Class 6

Class 6 Bangla Chapter 18 Question Answer ষষ্ঠ শ্রেনীর বাংলা অধ্যায় ১৮’ বঙ্গ আমার জননী আমার ‘ প্রশ্ন উত্তর

এই নিবন্ধে আমরা ষষ্ঠ শ্রেণির অষ্টদশ অধ্যায় “বঙ্গ আমার জননী আমার” কবিতার প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে জানবো। Class 06 Bangla Chapte 18 Question Answer

Class 6 Bangla Chapter 18 Question Answer ষষ্ঠ শ্রেনীর বাংলা অধ্যায় ১৮’ বঙ্গ আমার জননী আমার ‘ প্রশ্ন উত্তর

১.১ দ্বিজেন্দ্রলাল রায় রচিত দুটি কাব্যগ্রন্থের নাম লেখো।

উত্তর: দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের লেখা দুটি কাব্যগ্রন্থ – আৰ্যগাথা (১ম ভাগ) এবং মন্ত্র ৷

১.২ কবি দ্বিজেন্দ্রলালের কবিতার মূল সুর কী ছিল?

উত্তর: কবি দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের কবিতার মূল সুর ছিল দেশপ্রেম।

২. নীচের বিশেষ্যগুলিকে বিশেষণে ও বিশেষণগুলিকে বিশেষ্যে রূপান্তরিত করো : মলিন, মধুর, আসন, দৈন্য, প্রণত।

উত্তর:  বিশেষ্য বিশেষণ

মলিন মালিনতা

মধুর মধুরতা

আসন আসীন

দৈন্য দীন

প্রণত প্রণাম

৩. নীচে কতগুলি উপসর্গযুক্ত শব্দ দেওয়া হলো। শব্দগুলি থেকে উপসর্গ আলাদা করে দেখাও : উপনিবেশ, অশোক, আলোক, প্ৰণত।

উত্তর:  

উপসর্গ শব্দ

উপ নিবেশ

অ শোক

আ লোক

প্র ণত

৪. নীচের বাক্যগুলির উদ্দেশ্য ও বিধেয় অংশ ভাগ করে দেখাও :

৪.১ কেন গো মা তোর মলিন বেশ?

উত্তর: উদ্দেশ্য – মা

বিধেয় – কেন গো তোর মলিন বেশ?

৪.২ অশোক যাঁহার কীর্তি ছাইল গান্ধার হতে জলধি শেষ।

উত্তর: উদ্দেশ্য – অশোক

বিধেয় – যাঁহার কীর্তি ছাইল গান্ধার হতে জলধি শেষ।

৪.৩ একদা যাহার বিজয় সেনানী হেলায় লঙ্কা করিল জয়।

উত্তর: উদ্দেশ্য – যাহার

বিধেয় – একদা বিজয় সেনানী হেলায় লঙ্কা করিল জয়।

৪.৪ ন্যায়ের বিধান দিল রঘুমণি।

উত্তর: উদ্দেশ্য – রঘুমণি

বিধেয় – ন্যায়ের বিধান দিল।

৪.৫ নবীন গরিমা ভাবিতে আবার ললাটে তোর।

উত্তর: উদ্দেশ্য – ললাটে তোর

বিধেয় – নবীন গরিমা ভাতিবে আবার।

৫. নীচের বিশেষ্য ও সর্বনাম শব্দগুলি নির্দেশমতো লেখো। (উদাহরণঃ মা + নিমিত্ত একবচন = মায়ের জন্য) 

উত্তর: ৫.১ আমি + সম্বন্ধপদ + বহুবচন = আমাদের।

৫.২ আমি কর্তৃকারক + বহুবচন = আমরা।

৫.৩ তুহ + সম্বন্ধপদ + একবচন = তোর।

৫.৪ যিনি + সম্বন্ধপদ + একবচন = যাদের।

৬. একইরকম অর্থযুক্ত শব্দ কবিতা থেকে খুঁজে নিয়ে লেখো : গৌরব, সুর, মুক্তি, নতুন, জলধি।

উত্তর: গৌরব — কীর্তি। 

সুর — তান। 

মুক্তি — মোক্ষ। 

নতুন — নবীন। 

জলধি — অর্ণব।

৭. নিম্নলিখিত প্রত্যেক ব্যক্তি ও প্রতিটি স্থান সম্পর্কে দু-চারটি বাক্য লেখো : বুদ্ধ, রঘুমণি, নিমাই, চন্ডীদাস।

উত্তর: 

বুদ্ধ – ভগবান বুদ্ধদেব নেপালের কপিলাবস্তু নগরে শাক্য বংশে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাল্য নাম ছিল সিদ্ধার্থ। সাধনায় সিদ্ধিলাভ করার পর তাঁর নাম হয় বুদ্ধদেব। তাঁর প্রচারিত ধর্ম বৌদ্ধধর্ম নামে পরিচিত।

রঘুমণি – শ্রী চৈতন্যের সময় নবদ্বীপে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন ন্যায়শাস্ত্রে সুপন্ডিত এক মানুষ। সমস্ত নবদ্বীপ তথা বাংলায় তাঁর ন্যায়শাস্ত্রের পান্ডিত্যের কথা অবিদিত ছিলো না।

নিমাই – তিনি শ্রী চৈতন্য নামে পরিচিত ছিলেন। তিনি ছিলেন সুপন্ডিত। তিনি শ্রীকৃষ্ণের নামগান করতেন। ভক্তি আন্দোলনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব এই নিমাই শ্রীচৈতন্য। তাঁর প্রচারিত ধর্মমত বৈষ্ণব ধর্ম নামে পরিচিতি লাভ করে। 

চন্ডীদাস – কবি চণ্ডীদাস পদাবলী সাহিত্যের জনপ্রিয় কবি। রাধাকৃষ্ণের প্রেমলীলা বিষয়ক তাঁর পদগুলি আজও সকলকে মুগ্ধ করে।

৮. নীচের প্রশ্নগুলির কয়েকটি বাক্যে উত্তর লেখো :

৮.১ কবি দেশকে কী কী নামে সম্বোধন করেছেন ?

উত্তর: কবি দেশকে নানা নামে সম্বোধন করেছেন। যেমন – মা, বঙ্গ, জননী, সাধনা, দেবী, ধাত্রী, স্বর্গ নামে সম্বোধন করেছেন।

৮.২ ‘কেন গো মা তোর মলিন বেশ’ ‘মা’ বলতে কবি কাকে বুঝিয়েছেন? তাকে মা বলা হয়েছে কেন?

উত্তর: ‘বঙ্গ আমার! জননী আমার!’ কবিতায় কবি দ্বিজেন্দ্রলাল রায় তাঁর জন্মভূমি ‘বঙ্গ’ তথা ভারতবর্ষকে মা | বলে বুঝিয়েছেন। 

কবি ভারতবর্ষের মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছেন। মা যেমন তার সন্তানকে লালন পালন করে তাকে বড়ো করে তোলে তেমনি কবি জন্মভূমির বুকে লালিত পালিত হয়েছেন। কবি জন্মভূমি মায়ের শীতল স্পর্শ পেয়েছেন। এই কারণে জন্মভূমিকে ‘মা’ বলা হয়েছে।

৮.৩ ‘মা’-এর বেশ মলিন ও বেশ রুক্ষ কেন?

উত্তর: ‘মা’-এর বেশ মলিন ও রুক্ষ। কেননা বিদেশি শাসনে মায়ের আসনের গরিমা ধূলিসাৎ হয়েছে। তাঁর আগের গৌরব অস্তমিত। তাঁর সেই বসনভূষণ নেই। তাঁর জীর্ণ বসন, দৈন্য বেশ। মায়ের আসনে আজ আর সেই গৌরবের গরিমা নেই। তাঁর চেহারায় না আছে ঔজ্জ্বল্য, না আছে পোশাকের পরিচ্ছন্নতা। তিনি যেন এক ধনী গৃহিণী থেকে দুঃখিনী ভিখারিনীতে পরিণত হয়েছেন।

৮.৪ অশোক কোথায় কোথায় তাঁর প্রভাব বিস্তার করেছিলেন?

উত্তর: সম্রাট অশোক মগধের রাজা ছিলেন। কলিঙ্গ জয়ের পর অশোক যুদ্ধবিজয় পরিত্যাগ করে ধর্মবিজয়ে মনোনিবেশ করেন। তিনি সুদূর সিংহলে বৌদ্ধধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে পুত্র মহেন্দ্র ও কন্যা সংঘমিত্রাকে পাঠান। সুদূর গান্ধার থেকে কন্যাকুমারিকা পর্যন্ত এমনকি ভারতের বাইরেও অশোক প্রভাব বিস্তার করেছিলেন।

৮.৫ ‘অর্ধ-জগৎ ভক্তি-প্রণত চরণে যাঁর’—’অর্ধ-জগৎ’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন? কার চরণে তা প্রণত হয়েছে?

উত্তর: ‘অর্ধ-জগৎ’ বলতে কবি ‘অর্ধেক পৃথিবী’ বুঝিয়েছেন। গৌতম বুদ্ধ সারা ভারতব্যাপী যে বৌদ্ধ ধর্মের প্রচার করেন তা ক্রমে ভারতের সীমা অতিক্রম করে পৃথিবীর নানা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। সম্রাট অশোক পৃথিবীর নানাদেশে প্রতিনিধি পাঠান। ফলে পৃথিবীর বহু দেশেই বৌদ্ধধর্ম প্রভাব বিস্তার করে । 

ভগবান বুদ্ধের চরণে প্রণত হবার কথা বলা হয়েছে।

৮.৬ ‘যুদ্ধ করিল প্রতাপাদিত্য’ প্রতাপাদিত্য কে ছিলেন? তিনি কাদের সঙ্গে যুদ্ধ করেছিলেন?

উত্তর: প্রতাপাদিত্য ছিলেন বঙ্গদেশের একজন রাজা।

তিনি বঙ্গদেশ আক্রমণকারী তুর্কীদের সঙ্গে লড়াই করেছিলেন।

৮.৭ ‘যুদ্ধ করিল প্রতাপাদিত্য’—প্রতাপাদিত্য কে ছিলেন? তিনি কাদের সঙ্গে যুদ্ধ করেছিলেন?

উত্তর: বাংলাদেশের বারো ভূঁইয়াদের অন্যতম ছিলেন প্রতাপাদিত্য। তিনি যশোহরের যথেষ্ট শ্রীবৃদ্ধি ঘটান এবং অনেক জনহিতকর কাজ করেন।

তিনি দিল্লির মোগল সম্রাট আকবরের সঙ্গে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। প্রথমে আকবরের পাঠানো সেনাপতি তাঁর কাছে পরাজিত হয়ে ফিরে যান। তিনি মোগল সম্রাটকে কর দেওয়া বন্ধ করে দেন। মোগল সেনাপতি মানসিংহের হাতে তিনি পরাজিত হন এবং বন্দি অবস্থায় দিল্লি যাত্রাকালে পথে বারাণসীতে তাঁর মৃত্যু হয়।

৮.৮ নবীন গরিমা কীভাবে ললাটে ফুটে উঠবে?

উত্তর: বঙ্গজননীর বিদেশি পরাধীনতার শৃঙ্খলামোচন যেদিন করতে পারব, সেদিন বঙ্গজননীর দৈন্য কেটে যাবে। তাঁর দীনতা, তাঁর কষ্ট দূর হবে। তাঁর গৌরব প্রতিষ্ঠিত হবে। তিনি পুনরায় স্ব-গৌরবে স্ব-মহিমায় মহিমান্বিত হবেন। কষ্টের কালিমা, লজ্জার কালিমা ঘুচে যাবে। তার বদলে নবীন গরিমা বঙ্গমাতার কপালে ফুটে উঠবে।

৮.৯ আমরা কীভাবে বঙ্গজননীর দুঃখ, দৈন্য, লজ্জা দূর করতে পারি ?

উত্তর: আমরা বঙ্গজননীর গৌরব প্রতিষ্ঠা করতে পারি যদি বিদেশি শাসন শৃঙ্খল মোচন করে বঙ্গজননীকে তাঁর প্রাপ্য মর্যাদা ফিরিয়ে দিই। অতীত গৌরবের মহিমায় তাঁকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারি। যদি তাঁর সকল দৈন্য ঘুচিয়ে তাঁর লজ্জা মুছিয়ে নতুনভাবে দেশের গৌরব প্রতিষ্ঠা করতে পারা যায় তবেই বঙ্গজননীর দুঃখ, দৈন্য দূর হবে। তিনি স্বমহিমায় পুনঃপ্রতিষ্ঠা লাভ করবেন। এরজন্য দরকার দেশের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত যোগদান। দেশের মানুষের উদ্যোগ। তাঁরাই পারেন দেশজননীর লজ্জা দূর করে তাঁকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে। তাই দেশমাতৃকার শৃঙ্খল মোচনের জন্য প্রত্যেক মানুষেরই উদ্যোগী হওয়া উচিত।

৮.১০ আমরা কীভাবে বঙ্গজননীর দুঃখদৈন্য, লজ্জা দূর করতে পারি?

উত্তর: আমরা ভারত তথা বঙ্গজননীর সন্তান। কবিতাটি যখন লেখা হয় তখন ভারতের জনসংখ্যা ছিল ত্রিশ কোটি।

পরাধীনতার গ্লানি, অপমান ভারতমাতাকে মলিনবেশ, রুক্ষ্ম চুলে পরিণত করেছে। তাঁর সমস্ত গৌরব ধুলিসাৎ। কবি মনে করেন ত্রিশ কোটি ভারতবাসী যদি দেশমাতার পরাধীনতার শৃঙ্খলমোচনের জন্য সম্মিলিতভাবে শপথ গ্রহণ করে ইংরেজদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় তাহলে অবশ্যই বিদেশি শাসক ভারতের বুক থেকে বিদায় নিতে বাধ্য। এইভাবেই আমরা বঙ্গজননীর দুঃখদৈন্য, লজ্জা দূর করতে পারি।

৯. নীচের প্রশ্নগুলির নিজের ভাষায় উত্তর দাও :

৯.১ ‘যদিও মা তোর দিব্য আলোকে ঘিরে আছে আজ আঁধার ঘোর‘—কবির কেন মনে হয়েছে যে বঙ্গ জননীকে আঁধার ঘিরে আছে?

উত্তর: কবি যখন এই কবিতাটি রচনা করেন তখন ভারতবর্ষ পরাধীনতার অন্ধকারে নিমজ্জিত। এখানে পরাধীনতাবে আঁধারের সঙ্গে তুলনা করেছেন। ভারত তথা বঙ্গমাতা পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ। বঙ্গ জননীর সৌরভ ধুলোয় লুণ্ঠিত পরাধীনতার গ্লানি তিনি বহন করে চলেছেন। যদিও কবি আশাবাদী, তিনি মনে করেন ভারতবর্ষ আবার স্বাধীনতার সূর্য লাভ করবে। পরাধীন অবস্থাকালীন পরিস্থিতিকে কবি আঁধারের সঙ্গে তুলনা করেছেন।

৯.২ এই বঙ্গদেশ তোমার কাছে কেন প্রিয় সে সম্পর্কে জানিয়ে তোমার বন্ধুকে একটি চিঠি লেখো।

উত্তর:

প্রিয় হাফসা,

অনেক দিন তোর কোনো চিঠি পাই নি। আজকে আমার চিঠির বিষয়- “বঙ্গভূমি আমার প্রিয়”। আমরা জানি মানুষ যে পরিবেশে জন্মায়, বড়ো হয়, বাস করে সেটা তার কাছে প্রিয় হয়ে ওঠে। আমরা এই বাংলায় জন্মেছি, বড়ো হয়েছি। এখানকার আলো-বাতাস, গাছপালা, পশুপাখি, মানুষজন সবই আমাদের প্রিয়। এই বাংলাকে নানাজনে শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি, অর্থনীতিতে নানাভাবে সমৃদ্ধ করেছেন। দেশের সম্মান ও মর্যাদা বৃদ্ধি ও পরাধীনতার শৃঙ্খল মোচনের জন্য অনেক বঙ্গ সন্তান প্রাণ দিয়েছেন। সেজন্য আমরা গর্বিত। এখানকার ঋতু বৈচিত্র্য মানুষের জীবনের উপর ব্যাপকভাবে প্রভাব বিস্তার করে। কবি গেয়েছেন, ‘আমার এই দেশেতে জন্ম যেন এই দেশেতেই মরি।’ এটা শুধু কবির নয় আমাদের সবারই মনের কথা। এটাই দেশের প্রতি ভালোবাসা, স্বদেশপ্রেম। তোরও নিশ্চয়ই একই মত। চিঠিতে জানাস। উত্তরের আশায় রইলাম। ভালোবাসা নিস।

ইতি

 তোর বন্ধু আকাঙ্খা 

৯.৩ চিন, জাপান, তিব্বতে বাঙালি সত্যি কি কোনোদিন উপনিবেশ তৈরি করেছিল? শিক্ষক/শিক্ষিকার কাছ থেকে এ বিষয়ে জেনে নিয়ে লেখো।

উত্তর: তিব্বতে বাঙালী পর্যটক অতীশ দীপঙ্কর গিয়েছিলেন। সেখানে বহুবছর ছিলেন। বৌদ্ধধর্ম প্রচার করেন। সেখানে তাঁর পান্ডিত্যের জন্য সমাদৃত হন। চিন থেকে ভারতে এসেছিলেন ভূ-পর্যটক হিউয়েন সাঙ। তিনি নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন পড়াশোনা করেন। তাঁর পান্ডিত্যে রাজা হর্ষবর্ধন মুগ্ধ হয়েছিলেন। তিনি একটা ভ্রমণকাহিনীও লেখেন। তবে চিন, জাপান বা তিব্বতে ভারত কোনো দিন উপনিবেশ স্থাপন করেনি।

৯.৪ পরাধীন ভারতের মানুষকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে এই কবিতায় দেশের প্রতি যে ভাবাবেগ প্রকাশিত হয়েছে তা তোমার নিজের ভাষায় বুঝিয়ে দাও।

উত্তর: কবি দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের লেখা ‘বঙ্গ আমার! জননী আমার!’ কবিতাটি দেশপ্রেমমূলক কবিতা। তাঁর কবিতায় কবির দেশজননীর প্রতি শ্রদ্ধা ভালোবাসা দেশভক্তি প্রকাশ পেয়েছে। কবি যেন তাঁর মায়ের দুঃখ দেখে দুঃখিত হয়েছেন। তিনি যেন তাঁর মাকে অগৌরবের আসনে আজ দেখতে পাচ্ছেন। কবি দেশের জন্য যে ভাবিত চিন্তিত তা তাঁর লেখার মধ্যে দিয়ে ফুটে উঠছে। তিনি নিজেকে যেন দেশজননীর অভাগা পুত্রদের মতো জ্ঞান করছেন। তিনি দেশজননীর কষ্ট লাঘব করতে চান কিন্তু কোন্ উপায়ে তা সম্ভব তা জানেন না। তবুও তিনি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, দেশমাতৃকার প্রতি তাঁর শ্রদ্ধাভক্তি বিশ্বাস এতটুকু টলাতে দেবেন না। তিনি যেভাবেই হোক বঙ্গজননীকে তাঁর প্রাপ্য গৌরবে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবেন।

Class 6 Bangla Chapter 18 Question Answer ষষ্ঠ শ্রেনীর বাংলা অধ্যায় ১৮’ বঙ্গ আমার জননী আমার ‘ প্রশ্ন উত্তর

Shares:

Related Posts

Class 6

Class 6 Bangla Chapter 04 Question Answer ষষ্ঠ শ্রেনীর বাংলা অধ্যায় ০৪ ‘ মন ভালো করা ‘ প্রশ্ন উত্তর

এই নিবন্ধে আমরা ষষ্ঠ শ্রেণির তৃতীয় অধ্যায় "পাইন দাড়িঁয়ে আকাশে নয়ন তুলি" কবিতার প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে জানবো। Class 06 Bangla Chapter 03 Question Answer Class 6 Bangla Chapter 04 Question
class-6-bangla-chapter-03-question-answer
Class 6

Class 6 Bangla Chapter 03 Question Answer ষষ্ঠ শ্রেনীর বাংলা অধ্যায় ০৩ ‘ পাইন দাড়িঁয়ে আকাশে নয়ন তুলি ‘ প্রশ্ন উত্তর

এই নিবন্ধে আমরা ষষ্ঠ শ্রেণির তৃতীয় অধ্যায় "পাইন দাড়িঁয়ে আকাশে নয়ন তুলি" কবিতার প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে জানবো। Class 06 Bangla Chapter 03 Question Answer Class 6 Bangla Chapter 03 Question
class-6-bangla-chapter-05-question-answer
Class 6

Class 6 Bangla Chapter 05 Question Answer ষষ্ঠ শ্রেনীর বাংলা অধ্যায় ০৫ ‘ পশুপাখির ভাষা ‘ প্রশ্ন উত্তর

এই নিবন্ধে আমরা ষষ্ঠ শ্রেণির পনঞ্চম অধ্যায় "পশুপাখির ভাষা" কবিতার প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে জানবো। Class 06 Bangla Chapter 5 Question Answer Class 6 Bangla Chapter 05 Question Answer ষষ্ঠ শ্রেনীর
class-6-bangla-chapter-20-question-answer
Class 6

Class 6 Bangla Chapter 20 Question Answer ষষ্ঠ শ্রেনীর বাংলা অধ্যায় ২০’ মোরা দুই সহোদর ভাই ‘ প্রশ্ন উত্তর

এই নিবন্ধে আমরা ষষ্ঠ শ্রেণির বিশ অধ্যায় "মোরা দুই সহোদর ভাই" কবিতার প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে জানবো। Class 06 Bangla Chapter ২০ Question Answer Class 6 Bangla Chapter 20 Question Answer

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *