এই নিবন্ধে আমরা পঞ্চম শ্রেণির বাংলার ষষ্ঠ অধ্যায় অর্থাৎ “পাখির কাছে ফুলের কাছে” গল্পের প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে জানবো। Class 06 Bangla Chapter 05 Question Answer |
Class 5 Bangla Chapter 06 Question Answer | পঞ্চম শ্রেনীর বাংলা অধ্যায় ০৬ ‘ বিমলার অভিমান ‘ প্রশ্ন উত্তর
Table of Contents
২. শব্দযুগলের অর্থ পার্থক্য লেখো:
ভাড়-ভাঁড়; বাঁচা-বাছা; সোনা-শোনা
উত্তরঃ
ভার — ওজন
ভাড় — পাত্রবিশেষ/ বিদুষক।
ভাড় — পাত্রবিশেষ/ বিদুষক।
সোনা — স্বর্ণ।
শোনা — শ্রবন
বাঁচা — মুক্তি পাওয়া।
বাছা-নির্বাচন করা।
৩. নীচের প্রতিটি শব্দের দুটি করে অর্থ লেখো: বেলা, দাম
উত্তর:
বেলা — ক্ষেত্রে, দিনের নানা সময়ের ভাগ।
দাম — গুরুত্ব, মূল্য।
৪. পাঠ্য কবিতাটি থেকে অন্ত্যমিল খুঁজে নিয়ে লেখো (৫টি)
নুন – চুন
মুডিয়ে – তাড়িয়ে
করো – মরো
শ্যামী – আমি
তাই – ভাই
চুড়ো – নুড়ো
৫. ‘ক’ স্তম্ভের সঙ্গে ‘খ’ স্তম্ভের মিল:
ক | খ | ||||
নুন | লবণ | ||||
দুরন্ত | দুষ্টু | ||||
ছাই | ভস্ম | ||||
ফরমাস | আদেশ | ||||
চুড়ো | শিখর |
৬. শব্দঝুড়ি থেকে নিয়ে বিশেষ্য ও বিশেষণ আলাদা করেলেখো:
ক্ষীর, বেশি, ছাই, দুরন্ত, বিমলা, নুন, ঝাল, ছোটো, পান, নটে গাছ, খোকা, বাস
উত্তর :
বিশেষ্য | বিশেষণ | |||||||
ক্ষীর | বেশি | |||||||
ছাই | দুরন্ত | |||||||
বিমলা | নুন | |||||||
পান | ঝাল | |||||||
খোকা | ছোটো | |||||||
নটে গাছ | কম |
৭. ক্রিয়ার নীচে দাগ দাও:
উত্তর:
৭.১ খাব না তো আমি।
৭.২ যা বিমলাযা।
৭.৩ ও বিমলা, নে মা একবার।
৭.৪. তবু বেশি খাবে।
৭.৫ দে মা এনে চুন।
৮. শূন্যস্থান পূরণ করো:
৮.১ ——————– করি, দাও এনে, সোনামণি মা।
উত্তর: পূজা করি, দাও এনে, সোনামণি মা।
৮.২——————– কাঁদিলে খোকা রাখা তারে ভার।
উত্তর: কাঁদিলে দুরন্ত খোকা রাখা তারে ভার।
৮.৩ ছাগলেতে,————————- গাছ খেলে যে মুড়িয়ে।
উত্তর: ছাগলেতে নটে গাছ খেলে যে মুড়িয়ে।
৮.৪ পানটা যে বড়ো ———————- দে মা এনে চুন।
উত্তর: পানটা যে বড়ো ঝাল, দে মা এনে চুন।
৯. যেটা বেমানান তার নীচে দাগ দাও:
উত্তর:
৯.১ ক্ষীর, ছাগল, বিমলা, অবনী, দাদা
৯.২ ফুল, রাধু, বিমলা, সোনামণি মা, পূজা
৯.৩ সোনার চূড়ো, ছাইয়ের নুড়ো, দাদা, বিমলা, মাধু
১০. বিপরীতার্থক শব্দ লেখো:
দাও, বড়ো, বেশি, ঝাল, আসে।
উত্তর :
দাও – নাও
বড়ো -ছোটো
বেশি- কম
ঝাল – মিষ্টি
আসে – যায়
১১. বাক্য রচনা করো:
ক্ষীর, দুরন্ত, ছাই, নটেগাছ, চুন
উত্তর: ক্ষীর — দুধ থেকে ক্ষীর তৈরি হয়।
দুরন্ত — মেয়েটা ভীষণ দুরন্ত, কারুর কথা শোনে না।
ছাই — আগুনে কাগজগুলি পুড়ে ছাই হয়ে গেল।
নটেগাছ — আমার গল্পটি ফুরোলো, নটেগাছটি মুড়লো।
চুন — আমার দিদা পান থেকে চুন খসলেই রেগে যায়।
১২. শব্দগুলো ঠিকমতো সাজিয়ে বাক্য তৈরি করো:
১২.১ পরিমাণে দাদার কম বিমলার থেকে ক্ষীর
উত্তর: দাদার থেকে বিমলার ক্ষীর কম পরিমাণে।
১২.২ হয় বিমলাকে ফুল পূজার আনতে
উত্তর: বিমলাকে পূজার ফুল আনতে হয়।
১২.৩ করে সবার পালন ফরমাস সব
উত্তর: সবার সব ফরমাস পালন করে।
১২.৪ মেয়ে বিমলার অবিচার প্রতি শুধু বলে হয় করা
উত্তর: মেয়ে বলে বিমলার প্রতি শুধু অবিচার করা হয়।
১২.৫ নয় করা ছেলেমেয়ের বৈষম্য মধ্যে উচিত
উত্তর: ছেলেমেয়ের মধ্যে বৈষম্য করা উচিত নয়।
১৩. কোল্টি কী ধরনের বাক্য লেখো:
১৩.১ খাব না তো আমি।
উত্তর: বিবৃতিমূলক বাক্য।
১৩.২ যা বিমলা যা।
উত্তর: নির্দেশক বাক্য।
১৩.৩ ছাগলেতে নটেগাছ খেলে যে মুড়িয়ে।
উত্তর: যৌগিক বাক্য।
১৩.৪ আমার বেলাই বুঝি, ক্ষীর মাত্র নাম-ই?
উত্তর: প্রশ্নবোধক বাক্য।
১৫. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো:
১৫.১ বিমলাকে সারাদিন কোন্ কোন্ কাজ করতে হয়?
উত্তর: বিমলাকে সারাদিন ফুল আনতে হয়, দুরন্ত খোকাকে সামলাতে হয়, নটেগাছ খেতে গেলে ছাগলকে তাড়াতে হয়, দাদা খেতে বসলে পাতে নুন দিতে হয়, মার পানে চুন দিতে হয়।
১৫.২ বিমলার ছোটো ভাইয়ের নাম কী? সে ও তার দাদা বেশি বেশি খাবার পাবে কেন?
উত্তর: বিমলার ছোটো ভাইয়ের নাম অবু।
সে ও তার দাদা বেশি বেশি খাবার পাবে। কারণ তারা ছেলে। আর বিমলা মেয়ে।
১৫.৩ “তাই বুঝি বিমলার কমে গেছে দাম-ই”- বিমলার দাম কমে গেছে মনে হওয়ার কারণ কী?
উত্তর: ‘তাই বুঝি বিমলার কমে গেছে দাম-ই’-বিমলার দাম কমে গেছে মনে হওয়ার কারণ বিমলাকে ফরমাস খাটতে হয় সারাদিন। তাতে বিমলা বাঁচুক ছাই মরুক, কারুর কিছু এসে যায় না। বিমলার দাদা বড়ো, বেশি বেশি খাবার সে তাই খায়। ছোটো ভাই অবু সেও বেশি খাবে। ছাইয়ের নুড়ো বলেছে বিমলা নিজেকে। তাকে বাড়িতে অবহেলা করা হয়। তাই তার মনে হয়েছে তার দাম কমে গেছে।
১৫.৪ বিমলার প্রতি তোমার অনুভূতির কথা পাঁচটি বাক্যে লেখো।
উত্তর: কবিতায় বিমলার অভিমান হয়েছে। সারাদিন বিমলা ফাই ফরমাস খাটে। সকালে উঠে ফুল আনা থেকে শুরু করে, দুরন্ত খোকাকে সামলানো, ছাগলকে তাড়ানো, দাদার পাতে নুন দেওয়া, মার ঝাল পানে চুন দেওয়া সব কাজ করেও বিমলা-র কপালে ভালো পরিমাণ খাবার জোটে না। কিন্তু তার দাদা – ভাই-এর কপালে জোটা খাবারের পরিমাণ বেশি। তাই তার অভিমান করার যথেষ্ট কারণ আছে।
১৫.৫ খেতে না পেয়ে তুমি বা তোমার বন্ধুরা কখনো প্রতিবাদ জানিয়েছ বা জানানোর চেষ্টা করেছ- যদি এমন কোনো ঘটনা ঘটে থাকে সে সম্বন্ধে লেখো ।
উত্তরঃ একবার আমরা বন্ধুরা সরস্বতী পূজায় স্কুলে যাই। কিন্তু সেখানে আমাদের প্রাপ্য খাবার অন্যদের অতিরিক্ত খাবার হিসাবে বাড়িতে দেওয়া হয়। আমরা চার বন্ধু তখন খুব রেগে যাই। তারপর আমাদের অনেকবার খাবার নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলেও আমরা আর ওই খাবার নিইনি।
১৫.৬ বিমলার অভিমান করার কারণ কী তা নিজের ভাষায় আট / দশটি বাক্যে লেখো।
উত্তর: বিমলার অভিমান করার যথেষ্ট কারণ আছে বলেই আমার মনে হয়। তার কারণ তার কপালে যে ক্ষীরের অংশ জোটে তার পরিমাণ যৎসামান্য। সকালে পূজার ফুল আনার সময়, দুরন্ত খোকাকে সামলানোর সময় তার ডাক পড়ে। ছাগল নটেগাছ খেয়ে মুড়োলে তাকে দৌঁড়ে গিয়ে ছাগল তাড়াতে হয়। দাদা খেতে বসলে পাতে নুন দেওয়ার ডাক পড়ে। সব ফরমাস পালন করে বিমলা। কিন্তু খাবার সময় বিমলার দাদা আর ভাই অবু খাবারের বেশির ভাগটাই পায়। বিমলার ভাগে কম খাবার আসে। ছাইয়ের নুড়োর মতো অবস্থা হয় তার। তাই বিমলার মনে হয় কাজের সময় বিমলার ডাক পড়ে শুধু।