Class 10

Class 10 Life Science Chapter 01 Question Answer (5 Marks) | মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান চলন গমন দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্নউত্তর

Class 10 Life Science Chapter 01 Question Answer (5 Marks) | মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান চলন গমন দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্নউত্তর

Class 10 Life Science Chapter 01 Question Answer (5 Marks) | মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান চলন গমন দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্নউত্তর

Class 10 Life Science Chapter 01 Question Answer | মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান চলন গমন ৫ নম্বরের দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্নউত্তর

1. উদ্ভিদের সংবেদনশীলতা ধর্ম আবিষ্কারে জগদীশচন্দ্র বসুর ভূমিকা আলোচনা করো।
উত্তরঃ- উদ্ভিদের সংবেদনশীলতা ধর্ম আবিষ্কারে জগদীশচন্দ্র বসুর ভূমিকা: উদ্ভিদের সংবেদনশীলতা প্রদর্শনের ঘটনা প্রথম গভীরভাবে অনুসন্ধান করেন ভারতীয় বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসু এবং নিম্নলিখিত ঘটনাগুলো পর্যবেক্ষণ করেন –
i) তিনি লজ্জাবতী, বনচাঁড়ালসহ বিভিন্ন উদ্ভিদকে যান্ত্রিক, রাসায়নিক ও তড়িৎ উদ্দীপনা প্রয়োগ করে দেখেন যে, প্রতিটি সজীব উদ্ভিদ কোশের প্রোটোপ্লাজম খুবই সংবেদনশীল ও অনুভূতিসম্পন্ন এবং প্রতিক্ষেত্রে স্বধর্ম অনুসারে বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ উদ্দীপনায় সাড়া দেয় বা প্রতিক্রিয়া দেখায়। চাপ, তাপ, স্পর্শ, বিদ্যুৎপ্রবাহ প্রভৃতি উদ্দীপকের প্রভাবে তাদের দেহে উদ্দীপনার মতো উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়।
ii) তিনি ‘রেজোন্যান্ট রেকর্ডার’ নামক যন্ত্রের সাহায্যে প্রমাণে সক্ষম হন যে, প্রাণীর মতো উদ্ভিদের দেহে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় ও ওই উত্তেজনা দূরবর্তী স্থানে প্রেরিত হয়।
iii) উদ্ভিদের ওপর KCN-জাতীয় বিষ বা ক্লোরোফর্ম, ইথার প্রভৃতি প্রয়োগ করে দেখেন, বিষ প্রয়োগে প্রাণীদের মতো তাদেরও কোশের মধ্যে বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় কাজ বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে এবং প্রোটোপ্লাজমের আবর্তন বা স্পন্দন হ্রাস পাচ্ছে।
iv) উদ্ভিদকোশ বিভিন্ন ধরনের উদ্দীপনায় কিভাবে প্রতিক্রিয়া সংবেদনশীলতা দেখাচ্ছে তা তিনি ক্রেসকোগ্রাফ নামক যন্ত্রের সাহায্যে লেখচিত্র তৈরি করে দেখাতে সক্ষম হন।
জগদীশচন্দ্র বসুর নিজস্ব কথাই বলা যায় “তরুস্পন্দনের সাড়ালিপি পাঠ করিয়া, জন্তু ও উদ্ভিদের স্পন্দন যে একই নিয়মে নিয়মিত তাহা নিশ্চয়রূপে বলিতেছি”। সুতরাং, বলা যায় উদ্ভিদদেহে
সংবেদনশীলতার ঘটনা আবিষ্কারে জগদীশচন্দ্র বসুর ভূমিকা অনস্বীকার্য।

2. উদ্ভিদের জিওট্রপিক চলন একটি পরীক্ষার সাহায্যে বুঝিয়ে দাও।
উত্তরঃ- অভিকর্ষ বল উদ্ভিদের মূলের বৃদ্ধির ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্দীপকের ভূমিকা পালন করে। তাই মূলকে অভিকর্ষ অনুকূলবর্তি বলা হয়। নিম্নলিখিত সহজ পরীক্ষা দ্বারা ঘটনাটি সহজে বোঝা যায়।
পরীক্ষা: একটি ভিজে ব্লটিং পেপারে একটি অঙ্কুরিত বীজ কে পিনের সাহায্যে অনুভূমিকভাবে আটকে ব্লটিং পেপারটিকে খাড়াভাবে রেখে দেওয়া হল।
পর্যবেক্ষণ : কয়েকদিন পর দেখা যাবে ভ্রুণমূল নিচের দিকে ও ভ্রুনমুকুল ওপরের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
সিদ্ধান্ত: এর থেকে সহজেই প্রমাণিত হয়, ভ্রুণমূল অভিকর্ষ অনুকূলবর্তি চলনের মাধ্যমে জিওট্রপিক চলন প্রদর্শন করে।

3. উদ্ভিদের হাইড্রোট্রপিক চলন একটি পরীক্ষার সাহায্যে বুঝিয়ে দাও।
উত্তরঃ- বীজের অঙ্কুরোদগমের সময় জল একটি অতি প্রয়োজনীয় শর্ত হিসেবে বিবেচিত হয় এবং বীজ থেকে নির্গত ভ্রুণমূল জলের উৎসের দিকে বৃদ্ধি পায়। নিম্নলিখিত সহজ পরীক্ষার দ্বারা ঘটনাটি সহজে বোঝা যায়।
পরীক্ষা: একটি চালুনিতে ভিজে কাঠের গুঁড়ো নিয়ে তাতে কয়েকটি ছোলা বীজ পুঁতে দিতে হবে। এরপর চালুনিতে. দড়ি দিয়ে আংটার সঙ্গে ঝুলিয়ে দিতে হবে এবং মাঝে মাঝে জল দিয়ে কাঠের গুঁড়ো ভিজিয়ে দিতে হবে।
পর্যবেক্ষণ: কয়েকদিন পর লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, বীজ থেকে ভ্রুণমূলগুলি চালুনির ছিদ্র দিয়ে বাইরে এসেছে। আরও কিছুদিন বাদে ওই মূলগুলিকে পুনরায় বেঁকে চালুনির ছিদ্রপথে কাঠের গুড়োর মধ্যে ঢুকতে দেখা যাবে।
সিদ্ধান্ত: এর থেকে সহজেই প্রমাণিত হয় যে, মূলগুলি প্রথমে অভিকর্ষ বলের জন্য চালুনির ছিদ্র দিয়ে বাইরে বেরিয়ে এলেও পরে আবার জলের উৎস সন্ধানে পুনরায় ভিজে কাঠের গুড়োর মধ্যে প্রবেশ করেছে।

4. একটি পরীক্ষার সাহায্যে উদ্ভিদের ফটোট্রপিক চলন বুঝিয়ে দাও।
উত্তরঃ- উদ্ভিদের ক্ষেত্রে আলো একটি অতিপ্রয়োজনীয় উদ্দীপক। উদ্ভিদের কান্ড ও শাখা-প্রশাখা আলোর উৎসের দিকে অগ্রসর হয়। তাই কান্ডকে আলোক অনুকূলবর্তি বলে। ঘটনাটি নিম্নলিখিত সহজ পরীক্ষা দ্বারা সহজেই বোঝা যায়।
পরীক্ষা: একটি সুস্থ সবল চারাগাছকে একটি কাচের বোতলের কর্কের ছিপির সাহায্যে সোজা করে রাখা হল। এরপর একটি অন্ধকার ঘরের জানালার পাশে টেবিলের উপরে রেখে, জানালার পাল্লা খুলে দেওয়া হল।
পর্যবেক্ষণ: কয়েকদিন পর লক্ষ করলে দেখা যাবে যে, চারাটির কান্ড ও শাখা-প্রশাখা ক্রমশ খোলা জানালার আলোক উৎসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
সিদ্ধান্ত: এর থেকে সহজে প্রমাণিত হয়, উদ্ভিদের কান্ড ও শাখা-প্রশাখা আলোক অনুকূলবর্তি চলনের মাধ্যমে ফটোট্রপিজম প্রদর্শন করে।

5. উদ্ভিদ কিভাবে উদ্দীপনায় সাড়া দেয় উদাহরণসহ বর্ণনা করো।
উত্তরঃ- উদ্ভিদের উদ্দীপনায় সাড়া দেওয়ার পদ্ধতি: উদ্ভিদের সাড়া প্রদান বলতে সাধারণত ধীর বৃদ্ধিজ চলন বা রসস্ফীতিজনিত চলন কে বোঝায়। উদ্ভিদের সাড়া প্রদানের পর্যায়গুলি হল
i) উদ্দীপনা গ্রহণ এবং উপলব্ধিকরন: উদ্ভিদের কোন প্রকার কোশ বা কলা বা রঞ্জক পদার্থ নির্দিষ্ট উদ্দীপনা গ্রাহক হিসেবে কাজ করে তা সুনির্দিষ্টভাবে বলা না গেলেও মনে করা হয় উদ্ভিদের যে অংশে উদ্দীপনা প্রয়োগ করা হয়, তা উদ্দীপনা গ্রাহক হিসেবে কাজ করে।
ii) উদ্দীপনার পরিবহন: উদ্ভিদদেহে উদ্দীপনা গৃহীত হলে ধারাবাহিক বিক্রিয়ার হলে মাধ্যমে তা সিগন্যাল-এ রূপান্তরিত হয় এবং প্লাজমোডেসমাটার মাধ্যমে সাড়াপ্রদানকারী অঙ্গের কোশ বা কলাতে পরিবাহিত হয়। ইলেকট্রিক্যাল সিগন্যালে বা কেমিক্যাল ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে উদ্দীপনার পরিবহন ঘটে।
iii) সাড়াপ্রদান: নির্দিষ্ট সিগন্যাল সাড়াপ্রদানকারী অঙ্গের কোশ বা কলাতে পৌঁছালে ওই কোশ বা কলার বৃদ্ধি বা রসস্ফীতির মাধ্যমে উদ্ভিদের সাড়াপ্রদান করে।
উদাহরণ: লজ্জাবতীর পত্রক স্পর্শ দ্বারা উদ্দীপিত হলে পত্রমূলের উপাদান কোশ থেকে জল অন্য কোশে স্থানান্তরিত হওয়ার কোশগুলির রসস্ফীতিজনিত চাপ কমে যায়, ফলে পত্রগুলি মুড়ে যায়। এক্ষেত্রে পত্রফলক উদ্দীপনা সংগ্রহ করে পত্রবৃন্তের গোড়ায় অবস্থিত উপাদান কোশগুলোতে পাঠিয়ে দেয়। উপাদান কোশ প্রাণীর স্নায়ুতন্ত্রের চেষ্টীয় অঙ্গের মতো কাজ করায় পত্রকগুলি মুড়ে যায়। বনচাঁড়াল গাছের পাতা ত্রিফলকযুক্ত বৃন্তের পাশের ছোট পত্রটি ক্রমাগত ওঠানামা করে। এক্ষেত্রে চলনটি অভ্যন্তরীণ উদ্দীপনার প্রভাবে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ঘটে।

6. ট্যাকটিক চলন ও ন্যাস্টিক চলনের মধ্যে দুটি পার্থক্য লেখ। উল্লিখিত ঘটনাগুলি উদ্ভিদের কি ধরনের চলন কে নির্দেশ করে তা লেখ – i) মূল মাটির দিকে বৃদ্ধি পায় ii) অঙ্কুরিত বীজের মূল জলের উৎসের দিকে বৃদ্ধি পায় iii) পদ্মফুল সূর্যোদয়ের সময় ফোটে এবং সূর্যাস্তের সময় বন্ধ হয়ে যায়।
উত্তরঃ- ট্যাকটিক ও নাস্টিক চলন এর পার্থক্য নিম্নে উল্লেখ করা হল:

  1. ট্যাকটিক চলন: ট্যাকটিক চলন একপ্রকার সামগ্রিক চলন বা গমন। (চলনের প্রকৃতি)
    ন্যাস্টিক চলন: ন্যাস্টিক চলন একটি উদ্ভিদের বক্রচলন। (চলনের প্রকৃতি)
  2. ট্যাকটিক চলন: ট্যাকটিক চলন উদ্দীপকের গতিপথ বা তীব্রতা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। (উদ্দীপকের ধরন)
    ন্যাস্টিক চলন: ন্যাস্টিক চলন উদ্দীপকের তীব্রতা ও স্থায়ী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। (উদ্দীপকের ধরন)
  3. ট্যাকটিক চলন: ট্যাকটিক চলন উদ্ভিদের নির্দিষ্ট গমন অঙ্গের ব্যবহার দেখা যায়। (গমন অঙ্গের উপস্থিতি)
    ন্যাস্টিক চলন: ন্যাস্টিক চলন এর জন্য কোন গমন অঙ্গের ব্যবহার হয় না। (গমন অঙ্গের উপস্থিতি)

i) মাটির বিকে বৃদ্ধি পায় – পজিটিভ জিওট্রপিক চলন কে নির্দেশ করে।
ii) অঙ্কুরিত বীজের মূল জলের উৎসের দিকে বৃদ্ধি পায় – পজিটিভ হাইড্রো ট্রপিক চলনকে নির্দেশ করে।
iii) পদ্মফুল সূর্যোদয়ের সময় ফোটে এবং সূর্যাস্তের সময় বন্ধ হয়ে যায় – থার্মো ন্যাস্টিক চলন কে নির্দেশ করে।

7. ট্যাকটিক চলন, ট্রপিক চলন ও ন্যাস্টিক চলন এর মধ্যে তুলনা করো।
উত্তরঃ- ট্যাকটিক চলন, ট্রপিক চলন ও ন্যাস্টিক চলন এর তুলনা নিচে উল্লেখ করা হল:
i) উদ্দীপক:
বহিঃস্থ উদ্দীপকের গতিপথ বা তীব্রতা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। (ট্যাকটিক চলন)
বহিঃস্থ উদ্দীপকের গতিপথ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। (ট্রপিক চলন)
বহিঃস্থ উদ্দীপকের তীব্রতা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। (ন্যাস্টিক চলন)
ii) ঘটনাস্থল:
সমগ্রদেহ বা কোশেএইপ্রকার চলন ঘটে। (ট্যাকটিক চলন)
উদ্ভিদের অপরিণত অংশে ঘটে। (ট্রপিক চলন)
উদ্ভিদের পরিণত অংশে ঘটে। (ন্যাস্টিক চলন)
iii) চলনের প্রকৃতি:
উদ্ভিদ দেহের বা কোশের সামগ্রিক স্থান পরিবর্তন ঘটে। (ট্যাকটিক চলন)
সংবেদনশীল অঙ্গের বৃদ্ধির মাধ্যমে ঘটে। এটি বৃদ্ধিজ চলন। (ট্রপিক চলন)
সংবেদনশীল অঙ্গের কোশগুলির রসস্ফীতির তারতম্যের কারণে ঘটে। (ন্যাস্টিক চলন)
iv) অক্সিন হরমোনের প্রভাব:
ট্যাকটিক চলনে হরমোনের কোনো প্রভাব নেই। (ট্যাকটিক চলন)
ট্রপিক চলনে হরমোনের বিশেষ প্রভাব আছে। (ট্রপিক চলন)
ন্যাস্টিক চলনে হরমোনের কোনো প্রভাব নেই। (ন্যাস্টিক চলন)
v) উদাহরণ:
ম্যালিক এসিডের প্রভাবে উদ্দীপিত হয়ে মস ও ফার্নের শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর দিকে চলন। (ট্যাকটিক চলন)
আলোক উৎসের অভিমুখে কান্ডের চলন। (ট্রপিক চলন)
সূর্যালোকের অধিক তীব্রতায় সূর্যমুখী ফুল ফোটা এবং কম তীব্রতায় মুদে যাওয়া। (ন্যাস্টিক চলন)

8. ট্রপিক চলন কাকে বলে? উদাহরণসহ প্রধান তিন প্রকার ট্রপিক চলন ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ- ট্রপিক চলন: যে আবিষ্ট বক্রচলন উদ্দীপকের উৎস বা গতিপথ অনুসারে ঘটে, তাকে দিকনির্ণীত চলন বা ট্রপিক চলন বলে।
ট্রপিক চলন প্রধানত তিন প্রকার। i) ফটোট্রপিক চলন বা ফটোট্রপিজম ii) জিওট্রপিক চলন বা জিওট্রপিজম iii) হাইড্রোট্রপিক চলন বা হাইড্রোট্রপিজম

i) ফটোট্রপিক চলন: উন্নত শ্রেণীর উদ্ভিদের বিভিন্ন অঙ্গের যে আবিষ্ট বক্রচলন আলোর উৎস বা গতিপথ অনুসারে হয়, তাকে ফটোট্রপিক চলন বলে।
উদাহরণ: উদ্ভিদের কান্ড ও শাখা-প্রশাখা সূর্যের আলোর দিকে বৃদ্ধি পাওয়া একটি ফটোট্রপিক চলন।
ii) জিওট্রপিক চলন: যে ট্রপিক চলন অভিকর্ষ বলের গতিপথ অনুসারে ঘটে, তাকে জিওট্রপিক চলন বলে।
উদাহরণ: অভিকর্ষ বলের প্রভাবে উদ্ভিদের মূলের মাটির গভীরে প্রবেশ করা।
iii) হাইড্রোট্রপিক চলন: উন্নত শ্রেণীর উদ্ভিদের বিভিন্ন অঙ্গের যে ট্রপিক চলন জলের উৎস বা গতিপথ অনুসারে হয়, তাকে হাইড্রোট্রপিক চলন বলে।
উদাহরণ: প্রধান মূলের জলের উৎসের দিকে বৃদ্ধি পাওয়া।

9. উদাহরণসহ বিভিন্ন প্রকার ন্যাস্টিক চলন এর প্রকারভেদ গুলির সম্পর্কে লেখো।
উত্তরঃ- উদ্ভিদের ন্যাস্টিক চলন প্রধানত চার প্রকার। i) ফটোন্যাস্টিক চলন ii) থার্মোন্যাস্টিক চলন iii) সিসমোন্যাস্টিক চলন iv) কেমোন্যাস্টিক চলন।
i) ফটোন্যাস্টিক চলন: আলোক উদ্দীপকের তীব্রতার হ্রাসবৃদ্ধির ফলে উদ্ভিদ অঙ্গের রসস্ফীতিজনিত আবিষ্ট বক্রচলনকে ফটোন্যাস্টিক চলন বলে।
উদাহরণ: সূর্যমুখী, পদ্ম প্রভৃতি ফুল দিনের বেলায় তীব্র আলোর উপস্থিতিতে ফোটে এবং অন্ধকারে বন্ধ হয়ে যায়। আবার জুই,মালতি প্রভৃতি ফুল সূর্যাস্তের পর অন্ধকারে ফোটে এবং দিনের বেলায় বন্ধ হয়ে যায়।
ii) থার্মোন্যাস্টিক চলন: যে ন্যাস্টিক চলন তাপমাত্রা বা উষ্ণতার তীব্রতা দ্বারা ঘটে, তাকে থার্মোন্যাস্টিক চলন বলে।
উদাহরণ: টিউলিপ ফুলের পাপড়ি বেশি উষ্ণতায় ফোটে আবার কম উষ্ণতায় বন্ধ হয়ে যায়।
iii) সিসমোন্যাস্টিক চলন: স্পর্শ উদ্দীপনা বা আঘাতজনিত উদ্দীপনার তীব্রতা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত উদ্ভিদ অঙ্গের রসস্ফীতিজনিত আবিষ্ট বক্রচলনকে সিসমোন্যাস্টিক চলন বলে।
উদাহরণ: লজ্জাবতীর পত্রগুলি স্পর্শ করলে মুড়ে যায়।
iv) কেমোন্যাস্টিক চলন: রাসায়নিক পদার্থের তীব্রতার প্রভাবে উদ্ভিদ অঙ্গের রসস্ফীতিজনিত আবিষ্ট বক্রচলনকে কেমোন্যাস্টিক চলন বলে।
উদাহরণ: ডায়োনিয়া, সূর্যশিশির প্রভৃতি পতঙ্গভুক উদ্ভিদের পাতার রোম পতঙ্গের সংস্পর্শে এলে পতঙ্গের দিকে বেঁকে যায় ও পতঙ্গকে আবদ্ধ করে।

Class 10 Life Science Chapter 01 Question Answer (5 Marks) | মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান চলন গমন দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্নউত্তর

Shares:

Related Posts

Class-10-Bangla-Chapter-03-MCQ-And-Very-Short-Question-Answer
Class 10

Class 10 Bangla Chapter 03 MCQ And Very Short Question Answer | মাধ্যমিক বাংলা অধ্যায় 0৩ ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’

Class 10 Bangla Chapter 03 MCQ And Very Short Question Answer | মাধ্যমিক বাংলা অধ্যায় 0৩ ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’- এর বহুবিকল্পধর্মী এবং অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোউত্তর এই নিবন্ধে আমরা
class-10-physical-science-chapter-02-mcq-answer
Class 10

Class 10 Physical Science Chapter 02 MCQ Answer | মাধ্যমিক ভৌত বিজ্ঞান অধ্যায় ০২ – গাসের আচরণ প্রশ্ন ও উত্তর

এই নিবন্ধে আমরা মাধ্যমিক ভৌত বিজ্ঞান এর প্রথম অধ্যায় অর্থাৎ গাসের আচরণ এর বেশ কিছু অতি সংক্ষিপ্ত, সংক্ষিপ্ত, দীর্ঘ প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে জানবো। Class 10 Physical Science Chapter 02 MCQ
Class 10 English Lesson 04 My Own True Family Activity Question Answer
Class 10

Class 10 English Lesson 04 My Own True Family Activity Question Answer | দশম শ্রেণীর ইংরেজি অধ্যায় ০৪ My Own True family প্রশ্ন উত্তর

Class 10 English Lesson 04 My Own True Family Activity Question Answer দশম শ্রেণীর ইংরেজির Lesson 04 – My Own True Family অধ্যায়ের Activity Question Answer অংশ শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত
class-10-geography-chapter-03
Class 10

Class 10 Geography Chapter 03 Question Answer দশম শ্রেনীর ভূগোল অধ্যায় ০৩ “নদী হিমবাহ ও বায়ুর কাজ” অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর

এই নিবন্ধে আমরা দশম শ্রেণির ভূগোল তৃতীয় অধ্যায় "নদী হিমবাহ ও বায়ুর কাজ” অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে জানবো। Class 10 Geography Chapter 03 Question Answer Class 10 Geography Chapter