এই নিবন্ধে আমরা সপ্তম শ্রেণির তৃতীয় অধ্যায় ” পাগলা গণেশ (শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়)”
গল্পের প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে জানবো। Class 07 Bangla Chapter 03 Question Answer
Class 7 Bangla Chapter 03 Question Answer সপ্তম শ্রেনীর বাংলা অধ্যায় ০৩ “পাগলা গণেশ (শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়)” প্রশ্ন উত্তর
Table of Contents
১.সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো :
১.১.পাগলা গণেশএকটি (বিজ্ঞান/কল্পবিজ্ঞান/ রূপকথা) বিষয়ক গল্প।
উত্তরঃ কল্পবিজ্ঞান।
১.২.অবস্থাভেটরি – বাংলা প্রতিশব্দ (শরীক্ষাগার/ গবেষণাগার / নিরীক্ষণাগার)।
উত্তরঃনিরীক্ষণাগার
১.৩.সন্ধসমাজ থেকে দূরে পালিয়ে গিয়ে গণেশ (হিমালয়ের গিরিগুহায়/ গভীর জঙ্গলে/মহাকাশে) আশ্রয় নিয়েছিলেন।
উত্তরঃ হিমালয়ের গিরিগুহায় ।
১.৪.গল্পের তথ্য অনুসারে মৃত্যুপ্তয় টনিক আবিষ্কার হয়েছিল (৩৫৮৯/৩৪৩৯/৩৫০০) সালে।
উত্তরঃ ৩৪৩৯ সালে।
২.সংক্ষেপে উত্তর দাও:
২.১. “সালটা ৩৫৮৯”-এই সময়ের মধ্যে পৃথিবীতে কোন্ কোন্ নতুন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের কথা বলা হয়েছে?
উত্তরঃ এই সময়ের মধ্যে পৃথিবীতে মাধ্যাকর্ষণ প্রতিরোধকারী মলম, নানারকম উড়ান যন্ত্র, মৃত্যুঞ্জয়ী টনিক আবিষ্কার হয়েছে। সূর্যের দুটি গ্রহ আবিষ্কৃত হয়েছে।
২.২. “ওসব অনাবশ্যক ভাবাবেগ কোনো কাজেই লাগে না”- অনাবশ্যক ভাবাবেগ’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? তাকে সত্যিই তোমার অনাবশ্যক বলে মনে হয় কি?
উত্তরঃ অনাবশ্যক ভাবাবেগ বলতে কবিতা, গান, নাটক, আঁকা ইত্যাদিকে বোঝানো হয়েছে।
- না, এগুলিকে আমার অনাবশ্যক বলে মনে হয় না। কারণ মানুষের এই ভাবাবেগ গুলির প্রয়োজন আছে ।
২.৩. “চর্চার অভাবে মানুষের মনে আর ওসবের উদ্রেক হয় না”- মানুষের মন থেকে কোন কোন অনুভূতিগুলো হারিয়ে গেছে?
উত্তরঃ দয়া মায়া, করুণা ভালোবাসা ইত্যাদির এই অনুভূতিগুলো মানুষের মন থেকে হারিয়ে গেছে।
২.৪. ব্যতিক্রম অবশ্য এক আসজন আছে” – ব্যতিক্রমী মানুষটি কে? কীভাবে তিনি ‘ব্যতিক্রম হয়ে উঠেছিলেন?
উত্তরঃ ব্যতিক্রমী মানুষটি হলেন বিজ্ঞানী পাগলা গণেশ।
- গণেশ অনেক চেষ্টা করেও যখন দেখলেন কালের ঢাকাকে উল্টোদিকে ঘোরানো যাবে না তখন এই মানুষটি সমাজের মূল স্রোতের থেকে বেরিয়ে গিয়ে দূরে হিমালয়ের গিরিগুহার আশ্রয় নিয়ে কবিতা লিখতেন। সেই কবিতা আকাশে বাতাসে ছড়িয়ে দিতেন। গান গাইতেন। ছবি আঁকতেন ।এইভাবে তিনি ব্যতিক্রমী হয়ে উঠেছিলেন।
২.৫. “ও মশাই এমন বিকট শব্দ করছেন কেন?”- কার উদ্দেশ্যে কারা এ কথা বলেছিল? কোন কাজকে তারা বিকট শব্দ মনে করেছিল?
উত্তরঃ একদিন সন্ধেবেলা গণেশ গলা ছেড়ে গান গাইছিল। সেই সময় দুটো পাখাওয়ালা লোক লাসা থেকে ইসলামাবাদ যেতে যেতে নেমে এসে গণেশকে রীতিমতো ধমক দিয়ে এই কথা বলেছিল। গণেশের গলা ছেড়ে গান গাওয়াকে তারা বিকট শব্দ বলে মনে করেছিল ।
২.৬.”গণেশ তাদের মুখশ্রী ভুলে গেছে”-গণেশ কাদের মুখশ্রী ভুলে গেছে? তাঁর এই ভুলে যাওয়ার কারণ কী বলে তোমার মনে হয়?
উত্তরঃ গণেশ নিজের ছেলে-মেয়েদের মুখশ্রী ভুলে গেছে। তাঁর এই ভুলে যাওয়ার কারণ দীর্ঘদিন তাদের সাথে দেখা হয় নাই। কারণ ছেলেমেয়েরা কেউই বাবার কাছে আসে না। অন্তত গত একশো বছরের মধ্যে তাদের সঙ্গে গণেশের দেখা হয়নি।
২.৭. “গণেশকে সসম্ভ্রমে অভিবাদন করে বলল”—কে, কী বলেছিল? তার এভাবে তাকে সম্মান জানানোর কারণটি কী?
উত্তরঃ একজন পুলিশম্যান গণেশকে স্যার বলে সসম্ভ্রমে অভিবাদন করেছিল। এভাবে তাঁকে সম্মান জানানোর কারণ হল এককালে গণেশ যখন কলকাতার সায়েন্স কলেজে মাইক্রো ইলেকট্রনিক পড়াতেন তখন এই পুলিশম্যানটি তাঁর ছাত্র ছিলেন।
২.৮. “আমি পৃথিবীকে বাঁচানোর চেষ্টা করছি”—বক্তা কীভাবে পৃথিবীকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিল ? তার প্রয়াস।সফল হয়েছিল কি?
উত্তরঃ বক্তা গণেশ কবিতা লিখে, সেই কবিতার কাগজগুলো বাতাসে ভাসিয়ে দিত। যদি কেউ সেগুলো পড়ে, অন্তত তার অনুভূতিগুলো যদি কবিতা পড়ে জেগে ওঠে। কখনও গান গেয়ে, ছবি এঁকে পৃথিবীকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিল।
- হ্যাঁ, তার প্রয়াস শেষ পর্যন্ত সফল হয়েছিল। লোকে একসময় গান গাইতে, কবিতা অভ্যাস করতে ও ছবি আঁকতে শুরু করেছিল।
২.৯. “লোকটা অসহায়ভাবে মাথা নেড়ে বলল”—এখানে কার কথা বলা হয়েছে? সে কী বলল ? তার অসহায়ভাবে মাথা নাড়ার কারণ কী?
উত্তরঃ এখানে গণেশের ছাত্র পুলিশম্যানটির কথা বলা হয়েছে।
- সে বলল, কবিতাটি পড়ে সে কিছু বুঝতে পারছে না। কোনোদিন এ জিনিস পড়েনি।
- পুলিশম্যানটি গণেশের কবিতা পড়ে কিছু বুঝতে পারছিল না। কারণ তার আমলে
- শিক্ষানিকেতনে এসব পড়ানো হত না। তাই অসহায়ভাবে সে মাথা নেড়েছিল।
২.১০. “তিনজন মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে বসে রইল।”—এই তিনজন কারা? তাদের মুগ্ধতার কারণ কী?
উত্তরঃ এই তিনজন হল (১)পুলিশম্যান(২)তাঁর স্ত্রী ও (৩) তাঁর মা।
- মন্ত্র যখন পাঠ করা হয় তখন সকলে যেমন মন দিয়ে শোনে , তেমনি গণেশের কবিতা গান তারা মন হয়ে শুনছিল ।
৩. “পাগলা গণেশ” গল্পের মুখ্য চরিত্র গণেশকে তোমার কেমন লাগল?
উত্তরঃ ভালো লেগেছে । গণেশ বিজ্ঞানের যুগে জন্মেও তিনি বিজ্ঞানসর্বস্ব হয়ে যাননি।ধরাবাঁধা নিয়মে চলার বিরোধী একজন মানুষ। তাঁর মধ্যে মনুষ্যত্ব রয়েছে। তাঁর অনুভূতিও আছে। তিনি কবিতা লেখেন, গান করেন, ছবি আঁকেন । তিনি পৃথিবী থেকে যে ভাবাবেগ হারিয়ে গেছে তা ফিরিয়ে এনে পৃথিবীকে বাঁচিয়ে তোলার জন্য অক্লান্ত শ্রম করে শেষে তিনি সফল হয়েছিলেন ।এই অদ্ভুত পাগলামির কাহিনীটি সত্যি ভালো লেগেছে।
৪. অর্থ অপরিবর্তিত রেখে নিম্নরেখাঙ্কিত শব্দগুলির পরিবর্ত শব্দ বসাও :
৪.১. ওসব অনাবশ্যক ভাবাবেগ কোনো কাজেই লাগে না।
উত্তরঃ ওসব অপ্রয়োজনীয় ভাবাবেগ কোনো কাজেই লাগে না।
৪.২. কেউ ঠাট্টা-বিদ্রূপ করল না।
উত্তরঃ কেউ রং-তামাশা করল না।
৪.৩. দুনিয়াটা বেঁচে গেল।
উত্তরঃ পৃথিবীটা বেঁচে গেল।
৪.৪. মহাসচিব তাঁর বিমান থেকে নামলেন গণেশের ডেরায়।
উত্তরঃ মহাসচিব তাঁর উড়োজাহাজ থেকে নামলেন গণেশের আস্তানায়।
৪.৫. গণেশকে সসম্ভ্রমে অভিবাদন জানিয়ে বলল।
উত্তরঃ গণেশকে সসম্মানে অভিবাদন জানিয়ে বলল।
৪.৬. লোকে গান গাইতে লেগেছে, কবিতা মকসো করছে।
উত্তরঃ লোকে গান গাইতে লেগেছে, কবিতা অভ্যাস করছে।
৪.৭. হিমালয় যে খুব নির্জন জায়গা, তা নয়।
উত্তরঃ হিমালয় যে জনহীন জায়গা, তা নয়।
৪.৮. ধুর মশাই, এ যে বিটকেল শব্দ।
উত্তরঃ ধুর মশাই, এ যে বিশ্রী শব্দ।
৫. এককথায় লেখো :
উত্তরঃ প্রধান যে সচিব—মহাসচিব।
প্রতিরোধ করে যে—প্রতিরোধী।
গতিবেগ আছে যার—গতিশীল।
মৃত্যুকে জয় করেছে যে—মৃত্যুঞ্জয়ী।
অন্ত নেই যার—অনন্ত।
৬. সন্ধিবিচ্ছেদ করো :
মাধ্যাকর্ষণ—মধ্য + আকর্ষণ।
আবিষ্কার—আবিঃ + কার।
মৃত্যুঞ্জয়—মৃত্যু + জয়।
অনাবশ্যক—অন + আবশ্যক।
গবেষণা—গো + এষণা।
অন্তরীক্ষ—অন্তঃ + ইক্ষ।
গণেশ—গণ + ঈশ।
হিমালয়—হিম + আলয়।
নির্জন—নিঃ + জন
গবেষণাগার—গো + এষণা + আগার।
পরীক্ষা—পরি + ঈক্ষা।
৭. সমার্থক শব্দ লেখো:
কৃত্রিম–নকল।
পৃথিবী—ধরা।
আন্দোলন—বিক্ষোভ।
৮. নিম্নলিখিত বিশেষণগুলির উপর উপযুক্ত বিশেষ্য বসাও এবং বাক্য রচনা কর: কৃত্তিম, মেদুর, সুকুমার, যান্ত্রিক, ফিরোজা, মন্ত্রমুগ্ধ।
উত্তরঃ
বিশেষণ –কৃত্রিম
বিশেষ্য – কৃত্রিম উপগ্রহ
বাক্য – আকাশে এখন কৃত্রিম উপগ্রহ প্রায়ই দেখা যায়।
বিশেষণ – মেদুর
বিশেষ্য – মেদুর আকাশ
বাক্য – মেঘে মেদুর আকাশ স্নিগ্ধ সুন্দর হয়ে উঠল।
বিশেষণ – সুকুমার
বিশেষ্য – সুকুমার শিল্পকলা
বাক্য – সুকুমার শিল্পকলা সকলেই শিল্পকলা পছন্দ করে।
বিশেষণ – যান্ত্রিক
বিশেষ্য – যান্ত্রিক গােলযােগ
বাক্য – যান্ত্রিক গােলযােগের জন্য
মােটরগাড়ি থেমে গেল।
বিশেষণ – ফিরােজা
বিশেষ্য – ফিরােজা রং
বাক্য – ফিরােজা রঙের শাড়ি নীনার খুব পছন্দ।
বিশেষণ – মন্ত্রমুগ্ধ
বিশেষ্য – মন্ত্রমুগ্ধ শ্রোতাবাক্য – রমার গান শুনে শ্রোতারা মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে বসে রইল।
৯. পদগুলির কারক ও বিভক্তি নির্ণয় করো :
৯.১. গণেশও আর সকলের মতো টনিকটা খেয়েছিল।
উত্তরঃ কর্তৃকারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি।
৯.২. তার গানের গলা বেশ ভালোই।
উত্তরঃ কর্মকারক ‘এর’ বিভক্তি।
৯.৩. আকাশে একটা পিপে ভাসছিল।
উত্তরঃ অধিকরণ কারকে ‘এ’ বিভক্তি
৯.৪. আজ সকালে গণেশকে কবিতায় পেয়েছে।
উত্তরঃ অধিকরণ কারকে ‘এ’ বিভক্তি
৯.৫. আমি পৃথিবীকে বাঁচানোর চেষ্টা করছি।
উত্তরঃ সম্বোধন কারকে ‘এ’ বিভক্তি।
৯.৬. ও মশাই অমন বিকট শব্দ করছেন কেন?
উত্তরঃ কর্মকারকে শূন্য বিভক্তি।
৯.৭. রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব তাঁর বিমান থেকে নামলেন।
উত্তরঃ অপাদান কারকে ‘এ’ বিভক্তি।
৯.৮. তিনজন মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে বসে রইল।
উত্তরঃ কর্মকারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি।