Class 10 Life Science Chapter 01 Short Question Answer | দশম শ্রেণী ০১ অধ্যায়ের সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর
Table of Contents
1. বক্রচলন বলতে কী বোঝ?
উত্তরঃ- স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে বা বাহ্যিক উদ্দীপকের প্রভাবে বৃদ্ধিজনিত বা রসস্ফীতিজনিত কারণে উদ্ভিদ অঙ্গের যে চলন ঘটে এবং যার ফলে উদ্ভিদ নানাভাবে বেঁকে যায়, তাকে বক্র চলন বলে।
2. বক্রচলন কত প্রকার ও কি কি?
উত্তরঃ- বক্র চলন দুই প্রকার। i) স্বতঃস্ফূর্ত বক্রচলন ii) আবিষ্ট বক্রচলন
3. স্বতঃস্ফূর্ত সামগ্রিক চলন কাকে বলে?
উত্তরঃ- বাহ্যিক উদ্দীপক এর উপর নির্ভর না করে অভ্যন্তরীণ উদ্দীপকের প্রভাবে সমগ্র উদ্ভিদদেহ বা উদ্ভিদ অঙ্গের যে সামগ্রিক চলন ঘটে, তাকে স্বতস্ফূর্ত সামগ্রিক চলন বলে।
4. ট্যাকটিক চলন বলতে কী বোঝ? উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ- বহিঃস্থ উদ্দীপকের প্রভাবে সমগ্র উদ্ভিদ দেহ বা উদ্ভিদ দেহাংশের সামগ্রিক চলন ঘটে, তাকে সামগ্রিক চলন বলে।
ফার্নের শুক্রানু ম্যালিক এসিডের আকর্ষণে ডিম্বাণুর দিকে অগ্রসর হওয়া এক প্রকার ট্যাকটিক চলন।
5. ফটোট্যাকটিক চলন বলতে কী বোঝ? উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ- আলোক উদ্দীপকের প্রভাবে উদ্ভিদের সমগ্রদেহের স্থান পরিবর্তনকে ফটোট্যাকটিক চলন বলে।
ভলভক্স, ক্ল্যামাইডোমোনাস প্রভৃতি শৈবাল এবং ইউলোথ্রিক্স, ক্ল্যাডোফোরা প্রভৃতি শৈবালের চলরেনুর আলোর উৎসের দিকে চলন।
6. ‘উদ্ভিদের ট্যাকটিক চলন কে উদ্ভিদের গমন বলা হয়’ – বিবৃতিটির যুক্তি দাও।
উত্তরঃ- বাহ্যিক বা অভ্যন্তরীণ উদ্দীপকের প্রভাবে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সঞ্চালনের মাধ্যমে স্থান পরিবর্তনকে গমন বলে। ট্যাকটিক চলনের সময় নিম্ন শ্রেণীর উদ্ভিদের সমগ্র দেহের বা দেহাংশের স্থানান্তর ঘটে সুতরাং উদ্ভিদের ট্যাকটিক চলনকে এক প্রকার গমন হিসেবে গন্য করা হয়।
7. ‘অনেক সময় সূর্য ওঠার পর পুকুরের জল সবুজ হয় এবং পড়ন্ত বিকেলের সূর্য ডোবার পর জল স্বচ্ছ হয়ে যায়’ – এর কারণ কি?
উত্তরঃ- সূর্য ওঠার পর পুকুরের উপস্থিত সবুজ শৈবাল গুলি আলোর দিকে অর্থাৎ পুকুরের জলের উপরের দিকে গমন করে। ফলে পুকুরের জলের রং সবুজ লাগে। আবার সূর্যাস্তের পর আলোর তীব্রতা কমে গেলে শৈবাল গুলি নিচের দিকে নেমে গেলে জল স্বচ্ছ লাগে।
8. প্রদত্ত চলন গুলির প্রকৃতি কোন ধরনের চলন তা নির্ণয় করো (যে কোন চারটি)ঃ i) উদ্ভিদের কান্ড ও শাখা-প্রশাখার আলোক উৎসের দিকে বৃদ্ধি পায়। ii) ফার্ন গাছের শুক্রানু ম্যালিক এসিডের আকর্ষণে ডিম্বাণুর দিকে ধাবিত হয়। iii) সন্ধ্যা মালতী ফুলের কম আলোতে ফোটা। iv) লজ্জাবতীর পাতা স্পর্শ করলে বুজে যায়। v) আলো বিচ্ছুরিত আলোর উৎসের অভিমুখে ভলভক্সের স্থান পরিবর্তন করা।
উত্তরঃ- i) আলোক অনুকূলবর্তি চলন। ii) কেমোট্যাকটিক চলন। iii) থার্মোন্যাস্টিক চলন। iv) সিসমোন্যাস্টিক চলন। v) ফটো ট্যাকটিক চলন
9. ভলভক্স-এর চলনকে গমন বলা যেতে পারে, কিন্তু মাটির নিচে মূলের চলনকে গমন বলা যেতে পারে কি? যুক্তি দাও।
উত্তরঃ- যেহেতু ফ্লাজেলার সঞ্চালন দ্বারা ভলভক্স স্থানান্তরিত হয় সুতরাং, এটি গমন কিন্তু উদ্ভিদের মূল মাটির নিচে বৃদ্ধি পেলে এটিকে গমন বলা যাবে না কারণ এক্ষেত্রে উদ্ভিদের সরন হয় না।
10. “চলন হলে গমন নাও হতে পারে, কিন্তু গমন হলে চলন হবেই” – ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ- একস্থানে আবদ্ধ থেকে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সঞ্চালন হলো চলন। এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সঞ্চালন দ্বারা সামগ্রিক স্থান পরিবর্তন হলো গমন। গমনের জন্য যেহেতু অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সঞ্চালন প্রয়োজন তাই এটি চলন এর উপর নির্ভরশীল, কিন্তু চলনে যেহেতু সামগ্রিক স্থান পরিবর্তন ঘটে না তাই এটি গমনের ওপর নির্ভর করে না অর্থাৎ চলন হলে গমন নাও হতে পারে।
11. জলের ঢেউ বা বাতাসের টানে জলজ ভাসমান উদ্ভিদ একস্থান থেকে অন্যস্থানে স্থানান্তরিত হওয়া কে কি গমন বলা যায়? যুক্তি দাও।
উত্তরঃ- ঢেউ বা বাতাসের টানে জলজ ভাসমান উদ্ভিদ স্থানান্তরিত হলে তাকে গমন বলা যায়না, কারণ এক্ষেত্রে স্বতঃস্ফূর্তভাবে বা বাহ্যিক উদ্দীপকের প্রভাবে জলজ ভাসমান উদ্ভিদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সঞ্চালন এর মাধ্যমে স্থান পরিবর্তন ঘটে না।
12. সিসমোন্যাস্টিক চলন কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ- স্পর্শ উদ্দীপনা বা আঘাতজনিত উদ্দীপনার তীব্রতা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত উদ্ভিদ অঙ্গের রসস্ফীতি জনিত আবিষ্ট বক্রচলন কে সিসমোন্যাস্টিক চলন বলে।
লজ্জাবতীর পত্রকগুলি স্পর্শ করলে মুড়ে যায়।
13. কেমোন্যাস্টিক চলন বলতে কী বোঝো?
উত্তরঃ- রাসায়নিক পদার্থের তীব্রতার প্রভাবে উদ্ভিদ অঙ্গের রসস্ফীতি জনিত আবিষ্ট বক্র চলন কে কেমোন্যাস্টিক চলন বলে।
ডায়োনিয়া, সূর্যশিশির প্রভৃতি পতঙ্গভুক উদ্ভিদের পাতার রোম পতঙ্গের সংস্পর্শে এলে পতঙ্গের দিকে বেঁকে যায় ও পতঙ্গকে আবদ্ধ করে।
14. ফটোন্যাস্টিক চলন কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ- আলোক উদ্দীপকের তীব্রতা হ্রাসবৃদ্ধির ফলে উদ্ভিদ অঙ্গের রসস্ফীতিজনিত আবিষ্ট বক্রচলন কে ফটোন্যাস্টিক চলন বলে।
সূর্যমুখী, পদ্ম ফুল দিনের বেলায় তীব্র আলোর উপস্থিতিতে ফোটে এবং অন্ধকারে বন্ধ হয়ে যায়। আবার সন্ধ্যামালতী ফুল সূর্যাস্তের পর অন্ধকারে ফোটে এবং দিনের আলোয় বন্ধ হয়ে যায়।
15. থার্মোন্যাস্টিক চলন কি? উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ- যে নাস্তিক চলন তাপমাত্রা বা উষ্ণতার তীব্রতা দ্বারা ঘটে তাকে থার্মোন্যাস্টিক চলন বলে।
টিউলিপ ফুলের পাপড়ি বেশি উষ্ণতায় ফোটে আবার কম উষ্ণতায় বন্ধ হয়ে যায়।
16. ন্যাস্টিকচলন বা ব্যাপ্তি চলন কাকে বলে?
উত্তরঃ- উন্নত শ্রেণীর উদ্ভিদের যে আবিষ্ট বক্রচলন উদ্দীপকের তীব্রতা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, তাকে ন্যাস্টিকচলন বা ব্যাপ্তি চলন বলে।
17. উদ্ভিদের ন্যাস্টিকচলন কত প্রকার ও কি কি?
উত্তরঃ- ন্যাস্টিক চলন প্রধানত চার প্রকার।
যথা – i) ফটোন্যাস্টিক চলন, ii) থার্মোন্যাস্টিক চলন, iii) সিসমোন্যাস্টিক চলন, iv) কেমোন্যাস্টিক চলন।
18. সামগ্রিক চলন কতপ্রকার ও কি কি?
উত্তরঃ- সামগ্রিক চলন দুই প্রকার। i) স্বতঃস্ফূর্ত সামগ্রিক চলন ii) আবিষ্ট সামগ্রিক চলন বা ট্যাকটিক চলন।
19. উদ্ভিদের চলন কাকে বলে?
উত্তরঃ- যে প্রক্রিয়ায় উদ্ভিদ এক জায়গায় স্থির থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে বা পরিবেশের বিভিন্ন বাহ্যিক বা দেহস্ত বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ উদ্দীপকের প্রভাবে দেহের কোন অংশে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সঞ্চালন করে, তাকে উদ্ভিদের চলন বলে।
20. উদ্ভিদেরচলন কত প্রকার ও কি কি?
উত্তরঃ- উদ্ভিদের চলন দুই প্রকার। i) সামগ্রিক চলন ii) বক্রচলন
21. সামগ্রিক চলন কাকে বলে?
উত্তরঃ- যে সমগ্র উদ্ভিদদেহ বা উদ্ভিদদেহের কোন অংশ বা কোন কোশ বা কোশের প্রোটোপ্লাজম উদ্দীপকের প্রভাবে বা উদ্দীপকের প্রভাবে ছাড়াই স্বতঃস্ফূর্তভাবেই সামগ্রিকভাবে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তরিত হয় তখন তাকে সামগ্রিক চলন বলে।
22. উদ্ভিদ চলনের উদ্দেশ্যগুলি কি কি?
উত্তরঃ- i) জল ও খনিজ লবণ সন্ধানঃ উপযুক্ত পরিমাণ জল ও খনিজ লবণের সন্ধানে উদ্ভিদের মূল মাটির গভীরে ক্রমাগত প্রবেশ করে অর্থাৎ হাইড্রোট্রপিক চলন দেখা যায়।
ii) বাতাস ও আলোকের সন্ধানঃপর্যাপ্ত সূর্যালোক, বায়ু প্রকৃতির সন্ধানে উদ্ভিদের কান্ড ও শাখা-প্রশাখার বিভিন্ন দিকে চলন ঘটে।
23. প্রকরণ চলনকে রসস্ফীতিজনিত চলন বলার কারণ কি?
উত্তরঃ- প্রকরণ চলনকে রসস্ফীতিজনিত চলন বলার কারন প্রকরণ চলন একপ্রকার বক্রচলন। এপ্রকার চলনে উদ্ভিদের পাতার কোশে অভিস্রবণের কারনে রসস্ফীতিজনিত চাপের হ্রাসবৃদ্ধি ঘটে, এই কারণেই এই প্রকার চলনকে রসস্ফীতিজনিত চলন বলে।
24. প্রকরণ চলন কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ- উদ্ভিদ কোশের রসস্ফীতির তারতম্যের জন্য উদ্ভিদ অঙ্গের পরিণত অঞ্চলে যে স্বতঃস্ফূর্ত বক্র চলন দেখা যায়, তাকে প্রকরণ চলন বলে।
বনচাঁড়াল এর পাতার ত্রিফলকের পার্শ্বপত্রকের পর্যায়ক্রমিক ওপর-নিচে ওঠানামা এই ধরনের চলন।
25. জিওট্রপিজম কি? উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ- যে ট্রপিক চলন অভিকর্ষ বলের গতিপথ অনুসারে ঘটে, তাকে জিওট্রপিজম বা জিওট্রপিক চলন বলে।
অভিকর্ষ বলের প্রভাবে উদ্ভিদের মূলের মাটির গভীরে প্রবেশ করা।
26. ডায়াজিওট্রপিক চলন কি? উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ- যে জিওট্রপিক চলনে উদ্ভিদ অঙ্গ অভিকর্ষ বলের সঙ্গে সমকোণে বৃদ্ধি পায়, তাকে ডায়াজিওট্রপিক চলন বলে।
আদার গ্রন্থিকন্দের অনুভূমিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়া।
27. জিওট্রপিক চলন বা অভিকর্ষবর্তি চলন কত প্রকার ও কি কি?
উত্তরঃ- জিওট্রপিক চলন চার প্রকার ।
i) অনুকূল অভিকর্ষবর্তি চলন ii) প্রতিকূল অভিকর্ষবর্তি চলন iii) তীর্যক অভিকর্ষবর্তি চলন iv) ডায়াজিওট্রপিক চলন।
28. অনুকূল অভিকর্ষবর্তি চলন কি? উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ- যে জিওট্রপিক চলনে উদ্ভিদ অঙ্গ অভিকর্ষ বলের অনুকূলে বৃদ্ধি পায়, কাকে অনুকূল অভিকর্ষবর্তি চলন বা পজেটিভ জিওট্রপিজম বলে।
29. প্রতিকূল অভিকর্ষবর্তি চলন কি? উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ- যে জিওট্রপিক চলনে উদ্ভিদের অঙ্গ অভিকর্ষ বলের বিপরীত দিকে বৃদ্ধি পায় তাকে, প্রতিকূল অভিকর্ষবর্তি চলন বা নেগেটিভ জিওট্রপিজম বলে।
30. তীর্যক অভিকর্ষবর্তি চলন কি? উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ- যে জিওট্রপিক চলনে অঙ্গ অভিকর্ষ বলের সঙ্গে তীর্যকভাবে বৃদ্ধি পায়, ডাকে তীর্যক অভিকর্ষবর্তি চলন বলে।
উদ্ভিদের শাখামুলগুলি অভিকর্ষ বলের সঙ্গে তীর্যকভাবে বৃদ্ধি পায়।
31. উদ্ভিদ কিভাবে উদ্দীপনায় সাড়া দেয়?
উত্তরঃ- উদ্ভিদ পরিবেশ পরিবর্তন শনাক্ত করে ও সাড়া প্রদান করে, বাহ্যিক বা অভ্যন্তরীণ উদ্দীপকের প্রভাবে বৃদ্ধিজ বা রসস্ফীতিজনিত চলনের মাধ্যমে উদ্দীপনায় সাড়া দেয়।
32. অভ্যন্তরীণ উদ্দীপক কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ- জীবের দেহমধ্যস্থ যেসব বিশেষ অবস্থা জীবদেহের মধ্যে উদ্দীপনার সৃষ্টি করে তাদের অভ্যন্তরীণ উদ্দীপক বলে।
উদাহরণঃ ক্ষুধা, তৃষ্ণা, হরমোন প্রভৃতি।
33. বাহ্যিক উদ্দীপক কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ- যেসব পদার্থ পারিপার্শ্বিক অবস্থা জীবদেহের বাইরে থেকে জীবের উপর প্রভাব বিস্তার করে তার মধ্যে উদ্দীপনার সৃষ্টি করে তাদের বাহ্যিক উদ্দীপক বলে।
উদাহরণঃ আলো, চাপ, তাপ, বায়ু, অভিকর্ষ বল প্রভৃতি।
34. সংবেদী উদ্ভিদের পাতার চলন ও কান্ডের আলোক অভিমুখী চলন এর মধ্যে কি পার্থক্য রয়েছে?
উত্তরঃ- সংবেদী উদ্ভিদের পাতার চলন স্পর্শ উদ্দীপনার জন্য ঘটে এক্ষেত্রে বৃদ্ধির কোনো ভূমিকা নেই অন্যদিকে কান্ডের আলোক অভিমুখী চলন বৃদ্ধির সঙ্গে সম্পর্কিত এবং অক্সিন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।
35. তুমি দেখলে তোমার বাড়ির পাশের জলাশয়ে জলস্রোতের সাহায্য কচুরিপানা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ভেসে যাচ্ছে। ঘটনাটিকে গমন বলা যাবে কি?
উত্তরঃ- এটি গমনের ঘটনা নয়, কারণ এক্ষেত্রে স্বেচ্ছায় বা কোন উদ্দীপকের প্রভাবে স্থানান্তর ঘটেনি এবং কোন গমনঅঙ্গের ভূমিকা নেই।
36. বিদ্যালয়ের লাইব্রেরীর ঘরের পিছনের গাছটি যেদিক থেকে সূর্যালোক আসছে সে দিকে বেঁকে যাচ্ছে – ঘটনাটি কি ধরনের চলন?
উত্তরঃ- আলোক উদ্দীপকের প্রভাবে উদ্ভিদের অংশ অর্থাৎ শাখা-প্রশাখা পাতা আলোর দিকে বেঁকে যায়। আলোক উৎসের অভিমুখের দিকে উদ্ভিদ অংশের এই চলনকে পজিটিভ ফটোট্রপিজম বা অনুকূল আলোকবর্তী চলন বলে। অর্থাৎ গাছটির বিটপ অংশের চলন হলো পজিটিভ ফটোট্রপিক চলন।
37. সংবেদনশীলতা ও সংবেদন বলতে কী বোঝো?
উত্তরঃ- সংবেদনশীলতাঃ পরিবেশের যে কোনো ধরনের পরিবর্তন শনাক্ত করে সেই অনুযায়ী জীবের সাড়া প্রদানের ক্ষমতা কে সংবেদনশীলতা বলে।
সংবেদনঃ চাপ, তাপ, আলো প্রভৃতি উদ্দীপকের উপস্থিতিতে জীবদেহে যেসব অনুভূতির সৃষ্টি হয় তাকে সংবেদন বলে।
সাড়া কি?
38. উত্তরঃ- বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ উদ্দীপকের প্রভাবে জীবদেহে যেসকল পরিবর্তন ঘটে তার বহিঃপ্রকাশ কে সাড়া বলে।
39. উদ্দীপক কি? উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ- যেসব বাহ্যিক বা অভ্যন্তরীণ অবস্থা বা পদার্থ জীবদেহে এক বিশেষ অনুভূতি সৃষ্টি করে জীবকে প্রতিক্রিয়া বা সাড়া প্রদানে সক্ষম করে তোলে, তাকে উদ্দীপক বলে।
উদাহরণঃ চাপ, তাপ, আলো, ক্ষুধা, তৃষ্ণা প্রভৃতি।
40. প্রতিকূল জলবৃত্তিজ বলতে কী বোঝ?
উত্তরঃ- যে প্রকার জলবৃত্তিজ চলনে উদ্ভিদ অঙ্গের বৃদ্ধি জলের প্রতিকূলে ঘটে, তাকে প্রতিকূল জলবৃত্তিজ চলন বলে।
জলের উৎসের বিপরীতে কান্ডের বৃদ্ধি।
41. অনুকূল জলবৃত্তিজ বা পজিটিভ হাইড্রোট্রপিজম বলতে কী বোঝ? উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ- যে প্রকার জলবৃত্তিজ চলনে উদ্ভিদ অঙ্গের বৃদ্ধি জলের অনুকূলে ঘটে, তাকে অনুকূল জলবৃত্তিজ চলন বলে।
উদ্ভিদের মূলের জলের উৎসের দিকে অগ্রসর হওয়া।
42. হাইড্রোট্রপিজম কি? উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ- উন্নত শ্রেণীর উদ্ভিদের বিভিন্ন অঙ্গের যে ট্রপিক চলন জলের উৎস বা গতিপথ অনুসারে হয়, তাকে হাইড্রোট্রপিজম বা জলবৃত্তিজ চলন বলে।
43. তীর্যক আলোকবর্তি চলন কি? উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ- যে ট্রপিক চলনে উদ্ভিদ অঙ্গ আলোক উৎসের বা গতিপথের সঙ্গে তীর্যক ভাবে বৃদ্ধি পায়, তাকে তির্যক আলোকবর্তি চলন বলে।
আলোকরশ্মির সঙ্গে পাতা তীর্যকভাবে বৃদ্ধি পায়।
44. প্রতিকূল আলোকবর্তি চলন কি? উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ- যে ট্রপিক চলনে উদ্ভিদ অঙ্গ আলোক উৎসের বা গতিপথের বিপরীত দিকে বৃদ্ধি পায়, তাকে প্রতিকূল আলোকবর্তি চলন বলে।
আলোক উৎসের বিপরীত দিকের মূলের বৃদ্ধি।
45. অনুকূল আলোকবর্তি চলন কি? উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ- যে ট্রপিক চলনে উদ্ভিদ অঙ্গ আলোক উৎসের বা গতিপথের দিকে বৃদ্ধি পায়, তাকে অনুকূল আলোকবর্তি চলন বলে।
উদ্ভিদ কান্ড ও শাখা-প্রশাখার আলোর দিকে বৃদ্ধি পাওয়া।
46. ট্রপিকচলন প্রধানত কত প্রকার ও কি কি?
উত্তরঃ- ট্রাফিক চলন প্রধানত তিন প্রকার। i) ফটোট্রপিক চলন বা ফটোট্রপিজম ii) জিওট্রপিক চলন বা জিওট্রপিজম iii) হাইড্রো ট্রপিকচলন বা হাইড্রোট্রপিজম বলে।
47. ফটোট্রপিজম ফটোট্রপিকচলন কি? উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ- উন্নত শ্রেণীর উদ্ভিদের বিভিন্ন অঙ্গের যে আবিষ্ট বক্রচলন আলোর উৎস বা গতিপথ অনুসারে হয়, তাকে ফটোট্রপিজম বা ফটোট্রপিক চলন বলে।
উদ্ভিদের কান্ড ও শাখা-প্রশাখা সূর্যের আলোর দিকে বৃদ্ধি পাওয়ায় একটি ফটোট্রপিজম।
48. ফটোট্রপিকচলন কত প্রকার ও কি কি?
উত্তরঃ- ফটোট্রপিক চলন তিন প্রকার। i) পজিটিভ ফটোট্রপিক বা অনুকূল আলোকবর্তি চলন ii) নেগেটিভ ফটোট্রপিক বা প্রতিকূল আলোকবর্তি চলন iii) ডায়াফটোট্রপিক বা তীর্যক আলোকবর্তি চলন
49. দিকনির্ণয় চলন ট্রপিকচলন কাকে বলে ?
উত্তরঃ- যে আবিষ্ট বক্রচলন বাহ্যিক উদ্দীপকের উৎস বা গতিপথ অনুসারে ঘটে, তাকে দিকনির্ণীত চলন ট্রপিক চলন বলে।
50. স্বতঃস্ফূর্ত বক্রচলন কি? উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ- বাহ্যিক উদ্দীপকের প্রভাবে ছাড়াই প্রোটোপ্লাজমের অন্তঃস্থ উদ্দীপক দ্বারা যে বক্রচলন সম্পন্ন হয়, তাকে স্বতঃস্ফূর্ত বক্র চলন বলে।
শিম, অপরাজিতা ইত্যাদি উদ্ভিদের বলন বা ন্যুটেশন।
51. আবিষ্ট বক্রচলন কি?
উত্তরঃ- বাহ্যিক উদ্দীপকের প্রভাবে উদ্ভিদ অঙ্গের পরিণত অঞ্চলে যে বক্রচলন ঘটে, তাকে আবিষ্ট বক্রচলন বলে।
52. আবিষ্ট বক্রচলন কত প্রকার ও কি কি?
উত্তরঃ- আবিষ্ট বক্রচলন প্রধানত দুই প্রকার। i) দিকনির্ণীত চলন বা ট্রপিকচলন ii) ব্যাপ্তি চলন বা ন্যাস্টিক চলন