিয়ে কী কী দেখা যেত ?
উত্তরঃ তাঁর বাড়ির নীচতলায় বারান্দায় বসে রেলিঙের ফাঁক দিয়ে রাস্তার লোক চলাচল দেখা যেত।
১৬.৩. পাঠ্যাংশে ‘ওয়েসিস’ এর প্রসঙ্গ কীভাবে রয়েছে ?
উত্তরঃ রবিঠাকুর তাদের বাড়ির তেতলার ছাদকে কেতাবে পড়া মরুভূমির সাথে তুলনা করেছেন। কারণ গরম কালে বাতাস হুহু করে বয়ে যেত এবং ছাদের কলঘর ছিল একেই লেখক মরুভূমিতে থাকা ওয়েসিস এর সঙ্গে তুলনা করেছেন।
১৬.৪. পাঠ্যাংশে রবীন্দ্রনাথের পিতার সম্পর্কে কী জানতেন ?
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিল ধার্মিক প্রকৃতির মানুষ। ভোরবেলা সূর্যদয়ের আগে তিনি খোলা ছাদে হাত দুটি কোলের মধ্যে জড়ো করে মূর্তির মতো বসে থাকত, মাঝে মাঝে তিনি পাহাড়েও বেড়াতে যেতেন।
১৬.৫. পিতার কলঘরের প্রতি ছোট্ট রবির আকর্ষণের কথা কী ভাবে জানা গেল ?
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছেলেবেলা গল্পে, জানতে পারি, ছোট্ট রবি বাবা না থাকাকালীন পাহারাদারদের চোখ এড়িয়ে ছাদে উঠে লুকিয়ে ছিটকিনি খুলে সোফার উপর বসে দেখত ছাদের উপর গরম বাতাস ধুলো উড়িয়ে চলছে এই সময় মরুভূমি তুল্য ছাদের মধ্যে মরূদ্যানতুল্য কলঘরের প্রতি আকর্ষণের ফলে মনের আনন্দে চান করে সোফায় চাদর দিয়ে গা মুছে বসত।
১৬.৬. ছুটি শেষের দিকে এসে পৌঁছালে রবির মনের ভাব কেমন হতো ?
উত্তরঃ রবিবারের ছুটির দিন শেষের দিকটা খুব তাড়াতাড়ি শেষের দিকে এসে পৌঁছাত দেউড়ির ঘড়ির ঘন্টায় চারটে বাজলে মনে হত রবিবারের বিকেলের আকাশটার মুখটা বিশ্রী রকম করে রয়েছে তাকে যেন সোমবারের গ্রহণ হাঁ করে গিলতে এসেছে।
১৬.৭. পাঠ্যাংশে কাকে, কেন বাংলাদেশের ‘শিশু লিভিংস্টন’ বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ কারণ লিভিংস্টন স্কটল্যান্ডের আদিবাসী দক্ষিণ ও মধ্য আফ্রিকার বিস্তীর্ণ অঞ্চল এবং নীলনদের উৎসস্থল টাঙ্গানিকা হ্রদ এবং ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত। তিনি প্রথম অভিযান করে জাম্বেসি ও কঙ্গো নদীর অভিযান তাকে ইতিহাসে স্মরণীয় করে রেখেছে। লিভিংস্টন এর মতো ছোট্ট রবির গরমের সময় হঠাৎই ছাদের ঘরের পাশে স্নান ঘরটি আবিষ্কার করে, শিশু রবির কাছে তা ছিল মরুদ্যানের মতো, এই কারণেই তাকে শিশু লিভিংস্টন বলে উল্লেখ করেছেন।