এই নিবন্ধে আমরা পঞ্চম শ্রেণির ত্রয়োদশ অধ্যায় অর্থাৎ “মায়াতরু” কবিতার প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে জানবো। Class 05 Bangla Chapter 13 Question Answer
Class 5 Bangla Chapter 13 Question Answer | পঞ্চম শ্রেনীর বাংলা অধ্যায় ১৩ ‘ মায়াতরু’ প্রশ্ন উত্তর
Table of Contents
১. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর নিজের ভাষায় লেখ।
১.১ তোমার চেনা এমন দুটি গাছের নাম লেখো অন্ধকারে যাদের দেখলে মনে হয় যেন মানুষের মতো হাত নেড়ে ডাকছে।
উত্তর: অন্ধকারে যাদের দেখলে মনে হয় যেন মানুষের মতো হাত নেড়ে ডাকছে এমন দুটি গাছ হলো বট আর ছাতিম।
১.২ দুই বন্ধু আর ভালুক নিয়ে যে গল্পটি আছে তা তোমরা শুনেছ?
উত্তর: নিজে কর ।
১.৩ নানারকম রঙিন মাছ তুমি কোথায় রেখেছো?
উত্তর: আমি একোয়ারিয়ামে নানা রকম রঙিন মাছ দেখেছি।
১.৪ ভোরের আলো তোমার কেমন লাগে? তখন তোমার কোথায় যেতে ইচ্ছে করে?
উত্তর: ভোরের আলোয় পৃথিবী যখন আলোকিত হয়ে ওঠে তখন আমার খুব পবিত্র একটা অনুভূতি হয়। মনে হয় দিনটা নতুন করে শুরু করার যাবতীয় শক্তি আমি দিনের প্রথম সূর্যের কাছ থেকে পেতে পারি।
তখন আমার কোনো নদীর তীরে যেতে ইচ্ছে করে।
১.৫ আলোয় এবং অন্ধকারে একই গাছের দু’রকম চেহারা তোমার চোখে কিভাবে ধরা পড়ে?
উত্তর: আমার বাড়ির পাশেই একটা বটগাছ রয়েছে। দিনের বেলায় বট গাছটাকে দেখে অন্যরকম লাগে না। কিন্তু একটু রাত হলেই বটগাছ থেকে নেমে আসা ঝুরি গুলো দেখে মনে হয় যেন কোনো অন্ধকার রাক্ষসপুরী।
দিনের দু’রকম সময়ে গাছটার এরকম চেহারা আমাকে অবাক করে দেয়।
২. ক স্তম্ভের সঙ্গে খ স্তম্ভ মেলাও:
উত্তর:
ক | খ |
গাছ | বৃক্ষ |
বন | অরণ্য |
ভূত | অশরীরী |
ঝালর | পর্দা |
কম্প | কাপুনি |
৩. কবিতা অবলম্বনে শূন্যস্থান পূরণ করো:
উত্তর:
৩.১ এক যে ছিল গাছ।
৩.২ বৃষ্টি হলেই আসত আবার কম্প দিয়ে জ্বর।
৩.৩ মুকুট হয়ে ঝাঁক ধরেছে লক্ষ হীরার মাছ।
৩.৪ এক পশলার শেষে।
৩.৫ বনের মাথায় ঝিলিক মেরে চাঁদ উঠত যখন ভালুক হয়ে ঘাড় ফুলিয়ে করত সে গরগর।
৪. কবিতাটি অবলম্বনে একটি গল্প তৈরি করো।
উত্তর: একটি গাছ ছিল। সন্ধ্যে হলেই সে ভূতের নাচ জুড়ত। আবার কখনও হঠাৎ বনের মাথায় চাঁদ উঠলে সে ভালুক হয়ে ঘাড় ফুলিয়ে গরগর করত। যখন বৃষ্টি শেষ হয়ে যেত আর আকাশে চাঁদ উঠত তখন তাকে দেখে মনে হত লক্ষ হীরের মাছ যেন মুকুট হয়ে ঝাঁক বেধেছে। ভোর বেলায় কত কি যে আবছায়া কাণ্ড হত বহু ভেবেও তার কূলকিনারা পাওয়া যেত না। আর যখন সকাল হত তখন দেখা যেত ঝিকির মিকির আলো দিয়ে তৈরি এক রুপোলি ঝালর পড়ে আছে।
৫. শব্দ গুলির অর্থ লিখে তা দিয়ে বাক্য রচনা করো।
উত্তর:
ঝাঁক (দল): এক ঝাঁক মৌমাছি হঠাৎ উড়ে এলো।
ঝিলিক (ক্ষণস্থায়ী আলোর ছটা): কথাটা শুনে তার মুখে হাসির ঝিলিক খেলে গেল।
ঘাড় (স্কন্ধ): খেলতে গিয়ে তার ঘাড়ে আঘাত লাগে।
মুকুট (শিরোপা): যুবরাজকে মুকুট পরিয়ে অভিষিক্ত করা হলো।
ঝিকির মিকির (চকচক করা): আলোয় তার চুমকি বসানো জামাটি ঝিকির মিকির করতে লাগলো।
৬.কোনটি কি জাতীয় শব্দ ঝুড়ি থেকে বেছে নিয়ে লেখো:
উত্তর:
বিশেষ্য:- গাছ, কম্প, জ্বর।
বিশেষণ:- রুপালি, ঝিকিমিকির, লক্ষ
সর্বনাম:- যে, সে
অব্যয়:- বা
ক্রিয়া:- জুড়ত, তুলে, হয়ে
৭. বিপরীতার্থক শব্দ লেখো:
উত্তর:
সন্ধ্যে —- সকাল
হঠাৎ —- সব সময়
শেষে —- শুরুতে
হেসে —- কেঁদে
আলো —- অন্ধকার
৮. সমার্থক শব্দ লেখো:
উত্তর:
গাছ- বৃক্ষ, তরু
ভূত- প্রেত, অশরীরী
বন- অরণ্য, জঙ্গল
বিষ্টি- বৃষ্টি, বর্ষণ
মাছ- মীন, মৎস্য
চাঁদ- শশী, বিধু
৯. প্রতিটি বাক্য ভেঙে আলাদা দুটি বাক্যে লেখো :
৯.১ এক যে ছিল গাছ, সন্ধে হলেই দুহাত তুলে জুড়ত ভূতের নাচ ।
উত্তর : এক গাছ ছিল । সে সন্ধে হলেই দুহাত তুলে ভূতের নাচ জুড়ত ।
৯.২ বিষ্টি হলেই আসত আবার কম্প দিয়ে জ্বর ।
উত্তর : বিষ্টি আসত । তখনি তার আবার কম্প দিয়ে জ্বর আসত ।
৯.৩ সকাল হল যেই, একটিও মাছ নেই ।
উত্তর : সকাল হল । তখন দেখা গেল একটিও মাছ নেই ।
৯.৪ মুকুট হয়ে ঝাঁক বেঁধেছে লক্ষ হীরার মাছ ।
উত্তর : লক্ষ হীরার মাছ রয়েছে । তারা মুকুটের মতো ঝাঁক বেঁধেছে ।
৯.৫ ভালুক হয়ে ঘাড় ফুলিয়ে করত সে গরগর ।
উত্তর : ভালুকের মতো ঘাড় ফোলাত । ঘাড় ফুলিয়ে করত সে গরগর করত ।
১০. এলোমেলো বনগুলিকে সাজিয়ে শব্দ তৈরি করো :
উত্তর :
র গ র গ – গরগর
ট কু মু – মুকুট
ব আ য়া ছা – আবছায়া
র কি মি ঝি র কি – ঝিকিরমিকির
র বে ভো লা – ভোরবেলা
১১.১ কবি অশোকবিজয় রাহার দুটি বইয়ের নাম লেখো ।
উত্তর : কবি অশোকবিজয় রাহার দুটি বইয়ের নাম হল ‘ভানুমতীর মাঠ’, ‘রুদ্রবসন্ত’ ।
১১.২ তাঁর কবিতা রচনার প্রধান বিষয়টি কী ছিল ?
উত্তর : তাঁর কবিতা রচনার প্রধান বিষয় ছিল নদী, পাহাড়, অরণ্যপ্রকৃতি ।
১১.৩ ‘মায়াতরু’ কবিতাটি তাঁর কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে ?
উত্তর : ‘মায়াতরু’ কবিতাটি তাঁর ‘ভানুমতীর মাঠ’ কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে ।
১২. দিনের কোন সময়ে কোন ঘটনাটি ঘটছে পাশে পাশে লেখো। খাতায় ছবি আঁকো :
উত্তর :
১২.১ দুহাত তুলে জুড়ত ভূতের নাচ – সন্ধ্যেবেলা ।
১২.২ ভালুক হয়ে ঘাড় ফুলিয়ে করত যে গরগর – রাত্রিবেলা ।
১২.৩ কেবল দেখি পড়ে আছে ঝিকিরমিকির আলোর রূপালি এক ঝালর – সকালবেলা ।
১২. নম্বর প্রশ্নের উত্তরের ছবিগুলো তোমরা নিজেরা আঁকো ।
১৩. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
১৩.১ ‘মায়াতরু’ শব্দটির অর্থ কী? কবিতায় গাছকে ‘মায়াতরু’ বলা হয়েছে কেন?
উত্তর : ‘মায়াতরু’ শব্দটির অর্থ মায়াবী গাছ ।
কবি অশোকবিজয় রাহার লেখা ‘মায়াতরু’ কবিতায় গাছটিকে মায়াতরু বলা হয়েছে কারণ কবি এখানে গাছটিকে দিনের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রূপে দেখেছেন । সন্ধ্যেবেলায় কবি গাছটিকে দুহাত তুলে ভূতের নাচ করতে দেখেছেন । রাত্রিবেলায় আকাশে চাঁদ উঠলে ভালুকের মতো ঘাড় ফুলিয়ে গরগর করতে দেখেছেন । বৃষ্টি নামলে ভালুকের মতো কম্প দিয়ে জ্বর আসতে দেখেছেন । বৃষ্টির পর চাঁদ উঠলে কবি দেখেছেন ভালুক বা গাছের কোনো চিহ্ন নেই । হীরের মতো জ্বলজ্বল করছে লক্ষ লক্ষ মাছ ঝাঁক বেঁধে সে যেন মুকুট ধারণ করেছে । আবার সকাল হলে তিনি দেখেছেন কোনো মাছ নেই, ঝিকিরমিকির আলোয় পড়ে আছে এক রূপালি আলোর ঝালর । ক্ষণে ক্ষণে চেহারা বদলের জন্য গাছটিকে মায়াতরু বলা হয়েছে ।
১৩.২ শব্দের শুরুতে ‘মায়া’ যোগ করে পাঁচটি নতুন শব্দ তৈরি করো।
উত্তর : মায়াজাল, মায়াপুর, মায়াময়, মায়াবতী, মায়াবন্ধন ।
১৩.৩ ভূতের আর গাছের প্রসঙ্গ রয়েছে এমন গল্প তুমি পড়েছ? পাঁচটি বাক্যে সেই গল্পটি লেখো।
১৩.৩. নম্বর প্রশ্নের উত্তর তোমরা নিজেরা লেখো ।
১৩.৪ দিনের বিভিন্ন সময়ে কবি গাছকে কোন কোন রূপে দেখেছেন?
উত্তর : কবি অশোকবিজয় রাহার লেখা ‘মায়াতরু’ কবিতায় কবি গাছটিকে দিনের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রূপে দেখেছেন । সন্ধ্যেবেলায় কবি গাছটিকে দুহাত তুলে ভূতের নাচ করতে দেখেছেন । রাত্রিবেলায় আকাশে চাঁদ উঠলে ভালুকের মতো ঘাড় ফুলিয়ে গরগর করতে দেখেছেন । বৃষ্টি নামলে ভালুকের মতো কম্প দিয়ে জ্বর আসতে দেখেছেন । বৃষ্টির পর চাঁদ উঠলে কবি দেখেছেন হীরের মতো জ্বলজ্বল করছে লক্ষ লক্ষ মাছ ঝাঁক বেঁধে সে যেন মুকুট ধারণ করেছে । আবার সকাল হলে তিনি দেখেছেন ঝিকিরমিকির আলোয় পড়ে আছে এক রূপালি আলোর ঝালর ।
১৪. যে গাছটিকে দেখে তোমার মনেও অনেক কল্পনা ভিড় জমায়, তার একটি ছবি আঁকো, সেই গাছটি সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য লেখো ।
১৪. নম্বর প্রশ্নের উত্তরে ছবিটি তোমরা নিজেরা আঁকো