এই নিবন্ধে আমরা ষষ্ঠ শ্রেণির পনঞ্চম অধ্যায় “পশুপাখির ভাষা” কবিতার প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে জানবো। Class 06 Bangla Chapter 5 Question Answer
Class 6 Bangla Chapter 05 Question Answer ষষ্ঠ শ্রেনীর বাংলা অধ্যায় ০৫ ‘ পশুপাখির ভাষা ‘ প্রশ্ন উত্তর
Table of Contents
১.১ সুবিনয় রায়চৌধুবী কী কী বাদ্যযন্ত্র বাজাতে পারতেন ?
উত্তর : সুবিনয় রায়চৌধুরী হারমোনিয়াম, এসরাজ প্রভৃতি বাদ্যযন্ত্র বাজাতে পারতেন।
১.২ সুবিনয় রায়চৌধুরি কোন্ পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন?
উত্তর : সুবিনয় রায়চৌধুরী সন্দেশ পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
২. কোনটি কার ডাক মিলিয়ে লেখো :
পশুপাখির নাম ডাক
ব্যাঙের ডাক কাকলি
হাতির ডাক হ্রেষা
পাখির ডাক বৃংহন
কোকিলের ডাক মক্মকি
ঘোড়ার ডাক কেকা
ময়ূরের ডাক কুহু
উত্তর :
পশুপাখির নাম ডাক
ব্যাঙের ডাক মক্মকি
হাতির ডাক বৃংহন
পাখির ডাক কাকলি
কোকিলের ডাক কুহু
ঘোড়ার ডাক হ্রেষা
ময়ূরের ডাক কেকা
৩. নীচের বিশেষ্য শব্দগুলিকে বিশেষণে এবং বিশেষণগুলিকে বিশেষ্যে রূপান্তরিত করো :
পশু, মুখ, মন, পরীক্ষা, চালাক, অর্থ, লোভ, জন্তু, মেজাজ।
উত্তর :
বিশেষ্য | বিশেষণ |
পশু | পাশব |
পরীক্ষা | পরীক্ষিত |
লোভ | লোভী |
জন্তু | জান্তব |
মন | মানসিক |
মুখ | মৌখিক |
চালাক | চালাকি |
অর্থ | আর্থিক |
মেজাজ | মেজাজি |
৪. বাক্যের উদ্দেশ্য ও বিধেয় আলাদা করে দেখাও :
৪.১ মুরগিরা তিতি ডাক শুনে আসে।
৪.২ পাখিরাও ভয়, রাগ প্রভৃতি প্রকাশ করার জন্য বিশেষ বিশেষ শব্দ উচ্চারণ করে থাকে।
৪.৩ ক্যাস্টাং সাহেব প্রায় চল্লিশ বছর বন্য জন্তুদের সঙ্গে থেকেছেন।
৪.৪ শিম্পাঞ্জি, ওরাং এদের বিষয় কিছু লেখা হয়নি।
উত্তর :
উদ্দেশ্য | বিধেয় |
মুরগিরা | তিতি ডাক শুনে আসে। |
পাখিরাও | ভয়, রাগ প্রভৃতি প্রকাশ করার জন্য বিশেষ বিশেষ শব্দ উচ্চারণ করে থাকে। |
ক্যাস্টাং সাহেব | প্রায় চল্লিশ বছর বন্য জন্তুদের সঙ্গে থেকেছেন। |
শিম্পাঞ্জি, ওরাং | এদের বিষয় কিছু লেখা হয়নি। |
৫. প্রতিশব্দ লেখো : পাখি, পুকুর, হাতি, সিংহ, বাঘ।
উত্তর: পাখি—বিহগ, খেচর, কুজন, পক্ষী, বিহঙ্গ।
পুকুর—পরিখা, সরোবর, দিঘি, তড়াগ, পুষ্করিণী।
হাতি—গজ, ঐরাবত, হস্তি, মাতঙ্গ, করী, কুঞ্জর, দ্বিরদ।
সিংহ—পশুরাজ, কেশরী, মৃগেন্দ্র, হরি, হর্ষক্ষ।
বাঘ—ব্যাঘ্র, শার্দুল।
৬. নীচের যে শব্দগুলিতে এক বা বহু বোঝাচ্ছে তা চিহ্নিত করে লেখো :
৬.১ কুকুরেরাও কথা শুনে হুকুম পালন করতে ওস্তাদ।
৬.২ তোমার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছে।
৬.৩ বিপদের সময় পরস্পরকে জানাবার উপায়ও পশুপাখিরা বেশ জানে।
৬.৪ রিউবেন ক্যাস্টাং নামে একজন সাহেব বহুকাল পশুদের সঙ্গে ভাব পাতিয়ে বেড়িয়েছেন।
৬.৫ একেও ভাষা বলতে হবে।
উত্তর :
৬.১ কুকুরেরাও (বহুবচন)।
৬.২ তোমার (একবচন)।
৬.৩ পরস্পরকে (বহুবচন), পশুপাখিরা (বহুবচন)।
৬.৪ একজন (একবচন), পশুদের (বহুবচন)।
৬.৫ একেও (একবচন)।
৭. নীচের প্রশ্নগুলির নিজের ভাষায় উত্তর লেখো :
৭.১ ভাষার প্রয়োজন হয় কেন ?
উত্তর: ভাষা একটি মাধ্যম।
মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য ভাষার প্রয়োজন হয়।
৭.২ “পশুপাখিরা অবিশ্যি মানুষের অনেক কথারই অর্থ বোঝে”।—একথার সমর্থনে রচনাটিতে কোন প্রসঙ্গের অবতারণা করা হয়েছে? তুমি এর সঙ্গে আরো কী কী যোগ করতে চাইবে ?
উত্তর: পশুপাখিরা অবিশ্যি মানুষের অনেক কথারই অর্থ বোঝে। এ প্রসঙ্গে রচনায় উল্লেখ করা হয়েছে কুকুরকে নাম ধরে ডাক দিলে তারা কাছে আসে। মুরগিরা ‘তি-তি’ ডাক শুনে আসে, হাঁস‘সোই-সোই’ ডাক শুনে আসে। ছাগল ‘অ-র্-র্’ ডাক শুনে আসে। হাতি মাহুতের কথা শুনেই চলে। কুকুরেরাও প্রভুর কথা শুনে হুকুম পালন করতে পটু। এ ছাড়া বাড়িতে পোষা গোরু, ভেড়া, বেড়াল মানুষের কথা বোঝে এবং মানুষের ডাকে সাড়া দেয়। তাছাড়া পোষা পাখি, যেমন—ময়না, কাকাতুয়া, টিয়া প্রভৃতি পাখি মানুষের কথা বোঝে এবং মানুষের কণ্ঠস্বরের মতো শব্দ করে সাড়া দেয়।
পোষা বিড়াল তার মনিবের কথা বুঝতে পারে। পাখিরা নানাভাবে মানুষের ডাকে সাড়া দেয়।
৭.৩ রিউবেন ক্যাস্টাং-এর অভিজ্ঞতার কথা কীভাবে পাঠ্যাংশে স্থান পেয়েছে তা আলোচনা করো।
উত্তর: রিউবেন ক্যাস্টাং প্রায় চল্লিশ বছর বন্য জন্তুদের সঙ্গে কাটিয়েছেন, তিনি জানেন জন্তুরা কিভাবে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করে। তিনি অনেকবার জংলি হাতির সামনে পড়েছেন। বাঘের গরম নিঃশ্বাস অনুভব করেছেন। প্রকাণ্ড ভাল্লুকের থাবা মুখের সামনে দেখেছেন। গরিলা তাকে জড়িয়ে ধরেছে। কিন্তু পশুদের ভাষার জ্ঞান থাকার জন্য তিনি বিপদ থেকে ফিরে এসেছেন। তাঁর মতে, সিংহ, বাঘ, হাতি, শ্বেত ভালুক প্রভৃতির গায়ে হাত দেওয়ার আগে লক্ষ করতে হবে তারা আমাদের আওয়াজের জবাব দিচ্ছে কিনা, তারপর খুব ধীরে ধীরে এগিয়ে তাদের মেজাজ বুঝে গায়ে হাত দেওয়া যেতে পারে। ক্যাস্টাং সাহেব প্রায় চল্লিশ বছর জন্তুদের সঙ্গে থেকে বিশেষ অভিজ্ঞতা লাভ করেছেন। এই প্রসঙ্গে ক্যাস্টাং সাহেবের নাম এসেছে।
৭.৪ ‘একেও ভাষা বলতে হবে’—কাকে ‘ভাষা’র মর্যাদা দিতে হবে বলে বক্তা মনে করেন? তুমি কি এই বক্ত্যব্যের সঙ্গে সহমত? বুঝিয়ে লেখো।
উত্তর: পশুদের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র শব্দ নয় শরীরের নানারকম অঙ্গে-ভঙ্গিকেও ভাষার মর্যাদা দিতে হবে বলে বক্তা মনে করেন। কুকুরের লেজ নাড়া আর, কান নাড়ার মধ্যে কত অর্থ আছে তা আমরা সকলেই বুঝি না, লেখক একেই ভাষার মর্যাদা দিতে বলেছেন। হ্যাঁ, আমি এই বক্তব্যের সঙ্গে সহমত পোষণ করি। কারণ পশুরা নানা ইশারার সাহায্যে তাদের মনের ভাব প্রকাশ করে এবং নিজেরাও নানা ইশারা বোঝে এবং সেই অনুযায়ী কাজ করে।
৭.৫ “তাই তারা স্বভাবতই নীরব”—কাদের কথা বলা হয়েছে? তাদের এই স্বভাবগত নীরবতার কারণ কী?
উত্তর: এখানে জঙ্গলের জংলি পশুদের কথা বলা হয়েছে। জঙ্গলের পশুদের সর্বদায় প্রাণ বাঁচিয়ে চলতে হয়, কারণ সকল হিংস্র পরশুরা খুব সহজেই দুর্বল পশুদের নিজেদের শিকার বানাতে যাতে না পারে তাই তারা স্বভাবত নীরব থাকে।
৭.৬ “এরা তো মানুষেরই জাতভাই”—কাদের ‘মানুষের জাতভাই’ বলা হয়েছে? তা সত্ত্বেও মানুষের সঙ্গে তাদের কোন্ পার্থক্যের কথা পাঠ্যাংশে বলা হয়েছে তা লেখো।
উত্তর: শিম্পাঞ্জি, ওরাং, গরিলা এদেরকে মানুষের জাত ভাই বলা হয়েছে। কারণ এদের মুখের কোনো ভাষা না থাকলেও ,এরা ভালোবাসা, সহানুভূতি খুব ভালো বোঝে ; ভাবও পাতায় সহজেই। মানুষ কথা বলে বা ভাষার সাহায্যে মনের ভাব প্রকাশ করে।
কিন্তু মানুষের সাথে বড়ো পার্থক্য হল—মানুষের মতো এরা মনের ভাব প্রকাশ করতে ভাষা ব্যবহার করতে পারে না। এদের ভাষা জ্ঞান নেই। তবে এরা ইশারা বা অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে।
৭.৭ তোমার পরিবেশে থাকা জীবজন্তুর ডাক নিয়ে অনুচ্ছেদ রচনা করো।
উত্তর: আমার পরিবেশে গোরু, ছাগল, পাখি, বেড়াল, কুকুর এদের দেখা পাই। গোরু হাম্বা হাম্বা ডাক ছাড়ে। তাদের বাচ্চারা ওই ডাক শুনে ছুটে আসে। বিপদে পড়লে তারা ওই ভাষায় চিৎকার করে মনিবকে ডাকে। ছাগল অ-র-র ডাক শুনলেই ছুটে আসে। বিড়ালও ম্যাও ম্যাও ডাক ছেড়ে বাচ্চাদের ডাকে, মুরগি তি-তি ডাক শুনে আসে। কুকুর তার মনিবদের ডাক শুনে ছুটে আসে।
৭.৮ এমন একটি গল্প লেখো যেখানে পশুপাখিরা মানুষের সঙ্গে মানুষেরই মতো কথাবার্তা বলছে আর তাদের মধ্যে অপরূপ বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছে।
উত্তর : নিজে কর
৮. পাশের ছবিটি দেখে নিজের ভাষায় পাঁচটি বাক্য লেখো।
উত্তর: ছবিতে টুপি ও কোট পরা একজন মানুষ এবং একটি পশুকে দেখা যাচ্ছে। পশুটির আকার বড়ো ও মোটা। মনে হচ্ছে পশুটি রেগে কিছু বলছে। মানুষটি তা অবাক হয়ে শুনছে।