এই নিবন্ধে আমরা মাধ্যমিক ইতিহাস অষ্টম অধ্যায় অর্থাৎ বিঔপনিবেশিক ভারত এর বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে জানবো। Class 10 History Chapter 08 Questions Answer
Class 10 History Chapter 08 MCQ Answer মাধ্যমিক ইতিহাস অধ্যায় ০৬ – ঔপনিবেশিক ভারত প্রশ্ন ও উত্তর
Table of Contents
১. স্বাধীন ভারতের প্রথম গভর্নর-জেনারেল ছিলেন –
(ক) লর্ড মাউন্টব্যাটেন
(খ) জওহরলাল নেহরু
(গ) বাবু রাজেন্দ্রপ্রসাদ
(ঘ) চক্রবর্তী রাজাগোপালাচারী
উত্তর: (ক) লর্ড মাউন্টব্যাটেন।
২. ভাষাভিত্তিক রাজ্য পুনর্গঠন কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে ভারতকে বিভক্ত করা হয় –
(ক) ১২ টি প্রদেশে
(খ) ১৬ টি প্রদেশে
(গ) ১০ টি প্রদেশে
(ঘ) ১৪ টি প্রদেশে
উত্তর: (খ) ১৬ টি প্রদেশে।
৩. দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তিতে প্রধান ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন –
(ক) জওহরলাল নেহরু
(খ) সুভাষচন্দ্র বসু
(গ) চক্রবর্তী রাজাগোপালাচারী
(ঘ) সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল
উত্তর: (ঘ) সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল।
৪. ভাষার ভিত্তিতে পুনর্গঠিত ভারতের প্রথম রাজ্যের নাম হল –
(ক) তামিলনাড়ু
(খ) কেরালা
(গ) অন্ধ্ৰপ্ৰদেশ
(ঘ) মহারাষ্ট্র
উত্তর: (গ) অন্ধ্ৰপ্ৰদেশ।
৫. গণভোটের মাধ্যমে ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয় –
(ক) কাশ্মীর
(খ) হায়দ্রাবাদ
(গ) জুনাগড়
(ঘ) গোয়ালিয়র
উত্তর: (গ) জুনাগড়।
৬. প্রাথমিক পর্বে ভাষাভিত্তিক প্রদেশ গঠনের বিরোধিতা করেন –
(ক) বল্লভভাই প্যাটেল
(খ) পট্টভি সীতারামাইয়া
(গ) জওহরলাল নেহরু
(ঘ) এঁদের সকলেই
উত্তর: (ঘ) এঁদের সকলেই।
৭. কাশ্মীরের মহারাজা ছিলেন –
(ক) হরি সিং
(খ) ওমর আবদুল্লাহ
(গ) মেহেরচাঁদ
(ঘ) শেখ আবদুল্লাহ
উত্তর: (ক) হরি সিং।
৮. সংবিধানে সরকারি ভাষা সম্পর্কিত আলোচনা রয়েছে –
(ক) পঞ্চম তফসিলে
(খ) সপ্তম তফসিলে
(গ) অষ্টম তফসিলে
(ঘ) ষষ্ঠ তফসিলে
উত্তর: (গ) অষ্টম তফসিলে।
৯. হায়দ্রাবাদের নিজামকে চরমপত্র পাঠায় –
(ক) জুনাগড়
(খ) কাশ্মীর
(গ) ভারত
(ঘ) পাকিস্তান
উত্তর: (গ) ভারত।
১০. ভারতে প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় –
(ক) ১৯৫০-৫১ খ্রিস্টাব্দে
(খ) ১৯৫১-৫২ খ্রিস্টাব্দে
(গ) ১৯৫২-৫৩ খ্রিস্টাব্দে
(ঘ) ১৯৫৩-৫৪ খ্রিস্টাব্দে
উত্তর: (খ) ১৯৫১-৫২ খ্রিস্টাব্দে।
১১. জুনাগড় রাজ্য ভারতভুক্ত হয় –
(ক) ১৯৪৭ খ্রি.
(খ) ১৯৪৮ খ্রি.
(গ) ১৯৪৯ খ্রি.
(ঘ) ১৯৫০ খ্রি.
উত্তর: (গ) ১৯৪৯ খ্রি.।
১২. রাজ্য পুনর্গঠনের জন্য গঠিত জে.ভি.পি কমিটির সদস্য ছিলেন –
(ক) জওহরলাল নেহরু, বল্লভভাই প্যাটেল, পট্টভি সীতারামাইয়া
(খ) জওহরলাল নেহরু, বল্লভভাই প্যাটেল, পি. মেনন
(গ) জে. কে. রায়, বল্লভভাই প্যাটেল, পি. মেনন
(ঘ) জে. কে. রায়, বল্লভভাই প্যাটেল, পট্টভি সীতারামাইয়া
উত্তর: (ক) জওহরলাল নেহরু, বল্লভভাই প্যাটেল, পট্টভি সীতারামাইয়া।
১৩. গোয়া ভারতভুক্ত হয় –
(ক) ১৯৪৭ খ্রি.
(খ) ১৯৫৬ খ্রি.
(গ) ১৯৬১ খ্রি.
(ঘ) ১৯৭১ খ্রি.
উত্তর: (গ) ১৯৬১ খ্রি.।
১৪. ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দের রাজ্য পুনর্গঠন আইন অনুসারে ভারতে অঙ্গরাজ্য বা প্রদেশের সংখ্যা দাঁড়ায় –
(ক) ১২ টি
(খ) ১৪ টি
(গ) ২০ টি
(ঘ) ২১ টি
উত্তর: (খ) ১৪ টি।
১৫. এদের মধ্যে কোনটি দেশীয় রাজ্য ছিল না –
(ক) বোম্বে
(খ) ভোপাল
(গ) হায়দ্রাবাদ
(ঘ) জয়পুর
উত্তর: (ক) বোম্বে।
১৬. রাজ্য পুনর্গঠন আইন পাস হয় –
(ক) ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে
(খ) ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে
(গ) ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে
(ঘ) ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে
উত্তর: (ঘ) ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে।
১৭. ভারতের স্বাধীনতা লাভের সময় চন্দননগর উপনিবেশ ছিল –
(ক) ব্রিটিশদের
(খ) ফরাসিদের
(গ) পোর্তুগিজদের
(ঘ) স্পেনীয়দের
উত্তর:(খ) ফরাসিদের।
১৮. রাজ্য পুনর্গঠন কমিশনের সভাপতি ছিলেন –
(ক) এম. পানিক্কর
(খ) জওহরলাল নেহরু
(গ) এস. কে. দর
(ঘ) ফজল আলি
উত্তর:(ঘ) ফজল আলি।
১৯. নেহরু-লিয়াকত চুক্তি বা দিল্লি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় –
(ক) ১৯৪৭ খ্রি.
(খ) ১৯৪৮ খ্রি.
(গ) ১৯৪৯ খ্রি.
(ঘ) ১৯৫০ খ্রি.
উত্তর:(ঘ) ১৯৫০ খ্রি.।
২০. মিডনাইটস্ চিলড্রেন গ্রন্থটির রচয়িতা –
(ক) খুশবন্ত সিং
(খ) উর্বশী বুটালিয়া
(গ) সলমন রুশদি
(ঘ) ভীষ্ম সাহনি
উত্তর: (গ) সলমন রুশদি।
২১. ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে পাসপোর্ট ব্যবস্থা চালু হয় –
(ক) ১৯৪৯ খ্রি.
(খ) ১৯৫০ খ্রি.
(গ) ১৯৫১ খ্রি.
(ঘ) ১৯৫২ খ্রি.
উত্তর:(ঘ) ১৯৫২ খ্রি.।
২২. ‘ওয়েটিং ফর দ্য মহাত্মা’ গ্রন্থটি রচনা করেছেন –
(ক) ভীষ্ম সাহানি
(খ) কুলবন্ত সিং
(গ) জ্ঞানের পাড়ে
(ঘ) আর. কে. নারায়ণ
উত্তর: (ঘ) আর. কে. নারায়ণ।
২৩. ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে পাসপোর্ট প্রথা চালু হয় –
(ক) ১৯৫০ খ্রি.
(খ) ১৯৫১ খ্রি.
(গ) ১৯৫২ খ্রি.
(ঘ) ১৯৫৩ খ্রি.
উত্তর: (গ) ১৯৫২ খ্রি.।
২৪. উদ্বাস্তুদের সরকারি সাহায্যদানের বিষয়টি পরিচিত ছিল –
(ক) ডোল নামে
(খ) টোল নামে
(গ) ঢোল নামে
(ঘ) খোল নামে
উত্তর: (ক) ডোল নামে।
২৫. ‘কেয়াপাতার নৌকো’ গ্রন্থটি রচনা করেন –
(ক) প্রফুল্ল রায়
(খ) সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
(গ) অতীন বন্দ্যোপাধ্যায়
(ঘ) মহাশ্বেতা দেবী
উত্তর:(ক) প্রফুল্ল রায়।
২৬. উদ্বাস্তুদের মধ্যে যারা বেশি করে আক্রমণের শিকার হয়েছিল তারা হল –
(ক) পুরুষ
(খ) নারী
(গ) শিশু
(ঘ) বৃদ্ধ-বৃদ্ধা
উত্তর:(খ) নারী।
২৭. সম্প্রতি দেশভাগের প্রেক্ষাপটে হাসান আজিজুল হকের লেখা গ্রন্থটি হল –
(ক) কালো বরফ
(খ) কেয়াপাতার নৌকো
(গ) আগুন পাখি
(ঘ) প্রসঙ্গ অনুপ্রবেশ
উত্তর:(গ) আগুন পাখি।
২৮. ভারতের স্বাধীনতা লাভের পর তীব্র ভাবে দেখা দেয় –
(ক) খাদ্য সংকট
(খ) বেকার সমস্যা
(গ) উদ্বাস্তু সমস্যা
(ঘ) শিক্ষা সংকট
উত্তর: (গ) উদ্বাস্তু সমস্যা।
২৯. ‘দয়াময়ীর কথা’ গ্রন্থটি রচনা করেন –
(ক) সেলিনা হোসেন
(খ) শওকত আলি
(গ) সুনন্দা সিকদার
(ঘ) আয়েশা খাতুন
উত্তর: (গ) সুনন্দা সিকদার।
৩০. পাঞ্জাবকে বিভক্ত করে ভারতের সঙ্গে যে অংশ যোগ করা হয় তা হল –
(ক) পূর্ব পাঞ্জাব
(খ) উত্তর পাঞ্জাব
(গ) পশ্চিম পাঞ্জাব
(ঘ) দক্ষিণ পাঞ্জাব
উত্তর:(ক) পূর্ব পাঞ্জাব।
৩১. গোয়া ভারতভুক্ত হয় –
(ক) ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে
(খ) ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে
(গ) ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দে
(ঘ) ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে
উত্তরঃ (গ) ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দে
৩২. ভারতের রাজনীতিতে ‘লৌহমানব’ বলে পরিচিত ছিলেন-
(ক) মহাত্মা গান্ধি
(খ) সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল
(গ) মহম্মদ আলি জিন্না
(ঘ) রাজেন্দ্র প্রসাদ
উত্তরঃ (খ) সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল
৩৩. জুনাগড় রাজ্যটি অবস্থিত ছিল –
(ক) ওড়িশায়
(খ) রাজস্থানে
(গ) কাথিয়াবাড় উপদ্বীপে
(ঘ) মালাবার উপকূলে
উত্তরঃ (গ) কাথিয়াবাড় উপদ্বীপে
৩৪. আনুষ্ঠানিকভাবে হায়দরাবাদের ভারতভুক্তির কথা ঘোষণা করা হয় –
(ক) ১৯৪৮ খ্রি ১৩ সেপ্টেম্বর
(খ) ১৯৪৭ খ্রি ১৫ আগস্ট
(গ) ১৯৫২ খ্রি ১৮ ডিসেম্বর
(ঘ) ১৯৫০ খ্রি ২৬ জানুয়ারি
উত্তরঃ (ঘ) ১৯৫০ খ্রি ২৬ জানুয়ারি
৩৫. ‘ছেড়ে আসা গ্রাম’-এর রচয়িতা হলেন-
(ক) দক্ষিণারঞ্জন বসু
(খ) অন্নদাশঙ্কর রায়
(গ) সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
(ঘ) কালীপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়
উত্তরঃ (ক) দক্ষিণারঞ্জন বসু
৩৬. স্বাধীনতার প্রাক্কালে ভারতের সবচেয়ে বড়ো দেশীয় রাজ্য ছিল –
(ক) কাশ্মীর
(খ) জুনাগড়
(গ) হায়দরাবাদ
(ঘ) জয়পুর
উত্তরঃ (গ) হায়দরাবাদ
৩৭. পুনর্গঠিত কেরল রাজ্যটি অবস্থিত ছিল – –
(ক) গোদাবরী উপত্যকায়
(খ) দক্ষিণ ওড়িশায়
(গ) কাথিয়াবাড় উপদ্বীপে
(ঘ) মালাবার উপকূলে
উত্তরঃ (ঘ) মালাবার উপকূলে
৩৮. রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন (১৯৫৩ খ্রি) গঠন করা হয়েছিল –
(ক) রাজ্যগুলির অভ্যন্তরীণ উন্নতির জন্য
(খ) অঙ্গরাজ্যগুলির সীমানা নির্ধারণের জন্য
(গ) স্বায়ত্তশাসন দানের জন্য
(ঘ) সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য
উত্তরঃ (খ) অঙ্গরাজ্যগুলির সীমানা নির্ধারণের জন্য
৩৯. ভাষাভিত্তিক গুজরাট রাজ্যটি গঠিত হয় –
(ক) ১৯৫৩ খ্রি
(খ) ১৯৫৬ খ্রি
(গ) ১৯৬০ খ্রি
(ঘ) ১৯৬৫ খ্রি
উত্তরঃ (গ) ১৯৬০ খ্রি
৪০. যে দেশীয় রাজ্যটি গণভোটের মাধ্যমে ভারতীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত হয়-
(ক) কাশ্মীর
(খ) হায়দরাবাদ
(গ) জুনাগড়
(ঘ) জয়পুর
উত্তরঃ (গ) জুনাগড়
৪১. রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন (১৯৫৩ খ্রি) তৈরি হয় –
(ক) ভাষাভিত্তিক রাজ্য গঠনের দাবিকে খতিয়ে দেখার জন্য
(খ) হিন্দি ভাষাকে প্রাধান্য দেওয়ার জন্য
(গ) উদ্বাস্তু সমস্যা সমাধানের জন্য
(ঘ) দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তি সমস্যা সমাধানের জন্য
উত্তরঃ (ক) ভাষাভিত্তিক রাজ্য গঠনের দাবিকে খতিয়ে দেখার জন্য
৪২. স্বাধীনতা লাভের সময় ভারতে ফরাসি উপনিবেশ ছিল –
(ক) গোয়া
(খ) পণ্ডিচেরি
(গ) দমন
(ঘ) দিউ
উত্তরঃ (খ) পণ্ডিচেরি
৪৩. দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন –
(ক) মহাত্মা গান্ধি
(খ) লিয়াকং আলি
(গ) বল্লভভাই প্যাটেল
(ঘ) মহম্মদ আলি জিন্না
উত্তরঃ (গ) বল্লভভাই প্যাটেল
৪৪. ‘দ্য ডিসকভারি অফ ইন্ডিয়া’ গ্রন্থটি রচনা করেন –
(ক) সুভাষচন্দ্র বসু
(খ) জওহরলাল নেহরু
(গ) বাল গঙ্গাধর তিলক
(ঘ) বল্লভভাই প্যাটে
উত্তরঃ (খ) জওহরলাল নেহরু
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
১.ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে পাসপোর্ট ব্যবস্থা করে চালু হয় ?
উত্তরঃ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে পাসপোর্ট ব্যবস্থা চালু হয় ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দে ।
২. মধ্যপ্রদেশ থেকে করে ছত্তিশগড় পৃথক রাজ্য হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে ?
উত্তরঃ মধ্যপ্রদেশ থেকে ছত্তিশগড় পৃথক রাজ্য হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে ২০০০ খ্রিষ্টাব্দে ।
৩. ভাষাভিত্তিক প্রদেশ কমিশন কী নামে পরিচিত ছিল ।
উত্তরঃ ভাষাভিত্তিক প্রদেশ কমিশন দর কমিশন নামে পরিচিত ছিল ।
৪. সরকারি ভাষা আইন কবে পাস হয় ।
উত্তরঃ ১৯৬৩ সালে সরকারি ভাষা আইন পাস হয় ।
৫. কবে, কাদের নিয়ে জে ভি পি কমিটি তৈরি হয় ?
উত্তরঃ ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দে জহরলাল নেহরু ,বল্লভভাই প্যাটেল , পট্টভি সীতারামাইয়াকে নিয়ে গঠিত হয় জে ভি পি কমিটি ।
৬. শেখ আবদুল্লা কে ছিলেন ?
উত্তরঃ ন্যাশনাল কনফারেন্স দলের প্রধান নেতা ছিলেন শেখ আবদুল্লা ।
৭. পেপসু কোন্ কোন্ অঞ্চল নিয়ে গঠিত হয় ?
উত্তরঃ পাতিয়ালা ও পূর্ব পাঞ্জাব রাজ্য ইউনিয়ন নিয়ে পেপসু গঠিত হয় ।
৮. ‘The Marginal Men’-এর রচয়িতা কে ?
উত্তরঃ ‘The Marginal Men’ –এর রচয়িতা হলেন প্রফুল্ল কুমার চক্রবর্তী ।
৯. কাশ্মীরে কবে যুদ্ধবিরতি ঘটে ?
উত্তরঃ ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দের ৩১ ডিসেম্বর কাশ্মীরে যুদ্ধবিরতি ঘটে ।
।
১০.ভি . পি . মেনন কে ছিলেন ?
Ans: ডি . পি . মেনন ছিলেন ভারতের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের সচিব ।
১১.দেশীয় রাজা দপ্তর করে খোলা হয় ?
Ans: দেশীয় রাজ্য দপ্তর খোলা হয় জুন , ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে ।
১২.দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তির ক্ষেত্রে কার কৃতিত্ব ছিল সর্বাধিক ?
Ans: দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তির ক্ষেত্রে সর্বাধিক কৃতিত্ব ছিল সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের ।
১৩.সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল মোট কয়টি দেশীয় রাজ্যকে ভারতভুক্ত করেন ?
Ans: সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল মোট ৫৬২ টি দেশীয় রাজ্যকে ভারতভুক্ত করেন ।
১৪.দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তির দলিলটির নাম কী ছিল ?
Ans: দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তির দলিলটির নাম ‘ ইনস্ট্রুমেন্ট অফ অ্যাকসেশন ‘ ।
১৫.‘ প্রিভি পার্স ’ কী ?
Ans: ভারত সরকারের পক্ষ থেকে ভারতে যোগদানকারী রাজাদের রাজকীয় বৃত্তি ও খেতাব রক্ষার কথা বলা হয় । এই বৃত্তি ‘ প্ৰিভি পার্স ‘ নামে পরিচিত ।
১৬.স্বাধীন ভারতের প্রথম ভারতীয় সেনাপতি কে ছিলেন ?
Ans: স্বাধীন ভারতের প্রথম ভারতীয় সেনাপতি ছিলেন জেনারেল জয়ন্তনাথ চৌধুরি ।
১৭.কোন্ দেশীয় রাজ্য প্রথম ভারতভুক্তির দলিলে স্বাক্ষর করে ?
Ans: রাণা প্রতাপের বংশধর শিশোদিয়া বংশের মেবারের মহারাণা প্রথম ভারতভুক্তির দলিলে স্বাক্ষর করেন ।
১৮.রাজপুত রাজ্যগুলি পরে কী নামে পরিচিত হয় ?
Ans: রাজপুত রাজ্যগুলি রাজস্থান নামে পরিচিত হয় ।
১৯.যে সমস্ত দেশীয় রাজ্যগুলি ভারতে যোগ দিতে চায়নি । তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি রাজ্যের নাম লেখো ।
Ans: যে সমস্ত দেশীয় রাজ্যগুলি ভারতে যোগ দিতে চায়নি তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি রাজ্য হায়দরাবাদ ।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
১.‘ মাউন্টব্যাটেন প্রস্তাব কী ?
উত্তরঃ ভারতে ক্ষমতা হস্তান্তরের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনা ছিল মাউন্টব্যাটেন প্রস্তাব । এই প্রস্তাবে বলা হয়েছিল প্রথমত , ভারতের মুসলিম প্রধান অঞ্চলগুলিকে নিয়ে এবং পাঞ্জাব ও বাংলা প্রদেশকে খণ্ডিত করে পাকিস্তান নামক পৃথক রাষ্ট্র গঠন করা যেতে পারে ; দ্বিতীয়ত , উত্তর – পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের বালুচিস্তান ও আসামের অন্তর্গত সিলেট জেলা পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত হবে কিনা তার জন্য গণভোটের ব্যবস্থা করা ; তৃতীয়ত , ভারতে ক্ষমতা হস্তান্তর সম্পর্কে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট কর্তৃক স্বাধীনতা আইন প্রণয়ন করা ।
২.ভারতীয় স্বাধীনতা আইন কী ?
উত্তরঃ লর্ড মাউন্টব্যাটেনের ‘ ভারত বিভাজন ‘ পরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ‘ ভারতীয় স্বাধীনতা বিল ’ পাস হয় ( জুলাই ১৯৪৭ ) । এ সম্পর্কে যে আইন তৈরি করা হয় তা ভারতীয় স্বাধীনতা আইন নামে পরিচিত । এই আইনের উল্লেখযোগ্য দিকগুলি হল ( ১ ) ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ১৫ আগস্ট স্বাধীন রাষ্ট্ররূপে ভারত ও পাকিস্তান রাষ্ট্র আত্মপ্রকাশ করবে ; ( ২ ) দুটি রাষ্ট্রের নির্দিষ্ট পৃথক এলাকা স্বতন্ত্র শাসনতন্ত্র থাকবে ; ( ৩ ) ভারতের দেশীয় রাজ্যগুলির ওপর থেকে ব্রিটিশ কর্তৃত্বের অবসান ঘটবে এবং দেশীয় রাজ্যগুলি হয় স্বাধীন অথবা ভারত বা পাকিস্তান যে – কোনো রাষ্ট্রে যোগদান করতে পারবে ।
৩.কাকে , কেন ভারতের ‘ লৌহ মানব ‘ বলা হয় ?
অথবা , কাকে , কেন ‘ ভারতের বিসমার্ক ‘ বলা হয় ?
উত্তরঃ স্বাধীন ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বল্লভভাই প্যাটেলকে ভারতের ‘ লৌহ মানব ’ বা ‘ ভারতের বিসমার্ক ‘ বলা হয় , কারণ প্রথমত , তিনি স্বরাষ্ট্র দপ্তরের সচিব ভি . পি . মেনন ও বড়োলাট লর্ড মাউন্টব্যাটেনের সহযোগিতায় কুটনীতি ও যুদ্ধনীতির মাধ্যমে ভারতের দেশীয় রাজ্যগুলিকে ভারতভুক্ত করে ভারতকে রাজনৈতিক সংকটমুক্ত করেন । দ্বিতীয়ত , তাঁর এই পদক্ষেপে ভারতের অভ্যন্তরে ছড়িয়ে – ছিটিয়ে থাকা বা পাকিস্তানের পক্ষে যোগদানে ইচ্ছুক দেশীয় রাজ্যগুলিকে ভারতভুক্ত করে ভারতের ঐক্য প্রতিষ্ঠা করেন ।
৪.র্যাডক্লিফ কীসের ওপর ভিত্তি করে সম কমিশনের রিপোর্ট তৈরি করেন ?
উত্তরঃ স্যার সিরিল র্যাডক্লিফ – এর নেতৃত্বে গঠিত সীমানা কমিশন বঙ্গ ও পাঞ্জাব সীমানা বিভাগের জন্য মাত্র ছয় সপ্তাহ সময় পেয়েছিল । এই স্বল্প সময়ে রিপোর্ট তৈরির জন্য তিনি প্রথমত , ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর বসবাস ও প্রাকৃতিক সীমারেখারূপে নদীকেই বিভাজনরেখারূপে গুরুত্ব দেন । দ্বিতীয়ত , প্রাকৃতিক সম্পদ , রেল ও বাস যোগাযোগ , প্রশাসনিক কেন্দ্র ও অর্থনৈতিক অবস্থার ওপরেও ভিত্তি করে তিনি তাঁর রিপোর্ট তৈরি করেন ।
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর
১। দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তি সম্পর্কে ব্রিটিশ সরকার ও ভারতীয় নেতাদের দৃষ্টিভঙ্গি বিশ্লেষণ করো ।
উত্তরঃ ভূমিকা : দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তি সম্পর্কে ব্রিটিশ সরকার ও ভারতীয় নেতাদের দৃষ্টিভঙ্গি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে –
ব্রিটিশ সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি : ভারতীয় স্বাধীনতা আইনের একটি ধারায় বলা হয়েছিল যে , দেশীয় রাজ্যগুলির ওপর ব্রিটিশ সার্বভৌমত্বের অবসান হবে এবং এই রাজ্যগুলি নিজেদের পছন্দমতো ভারত বা পাকিস্তান ডোমিনিয়নে যোগদানের অধিকার পাবে অথবা স্বাধীন থাকবে ।
এটলির দৃষ্টিভঙ্গি : ‘ ভারতীয় স্বাধীনতা আইন ‘ সংক্রান্ত বিলটি ইংল্যান্ডে আলোচনাকালে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ক্লিমেন্ট এট্লি ঘোষণা করেছিলেন যে— প্রথমত , ব্রিটিশ সরকার কোনোভাবেই দেশীয় রাজ্যগুলির অস্তিত্ব মেনে নেবে না । দ্বিতীয়ত , ভারত ও পাকিস্তান এই দুই রাষ্ট্রের মধ্যে অবস্থিত দেশীয় রাজ্যগুলির স্বাধীন অস্তিত্ব বিপন্ন হওয়া স্বাভাবিক মনে করে তিনি দেশীয় রাজ্যগুলিকে ভারত অথবা পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পরামর্শ দেন ।
জাতীয় কংগ্রেসের দৃষ্টিভঙ্গি : ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে ঘোষণা করা হয়েছিল যে , স্বাধীনতার পর ভারতে কোনো দেশীয় রাজ্যের স্বাধীন অস্তিত্ব স্বীকার করা হবে না । মহাত্মা গান্ধি দেশীয় রাজ্যের স্বাধীন থাকার ইচ্ছাকে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার সমতুল্য ঘটনা বলে মত প্রকাশ করেন ।
ভারতের অন্তর্বর্তী সরকারের বক্তব্য : ভারতের স্বাধীনতা আইনের অনেক আগে থেকেই ভারতের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সহ – সভাপতি জওহরলাল নেহরু ঘোষণা করেন যে , দেশীয় রাজ্যগুলির কাছে দুটি বিকল্প রয়েছে : এক তারা ভারত ইউনিয়নে যোগদান করতে পারে , নতুবা তাদের ভারতের কেন্দ্রীয় প্রশাসনের সঙ্গে সংঘর্ষে যেতে হবে ।
উপসংহার : দেশীয় রাজ্যগুলির স্বাধীন অস্তিত্বকে অস্বীকার করে দেশীয় রাজ্যগুলিকে ভারতভুক্ত করতে ভারত সরকার ‘ দেশীয় রাজ্যদপ্তর ’ প্রতিষ্ঠা করে ( জুন , ১৯৪৭ খ্রি . ) । এই দপ্তরের মন্ত্রী বল্লভভাই প্যাটেলের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে শেষপর্যন্ত দেশীয় রাজ্যগুলি ভারতভুক্ত হয় ।
২. মাউন্টব্যাটেন পরিকল্পনা ও দেশভাগ সম্পর্কে একটি বিশ্লেষণমূলক আলোচনা করো ।
উত্তরঃ ভূমিকা : ভারতে ক্ষমতা হস্তান্তর ও দেশভাগের মূল ভিত্তি ছিল মাউন্টব্যাটেন পরিকল্পনা ( ৩ জুন , ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দ ) । ব্রিটিশ নি প্রধানমন্ত্রী ক্লিমেন্ট এট্লির ক্ষমতা হস্তান্তর সংক্রান্ত ঘোষণার পরেই লর্ড মাউন্টব্যাটেন ভারতের বড়োলাট পদে নিযুক্ত হয়ে আসেন ( ২৪ মার্চ , ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দ ) ।
পরিকল্পনা : জাতীয় কংগ্রেস ও মুসলিম লিগ – সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাপ – আলোচনার পর মাউন্টব্যাটেন ‘ ভারত বিভাগ ’ সংক্রান্ত পরিকল্পনা ঘোষণা করেন , যা মাউন্টব্যাটেন পরিকল্পনা নামে পরিচিত ( ৩ জুন , ১৯৪৭ = খ্রিস্টাব্দে ) ।
মাউন্টব্যাটেন পরিকল্পনা : মাউন্টব্যাটেন পরিকল্পনায় বলা হয়েছিল—
পাকিস্তান গঠন : ভারতের মুসলিম প্রধান অঞ্চলগুলিকে নিয়ে এবং পাঞ্জাব ও বাংলাদেশকে খণ্ডিত করে পাকিস্তান নামক একটি পৃথক রাষ্ট্র গঠন করা যেতে পারে । বাংলা ও পাঞ্জাবের খণ্ডিতকরণের জন্য একটি সীমানা নির্ধারণ কমিশন গঠিত হবে ।
গণভোট : উত্তর – পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের বালুচিস্তান , আসামের অন্তর্গত সিলেট জেলা পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত হবে কিনা তা গণভোটের মাধ্যমে ঠিক করা হবে ।
স্বাধীনতা আইন : ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য ব্রিটিশ পার্লামেন্ট শীঘ্রই আইন প্রণয়ন করবে এবং ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দের জুনের পরিবর্তে ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ১৪ ই আগস্ট এই ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে ।
উপসংহার : মাউন্টব্যাটেন পরিকল্পনার মাধ্যমে ভারত বিভাজনের মাধ্যমে ‘ পাকিস্তান ’ রাষ্ট্র গঠনের বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল । স্বাভাবিক কারণেই কম ক্ষতিকর বিকল্প রূপে মাউন্টব্যাটেন পরিকল্পনাকে মুসলিম লিগ ও জাতীয় কংগ্রেস মেনে নিয়েছিল ।
৩.দেশীয় রাজ্যগুলির অন্তর্ভুক্তি ও পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে কংগ্রেসের ভূমিকা কী ছিল ?
উত্তরঃ
ভূমিকা : ভারতের ভৌগোলিক অখণ্ডতা , জাতীয় ঐক্য এবং প্রগতি ও পুনর্নির্মাণের জন্য দেশীয় রাজ্যগুলিকে ভারতভুক্ত করতে জাতীয় কংগ্রেস ও স্বাধীন ভারত সরকার বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিল । কংগ্রেসের ভূমিকা প্রাক – স্বাধীনতা পর্বে ৫৬২ টিরও অধিক দেশীয় রাজ্যগুলির অস্তিত্ব ও স্বাধীন মনোভাব ভারতে এক রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি করে । এই পরিস্থিতিতে –
নেতাদের ভূমিকা : স্বাধীনোত্তর ভারতবর্ষের রাজনৈতিক সংকট বিষয়ে ভারতের নেতারা যথেষ্ট সচেতন ছিলেন এবং বিশেষ করে জওহরলাল নেহরু ও সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল এই সংকটমোচনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেন ।
প্রজা উন্নতি দেশীয় রাজ্যগুলির অভ্যন্তরীণ প্রশাসন মধ্যযুগীয় ভাবধারা দ্বারা পরিচালিত হওয়ায় রাজ্যের প্রজারাও ছিল অবহেলিত । তাই তারা যে কোনো মূল্যে এমনকি সামরিক ক্ষমতা প্রয়োগ করেও দেশীয় রাজ্যগুলিকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি সম্পর্কে সোচ্চার হন । ‘ লৌহমানব ‘ নামে খ্যাত সর্দার বল্লভভাই বিষয়টি শক্ত হাতে মোকাবিলা করেন ।
দেশীয় রাজ্য দপ্তর : স্বাধীনতা লাভের প্রাক্কালে দেশীয় রাজ্য দপ্তর প্রতিষ্ঠার ( ২৭ জুন , ১৯৪৭ খ্রি . ) কারণগুলি হল
প্রথমত , দেশীয় রাজ্যগুলির সঙ্গে সম্পর্ক ও যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করে দেশীয় রাজ্যগুলিকে বিধিবদ্ধভাবে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করা ।
দ্বিতীয়ত , দেশীয় রাজ্যগুলির রাজাদের ভাতা , খেতাব ও অন্যান্য সুযোগসুবিধা পর্যালোচনা করে তার ব্যবস্থা করা ।
তৃতীয়ত , দেশীয় রাজ্যগুলিকে ক্তির দলিল ’ – এ স্বাক্ষরের জন্য কূটনৈতিক অথবা সামরিক চাপ সৃষ্টি করা এবং ভারতভুক্তির প্রক্রিয়াটিকে ত্বরান্বিত করা ।
কূটকৌশল : পররাষ্ট্র মন্ত্রী বল্লভভাই প্যাটেল কূটকৌশল প্রয়োগ করে ভারত রাষ্ট্রে যোগদানের জন্য দেশীয় রাজ্যগুলির ওপর প্রবল চাপ প্রয়োগ করেন । তিনি রাজ্যগুলির ভারতভুক্তির ব্যাপারে ভারতের নৈতিক দাবির ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেন । এ ব্যাপারে তাঁকে সাহায্য করেন তাঁর স্বরাষ্ট্র দফতরের সচিব ভি . পি . মেনন । লর্ড মাউন্টব্যাটেনও তাঁদের অল্পবিস্তর সাহায্য করেন ।