এই নিবন্ধে আমরা পঞ্চম শ্রেণির বাংলার তৃতীয় অধ্যায় অর্থাৎ “এতোয়া মুন্ডার কাহিনী” গল্পের প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে জানবো। Class 05 Bangla Chapter 04 Question Answer |
Class 5 Bangla Chapter 04 Question Answer | পঞ্চম শ্রেনীর বাংলা অধ্যায় ০৪ ‘ এতোয়া মুন্ডার কাহিনী’ প্রশ্ন উত্তর
Table of Contents
১. ঠিক শব্দটি বেছে নিয়ে লেখো :
১.১. গ্রামটার আদি নাম ছিল
a. শালগাড়া
b. হাতিঘর
c. হাতিবাড়ি
d. শালগেড়িয়া
উত্তরঃ a. শালগাড়া
১.২ মোতিবাবু ছিলেন গ্রামের
a. আদিপুরুষ
b. ভগবান
c. জমিদার
d. মাস্টার
উত্তরঃ c. জমিদার
১.৩ ‘এতোয়া’ শব্দটির অর্থ –
a. রবিবার
b. সোমবার
c. বুধবার
d. ছুটির দিন
উত্তরঃ a. রবিবার
১.৪ শূরবীর ছিলেন একজন
a. সর্দার
b. আদিবাসী রাজা
c. বনজীবী
d. যাত্রা শিল্পী
উত্তরঃ b. আদিবাসী রাজা
১.৫ ডুলং, সুবর্ণরেখা নাম গুলো
a. পাহাড়ের
b. ঝর্ণার
c. নদীর
d. গাছের
উত্তরঃ c. নদীর
২. উপযুক্ত শব্দ বসিয়ে বাক্যটি সম্পূর্ণ করো :
উত্তরঃ
২.১ আর হাতিশালাটি ছিল পাথরের।
২.২ এতোয়ার দাদু বলে এক সময় এটাছিল আদিবাসী গ্রাম।
২.৩ গাঁয়ের বুড়ো সর্দার মঙ্গল নাতিটার দিকে তাকায়।
২.৪ তবে জঙ্গল তো মা।
২.৫ প্রাইমারি স্কুলের চালাঘরের কোল দিয়ে পথ।
৩. অর্থ লেখো :
উত্তরঃ
গর্জন -চিৎকার
বাগাল – রাখাল
গুঞ্জন -গুন্ গুন্ শব্দ
দুলন্ত – দোলমান
গোড়া – শুরুর অংশ / শুরু
৪. বিপরীতার্থক শব্দগুলি লেখো :
উত্তরঃ
১. পূর্বপুরুষ – উত্তর পুরুষ
২. আদি – অন্ত
৩. কচি – বুড়ো
৪. শুকনো – ভিজে
৫. বিশ্বাস – অবিশ্বাস
৫. সমার্থক শব্দ লেখো :
উত্তরঃ
১. জল- নীর
২. নদী- তটিনী
৩. সমুদ্দুর – জলধি
৪. জঙ্গল – বন
৫. উলগুলান – বিদ্রোহ
৬. ক্রিয়াগুলির নীচে দাগ দাও :
উত্তরঃ
৬.১ সাবু আর শাল গাছের পাঁচিল যেন পাহারা দিত গ্রামকে।
৬.২ এখন কেউ চাঁদ দিয়ে বছর হিসাব করে ?
৬.৩ ছোটনাগপুর ছাড়লাম।
৬.৪ জঙ্গল নষ্ট করি নাই।
৬.৫ যে বাঁচায় তাকে কেউ মারে ?
৭. দুটি বাক্যে ভেঙে লেখো ( একটি করে দেওয়া হলো ):
৭.১ গাঁয়ের বুড়ো সর্দার মঙ্গল নাতিটার দিকে তাকায়।
উত্তরঃ গাঁয়ের বুড়ো সর্দার মঙ্গল। সে নাতিটার দিকে তাকায়।
৭.২ হাতিশালটায় দেয়াল তুলে ওটা এখন ধান রাখবার গোলাঘর।
উত্তরঃ হাতিশালটায় দেয়াল তুলে দেওয়া হয়েছে। ওটা এখন ধান রাখবার গোলাঘর।
৭.৩ আমাদের কালে, সেই জঙ্গল দিয়ে চার মাইল যাও, তবে পাঠশালা পড়ত।
উত্তরঃ আমাদের কালে, সেই জঙ্গল দিয়ে চার মাইল যেতে হতো। তবে পাঠশালায় পৌঁছানো যেত।
৭.৪ এখন ও লাফায় আর নদীর জল, কাশবন, বুনোফুল, আকাশ, সকলকে ডেকে বলে, সে কী ভীষণ যুদ্ধ।
উত্তরঃ এখন ও লাফায় আর নদীর জল, কাশবন, বুনোফুল, আকাশ, সকলকে ডাকে। আর ডেকে বলে সে কী ভীষণ যুদ্ধ।
৭.৫ ডুলং ও সুবর্ণরেখাও হেসে চলে যায়, বয়ে যায়।
উত্তরঃ ডুলং ও সুবর্ণরেখাও হেসে চলে যায়। তারা বয়ে যায়।
৮. বাক্য রচনা করো :
১. পাঁচিল – আমাদের বাড়িটি পাঁচিল দিয়ে ঘেরা।
২. চাঁদ- পূর্ণিমার চাঁদ পুরো গোলাকার দেখতে।
৩. দেশ – আমাদের দেশের নাম ভারতবর্ষ।
৪. মানুষ – প্রাণী জগতের সমস্ত প্রাণীদের মধ্যে উন্নত হল মানুষ।
৫. জঙ্গল – আমাজন হল সবথেকে বড়ো জঙ্গল।
৯. কোনটি কোন ধরণের বাক্য লেখ ( একটি করে দেওয়া হলো )
৯.১ স্রোত কী জোরালো ! (বিস্ময়বোধক বাক্য )
৯.২ কচি ছেলে, কিছুই জানে না। (বিবরণাত্মক বাক্য নেতিবাচক অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে )
৯.৩ সে যেন গেরুয়া জলের সমুদ্দুর। (বিবরণাত্মক বাক্য )
৯.৪ নামটা বদলে গেল কেন গো ? (প্রশ্নবোধক বাক্য)
৯.৫ কী যুদ্ধ, কী যুদ্ধ ! (বিস্ময়সূচক বাক্য)
১০. কোনটি কোন শব্দ, ঝুড়ি থেকে বেছে নিয়ে আলাদা করে লেখো।
মস্ত, আমাদের, শিকার, তুই, সে, লড়াই, বুড়ো, ভীষণ, ছোট্ট, ও, চরায়, রাখে, ঝাঁকড়া, ধারালো, ওঠে, সুর
উত্তরঃ
বিশেষ্য: শিকার, লড়াই
বিশেষণ: মস্ত, বুড়ো , ভীষণ,ছোট্ট , ঝাঁকড়া , ধারালো, সরু
সর্বনাম: আমাদের, তুই , সে
অব্যয়: ও
ক্রিয়া: চরায়, রাখে, ওঠে
১১. নিম্নলিখিত প্রতিটি ক্ষেত্রে দুটি বাক্যকে জুড়ে একটি বাক্য লেখ। (একটি করে দেওয়া হল ):
১১.১ কী গল্পই বললে আজ দাদু। সবাই শুনছিল গো।
উত্তরঃ দাদু আজ এমন গল্প বললে যে সবাই শুনছিল গো।
১১.২ এতোয়া রে ! ছেলে তুই বড্ড ভালো।
উত্তরঃ এতোয়া রে তুই বড্ড ভালো ছেলে।
১১.৩ তুই বড্ড বকিস এতোয়া। তোর বাপেরও এতো কথা শুধাবার সাহস হতো না।
উত্তরঃ এতোয়া তুই বড্ড বকিস তোর বাপেরও এতো কথা শুধাবার সাহস হতো না।
১১.৪ বাবুরা এল। আমাদের সব নিয়ে নিল।
উত্তরঃ বাবুরা এসে আমাদের সব নিয়ে নিল।
১১.৫ আদিবাসী আসছে। মানুষ বাড়ছে।
উত্তরঃ আদিবাসী আসায় মানুষ বাড়ছে।
১২. এলোমেলো বর্ণগুলি সাজিয়ে অর্থপূর্ণ শব্দ তৈরি করো :
উত্তরঃ
দিসীআবা – আদিবাসী
বখারেণসু – সুবর্ণরেখা
গাংড়ারদ -দরংগাড়া
টিড়া পোমা – পোড়ামাটি
ষপুদিরুআ – আদিপুরুষ
১৩. এলোমেলো শব্দগুলি সাজিয়ে অর্থপূর্ণ বাক্য তৈরি করো :
১৩.১ ছাগল কাজ গোরু ওর চরানো।
উত্তরঃ ওর কাজ ছাগল গোরু চরানো।
১৩.২ তির শনশন তারা তখন ছোড়ে।
উত্তরঃ তারা তখন তির ছোড়ে শনশন।
১৩.৩ আগে হাজার চাঁদ হাজার।
উত্তরঃ হাজার হাজার চাঁদ আগে।
১৩.৪ ছিল পাথরের হাতিশালটা আর।
উত্তরঃ আর ছিল পাথরের হাতিশালটা।
১৩.৫ সপ্তাহে হাট প্রতি বসে তো গ্রামে।
উত্তরঃ গ্রামে প্রতি সপ্তাহে হাট বসে।
১৪.১ লেখালেখি ছাড়াও আর কী কী কাজ মহাশ্বেতা দেবী করেছেন ?
উত্তরঃ লেখালেখি ছাড়াও মহাশ্বেতা দেবী অধ্যাপনা ও সাংবাদিক হিসাবে কাজ করেছেন।
১৪.২ আদিবাসী জীবন নিয়ে লেখা তাঁর একটি বইয়ের নাম লেখো।
উত্তরঃ ‘অরণ্যের অধিকার’ ।
১৪.৩ ছোটোদের জন্য লেখা তাঁর একটি বিখ্যাত বইয়ের নাম লেখো।
উত্তরঃ ছোটোদের জন্য লেখা তাঁর একটি বিখ্যাত বই হল ‘গল্পের গরু ন্যাদোশ’ ।
১৫. নীচের প্রশ্নগুলির নিজের ভাষায় লেখো :
১৫.১ ‘সেও এক ভীষণ যুদ্ধ’ – কোন যুদ্ধের কথা এখানে বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ এখানে মুন্ডা বিদ্রোহের কথা বলা হয়েছে।
বিরসা মুন্ডা সাহেবদের উৎখাত করবে বলে মুন্ডাদের নিয়ে যে বিদ্রোহ করে সেই বিদ্রোহের কথা বলা হয়েছে, যা ‘উলগুলান’ নামে পরিচিত।
১৫.২ গাঁয়ের নাম হাতিঘর হল কেন ?
উত্তরঃ বহুবছর আগে যখন মোতিবাবুর পূর্বপুরুষেরা মস্ত জমিদার ছিলেন, তখন গাঁয়ে পাথরের হাতিশালটায় হাতি থাকত। হাতি থাকার কারণে গাঁয়ের নাম হাতিঘর হয়।
১৫.৩ ভজন ভুক্তা এতোয়াকে কী বলত ?
উত্তরঃ ভজন ভুক্তা এতোয়াকে কোনদিন শুরবীর এক আদিবাসী রাজার কথা বলে আর কোনদিন বলত যে তুই বড্ড ভালো ছেলে ? স্কুলে যাস না এটাই আমার দুঃখ। আমাদের কালে জঙ্গল পেরিয়ে চার মাইল হেঁটে পাঠশালা যেতে হত, কিন্তু এখন তো গ্রামেই স্কুল তবু তুই যাস না।
১৫.৪ হাতিঘর কেমন ভাবে যাবে সংক্ষেপে লেখ।
উত্তরঃ কলকাতা থেকে খড়্গপুর, তারপর বাসে চেপে গুপ্তমনি মন্দিরের সামনে নামতে হবে। মন্দির থেকে দক্ষিণ পশ্চিমে সাত আট মাইল হেঁটে, ছোট্ট একটি নদী পার হতে হবে, তারপর মস্ত গ্রাম রোহিনী পেরিয়ে দক্ষিণে ডুলং নদী যার আদিবাসী নাম দরংগাড়া, সেখানে এতোয়াদের গ্রাম হাতিঘর।
১৫.৫ এতোয়া নামটি কেন হয়েছিল ?
উত্তরঃ আদিবাসীরা জন্মবারের সাথে নাম মিলিয়ে রাখে, আবার কেউ কেউ বাংলা নামও রাখে। এতোয়া রবিবার জন্মাল বলে, বারের নাম মিলিয়ে ওর নাম এতোয়া রাখা হয়েছিল।
১৫.৬ এতোয়ার রোজকার কাজের বর্ণনা দাও ?
উত্তরঃ হাটের দোকানির দোকান ঝাঁটপাট দিয়ে এতোয়া একটা বস্তা চেয়ে নিয়ে আম বাগানে বাবুর গরু চরাতে চরাতে কুড়িয়ে নেয় টোকো আম, শুকনো কাঠ, মেটে আলু খুড়ে বের করে মাটি থেকে, পুকুরের পাড় থেকে শাক তোলে, ডুলং নদী পেরিয়ে গরু চরাতে থাকে, এইসবই এতোয়ার রোজকার কাজ।
১৫.৭ ‘এখন গ্রামে ইস্কুল, তবু’-বক্তা কে ? আগে কী ছিল ?
উত্তরঃ এখানে বক্তা অন্ধ ভজন ভুক্তা।
আগেতো গ্রামে ইস্কুল ছিল না। ভজন ভুক্তার সময়ে জঙ্গলের পথ দিয়ে চার মাইল হেটে গেলে পাওয়া যেত পাঠশালা।
১৬. বাঁদিকের শব্দের সঙ্গে মিল আছে এমন ডানদিকের শব্দ খোঁজো।
উত্তরঃ
হাতি | শুঁড় | ||||
চাল | ধান | ||||
গ্রাম | পল্লি | ||||
চাঁদ | জ্যোৎস্না | ||||
পাতা | গাছ |