এই নিবন্ধে আমরা মাধ্যমিক ভৌত বিজ্ঞান এর পনঞ্অচম ধ্যায় অর্থাৎ আলো এর বেশ কিছু অতি সংক্ষিপ্ত, সংক্ষিপ্ত, দীর্ঘ প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে জানবো। Class 10 Physical Science Chapter 05 MCQ Answer |
Class 10 Physical Science Chapter 05 MCQ Answer | মাধ্যমিক ভৌত বিজ্ঞান অধ্যায় ০৫ – আলো প্রশ্ন ও উত্তর
A. বহু বিকল্পভিত্তিক প্রশ্নাবলি [MCQ]
1. দীর্ঘ দৃষ্টি ত্রুটিসম্পন্ন ব্যক্তি ব্যবহার করেন উপযুক্ত ফোকাস দৈর্ঘ্যের—
[A] উত্তল লেন্সযুক্ত চশমা [B] অবতল লেন্সযুক্ত চশমা [C] বেলনাকার চশমা [D] টরিক লেন্স
ANS- [A] উত্তল লেন্সযুক্ত চশমা
2. রেটিনার কোথায় বস্তুর প্রতিবিম্ব গঠিত হলেও দেখা যায় না ?
[A] হলুদ বিন্দুতে [B] দৃষ্টি অক্ষে [C] আলোক অক্ষে [D] অন্ধবিন্দুতে
ANS-[D] অন্ধবিন্দুতে
3. ‘গাড়িতে ব্যবহৃত রিয়ার ফিউ মিররটি হল—
[A] সমতল দর্পণ [B] অবতল দর্পণ [C] অবতল লেন্স [D]উত্তল দর্পণ
ANS-[D]উত্তল দর্পণ
4. এক মাধ্যম থেকে অন্য মাধ্যমে প্রবেশের সময় আলোর কোন ধর্ম অপরিবর্তনীয়?
[A] বিস্তার [B] কম্পাঙ্ক [C] তরঙ্গদৈর্ঘ্য [D] গতিবেগ
ANS-[D] গতিবেগ
5. যখন আলোকরশ্মি কাচ থেকে বায়ুতে যায়, তখন পরিবর্তন হয় না তার— [A] তরঙ্গদৈর্ঘ্যর [B] কম্পাঙ্কের [C] বেগের [D] কোনোটিই নয়।
ANS- [B] কম্পাঙ্কের
6. কোন্ উত্তল লেন্সে বস্তু দূরত্ব ও প্রতিবিম্ব দূরত্বের মান যথাক্রমে 10 cm ও 20 cm হলে রৈখিক বিবর্ধন — [A] 1/2 [B] 2 [C] 1/4 [D] 4
ANS-[B] 2
7. চোখের যে অংশ সর্বাধিক স্পষ্ট দর্শনের অনুভূতি জাগায় তা হল—
[A] ফোভিয়া সেন্ট্রালিস [B] অন্ধ বিন্দু [C] ভিট্রিয়াস হিউমার [D] আইরিস
ANS-[A] ফোভিয়া সেন্ট্রালিস
৪. সুস্থ চোখের নিকট বিন্দুর দূরত্ব প্রায়—
[A] 20 cm [B] 25 cm [C] 30 cm [D] 50 cm
ANS-[B] 25 cm
9. প্রিজম পেরিস্কোপের সাহায্যে গঠিত কোনো বস্তুর প্রতিবিম্ব—[A] খুব উজ্জ্বল [B] খুব অনুজ্জ্বল [C] অস্পষ্ট
[D] কোনোটাই নয়
ANS-[A] খুব উজ্জ্বল
10. কোনো ক্ষেত্রে স্নেলের সূত্র প্রযোজ্য নয় – [A] তির্যক আপতন [B] লম্ব আপতন [C] সমান্তরাল আপতন [D]প্রতিফলন
ANS-[B] লম্ব আপতন
11. আলোকের প্রতিসরণে যে বর্ণের চ্যুতি সবচেয়ে বেশি হয় সেটি— [A] হলুদ [B] সবুজ [C] লাল [D] বেগুনি
ANS-[C] লাল
12. লাল, নীল, সবুজ ও হলুদ আলোর মধ্যে কোনোটির প্রতিসরাঙ্ক সবচেয়ে বেশি?[A] লাল [B] নীল [C] সবুজ [D] হলুদ
ANS- [B] নীল
13. কোন্ আলোর প্রতিসরাঙ্ক সবচেয়ে কম ? [A] লাল [B] নীল [C] সবুজ [D] হলুদ
ANS- [A] লাল
14. উত্তল দর্পণ যে প্রতিবিম্ব গঠন করে, তা হল-
[A] সদ্-অবশীর্ষ [B] সদ-সমশীর্ষ [C] অসদ্-অবশীর্ষ [D]অসদ-সমশীর্ষ
ANS-[D]অসদ-সমশীর্ষ
15. অবতল দর্পণে গঠিত প্রতিবিম্ব— [A] সর্বদা সদ [B] সর্বদা অসদ [C] অবশ্যই সদ যখন বস্তু অসদ [D] অবশ্যই অসদ্ যখন বস্তু সদ
ANS-[C] অবশ্যই সদ যখন বস্তু অসদ
16. মোটর গাড়ির চালকের পেছনের যানবাহন দেখার জন্য ব্যবহৃত দর্পণটি—
[A] সমতল [B] অবতল [C] উত্তল [D] কোনোটিই নয়
ANS-[C] উত্তল
17. দাঁত ও গলার ভিতরের অংশ দেখার জন্য চিকিৎসকরা ব্যবহার করেন— [A] উত্তল দর্পণ [B] অবতল দর্পণ [C] সমতল দর্পণ [D] কোনোটিই নয়
ANS-[B] অবতল দর্পণ
B. অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর :
শূন্যস্থান পূরণ করো :[ প্রতিটি প্রশ্নমান-1]
1. চোখের-……………………………………… অংশে বস্তুর প্রতিবিম্ব গঠিত হয়।
2. প্রতিসরণের ক্ষেত্রে চ্যুতি কোণের মান সর্বোচ্চ হয় যখন, আপতন কোণের মান হয়…………………
3. প্রিজমে-………………………. বর্ণের আলোর চ্যুতি সর্বাধিক হয়।।
4. দীর্ঘ দৃষ্টিজনিত ত্রুটি দূর করার জন্য………………….লেন্স ব্যবহার হয়।
5. অল্প দৃষ্টিজনিত ত্রুটি দূর করার জন্য………………………..লেন্স ব্যবহার হয়।
উত্তর : (1) রেটিনা। (2) 90°1 (3) বেগুনি। (4) উত্তল লেন্স | (5) অবতল লেন্স।
সত্য বা মিথ্যা নির্ণয় করো : [প্রশ্নমান-1]
1. প্রতিসারক একক ও মাত্রাহীন রাশি ।
2. বস্তুর অসমান আকারের সদবিদ অবতল দর্পণ সৃষ্টি করে।
3. আলোক তরঙ্গে হল তড়িৎচুম্বকীয় তীর্যক তরঙ্গ।
4. লেখচিত্রের প্রকৃতি হবে বর্গাকার পরাবৃত্ত।
5. প্রিজমের প্রতিসারক তল হয় দুইটি।
উত্তর : (1) সত্য । (2) মিথ্যা। (3) সত্য। (4) মিথ্যা। (5) সত্য।
‘অ’ স্তম্ভের সঙ্গে ‘আ’ স্তম্ভ মেলাও :[প্রশ্নমান-1]
(a)’অ’ স্তম্ভ
1. মরিচীকা
2. অসদবস্তু
3. লেন্সে আলোক কেন্দ্রের সংখ্যা
4. সার্চলাইট
“আ” স্তম্ভ
(a) অধিবৃত্তীয় দর্পণ
(b) একটি
(c) অভিসারি রশ্মিগুচ্ছ
(d) আলোর আভ্যন্তরীন প্রতিফলন
উত্তর : 1 (d) 2 (c) 3-(b) 4→(a)
(a)’অ’ স্তম্ভ
1. অস্ত রবির রক্ত রাগ
2. সরল অণুবীক্ষণ যন্ত্র
3.রামধনু
4. অবতল দর্পণ
“আ” স্তম্ভ
(a) আলোর কিছুরণ
(b) দন্ত চিকিৎসক
(c) আলোর বিক্ষেপণ
(d) উত্তল লেন্স
উত্তর : 1 (c) 2-(d) 3-(a) 4->(b)
দু-একটি বাক্যে উত্তর দাও :[প্রশ্নমান->]
1. মোটর গাড়ির হেডলাইটে কী ধরনের দর্পণ ব্যবহার করা হয়?
উত্তর : মোটর গাড়ির হেডলাইটে অবতল দর্পণ ব্যবহার করা হয়।
2. বিবর্ধক কাচ হিসাবে কোন ধরনের লেন্স ব্যবহার করা হয়?
উত্তর : বিবর্ধক কাচ হিসাবে উত্তল লেন্স ব্যবহার করা হয়।
3. দন্ত চিকিৎসকের দর্পণ কী প্রকৃতির?
উত্তর : দন্ত চিকিৎসকের দর্পণের প্রকৃতি হল অবতল।
4. কোনো আলোকরশ্মির প্রতিসরণে আপতন কোণ 60° ও প্রতিসরণ কোণ 45° হলে চ্যুতিকোণ কত?
উত্তর : চ্যুতিকোণ 60° – 45° = 15°
5. আয়তাকার কাচের স্লাবে কোন্ আলোকরশ্মি আপতিত হলে আপতিত রশ্মি ও নির্গম রশ্মির মধ্যে চ্যুতিকোণ কত?
উত্তর : এক্ষেত্রে চ্যুতিকোণ ০° ।
6. শূন্যস্থানে আলোর বেগ কত?
উত্তর : শূন্যস্থানে আলোর বেগ 3 x 10^8m/s
7. দিনেরবেলায় আকাশ নীল দেখায় আলোর কোন ধর্মের জন্য ?
উত্তর : দিনেরবেলায় আকাশ নীল দেখায় আলোর বিক্ষেপণের জন্য।
৪. অবতল দর্পণ কখন একটি বস্তুর অসবিন্দু গঠন করে?
উত্তর : কোনো বস্তু অবতল দর্পণের মেরু ও ফোকাসের মধ্যে থাকলে বস্তুর অসবিদ্ধ গঠন করে।
9. অবতল দর্পণ কখন একটি বস্তুর সদবিম্ব গঠন কারে?
উত্তর : কোনো বস্তু অবতল দর্পণের ফোকাস থেকে দূরে থাকলে বা বস্তু দূরত্ব ফোকাস দূরত্ব অপেক্ষা বেশি হলে সদবিদ গঠিত হয়।
10. উত্তল দর্পণের বক্রতা কেন্দ্র প্রতিফলক তলের সামনে না পিছনে অবস্থিত? উত্তর : উত্তল দর্পণের বক্রতা কেন্দ্র প্রতিফলক তলের পিছনে অবস্থিত।
11. অবতল দর্পণের বক্রতা কেন্দ্র প্রতিফলক তলের সামনে না পিছনে অবস্থিত?
উত্তর : অবতল দর্পণের বক্রতা কেন্দ্র প্রতিফলক তুলের সামনে অবস্থিত।
12. গাড়ির চালক রিয়ারভিউ ফাইন্ডার রূপে কোন দর্পণের সাহায্য নেয়?
উত্তর : উত্তল দর্পণ ।
13. বায়ু সাপেক্ষে কাচের প্রতিসরাঙ্ক 3/2 হলে কাচ সাপেক্ষে বায়ুর প্রতিসরাঙ্ক কত হবে?
উত্তর : প্রতিসরাঙ্ক 2/3 হবে।
C.সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর :[ প্রতিটি প্রশ্নমান-2]
1. সূর্যোদয় বা সূর্যাস্তের সময় সূর্যকে লাল দেখায় কেন?
উত্তর : সূর্যোদয় বা সূর্যাস্তের সময় সূর্য দিগন্তে থাকে, তাই সূর্যরশ্মিকে বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়ে অনেকটা বেশি পথ অতিক্রম করতে হয়। সূর্যালোকের সাতটি আলোর মধ্যে লাল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি হওয়ায় বিক্ষেপণ কম হয়। অন্যান্য কম তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলোগুলির বিক্ষেপণ বেশি হয় বলে চারিদিকে ছড়িয়ে যায়। ভূপৃষ্ঠে এসে পৌঁছায় না। শুধুমাত্র লালবর্ণের আলো ভূপৃষ্ঠে আসতে পারে তাই সুর্যোদয় বা সুর্যাস্তের সময় সূর্যকে লাল দেখায়।
2. পরিপূরক বর্ণ কাকে বলে ?
উত্তর : সাদা আলোর বর্ণালির একদিকের কোনো বর্ণের সঙ্গে বিপরীত দিকের কোনো বর্ণ সঠিক অনুপাতে মিশিয়ে যদি সাদা বর্ণ পাওয়া যায় তাহলে এই দুটি বর্ণকে পরিপুরক বর্ণ বলা হয়। যেমন নীল ও হলুদ হল পরিপুরক বর্ণ বা গাঢ় নীল ও লাল হল পরিপুরক বর্ণ ।
3. তোমাকে তিনটি দর্পণ দেওয়া হল—একটি সমতল, একটি উত্তল ও একটি অবতুল। স্পর্শ না করে কীভাবে দর্পনগুলি শনাক্ত করবে?
উত্তর : সমতল দর্পণ কোনো বস্তুর সমান সাইজের অসদবিম্ব গঠন করে। উত্তল দর্পণ সর্বদা কোনো বস্তুর খর্বকায় অসবিম্ব গঠন করে এবং অবতল দর্পণের ফোকাস দূরত্বের কম দুরত্বে একটি বস্তু রাখলে বস্তুটির বিবর্ধিত অসবিম্ব গঠিত হয়।
একটি পেনসিলকে কোনো দর্পণের খুব কাছে ধরলে যদি সমান সাইজের অসবিশ্ব গঠিত হয় তাহলে দর্পণটি সমতল, যদি খর্বকায় অসদ বিম্ব গঠিত হয় তাহলে দর্পণটি উত্তল এবং যদি বিবর্ধিত অসবিদ গঠিত হয় তাহলে দর্পণটি অবতল।
4. উত্তল লেন্সকে অভিসারী লেন্স ও অবতল লেন্সকে অপসারী লেন্স বলা হয় কেন?
উত্তর : বায়ুতে থাকা একটি উত্তল লেপের ওপর সমান্তরাল রশ্মিগুচ্ছ আপতিত হলে প্রতিসরণের পর তা অভিসারী রশ্মিগুচ্ছে পরিণত হয়। তাই উত্তল লেন্সকে অভিসারী লেন্স বলা হয়। চিত্র (a)
আবার বায়ুতে থাকা একটি অবতল লেপের ওপর সমান্তরাল রশ্মিগুচ্ছ আপতিত হলে প্রতিসরণের পর তা অপসারী রশ্মিগুচ্ছে পরিণত হয়, তাই অবতল লেন্সকে অপসারী লেন্স বলা হয়। চিত্র (b)
5. আলোর বিচ্ছুরণ কাকে বলে ?
উত্তর : বহুবর্ণী বা কোনো যৌগিক আলোকরশ্মি কোনো প্রতিসারক মাধ্যমের মধ্য দিয়ে গেলে বিভিন্ন বর্ণে ভেঙে যায়, এই ঘটনাকে আলোর বিচ্ছুরণ বলা হয়।
6. দৃশ্যমান বর্ণালী কাকে বলে?
উত্তর : যে সমস্ত তড়িচ্চুম্বকীয় তরঙ্গের তরঙ্গদৈর্ঘ্য 4000 থেকে 8000A এর মধ্যে, সেই তরঙ্গগুলি আমাদের চোখে দর্শনের অনুভূতি জাগায়। এই পাল্লার তরঙ্গগুলিই হল দৃশ্যমান বর্ণালী।
7. একটি লাল কাচের মধ্য দিয়ে সূর্যকে দেখলে কেমন দেখাবে?
উত্তর : লাল কাচের ওপর সূর্যের আলো পড়লে, লাল কাচ লাল ব্যতীত সব আলোকে শোষণ করে নেয় এবং দর্শকের চোখে শুধুমাত্র লাল আলেই আসে। তাই সূর্যকে লাল দেখাবে।
৪. নীল কাচের ভিতর দিয়ে সাদা ফুলকে কেমন দেখাবে?
উত্তর : নীল কাচের ভিতর দিয়ে সাদা ফুলকে নীল দেখাবে। সাদা ফুল থেকে আগত সাতটি বর্ণের আলো নীল কাচে প্রবেশ করলে নীল কাচ নীল রং ব্যতীত সব রং-এর আলো শোষণ করে নেবে এবং দর্শকের চোখে শুধুমাত্র নীল আলোই আসবে। তাই সাদা ফুলকে নীল দেখাবে।
9. অতিবেগুনি রশ্মির ব্যবহার ও তার ক্ষতিকারক প্রভাব লেখো।
উত্তর : অতিবেগুনি রশ্মির ব্যবহার : (i) জীবাণু নাশক কাজে, (ii) রত্ন, ঘি প্রভৃতির বিশুদ্ধতা নির্ণয়ে, (iii) ভিটামিন D উৎপাদনে, (iv) ত্বকের কিছু সংক্রমণ যেমন সোরিয়াসিস চিকিৎসায় ক্ষতিকারক প্রভাব বেশি পরিমাণ অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাব ত্বকের ক্যানসার হতে পারে।
10. x- রশ্মির ব্যবহার ও ক্ষতিকারক প্রভাব লেখো।
উত্তর : x রশ্মির প্রভাব : (i) হাড় ভেঙে গেলে বা দাঁতের ভিতরের গঠন জানার জন্য, (ii) বিভিন্ন রোগের কারণ অনুসন্ধান ও ক্যানসারের চিকিৎসায়, (ii) কেলাসিত পদার্থের গঠন জানার জন্য, (iv) গোয়েন্দা দফতরে কোন নিখোঁজ জিনিসের অনুসন্ধানে। ক্ষতিকারক প্রভাব : জীবিত কোশের ওপর আপতিত হলে কোশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
11. x – রশ্মি ও y-রশ্মির মধ্যে পার্থক্য লেখো।
উত্তর : x রশ্মি ও y রশ্মি রশ্মির পার্থক্য :
X রশ্মি
1. তীব্র গতিবেগসম্পন্ন ইলেকট্রন উচ্চ গলনাঙ্ক বিশিষ্ট ধাতুকে আঘাত করলে x রশ্মির উৎপন্ন হয়।
2. x রশ্মির শক্তি y রশ্মির তুলনায় কম।
Y রশ্মি
1. তেজস্ক্রিয় মৌলের দুহিতা পরমাণু থেকে Y রশ্মি নির্গত হয়।
2. y রশ্মির শক্তি x রশ্মির তুলনায় বেশি।
12. দিনেরবেলায় আকাশ নীল দেখায় কেন?
উত্তর : সূর্যের আলো ভূপৃষ্ঠে আসার পূর্বে অনেকটা পথ বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়ে যায়। বায়ুমণ্ডলের মধ্যে থাকা ক্ষুদ্র ধূলিকণা, গ্যাসের অণু সূর্যালোকের বিক্ষেপণ ঘটায়। দৃশ্যমান আলোর মধ্যে লাল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি বলে লাল আলোর বিক্ষেপণ কম হয় কিন্তু নীল বা বেগুনি বর্ণের আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য কম হওয়ায় এই আলোর বিক্ষেপণ বেশি হয় এবং চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। আমাদের চোখে বেগুনি অপেক্ষা নীল আলো বেশি সংবেদনশীল বলে আমরা আকাশকে নীল দেখি ।
D. দীর্ঘ প্রশ্নোত্তর : [ প্রতিটি প্রশ্নমান-5]
1. গ্লিসারিনের মধ্যে কাচদণ্ড ডোবালে তা আর দেখা যায় না কেন?
উত্তর : বস্তুর ওপর আলো পড়ে তা থেকে বিক্ষিপ্ত প্রতিফলন হলে তবেই আমরা সেই বস্তুকে দেখতে পাই। এই প্রতিফলনের পরিমাণ যত কমে যায় বস্তু তত আমাদের কাছে দৃশ্যমানতা হারায়। আবার দুই মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্কের পার্থক্য যত কম হয়, ওদের বিভেদতলে আপতিত রশ্মির বেশিরভাগ অংশ সহজেই প্রতিসৃত হয়ে যায়। অর্থাৎ, বিভেদতল থেকে প্রতিফলনের পরিমাণ কমে যায়। গ্লিসারিন ও কাচের প্রতিসরাঙ্ক প্রায় সমান, তাই কাচদণ্ডকে গ্লিসারিনের মধ্যে ডোবালে বিভেদতলে আলোকরশ্মির প্রতিফলন হয় না বললেই চলে। বেশিরভাগ রশ্মিই জল থেকে কাচে প্রতিসৃত হয়ে যায়। তাই কাচদণ্ডকে বাইরে থেকে দেখা যায় না।
2. বিবর্ধক কাচ হিসাবে উত্তল লেন্সের ব্যবহার চিত্রসহ ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : উত্তল লেন্সের ফোকাস দূরত্বের চেয়ে কম দূরত্বে একটি বস্তু রাখলে সমশীর্ষ, বিবর্ধিত অসবিম্ব গঠিত হয়। লেন্সের যে পার্শ্বে বস্তু থাকে প্রতিবিম্বও সেই দিকে গঠিত হয় এবং অপর পার্শ্বে চোখ রাখলে বস্তুর বড়ো আকারের সোজা প্রতিবিম্ব দেখা যায়।
চিত্রে,I1 , I2 ক্ষুদ্র উন্মেষযুক্ত একটি পাতলা লেন্স। লেন্সের প্রধান অক্ষের ওপর লম্বভাবে অবস্থিত O1 O2 একটি বিস্তৃত বস্তু যা ফোকাস দূরত্বের চেয়ে কম দূরত্বে আছে। O2 থেকে আগত প্রধান অক্ষের সমান্তরাল O2 A রশ্মি লেন্স দ্বারা প্রতিসরণের পর মুখ্য ফোকাস F-এর মধ্য দিয়ে যায়। অপর একটি রশ্মি O2O লেন্সের আলোককেন্দ্রের মধ্য দিয়ে গিয়ে কোনোরকম চ্যুতি ছাড়াই সোজা চলে যায়। প্রতিসৃত রশ্মি দুটি অপসারী হওয়ায় প্রতিসরণের পর মিলিত হয় না। রশ্মি দুটিকে পিছনের দিকে বাড়ালে L2 বিন্দুতে মিলিত হয় অর্থাৎ প্রতিসৃত রশ্মি দুটি I2 বিন্দু থেকে অপসৃত হচ্ছে বলে মনে হয়। I2 থেকে প্রধান অক্ষের ওপর I1I2 লম্ব টানা হল। I1I2 হল O1 O2 বস্তুর অসবিম্ব। এখানে প্রতিবিম্বের আকার বস্তুর চেয়ে বড়ো ভাই প্রতিবিম্ব বিবর্ধিত এবং প্রতিবিম্ব বস্তু সাপেক্ষে সোজা অর্থাৎ প্রতিবিম্ব সমশীর্ষ।
ব্যবহার : কোনো ওষুধের প্যাকেটের ওপরের বা সিরাপের বোতলের গায়ে ছোটো ছোটো লেখা পড়ার জন্য, যারা ঘড়ি মেরামত করেন তারা ঘড়ির সূক্ষ্ম যন্ত্রপাতি দেখার জন্য পরীক্ষাগারে সূক্ষ্মপাঠ দেখার জন্য বিবর্ধক কাচ ব্যবহার করা হয়।
3. দীর্ঘদৃষ্টি ত্রুটির প্রতিকার চিত্রসহ লেখো।
উত্তর : যদি চোখ দূরের জিনিস দেখতে পেলেও কাছের জিনিস স্পষ্ট দেখতে না পায় তাহলে চোখের ত্রুটিকে দীর্ঘদৃষ্টি বলে। উপযুক্ত ফোকাস দৈর্ঘ্যের উত্তল লেন্সযুক্ত চশমা ব্যবহার করলে দীর্ঘদৃষ্টি ত্রুটি দূর করা যায়।
মনে করি, দীর্ঘদৃষ্টি ত্রুটিযুক্ত কোনো ব্যক্তির নিকট বিন্দু N’ এবং সুস্থ চোখের নিকট বিন্দু N উত্তল লেন্সটির ফোকাস দৈর্ঘ্য এমন হবে যাতে, লেন্স দ্বারা প্রতিসরণের পর N বিন্দুর অসবিম্ব N’ বিন্দুতে গঠিত হয়। ফলে ব্যক্তি N বিন্দুকে N’ বিন্দুতে দেখে।
4. আলোর বিক্ষেপণ বলতে কী বোঝো?
উত্তর : আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের তুলনায় ছোটো কোনো ধুলিকণা বা গ্যাস অণুর ওপর আলোকরশ্মি আপতিত হয়ে ওই কণা আলোকতরঙ্গ থেকে শক্তি শোষণ করে এবং ওই শক্তিকে একই তরঙ্গদৈর্ঘ্যের তরঙ্গে চারিদিকে ছড়িয়ে দেয়। এই ঘটনাকে আলোর বিক্ষেপণ বলা হয়। সব তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলোর জন্য বিক্ষেপণ সমান হয় না। বেশি তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলোর বিক্ষেপন কম ও কম তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলোর বিক্ষেপণ বেশি হয়। বৈজ্ঞনিক লর্ড র্যালে প্রমাণ করেন যে, বিক্ষেপিত আলোর তীব্রতার তরঙ্গদৈর্ঘ্যের (λ) চতুর্থ ঘাতের ব্যস্তানুপাতিক অর্থাৎ 1 VAIRIJIAS 1/ λ^4
5. চ্যুতি কোণ কাকে বলে? লঘুতর মাধ্যম থেকে ঘনতর মাধ্যমে আলোর প্রতিসরণের ক্ষেত্রে আলোকরশ্মির চ্যুতির পরিমাণ নির্ণয় করো।
উত্তর : চ্যুতি কোণ : প্রতিসরণের ক্ষেত্রে আপতিত আলোকরশ্মির অভিমুখ প্রতিসৃত রশ্মির অভিমুখের সঙ্গে যে কোণ উৎপন্ন করে, সেই কোণকে চ্যুতিকোণ বলে।
ধরি, চিত্রে PQ আলোকরশ্মি লঘুতর মাধ্যম থেকে ঘনতর মাধ্যমে CD তলে তির্যকভাবে আপতিত হয়ে QR পথে প্রতিসৃত হচ্ছে। CD তলের Q বিন্দুতে NON1 হল অভিলম্ব ।
ধরি, <PQN = আপতন কোণ = i এবং <N1 QR = প্রতিসরণ কোণ = r
PQ রশ্মির দিক পরিবর্তন না হলে PQS পথে যেত।
সুতরাং প্রতিসরণের জন্য চ্যুতি কোণ = δ<RQS
. চ্যুতিকোণ δ = <SON1 <RQN1 বা, δ=i-r
[<SON1 = <PON বিপ্রতীপ কোণ । ]